নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাঠগোলাপের সাদার মায়ায়......

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৯

তোমার জন্য নীলচে তারার একটু খানি আলো
ভোরের রঙ রাতের মিশকালো।
কাঠগোলাপের সাদার মায়া মিশিয়ে দিয়ে ভাবি
আবছা নীল তোমায় লাগে ভালো।

----- অর্ণব -----



কাঠগোলাপ
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কাঠচাঁপা, কাঠচাম্পা, গবুবীয় চাঁপা, গরুড়চাঁপা, গুলঞ্চ, গুলঞ্চচাঁপা, গুলাচি, গোলকচাঁপা, গোলাইচ, গোলাঞ্জবাহার, গৌরচাম্পা, চালতাগোলাপ।
Common Name : Calachuchi, Dead Man's Fingers (Australia), Flower Of The Cross, Frangipani, Graveyard Tree (Caribbean Islands), Kalachuchi, Kappal arali, Mary's Flower, May Flower (Nicaragua), Pagoda Tree (Far East), Plumeria, Sacuanjoche, Seemai arali, Singapore Frangipani, Singapore graveyard flower, Temple Tree (India), West Indian Jasmine.

Scientific Name : Plumeria
ফরাসী উদ্ভিদবিদ শার্ল প্লুমিয়ে-র নামানুসারে কাঠগোলাপের বৈজ্ঞানিক নাম Plumeria রাখা হয়েছে।
আজকের কাঠগোলাপটি হচ্ছে প্লুমেরিয়া অবটুজা (Plumeria obtusa)

কাঠগোলাপ আমাদের দেশে খুবই সহজলভ্য এবং পরিচিত ফুল। প্লুমেরিয়ার শত শত হাইব্রিড তৈরি হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে।
দুনিয়ার প্রায় সব ফুলই সুন্দর তাতে কোনো সন্দেহ নেই, তবে সবচেয়ে সুন্দর ফুলগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে কাঠগোলাপ। সারা দুনিয়া জুড়ে নানার রং আর আকারের কাঠগোলাপ আছে।



ম্লান আলোকে ফুটলি কেন গোলক-চাঁপার ফুল।
ভূষণহীনা বনদেবী কার হরি তুই দুল।।
হার হ'বি কার কবরীতে
সন্ধ্যারানী দূর নিভৃতে,
বসে আছে অভিমানে ছড়িয়ে এলোচুল।।
মাটির ধরার ফুলদানিতে তোর হবে কি ঠাঁই,
আদর কে আর করবে তোরে, বসন্ত যে নাই হায় বসন্ত নাই।
গোলক-চাঁপা খুঁজিস কারে —
সে দেবতা নাই রে হেথা শূন্য যে আজি গোকুল।।

----- কাজী নজরুল ইসলাম -----



ফিলিপাইনস দ্বীপপুঞ্জের মানুষেরা বিশ্বাস করে, কাঠগোলাপ গাছে ভূত থাকে। তাই তারা কবরস্থানে কাঠগোলাপের গাছ লাগিয়ে রাখে। তারা মনে করে ভূতেরা মৃত আত্মাগুলির যত্ন নিবে, পাহারা দিবে, কবরের উপরে ফুল বিছিয়ে দিয়ে কবরকে শোভিত করবে। এই কারণেই তারা কাঠগোলাপকে ডাকে Graveyard Tree নামে।


হাওয়াই দ্বীপে প্রচুর কাঠগোলাপের গাছ আছে। সেখানে অতিথিদের কাঠগোলাপের ফুলের মালা পরিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হতো। দ্বীপের মেয়েরা কানে কাঠগোলাপ ফুল গোঁজে। বাম কানে ফুল দিলে বুঝতে হবে সে বিবাহিতা, আর ডান কানে ফুল দিলে বুঝতে হবে সে এখনো অবিবাহিতা।



