![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন বলেই সুন্দর তুমি ভালবাসা বলেই এত কাছের আমার না হয়েও আমার তুমি বুকের গহীন মাঝে...
আগেই বলে নিচ্ছি, এটা একটা জরীপ করার চেষ্টা করছি। কোন ধরনের বাজে মন্তব্য আমি প্রত্যাশা করছি না। তবে যারা পড়ছেন সবার প্রতি অনুরোধ থাকল, এই ব্যপারে আপনার মতামত জানাবেন দয়া করে।
আমরা এই দেশের মানুষ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রাম করছি। বিশ্বজিৎ এবং গার্মেন্টস শ্রমিক সহ আরো যারা মারা যাচ্ছে, তাদের অধিকার রক্ষার কথা বলছি।
মানবাধিকার বলে সকলেরই বেচে থাকার অধিকার আছে (right to life)। যদি এই বেচে থাকার অধিকারকে স্বীকৃতি দেই, তাহলে কোন কোর্ট বা ট্রাইবুনাল কোন অপরাধীকে মৃত্যু দন্ড দিতে পারে না। তার অপরাধ যত বড়ই হোক না কেন।
তাহলে কি আমরা মানবতা বিরোধী অপরাধীদের এবং ধর্ষকদের কে মানুষের খাতা থেকে নাম কেটে দিচ্ছি”?
আমরা কি চাই? দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি? নাকি মানবাধিকার প্রতিষ্টা? যারা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে, তারা কি তাহলে মানবতা বিরোধী অপরাধীদের মৃত্যুদন্ডের শাস্তির বিপক্ষে?
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩২
রাতজাগাপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২১
এক আলোকবর্ষ দূরে বলেছেন: @ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার- অযাচিত ট্যাগিং-এর জন্য সুস্থ্যধারার ব্লগিং এই ব্লগে আর দেখা যাচ্ছে না। ভাল ব্লগাররা ব্লগে না লিখে পার্সোনাল ব্লগ বা অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের নিজস্ব বন্ধুদের মাঝেই নিজেদের গুটিয়ে রাখছেন। এটা কখনই কাম্য নয়। দয়া করে নিজেকে একটি নিদ্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের চ্যালা-চামুন্ডা বানানো হতে বিরত থাকুন। পুরো ব্যাপারটি মাথায় না ঢুকলে বোঝার চেষ্টা করুন, প্রয়োজনে জ্ঞানী মানুষের সহযোগিতা নিন। না জেনে, না বুঝে এই সমস্ত ট্যাগিং দিয়ে নিজেকে মুর্খদের কাতারে নিয়ে যাবেন না। ধন্যবাদ।
@রাতজাগাপাখি- আপা, এটা কি লিখলেন? আপনার মত জ্ঞানী মানুষ হইতে পারি নাই। দুই-দুইটা মাস্টার্স করতে পারি নাই। বৃটেন থেকে ব্যারিস্টারি পড়ে আসতে পারি নাই। কিন্তু তাই বলে দেশাত্ববোধ জিনিসটা কারও কাছ থেকে শিখতে হয় নাই, আপা।
ব্যাক্তিগতভাবে আমিও মৃত্যুদন্ডের বিরোধী। একজন মানুষের অপরাধ যতটাই মারাত্নক হোক না কেন, শাস্তি হিসেবে তার জীবন কেড়ে নেয়া কতটা মানবিক? আমি ব্যাপারটা ঠিক এভাবেই চিন্তা করি। কিন্তু তারপরও আমি এই দুদিন সমাবেশে গিয়েছি। শুক্রবারের মহাসমাবেশে আবারও যাব। প্রতিদিন একবার করে হলেও ঘন্টাখানেকের জন্য যাব। যারা যাচ্ছে না, তাদেরও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কেন জানেন? কারণ, একটাই। ৫২ দেখি নি, ৭১ দেখি নি, আর ৯০-তে ছিলাম দুধের শিশু। কিন্তু এখন তো আর দুধের শিশু নই। আর একদিন যখন আমার দুধের শিশু আমাকে প্রশ্ন করবে, "সেদিন মিছিলে যাওনি কেন, বাবা?" সে প্রশ্নের কি উত্তর দিবো, বলতে পারেন?
