নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডায়েরী হারিয়ে ফেলি।

ৎৎৎঘূৎৎ

হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।

ৎৎৎঘূৎৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ মনে হলো আমি নদীই ভালোবাসি।

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০৭

আমি আসলেই উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেরিয়েছি। যখন কেউ জিজ্ঞেস করতো, পাহাড় না সমুদ্র? জবাবে আমি বলতাম, আমি শুধু বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে ভালোবাসি, জায়গা ম্যাটার করেনা। ইদানীং একা ঘুরাঘুরি করার নেশায় পেয়েছে। এখন ঐ প্রশ্নের জবাব আমার কাছে আছে। আমি নদীর কাছে থাকলে স্থির হয়ে পড়ি, শান্তি পাই। দশ মিনিটের জন্য সময় কাটালেই ছয় মাস বাচার রসদ মিটে যায়। এর কারিগর কে খুব জানতে ইচ্ছে করে। চেচিয়ে বলতে ইচ্ছে করে পাহাড় সমুদ্র শেষে নদীতে যান। ঠিক সময়ে উপস্থিত হোন কবিতার বই হাতে। আপনি ভয় পেতে পারেন আপনার পাপবোধ সম্পর্কে জানতে পেরে। লোপ পেতে পারে আপনার ভেতরের সকল ঘৃণা। কিছু সময়ের জন্য আপনি হয়ে উঠতে পারেন নিষ্পাপ কোন শিশু। হয়তোবা প্রতিজ্ঞা করে বসতে পারেন অনৈতিক কিছু করবেন না বলে।



ওইখানে কেউ নেই।
মৃত্যু আজ নারীনর্দামার ক্বাথে;
অন্তহীন শিশুফুটপাতে;
আর সেই শিশুদের জনিতার কিউক্লীবতায়।



জলের মরণশীল চ্ছলচ্ছল শুনে
কম্পাশের চেতনাকে সর্বদাই উত্তরের দিকে রেখে
সমুদ্রকে সর্বদাই শান্ত হ’তে ব’লে
আমরা অন্তিম মূল্য পেতে চাই— প্রেমে



সারাদিন মিছে কেটে গেল;
সারারাত বড্ডো খারাপ
নিরাশায় ব্যর্থতায় কাটবে; জীবন
দিনরাত দিনগতপাপ




ক্ষয় করবার মতো ব্যবহার শুধু।
ফণীমনসার কাঁটা তবুও তো স্নিগ্ধ শিশিরে
মেখে আছে; একটিও পাখি শূন্যে নেই;
সব জ্ঞানপাপী পাখি ফিরে গেছে নীড়ে।


স্থান থেকে স্থানচ্যুত হ’য়ে
চিহ্ন ছেড়ে অন্য চিহ্নে গিয়ে
ঘড়ির কাঁটার থেকে সময়ের স্নায়ুর স্পন্দন
খসিয়ে বিমুক্ত ক’রে তাকে


তবু আলো পৃথিবীর দিকে
সূর্য রোজ সঙ্গে ক’রে আনে
যেই ঋতু যেই তিথি যে-জীবন যেই মৃত্যুরীতি
মহাইতিহাস এসে এখনও জানেনি যার মানে


এখন চৈত্রের দিন নিভে আসে— আরো নিভে আসে;
এখানে মাঠের ’পরে শুয়ে আছি ঘাসে;
এসে শেষ হ’য়ে যায় মামুষের ইচ্ছা কাজ পৃথিবীর পথে,
দু-চারটে— বড়ো জোর একশো শরতে;


কোথাও শান্তির কথা নেই তার, উদ্দীপ্তিও নেই;
একদিন মুত্যু হবে, জন্ম হয়েছে;
সূর্য উদয়ের সাথে এসেছিলো খেতে;
সূর্যাস্তের সাথে চ’লে গেছে।



গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর চ্ছল চ্ছল শব্দে জেগে উঠলাম আবার;
তাকিয়ে দেখলাম পাণ্ডুর চাঁদ বৈতরণীর থেকে তার অর্ধেক ছায়া
গুটিয়ে নিয়েছে যেন
কীর্তিনাশার দিকে।


রৌদ্র-ঝিলমিল
উষার আকাশ, মধ্যনিশীথের নীল,
অপার ঐশ্বর্যবেশে দেখা তুমি দাও বারে-বারে
নিঃসহায় নগরীর কারাগার-প্রাচীরের পারে।



পঙতিগুলো জীবনানন্দের। বিভিন্ন কবিতা থেকে নেয়া।











মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ৎৎৎঘূৎৎ,





নদীর মতোই প্রশান্তির দেখা মিলেছে এই লেখায় যেখানে নদীর রূপ আর জীবনানন্দের রূপসী কবিতারা মিলে মিশে একাকার!
আমিও নদীকে ভালোবাসি.......

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: নদী অনেক বড় সম্পদ।
নদী আমাকে পাগল করে দেয়। মুগ্ধ করে দেয়।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩

শায়মা বলেছেন: নদী আর কবিতায় মিলেমিশে একাকার....

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২১

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: একেকটি নদী দেখার পর মনে হয় আমি আগে কখনো দেখিনি। সবচেয়ে সুন্দর লেগেছে পদ্মা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.