কাঠগোলাপ মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, ভেনেজুয়েলা ও দক্ষিণ ভারতের স্থানীয় ফুল হলেও বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেখেই একে দেখতে পাওয়া যায়। ১৯৭১ সালে নিকারাগুয়ার জাতীয় ফুল হিসাবে লাল কাঠগোলাপকে (Plumeria rubra) ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশে বেশ কয়েক রকমের কাঠগোলাপ দেখতে পাওয়া যায়। ধবধবে সাদা, সাদার মধ্যে উজ্জ্বল হলুদ ছোপ, লাল, খয়রি লাল ইত্যাদি নানান রং এর কাঠগোলা হরহামেশাই দেখতে পাওয়া যায় সৌখিন বাগানে। রমনীদের অনেকেই খোঁপায় কাঠগোলাপ ফুল গুঁজে ছবি তুলতে পছন্দ করে।



কাঠগোলাপের গাছ এবং কাঠগোলাপের ফুল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুবই পবিত্র এবং পূজার উপকরণ।। তারা তাদের নানান পূজায় কাঠগোলাপের ফুল ব্যবহার করে। তাছাড়া বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছেও এটি খুবই পবিত্র। বৌদ্ধরা এটিকে মৃত্যুহীন প্রাণের প্রতীক বলে মনে করে। তারাও এই ফুল ধর্মানুষ্ঠানে ব্যহার করে। হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরগুলিতে কাঠগোলাপের গাছ রোপন করা হয়। কাঠগোলাপের গাছকে তাই টেম্পল ট্রি (Temple Tree) ডাকা হয়।



কলম করে কাঠগোলাপের বংশবিস্তার করা তুলনামূলক ভাবে সহজ। কখনো কখনো কলম করা গাছে পাতা গজানোর আগেই ফুল ফুটতে দেখা যায়। কাঠগোলাপের গাছ বিচিত্র গড়নের হয়ে থাকে। কিছু গাছ ছোট ঝোপালো আকৃতির হলেও কিছু কিছু গাছ আবার ৮ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এর নিকটাত্মীয় করবী।




শীতে কাঠগোলাপ গাছের অধিকাংশ পাতা ঝরে যায়। নিষ্পত্র ন্যাড়া গাছটিকে তখন মৃত বলে মনে হয়। পাতা ঝরার পর ডালে একটি চিহ্ণ রয়ে যায়। বসন্তে গাছে নতুন পাতা গজায়। অনুকুল পরিবেশ পেলে কিছু কিছু গাছ সাধারণত চিরসবুজ থাকে। পাতা আকারে বেশ বড় ও পুরু, শিরা-উপশিরা স্পষ্ট। পাতাগুলো ডালের শেষ প্রান্তে গুচ্ছবদ্ধ হয়ে থাকে। ফুলের পাশাপাশি এর পাতার বিন্যাসের সৌন্দর্যও দৃষ্টিনন্দন। এই গাছ নরম, ভঙ্গুর শাখা-প্রশাখা ছড়ানো-ছিটানো, বিষাক্ত দুধকষভরা। কাঠগোলাপ ফুলগাছ সাধারণত লবণ এবং খরা-সহনশীল, তবে শুষ্ক বায়ুতে একে পানি দিতে হয়। গাছে ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা শক্ত খোলস যুক্ত ফল হয়। কোনো পশুপাখি এই ফল খায় না।



কাঠগোলাপ ফুল সারা বছর ধরে ফুটতে দেখা যায় তবে গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরতে বেশি ফুল ফোটে। সাধারণত কাণ্ডের ডগায় একগুচ্ছ কাঠগোলাপ ফুল তার সবটুকু সৌন্দর্য নিয়ে ফোটে। ফুটন্ত ফুলের সুঘ্রাণে চারপাশ মৌ মৌ করে। ফুলের গন্ধ রাতে তীব্রতা পায়। ফুলে কোনো মধু নেই। মধু না থাকলেও এই ফুলের কদর একটুও কমে নাই। মধুর লোভে প্রজাপতি আর মৌমাছি না এলেও ফুলের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে পতঙ্গ এর পরাগায়ন ঘটায়। কাঠগোলাপের ফুলে পাঁচটি ছড়ানো পাপড়ি থাকে। ফুলগুলি সাধারনত আকারে বেশ বড় হয়, তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চি চওড়া হতে পারে।