আমরা যারা সমাবেশে যাচ্ছি, চিৎকার করছি, তারা আসলে ঠিক জানি না যে এখানে গিয়ে চেঁচিয়ে আদৌ কিছু হবে কিনা? তবে না গেলে যে এই দেশটার জীবনেও কিছু হবে না, সেটা পুরোপুরি নিশ্চিত।
মেনে নিলাম, বেঁচে থাকার অধিকার সবার আছে। বিশ্বজিৎ-ও বাঁচতে চেয়েছিল, দামিনীও বাঁচতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি একা বেঁচে থাকার জন্য তো আর গণহত্যা চালাতে পারি না। এই অধিকার তো আমার নেই।
একাত্তরে কোন এক শুয়রের বাচ্চা গণহত্যার নির্দেশ দিয়ে বলেছিল, "মাটি চাই, মানুষ না।" আর সেই শুয়রের বাচ্চার গণহত্যার সহযোগিতাকারীদের মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে ছেড়ে দিলে মানবতাই তো বাঁচবে না, আপা। তাহলে তখন মানুষ বাঁচবে কিভাবে?
এই প্রশ্নের একটা গ্রহণযোগ্য উত্তর যদি দিতে পারেন, কথা দিচ্ছি, এই ব্লগে ব্লগিং ছেড়ে দিব। পারমানেন্টলি সোনার বাংলাদেশ ব্লগে গিয়ে লেখালেখি শুরু করব। আর যাওয়ার আগে নিজের ভুল স্বীকার করে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা পোষণ করে একটা বড় পোস্ট দিয়ে বিদায় নিব।
সুযোগ আপনার হাতে...
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
রাতজাগাপাখি বলেছেন: ভাইয়া, তোমরা হয়ত লক্ষ করেছ, এই ব্লগে আমি নিজস্ব কথা ছাড়া লিখিনা। এটাও একটা অনলাইন জরীপ ধরে নিতে পার। একটা আর্টিকেল লেখার জন্য আমার এই জরীপ করা।
তোমরা শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ডের বিরোধী। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই শাস্তির পক্ষে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ছাড়া সমাজ থেকে অপরাধ বন্ধ করা যাবে না।
আমি মানবতাবিরোধী অপরাধের শাস্তি ‘মৃত্যুদন্ড’ চাই। আমি চাই, খুন, ধর্ষন, এসিড নিক্ষেপ, পর্ণ ভিডিও ধারন এবং বন্টন, মাদক সরবরাহের শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। শুধু তাই না, সেই মৃত্যু ফাসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু না। হাত, পা বিভিন্ন অঙ্গ কেটে কেটে আস্তে আস্তে কষ্ট দিয়ে মারা। এই না হলে সমাজ থেকে অপরাধের প্রবনতা কমবে না।
আমার এক বন্ধুও তোমার মত বলে। সেও মৃত্যুদন্ডের বিরোধী। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদন্ড কামনা করে। এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কেন? তার ভাষ্য মরে, এটা একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে দেশবাসী একত্র হয়ে সজাগ হচ্ছে। তাহলে দেশবাসীকে জাগ্রত করতে কাউকে কেন ফাসিতে ঝুলাতে হবে? কোন এক ব্যক্তিকে ফাসি দিলে হবে না। আমাদের প্রত্যেকটা অপরাধের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করতে হবে। এটা হচ্ছে আমার কথা।
আমি নিঃসন্দেহে এই শাস্তির পক্ষে। তবে আর একটা কথা, আমার মতে প্রত্যেকের বক্তিগত মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। যারা এই শাস্তি চায়না, আমি তাদের খারাপ বলতে পারিনা এই কারনে যে, তারা একটা নীতি অবলম্বন করে। তারা যখন মৃত্যুদন্ড চায় না, তখন কারও জন্যই চায় না। তবে তারা তাদের এই চিন্তার কুফল বুঝতে পারবে, যেদিন তাদের নিকটাত্মীয় কেউ এই অপরাধের স্বীকার হবে। তখন তারা বুঝবে, মৃত্যুদন্ড প্রয়োজন, নাহলে অপরাধ কোন দিনই বন্ধ করা সম্ভব না।
তবে তোমার কথায় দুঃখ পেয়েছি। আমার উদ্দ্যেশ্যে লেখা তোমার প্রথম প্যারাটায় খোচা ছিল। আমি ভাইয়া আবেগ প্রবন মানুষ। ব্লগের কাউকে না দেখেও আমি তোমাদেরকে আপন মনে করি। তোমরা তোমাদের মতামত দিতে পার, কিন্তু কাউকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কারনে তার চিন্তাধারা নিয়ে কিছু বলা কি উচিৎ? অশিক্ষিত এক দিন মজুরও কিন্তু এই শাস্তি চায়। তাহলে তার চিন্তাধারার সাথে তোমারটা মিলে গেছে বলেই কি সে সচেতন মানুষ। তাহলে সে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে কোন প্রয়াস কেন নেয়নি?
