নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভরিল আমার চিত্ত বিষ্ময়ের গভীর আনন্দ, চিনিলাম তোমারে আকন্দ.....

৩০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:০০



আমরা দেখেছি যারা অন্ধকারে আকন্দ ধুন্দুল
জোনাকিতে ভ’রে গেছে; যে-মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ–কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
----- জীবনানন্দ দাশ -----


আকন্দ
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : সাদা আকন্দ, অর্ক, সুর্য্যাহবয়, ক্ষীরী, সদাপুষ্প, বিকীরণ, মন্দার, বসুক,অলর্ক, রাজাহব, দিব্যপুম্পিক, হ্রাসভাগনি, শ্বেতার্ক, গণরূপ, প্রতাপশ।
Common Name : Giant Milkweed, White Crown Flower , Giant Milkweed Crown Flower, Gigantic-Swallow-Wort, White Calotrope ইত্যাদি
Scientific Name : Calotropis gigantea (সম্ভবতো)




শিবঠাকুরে পূজো সিদ্ধ হয়না বেল পাতা, ধুতোরা, আকন্দ ফুল ব্যতিরেকে। আকন্দের পাঁচটি পাঁপড়ি নির্দেশ করে শিবের অপর রূপ পঞ্চাননকে। শিবপূজায় একটি আকন্দ ফুল অর্পন করে ফল পাওয়া যায় স্বর্ণ অর্পনের সমান, এমনটাই বর্ণিত পুরাণে। বলা হয়-
“আকন্দ বিল্বপত্র আর গঙ্গাজল
এই পেয়ে তুষ্ট হোন ভোলা মহেশ্বর।”




আকন্দ এক প্রকার গুল্ম জাতীয় ঔষধি উদ্ভিদ। রাস্তা পাশে এবং পরিত্যক্ত স্থানে বেশি পাওয়া যায়। এই গাছ সাধারণত: ৩-৪ মিটার পর্যন্ত উচুঁ হয়ে থাকে। কচি ডাল লোমযুক্ত। পাতা ৪ থেকে ৮ ইঞ্চি লম্বা এবং পাতার নিজের ভাগ ভেলবেটের ন্যায় নরম। তবে মে- জুন মাসে ফল পাকলে ফেটে বীজ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। বীজ থেকে বংশ বিস্তর সম্ভব হলেও সাধারণ এর মোথা ও সাকার অংশ থেকে বংশ বিস্তার হয়ে থাকে।

আমাদের দেশে সাধারণত তিন ধরনের আকন্দ দেখতে পাওয়া যায়। লাল আকন্দ, শ্বেত আকন্দ ও ছোট আকন্দ
লাল আকন্দের ফুলের রং সাদার মধ্যে বেগুনি রং এর। শ্বেত আকন্দের ফুলের রং সাদা। এই দুই ধরনের আকন্দই বেশি দেখা যায়। এছাড়া ছোট আকারের আরেক রকম আকন্দ আছে, তবে সেটি খুব একটা দেখা যায় না।



"আকন্দফুলের কালো ভীমরুল এইখানে করে গুঞ্জরন
রৌদ্রের দুপুর ভ’রে;"
----- জীবনানন্দ দাশ -----



আকন্দ গাছের পাতা বা ডাল ভাঙ্গলে দুধের মত সাদা কষ (তরুক্ষীর) বের হয়। এই কষ খুবই বিষাক্ত। চোখে লাগলে চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আকন্দের ছাল ,পাতা, ফুল ও কষ ঔষধি হিসেবে ব্যবহার হয়।
এটি বায়ুনাশক, উদ্দিপক, পাচক, পাকস্থলীর ব্যথা নিবারক, বিষনাশক, ফোলা নিবারক।
প্লীহা, দাদ, শোথ, অর্শ, ক্রিমি ও শ্বাসকষ্টে উপকারী।


চারিদিকে বাংলার ধানী শাড়ি-শাদা শাঁখা- বাংলার ঘাস
আকন্দ বাসকলতা ঘেরা এক নীল মঠ- আপনার মনে
ভাঙিতেছে ধীরে ধীরে;-চারিদিকে এই সব আশ্বর্য উচ্ছাস;
----- জীবনানন্দ দাশ -----





আর কবিগুরু লিখেছেন -
“আছিলে কাব্যের দুয়োরাণী
পথপ্রান্তে গোপন আঁধারে।
সঙ্গী যারা ছিল ঘিরে তারা সবে নামগোত্রহীন,
কাড়িতে জানে না তারা পথিকের আঁখি উদাসীন।
ভরিল আমার চিত্ত বিষ্ময়ের গভীর আনন্দ,
চিনিলাম তোমারে আকন্দ।”







ছবি ও বর্ণনা : মরুভূমির জলদস্যু।
তথ্য সূত্র : বাংলাপিডিয়া ও উইকিপিডিয়া, অন্তর্জাল।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: =================================================================

আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে

অশোক, অক্টোপাস ফুল, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), অপরাজিতা, আকন্দ, আমরুল, আফ্রিকান টিউলিপ, আলোকনন্দা (হলুদ)
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী, এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কালো বাসক, কালো বাদুড় ফুল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, ক্যাসিয়া রেনিজেরা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কাঠগোলাপ, কাঠচাঁপা, কাঁটামুকুট, কন্টকমুকুট, কাঞ্চনার, কাঞ্চনক, কুর্চি, কুরচি, কৃষ্ণচূড়া, খাড়া মুরালি
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, রক্তগাঁদা, গামারি, গামার, গাম্বার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু, গুলমোহর, ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (লালচে গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (কমলা), চন্দ্রমল্লিকা (হলুদ-সাদা), ছোটপানা
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, ঝুমকা জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা, হাইব্রিড জবা, হাইব্রিড গোলাপী জবা, হাইব্রিড ক্রিম জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা, ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
টগর, জংলি টগর, ডালিয়া, তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দদ্রুমর্দন, দাদমারী, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা, দুপুরমনি, ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগেসর, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীলচূড়া, নীল বনলতা, নীল লতা, নীলাতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা, পুত্তলিকা, পটপটি
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা, বার্মিজ গোলাপি সোনাইল, ভাট ফুল, ভ্রমরপ্রিয়া
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল, মুচকুন্দ চাঁপা, মেক্সিকান সোর্ড লিলি
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন, রক্তপুষ্পক, রক্তপুষ্পিকা, রক্ত শিমুল, রক্ত কমল, রক্তচূড়া
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ, লাল কাঞ্চন, লাল শাপলা, লাল কমল, লাল শিমুল
শটি ফুল, শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শিবঝুল, শিমুল, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত পুষ্পা, শ্বেত অকন্দ
সন্ধ্যামালতী, সন্ধ্যামনি, সুলতান চাঁপা, সুভদ্রা, সুখ মুরালি, সূর্যমুখী, সুরজমুখী, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে, সোর্ড লিলি, সাদিমুদি, সোনালু, সাদা আকন্দ
হাতি জোলাপ, হাতিশুঁড়, হলুদ জবা
অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল
মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল, তিল ফুল, বিষকাটালি, পাহাড়ি বিষকাটালি,
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, পারিজাতের পরিচয়, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================

২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: সবচেয়ে অসহায় ও অভাগা ফুল।
আসলে যে ফুল খোপায় পরা যায় না, সেই ফুল অবহেলিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.