শুনতে পাই এই গাছ থেকে তেল, সুগন্ধি, লোশন ও মোম বানানো হয়। গাছের নানা অংশের ঔষধি ব্যবহার রয়েছে। নারকেল তেলের সঙ্গে এর কষ চর্মরোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এর পাতা ফুলের তোড়াতে ব্যবহার করা হয়। হাওয়াইতে কাঠগোলাপ ফুলের মালা তৈরি করা হয়। কোথাও কোথাও এই মালা ব্যবহার করা হয় বিয়ের জয়মাল্য হিসেবে।

আমার বিদায়-রথের চাকার ধ্বনি ঐ গো এবার কানে আসে।
পুবের হাওয়া তাই কেঁদে যায় ঝাউ-এর বনে দীঘল শ্বাসে।।
ব্যথায়-বিবশ গুলঞ্চ ফুল
মালঞ্চে আজ তাই শোকাকুল,
মাটির মায়ের কোলের মায়া ওগো আমার প্রাণ উদাসে।
----- কাজী নজরুল ইসলাম -----




তথ্য সূত্র ও বর্ণনা : উইকিপিডিয়া, অন্তর্জাল, নিজ।

=================================================================

আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে

অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী, এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কালো বাসক, কালো বাদুড় ফুল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, ক্যাসিয়া রেনিজেরা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কাঁটামুকুট, কন্টকমুকুট, কাঞ্চনার, কাঞ্চনক, কুর্চি, কুরচি, কৃষ্ণচূড়া, খাড়া মুরালি
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, রক্তগাঁদা, গামারি, গামার, গাম্বার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু, গুলমোহর, ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (লালচে গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (কমলা), চন্দ্রমল্লিকা (হলুদ-সাদা), ছোটপানা
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, ঝুমকা জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা, হাইব্রিড গোলাপী জবা, হাইব্রিড ক্রিম জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা, ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
টগর, জংলি টগর, ডালিয়া, তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা, ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগেসর, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীলচূড়া, নীল বনলতা, নীল লতা, নীলাতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা, পুত্তলিকা, পটপটি
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা, বার্মিজ গোলাপি সোনাইল, ভাট ফুল, ভ্রমরপ্রিয়া
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল, মূলাপাতা
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন, রক্তপুষ্পক, রক্ত শিমুল
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ, লাল কাঞ্চন, লাল শাপলা, লাল শিমুল
শটি ফুল, শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শিবঝুল, শিমুল, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত পুষ্পা, শ্বেত অকন্দ
সন্ধ্যামালতী, সুলতান চাঁপা, সুখ মুরালি, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে
হাতি জোলাপ,

অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল

মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল, তিল ফুল, বিষকাটালি, পাহাড়ি বিষকাটালি,

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কাঠগোলাপের এত নামডাক শুনি, দেখেছি বলেও মনে হয়, কিন্তু কোথায় দেখেছি তা মনে পড়ছে না।


বরাবরের মতোই সুন্দর পোস্ট।

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- দেখেছেন অবশ্যই, খুবই কমন একটি গাছ আমাদের দেশে। রোড ডিভাইডারেও দেখা মেলে। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সৌখিন বাগানে আর ছাদ বাগানেও।

২| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর।

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শুকরিয়া

৩| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১০:৩০

জনারণ্যে একজন বলেছেন: ছবিগুলি খুবই সুন্দর হয়েছে, জলদস্যু। এবং খুবই ইনফরমেটিভ পোস্ট, ধন্যবাদ আপনাকে।

ও হ্যাঁ, এই সামারে দেখি হাওয়াই যাওয়ার একটু কথা-বার্তা চলছে। যদি যাওয়া হয়, তবে দেখি আপনার দেয়া ইনফরমেশনটা কাজে লাগিয়ে কোনো আউটপুট বের করা যায় কিনা ……