যাহোক, এই জরীপটা শুধু এটা দেখানোর জন্য করতে চাই যে, আমরা দ্বৈতনীতি অবলম্বন করি। কারও শাস্তি মৃত্যুদন্ড, কারও যাবৎজীবন কামনা করি। যেটা আমার ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ না।
ভালো থেক।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৯
সাককাম জিতু বলেছেন: আপু দ্বৈত সত্তার বিরোধ যেমন চিরন্তন । তেমনি বেশিরভাগ সময়ই আমরা একেক প্রকার আবেগের তাড়নায় তাড়িত হই । এক মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেই তো পরের মুহূর্তেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি ।
তাই কোন সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আমাদের অনেক সময় নিতে হয়, অনেক দিক বিচার বিবেচনায় আনতে হয় । এতটা সময় অনেকেই একাগ্রতা ধরে রাখতে পারে না । তাই সিদ্ধান্ত গুলো অনেক সময়ই যথার্থ হয় না । আমিও এখন পর্যন্ত ব্যাপারটা নিয়ে তেমন সময় দিতে পারিনি , তাই কোন মন্তব্য করতে পারছি না আপু ।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
রাতজাগাপাখি বলেছেন: অকপটে সত্য বলার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। তোমার মত অনেকেই আছে, যারা বিষয়টাকে নিয়ে এখনও ভাবেনি। আবার এমনও অনেকে আছে, যারা অন্যে প্রতিবাদ করছে বলে করছে, নিজে কিছুই বুঝে না। আমার সেই সংখ্যাটাই দরকার। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করছে কত শতাংশ লোক সত্যিই কোন রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত আক্রোশ ছাড়া শুধু দেশের স্বার্থে এই রাজাকারদের ফাসি চাচ্ছে?
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:০৮
এক আলোকবর্ষ দূরে বলেছেন: আপনি যে আর্টিকেল লিখতে যাচ্ছেন, তার জন্য যতটা সম্ভব আমি সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। আমি নতুন কোন রেফারেন্স পেলে অবশ্যই আপনাকে জানাবো।
আমি মৃত্যুদন্ডের বিরোধী, তবে সেটা নৃশংসতার মাপকাঠিতে। যে ব্যাক্তি প্রায় সাড়ে তিনশ হত্যার সাথে জড়িত, সে ব্যাক্তি নিশ্চয়ই কোন ব্যাক্তিগত আক্রোশ থেকে কাউকে হত্যা করে নি। অনেক বড় একটা মোটিভ নিয়ে, কারও একটা বড় সাপোর্ট নিয়ে পুরো নয়মাস এই গণহত্যায় সম্পৃক্ত হয়েছে সে। এমন নয় যে ভুল করে সে একটা বাটনে ক্লিক করে একসাথে বোমায় প্রায় সাড়ে তিনশ মানুষকে মেরে ফেলেছে। প্রতিদিন ঘর থেকে ধরে ধরে মানুষ নিয়ে এসে ব্রাশ ফায়ার করেছে, পশুর মত জবাই করে মেরেছে। লাশের সৎকার না করে বদ্ধভূমি বানিয়েছে, নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে। এই মানুষগুলোর সাথে তার ব্যাক্তিগত কি শত্রুতা ছিল বলতে পারেন? পুরো একটা গ্রাম তার একার কি এমন ক্ষতি করেছিল যে এভাবে হত্যাযজ্ঞ চালাতে হবে?
