নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুয়াশা

কুয়াশা

কুয়াশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

|| কেমন বাংলাদেশ দেখেছিলেন ইবনে বতুতা ||

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭


ইবনে বতুতা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পরিব্রাজক। মার্কো পোলোর চেয়েও তিনি বেশি পথ ভ্রমণ করেছিলেন এবং তাঁর বর্ণনা ছিলো মার্কো পোলোর চেয়েও তথ্যপূর্ণ ও বৈচিত্রময়। মাত্র ২১ বছর বয়সে বিশ্বভ্রমণে বের হয়েছিলেন ইবনে বতুতা। তার এই ভ্রমণে ৭৫ হাজার মাইল বা ১ লাখ ২০ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিলেন। সুদীর্ঘ ৩০ বছরের রোমাঞ্চকর সফরে দুনিয়ার ৪০ টি দেশ প্রতক্ষ্য করেছিলেন। তার দেখা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছিলো অন্যতম।
ইবনে বতুতা ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সফর করেন। এখানে ইবনে বতুতা প্রথম পৌঁছেন ১৩৪৬ সালের ৯ জুলাই। সাদকাঁও (চাটগাঁ) প্রথম আসেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি তিনি কামাররু (কামরূপ) পার্বত্য অঞ্চল অভিমুখে রওনা হন। সাদকাঁও থেকে কামাররু বর্ণনায় এক মাসের পথ। হজরত শাহজালাল (র.)-এর সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশেই তিনি বাংলা সফরে এসেছিলেন বলে ইতিহাসে আছে। হজরত শাহজালাল (র.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফেরার পথে ইবনে বতুতা একটি ছাগলের পশমের কোট উপহার পান। তিনি আন-নহর উল-আয্রক (নীল নদ অর্থে) নদীর তীরবর্তী শহর অভিমুখে রওনা হন।
এই নদীপথে ১৫ দিন নৌকায় ভ্রমণের পর তিনি সুনুরকাঁও (সোনারগাঁ) শহরে পৌঁছেন ১৩৪৬ সালের ১৪ আগস্ট। ইবনে বতুতার বর্ণনায় সোনারগাঁ ছিলো একটি সুরক্ষিত ও দুর্ভেদ্য নগরী এবং এ সোনারগাঁ ছিলো তৎকালিন আন্তর্জাতিক নৌ-বন্দর। এখান থেকে পালতুলে জাহাজ ছেড়ে যেতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিমুখে।
ইবনে বতুতা সোনারগাঁ থেকেই একটি চীনা জাহাজে চড়ে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন । যখন ইবনে বতুতা বর্তমান বাংলাদেশে এসে পৌঁছেন তখন এখানকার সুলতান ছিলেন ফখর-উদ্দিন। তৎকালিন মুসলিম শাসনামলে মানুষের আর্থিক অবস্থা ছিলো অত্যন্ত সচ্ছল। দেশে খাদ্যশস্যের প্রাচুর্য এবং দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যের সস্তা দর উল্লেখ করে তিনি বলেছেন যে, পণ্যের এমন প্রাচুর্য ও সস্তা দর তিনি পৃথিবীর আর কোথাও দেখেননি। তাঁর বর্ণনায় পাওয়া যায়, মাত্র এক দিরহাম দিয়ে তখন বাংলাদেশে আটটি স্বাস্থ্যবান মুরগি পাওয়া যেতো। এ ছাড়াও এক দিরহামে ১৫টি কবুতর, দুই দিরহামে একটি ভেড়া এবং এক স্বর্ণমুদ্রারও কম মূল্যে দাস-দাসী কিনতে পাওয়া যেতো । ইবনে বতুতা তাঁর ভ্রমণ কাহিনিতে বাংলার জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন। বাংলার দৃষ্টিনন্দন শ্যামল-সবুজ প্রান্তর, পল্লীর ছায়া-সুনিবিড় সবুজের সমারোহ তাঁকে এতোটাই মুগ্ধ করে যে, তিনি উচ্ছ্বসিত হয়ে মন্তব্য করেন, ‘আমরা ১৫ দিন নদীর দুই পাশে সবুজ গ্রাম ও ফলফলারির বাগানের মধ্য দিয়ে নৌকায় পাল তুলে চলেছি, মনে হয়েছে যেন আমরা কোনো পণ্যসমৃদ্ধ বাজারের মধ্য দিয়ে চলছি। ’
~জি.মোস্তফা
১৩ নভেম্বর ২০২১
ফেসবুক বন্ধু G Mustapha ওয়াল থেকে কপি করা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ট্র্যাকার বলেছেন: আমি কোনো এক বিয়ে পড়েছিলাম, বতুতা বলেছিলেন, বাংলাদেশ হলো সুন্দর সুন্দর জিনিসে ঠাঁসা একটা দোযখ!

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ট্র্যাকার বলেছেন: আমি কোনো এক বইয়ে পড়েছিলাম, বতুতা বলেছিলেন, বাংলাদেশ হলো সুন্দর সুন্দর জিনিসে ঠাঁসা একটা দোযখ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.