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১০:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
- বেড়িয়ে আসেন হাওয়াই, ফিরে এসে আউটপুটের খবর সবিস্তের জানিয়েন। =p~

৪| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১১:০১

জনারণ্যে একজন বলেছেন: আচ্ছা জানাবো, যদি যাই।

অনেকদিন পর কাল গেছিলাম আমার অতি-প্রিয় সেই ভ্যালিতে, সেখান থেকে মাছ ধরতে - রিও গ্রান্ডে রিভারে। নাম শুনে থাকবেন নিশ্চই এই নদীর।

ভালো থাকবেন।

view this link

view this link

view this link

view this link

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আবারও মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

৫| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৮

আরইউ বলেছেন:



জলদস্যু,
ফুলে, তথ্যে, কবিতা-গানে পোস্ট ভালো হয়েছে। কাঠগোলাপের পাতা দেখতে কিছুটা চালতে পাতার মত; সম্ভবত এজন্যই এর আরেক নাম চালতেগোলাপ (আপনি পোস্টে উল্লেখ করেছেন)।
ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা!

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৬| ০৩ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: কাঠগোলাপফুলের খোপাটা চমৎকার!
এইফুলের হালকা মিস্টি ঘ্রান আমার চমৎকার লাগে।

০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার ছোট বোন ওর ছাদে কয়েক করমের কাঠগোলাপ লাগিয়েছে। চমৎকার সব ফুল ফোটে।

৭| ০৩ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কাঠগোলাপ আসলেই সুন্দর। কত রঙের কাঠগোলাপ দেখি এখন

০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- প্রচুর হাইব্রিড করা হয়েছে কাঠগোলাপের। যেমন করা হয়েছে জবার।

৮| ০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫

এম ডি মুসা বলেছেন: বর্ষার বৃষ্টির দিনে এই ফুল ফোটে বাংলাদেশ বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির খবর নেই

০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বর্ষা তো এখনো শুরু হয়নাই। আজকে সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১।
আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস জুড়ে এই বর্ষাকাল। বর্ষা আসতে আরো ১০-১১ দিন বাকি।

৯| ০৩ রা জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:০১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কাঠগোলাপের সাদার মায়া মিশিয়ে দিয়ে ভাবি.......... অর্ণবের এই গানটি আমার ভালো লাগে, আপনার এই পোস্টের কল্যাণে অনেকদিন পর গানটি শুনছি। :D



০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- গানটি আমারও বেশ পছন্দ। প্রথম যখন শুনেছিলাম তখনই মনে হয়েছিলো- এভাবেও গান লেখা যায়!! সুরের কেরামতিও অসাধারন।

১০| ০৩ রা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

করুণাধারা বলেছেন: কাঠগোলাপ আমার প্রিয় ফুল। সাদার মাঝে হলুদ ছাড়াও আরেকটা যে আছে সাদা আর গোলাপি, সেটাও খুব ভালো লাগে।

ছবি আর কবিতাময় পোস্ট খুব ভালো হয়েছে!! হাওয়াইয়ের কাঠগোলাপের মালার ছবি আমি আগেও দেখেছি, কিন্তু খোঁপায় কাঠগোলাপ গোঁজা, এই জিনিস এই প্রথম দেখলাম!! কোথায় খুঁজে পেলেন এমন ছবি!!

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য।
- সাদা আর গোলাপির মিশেলের দুটি ভ্যারাইটি আছে। একটি গোলাপি অন্যটি লালচে। আগামি পোস্টে সেগুলিও দেখাবো।
- নেটে খুঁজে বের করেছি ছবি গুলি। এখন কোনো কিছু খুঁজে বের করা খুব সহজ হয়ে গেছে।

১১| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৮:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শৈশবে ভিক্টোরিয়া পার্কে এত ভিন্ন রকমের কাঠ গোলাপ দেখেছি , খেলেছি।
চমৎকার পোষ্ট।

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শৈশবে আমার এলাকায় কোনো কাঠগোলাপের গাছ দেখছি বলে মনেই পরে না।