একজন মানুষ একটা ভুল করতেই পারে। সেজন্যই তার সংশোধন প্রয়োজন। সে সংশোধিত হলে তার উপলব্ধি থেকে আশে-পাশের মানুষ শিখতে পারবে। তাকে মেরে ফেলে কোন সমাধান হবে না। কিন্তু এই যুদ্ধাপরাধ কোন একদিনের একটা ঘটনা না, পুরো নয় মাসের ঘটনা। এই নয় মাসেও কি একবারও তার বোধদয় হয় নি? আজ যদি মানবতার কথা বলে আমরা এই বিচারে লঘু শাস্তির ব্যবস্থা করি, তবে কোনদিনও মানবতা জাগতে পারবে না।
আমি আপনার বন্ধুর সাথে কিঞ্চিত দ্বিমত করবো। আমি ডবল স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে কথা বলব না। আমি তার মত একটা বৃহত্তর জাতীয় ইস্যু বলে এখানে মৃত্যুদন্ড চাইছি, তা নয়। আমি শুরু থেকেই মৃত্যুদন্ডের বিরোধী, কিন্তু নৃশংশতার মাপকাঠি চিন্তা করলে প্রায় সাড়ে তিনশ মানুষের হত্যাকারীকে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডও অনেক কম হয়ে যাচ্ছে। আর যদি সত্যিই এর শাস্তি ১৫ বছর কারাদন্ড হয়, তাহলে আমি সেই যুদ্ধাপরাধীকে হত্যা করে কারাদন্ড চাই। তাও মাত্র দুই মাসের। কারণ, সাড়ে তিনশ মানুষের হত্যাকারী যদি ১৫ বছর কারাদন্ড ভোগ করেন, তাহলে তার মত একটা পশু হত্যা করতে পারলে তো হিসাব করে দেখছি আমার দুই মাসের মতই কারাদন্ড হয়। তাই নয় কি? চাইলে অঙ্কটা নিজেই করে দেখতে পারেন।
আমি চাই, খুন, ধর্ষন, এসিড নিক্ষেপ, পর্ণ ভিডিও ধারন এবং বন্টন, মাদক সরবরাহের শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড। - আপা, সবই তো বলে দিলেন, বাদ দিলেন কি? আমি এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় কোন ছাড় দিতে রাজি না। এটা নৃশংসতার চরম পর্যায়। একটা মানুষ সারা জীবন বিকৃত চেহারা নিয়ে করুণা ভরে বেঁচে থেকে কি অবর্ণনীয় কষ্ট অনুভব করবে, তা ভাবতেও গা শিওরে ওঠে। এই বিকৃত চেহারার জন্য তাকে ভালবাসার মত কোন মানুষ থাকবে না, আবার করুণা করার মত মানুষের অভাব হবে না। আপন হয়ে হাত ধরার কোন মানুষ পাবে না সে, কিন্তু তার এই চেহারা বিকৃতির মুখরোচক ঘটনা শুনতে কারও হাতে সময়ের কোন কমতি হবে না। তাই এই অপরাধের আর কোন শাস্তি থাকতে পারে বলে আমার মনে হয় না। তবে অন্য সব অপরাধে আমি সবক্ষেত্রে একমত হতে পারছি না। দুঃখিত। এমনকি যদি কেউ আমাকেও হত্যা করে, আমার অনুরোধ থাকবে অন্তত তাকে যেন মৃত্যুদন্ড দেয়া না হয়। আমি নৃশংসতার মাপকাঠিতে শাস্তি আশা করি, আবেগের বশে নয়।
একজন দিনমজুরের সাথে আমার নিদ্দিষ্ট একটা চিন্তাধারা মিলে আমিও তার পর্যায়ে যাচ্ছি না, আর সেও আমার পর্যায়ে আসছে না। কিন্তু ভাল একটা কাজে আমাদের সবারই অংশগ্রহণ করা উচিৎ। সেটা দিনমজুরও করছে, আমিও করছি। কিছু উদাহরণ দেই, আপনি জ্ঞানী মানুষ, তাই সহজেই বুঝতে পারবেন।
১. স্বাধীনতা যুদ্ধে এমন অনেক দিনমজুর আছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। আবার গোলাম আজম সাহেব কিন্তু একজন অধ্যাপক ছিলেন, তিনি কিন্তু এর বিরোধিতা করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন। তাহলে সম্মানটা কার প্রাপ্য? চিন্তাধারা, মানসিকতা কার বেশি উন্নত? একজন অধ্যাপকের নাকি একজন দিনমজুরের?
