একজন শহীদ জুয়েল কিংবা 'আমরা খেলার সাথে রাজনীতি মিশাই না' এর গল্প

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট কে ভালবাসেন ।ক্রিকেট নিয়েই চলছে জীবন ।তিনি আবদুল হালিম চৌধুরি ডাকনাম জুয়েল ।মিরপুর স্টেডিয়ামের একটি গ্যালারীর নামকরন করা হয়েছে তার নামে ।



মোহামেডানের হয়ে ১ম ডিভিশন ক্রিকেট খেলেছেন ।লাহোর একবার ক্রিকেট খেলছিলেন ।তার খেলা দেখে মুগ্ধ হয়ে পাকিস্তান জাতীয় দলের একজন বলেছিলেন , "এ এখানে কেন ! ওর তো জাতীয় দলে থাকার কথা ।"



একথার উত্তর জুয়েল জানেন ,শুধু জুয়েল কেন পূর্ব পাকিস্তানের জানে ।তাঁর মত নিম্ন শ্রেনীর বাঙ্গালীকে পাকিস্তান জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না ।বোর্ডের উপর কড়া নির্দেশ ।তবে ওপেনিং ব্যাটসম্যান এর অভাবে ১৯৬৯ সালে দলে ডাকা হয় কিছু নতুন খেলোয়াড় কে ।তার মধ্যে জুয়েল ও ছিলেন ।নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রাথমিক দলে রাখা হয় তাঁকে ।তবে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন ।মুক্তিযুদ্ধের ডাক আসছে সামনে ।গণঅভ্যুথ্যান শুরু হয়ে গেছে ।





২৫শে মার্চ কালরাত্রীর পর খোজে পাওয়া যাচ্ছিল না মুশতাক কে ।আজাদ বয়েজ এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি ।তিনিও ক্রিকেট পাগল ।তাঁকে খোজতে ঢাকায় আসেন জুয়েল ।২৭ শে মার্চ ঢাকা জেলা ক্রীড়া পরিষদ এর সামনে মুশতাকের হাতবাধা লাশ পাওয়া যায় ।এরপর যুদ্ধে চলে যান জুয়েল ।২৯ আগস্ট তাঁকে ধরে নিয়ে যায় হানাদার বাহিনী ।৩১ আগস্টের পর তার খোজ পাওয়া যায় নি ।



শহীদ জুয়েল কিংবা মুশতাক তো খ্যাত মার্কা পোলাপান ।আফ্রিদি দেখতে কিউট ।আসেন আমরা অতীত ভুলে যাই ।খেলার সাথে রাজনীতি না মেশাই ।



[কিছু ব্লগ এবং উইকিপিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ।]

১ টি +৬/-০