১২| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার এখানে শুধু সাদা নয় গোলাপী রঙ এর কাঠগোলাপ গাছও আছে। সাদার চাইতে গোলাপীটাই বেশি সুন্দর।

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১১:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সাদা আর গোলাপির মিশেলের দুটি ভ্যারাইটি আছে। একটি গোলাপি অন্যটি লালচে। আগামি পোস্টে সেগুলিও দেখাবো।

১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ ভোর ৫:১৫

সোহানী বলেছেন: ছোটবেলায় গেইটের পাশে এরকম সাদা হলুদ কাঠগোলাপের গাছ ছিল। তখন থেকেই অসম্ভব ভালো লাগে। আর গন্ধটা হালকা কিন্তু খুব মিস্টি।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এখনো সৌখিন বাগানে কাঠগোলাপের কদর একটুও কমে নাই।

১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ৯:১৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু ভাই, আমার কিন্তু ধারণা ছিলো যে কাঠগোলাপ শুধুমাত্র এশিয়ার দেশ গুলোতে পাওয়া যায়। মেক্সিকো, ভেনিজুয়েলা, নিকারাগুয়ার মত সেন্ট্রাল আমেরিকার দেশগুলোতে যে কাঠগোলাপ পাওয়া যেতে পারে এটা আমার কল্পনায় ছিলো না। আপনার লেখা পড়ে এই বহু চেনা ফুলটা সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।

আমি অল্প সংখ্যক গাছের নাম জানি (আমার এক উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ বন্ধু বহুকাল আগে পরীক্ষা নিয়ে বলেছিলো, তৃতীয় বিভাগে পাশ)। যতদিন দেশে ছিলাম ততদিন বিদেশে গেলে রাস্তায় হাটতে বের হলে প্রথমেই কাঠগোলাপ গাছ খুঁজতাম। মানুষ যেমন বাংলাদেশী রেস্তোরা খোঁজে, আমি খুঁজতাম কাঠগোলাপ গাছ। এশিয়ার দেশগুলোতে, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপিনস, থাইল্যান্ড এমন কি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও কাঠ গোলাপ গাছ দেখে বড় আনন্দ পেয়েছিলাম। দেশের গাছ বিদেশে দেখে। কিন্তু ইউরোপে গিয়ে দেখি কাঠগোলাপ গাছ তো নেইই, রাস্তার পাশের একটা গাছও চিনিনা। বিষয়টা পীড়া দিয়েছিল।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- গাছ চেনার বিষয়ে পরিক্ষা দিলে আমি পাশ মার্ক পাবো না। আমি গাছ অল্প যা চিনি তা তাদের ফুল দেখেই চিনি। পাতা বা গাছ দেখে তাদের নাম আমি খুব একটা বলতে পারবো না। সবচেয়ে বড় মাইনাস পয়েন্ট হচ্ছে আমি কোনো গাছেরই সাইন্টেফিক নাম মনে রাখতে পারি না, চেষ্টাও করি না। এতো কঠিন নাম মনে রাখার চেষ্টা করে মস্তিষ্কের বারোটা বাজানোর কোনো ইচ্ছা আমার নাই। সো আমি ফেল।

- সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় শ্রবণধারা।

১৫| ১১ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিগুলো এবং ছবির মডেল দু'জন সুন্দর!
আমার নানাবাড়িতে কাঠগোলাপের গাছ ছিল। সুগন্ধির কথা মনে আছে, দেখতেও ভালো লাগতো। বর্ষাকালে বেশি ফুটতো।
'গ্রেভইয়ার্ড ট্রী' এবং 'টেমপল ট্রী' নামকরণের ইতিহাস জানা হলো এই পোস্টের সুবাদে।
নজরুলের কবিতা থেকে যথাযথ উদ্ধৃতি দিয়ে পোস্টের আকর্ষণ ফুলপ্রেমী ছাড়াও সাহিত্যপ্রেমীদের নিকট অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ, গান ও কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে পোস্টকে সমৃদ্ধ করার জন্য।

পোস্টে নবম 'লাইক'। + +

১২ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:২১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টে লাইক প্রদান ও সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.