২. আরেকটা উদাহরণ দেই- আমার খালু একবার মলমপার্টির খপ্পরে পরে প্রায় চোখ হারাতে বসেছিলেন। ঐ সময়ে অন্ধকারে রাস্তায় কিছু টোকাই ছেলে এসে পানির ব্যবস্থা করে খালুর চোখ বাঁচিয়েছে। কিন্তু ভদ্রসমাজের কাউকে আশে-পাশেও দেখা যায় নি। তাহলে কাকে বলবো সমাজের বিবেক?
৩. আমি যখন স্কুলে পড়তাম, তখন একবার আমার মা অফিস থেকে ফেরার সময় ঢালে পিছলে পরে গিয়ে পায়ের হাঁড় ভেঙে ফেলেছিলেন। সে সময় কোট-প্যান্ট পরিধেয় বিবেকবানেরা দু-মিনিট তামাশা দেখে পাশে দিয়ে হেঁটে চলে গেছেন। কিন্তু একটা অপেক্ষাকৃত গরীব ঘরের ছেলে এসে আমার মাকে সহযোগিতা করেছিলেন। রিক্সায় তুলে দিয়ে পরে সেখান থেকে গিয়েছিলেন। এখানে বিপদে পরা একজন মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে এই উন্নতশিক্ষা কেন আমাদের বাধা দিচ্ছে বলতে পারেন?
আর অজান্তে কষ্ট দিয়ে থাকলে সত্যিই আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত, আপু। আমি হয়তো সেভাবে কথাটা বলতে চাই নি। কমেন্ট করার পর আমারও প্রথম প্যারাটা কিছুটা এগ্রেসিভ বলে মনে হয়েছে। ফেসবুকের মত এখানে কমেন্ট এডিট করার কোন সুযোগ নেই। না হলে ঠিকই এডিট করে দিতাম।
অনেক কথা বাড়িয়ে ফেলেছি, আপনি হয়তো কনফিউজড হয়ে গেছেন। এত কথা বললাম যে তা দিয়ে একটা বড় পোস্ট দেয়া সম্ভব। তাই সারাংশ বলি, আমি অবশ্যই মৃত্যুদন্ডের বিরোধী, তবে সেটা অবশ্যই নৃশংসতার মাপকাঠিতে।
আর আপনি চাইলে আপনার ব্লগ থেকে নিজেকে এক আলোকবর্ষ দূরে রাখব। ধন্যবাদ।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
রাতজাগাপাখি বলেছেন: শেষের কথার জবাব আগে দিয়ে নেই। আমি শুধু বলতে চেয়েছি, তোমার আগের মন্তব্যে তুমি আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বলেছ, আমার এই শিক্ষা নিয়ে এই রকম কথা বলা উচিত হয়নি। আমি বোঝাতে চেয়েছি, শিক্ষা কম আর বেশি দিয়ে মানুষের মানসিকতা প্রভাবিত কমই হয়। যে ভালো সে এমনি ভালো।
দেখ ভাইয়া, আমার জরীপ এবং আর্টিকেলের এটাই পয়েন্ট। তুমি জিতুর মন্তব্য থেকে বুঝতে পারছ, এমন অনেক মানুষ আছে, যারা হুজুগে বাংগালী। তারা শাহবাগে যাচ্ছে, কারন তাদের বয়সের অনেকে যাচ্ছে। আমি আমার স্টুডেন্টদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, সবার একটাই উত্তর, ম্যাডাম, সবাই যাচ্ছে, আমিও যাচ্ছি। এটা কোন কারন হতে পারেনা একজনের ফাসি হবার।
তোমার মতামত ভিন্ন। তুমি বলতে চাচ্ছ, তুমি নিশংসতার জন্য ফাসি চাচ্ছ। তুমি এটাও বলছ, ব্যক্তিগত আক্রোশ ছাড়া সে মানুষ খুন করেছে বা খুনের জন্য অন্যকে সাহায্য করেছে।
আমি তো বলি, এও ভালো। কিন্তু, তার তো ব্যক্তিগত স্বার্থ ছিল। সে ধরেই নিয়েছিল, এই দেশ স্বাধীন হবে না। আর আবার পাকিস্তান প্রতিষ্টা হলে সে বড় রকমের রাজনৈতিক নেতা বনে যাবে। এটাও তো ব্যক্তিগত কারন।
আরও কথা আছে, নিশংসতা কি জিনিস? যখন একটা মানুষকে খুন করার পর তাকে আবার কেটে কেটে টুকরো করা হয়, এটা নিশংসতা না? তার ফাসি হওয়া উচিত না? মাদক ব্যবসা, যেটা আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, যারা এটার সাথে জরিত তাদের আমি ফাসি চাই। আমি চাইনা একটা পঙ্গু সমাজ। ধর্ষন, যেটা একটা মেয়ের মানসিকতা নষ্ট করে দিচ্ছে, তাদের কি শাস্তি তুমি চাও? তুমি সত্যিই মনে কর এদের মৃত্যুদন্ড না হলে এরা সংশোধিত হবে? তাহলে কেন সেদিন পাচ বছরের শিশু ধর্ষন আর খুনের স্বীকার হল? আমি এদের সবার ফাসি চাই।
একটা মেয়েকে ধর্ষন করার পর, তার মানসিক চাপ তুমি ছেলে হয়ে কতটা বুঝবে আমি জানিনা ভাইয়া। তার উপর সেই মেয়েটা যদি ভার্জিন হয়, তাহলে তার সেই ক্ষতি মেটানো কারও পক্ষে সম্ভব না। আমাদের দেশে আজও একটা মেয়ের সতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
তুমি আমার আর্টিকেলে সাহায্য করতে চেয়েছ, প্লিজ যদি পার আমাকে ইনফর্মেশন এনে দাও যে কত জন মানুষ শাহবাগে এমন আছে যাদের পরিবারের কেউ স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রান হারায়নি, তবু সেই সাড়ে তিনশ মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা স্বরূপ তারা যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি দাবী করে। আরও দরকার, কে কে এমন আছে, যারা 'আমি তো এমনি এমনি খাই' এর দলে? সবাই যাচ্ছে, আমিও যাই এর দলে?
এই তথ্যগুলো আমার সত্যিই দরকার।
আর ভাইয়া, আমি নিজে বেশি কথা বলি, আর একজনের কথা শুনতেও পছন্দ করি। তবে সামনা সামনি হলে তোমার কথার মাঝে অনেক বার ইন্টারাপ্ট করতাম। যাহোক, আমি চাইনা মতের অমিলের কারনে তুমি আমার ব্লগ থেকে দূরে থাক। তাহলে তো মতামত দেয়াই যাবে না। হয় তুমি চুপ হয়ে যাবে, না হলে আমি। আমি এমনটা কখনই চাই না।
ভালো থেক তুমি। আমি তুমি করে বলছি বলে কিছু মনে করনা। কেউ আপু বললেই আমি তুমি বলে ফেলি, বদ অভ্যাস বলতে পার। আর, বড় হোক, আর ছোট, ভাই রা তো আমার সব সময়ই কাছের। তাই তুমি করেই বলব।
৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০০
আশিকুর রহমান টিংকু বলেছেন: এক বাক্যে উত্তর দেই, না জামাত শিবির রাজাকার রা মানুষ না ।
না ! না !! না !!!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
রাতজাগাপাখি বলেছেন: fine, i take your answer in a confused way again... i mean, you are saying that death penalty should be abolished, but as you are not considering them to be human, so it is justified to kill them... or in other words, impose death penalty on them.
I agree with you on the point that these criminals should be hanged.. not only hanged, they should be given the worst ever death... but.. this demand should not be biased by any political party. If one is given the death penalty, then all should be brought into trial and given the same punishment.
৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: keno fashi chai?
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৯
রাতজাগাপাখি বলেছেন: আমার সার্ভে বলে, ওদের আমরা মানুষ হিসাবে গন্য করিনা, তাই ফাসি চাই।
আমি বলি, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবে মানুষের অপরাধ প্রবনতা বেড়ে যাচ্ছে, তাই ফাসি চাই।
আরও অনেকে অনেক কথা বলে। তবে, আমার মনে হয়, একটা বিষয়ে আমরা সবাই একমত, প্রকৃত মানবতা বিরোধী অপরাধীদের ফাসি আমরা সকলেই চাই।
আপনি কেমন আছেন?
৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি ভালো আছি?
তবে এই মুহুর্তে লিখছি প্রেমের
আমি এখন আর যু্দ্ধে নাই
এখন শুধু প্রেম চাই।
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
রাতজাগাপাখি বলেছেন: ভালো আছেন জেনে ভালো লাগল।
যুদ্ধ একটা শুরু করে, এর শেষ না দেখে মাঝ পথে ছেড়ে দেয়া তো ভালো কাজ না। আপনি প্রেম নিয়ে আছেন, ভালো কথা। আমার মতে, যুদ্ধ আমরা করি ভালোবাসার কারনে। একটা কিছুকে ভালোবেসে, তার অধিকার রক্ষার আন্দোলনের নামই যুদ্ধ। প্রেম মানুষ মাঝ পথে ছেড়ে দেয়। ভালোবাসা ছাড়ে না।
আমাদের প্রেম তো লোক দেখানো। খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি ধরনের। যতটুকু প্রেম না আছে, তার থেকে বেশি আছে এর প্রচার।
দেশ প্রেম শেষ করে অন্য প্রেম শুরু করলে বেশি ভালো হত মনে হয়। আর, প্রেম থাকলে নিজেদের মধ্যে এই ভুল বোঝা বুঝি, মার-কাট থাকত না। যাইহোক, বেশি জ্ঞান ঝাড়লাম না। ভালো থাকবেন।
৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৭
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: হরলিকস এর একটা বিজ্ঞাপন ছিলো যার শেষ এ বলা হতো " আমি ত এমনি এমনিই খাই "
রাত জাগা পাখির কি সেটা মনে আছে?
যুদ্ধ অপরাধী দের বিচার নিয়ে কিছু দেখলে আজকাল আমার এই কথাটাই কেন যেন মনে আসে
হয়তো আমার চিন্তা চেতনাতে সিমাবদ্ধ তা রয়েছে
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫২
রাতজাগাপাখি বলেছেন: হাহাহা! বেশ মনে আছে। আমার নিজেরও ওই বিজ্ঞাপনটার কথাটাই মনে পরে শাহবাগটাকে দেখলে।
আসলে ফাসি আমিও চাই। কিন্তু, তার মানে এই না আমাকে শাহবাগে গিয়ে বসে থাকতে হবে। আমার শো-অফ জিনিসটাই রাগ ধরিয়ে দিচ্ছে। যাইহোক, কিসের মধ্যে কি, এসব দেখলে আবার কার বিপদ কার ঘাড়ে এসে পরে!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৮
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন: আপনি একটা ছাগু