নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Sunshine from paradise…

যে বিশ্বাস নিয়ে একটা ছোট্ট শিশু হেসে ওঠে তাকে পরে ছুড়ে দেয়া হলে, তেমনি বিশ্বাস আমি করি তোমাকে। আমি জানি তুমি দুঃখ কখনও দেবেনা আমাকে।

রাতজাগাপাখি

স্বপ্ন বলেই সুন্দর তুমি ভালবাসা বলেই এত কাছের আমার না হয়েও আমার তুমি বুকের গহীন মাঝে...

রাতজাগাপাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের উচ্চ-শিক্ষিত নাগরিক!!!

২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৯

শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, এই লেখাটা কাউকে আঘাত করা, বা ছোট করার জন্য নয়। আমার অন্য সকল লেখার মতই এটা আমার ব্যক্তিগত চিন্তা এবং অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।



বিগত এক বছর যাবৎ আমি বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করি। এই এক বছরে দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা যেন আমার লোপ পেয়ে গেছে। আমি শিক্ষকতাকে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলাম এই ভেবে যে আমার শিক্ষা, আমার মানসিকতা একটা প্রজন্ম গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কিসের কি, নিজের লেখা পড়াও ভুলে যাচ্ছি আমি ছাত্র-ছাত্রীদের খাতা পড়ে।



ধন্য আমাদের শিক্ষামন্ত্রী, যিনি বলেন, পাশের হার বাড়ানো হোক এবং জিপিএ বাড়ানো হোক। এর ফলাফল, আজ জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করে না। নিশ্চয়ই ভর্তি পরীক্ষার প্রথাটাই ভালো না, তা না হলে এত ভালো ভালো স্কুলের ভালো ছাত্র-ছাত্রীরা যেখানে চান্স পাচ্ছেনা, গেঁও ভুতগুলো পাচ্ছে কি করে? ভর্তি পরীক্ষার সিস্টেমটা আসলে সেকেলে, এটা বদলে লটারি সিস্টেম চালু করা উচিৎ।



এমনই কিছু সুশিক্ষিত, সরকারী সুবিধা বঞ্চিত, কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে আমাদের আজকের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে দেশে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৪টি, সেখানে ইউজিসি অনুমোদিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭০টি। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে সর্বমোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিগুন। তার মানে, শ্রম বাজারে এখন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিপত্ত। তাছাড়া, সেখানকার শিক্ষার্থীদের ফলাফলও সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভালো। সেখানে জিপিএ ৪ পাওয়া অর্থাৎ ফাস্ট ক্লাশ ফাস্ট হওয়া ছাত্রের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। এরাই দেশের ভবিষ্যৎ। আমাদের জাতির মুখ এরা উজ্জ্বল করবে।



আমি বাকি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা যতখানি জানি, হাতে গোনা ৪/৫টা ছাড়া মোটা-মুটি সবগুলোর একই অবস্থা। তাহলে ব্যাঙের ছাতার মত একগুলা বেসরকারী বিদ্যালয়ে টাকার বিনিময়ে কি বিদ্যা বিতরণ চলছে? রেজাল্ট দেখলে মনে হবে এক একজন জ্ঞানের জাহাজ। জিপিএ_এর ছড়াছড়ি। কথা বললে হা হয়ে থাকতে হয়, মনে হয় যেন আমি ক্লাশ ২ তেও এর থেকে বেশি জানতাম। আমি বলছি না ভালোরা নেই, আমি বলছি না সব বিশ্ববিদ্যালয় এক রকম, আমি এও বলছি না সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় মানেই সবাই ভালো, কিন্তু আমি দেশের অন্তত ৭০% শিক্ষার্থীর কথা বলছি, যারা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রী নিয়ে কিছুই না জেনেও সেকেন্ড ক্লাশ পেয়ে যাচ্ছে।



আমি জানিনা এর পেছনে কে বা কারা দায়ী। তবে এই এক বছরে মনে হয়েছে, প্রবাদ পরিবর্তনের যুগ এসেছে। এক সময় প্রবাদ প্রচলিত ছিল, যার নাই কোন গতি, সে করে ওকালতি। এখন তো দেখছি, তার যোগ্য পেশা হচ্ছে শিক্ষকতা। সংগত কারনেই দেশে উচ্চ মাধ্যমিকের পর শিক্ষা ব্যবস্থা ইংরেজীতে। আমি আমার কলিগদের ইংরেজি দেখে এই বাচ্চাগুলোকে আর কিছুই বলতে পারিনা। যারা ওদের পরীক্ষার খাতার বিচার করছে, তাদের ক্ষমতা নিয়ে আমার সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে।



বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন অবস্থা হবে না_ই বা কেন? এখন কোন রকম মাধ্যমিক পাশ করলে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া যায়। বেশির ভাগ স্কুলেই শিক্ষকের দেখা মেলা ভার। মাধ্যমিক পাশ একজন ব্যক্তি নিজেই কতখানি জানে যে আর একজনকে শেখাবে? আমার মতে, জ্ঞান বিতরন করলে কমে। আমি হয়ত ৫টা বই পড়ে আমার ক্লাশ লেকচার দিলাম। ৫টা বই থেকে আমি কতটুকু নিতে পেরেছি, এটা একটা বিষয়, কতটা দিতে পারছি সেটা একটা বিষয়, ছাত্র-ছাত্রীরা কতখানি নিতে পারছে সেটাও একটা বিষয়। এতগুলো হাত বদল করে যে শিক্ষা, তার কতটুকু পাওয়া যায় বই না পড়ে?



স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী অনেক শিক্ষিত মানুষই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতাকে পেশা হিসাবে ধারন করে গর্ব করছেন। “এটা রিলাক্স জব। সারাদিন কাজ করব না, ৯টা-৫টা অফিস করবনা বলেই তো শিক্ষকতা করতে আসা”। এমন বক্তব্য আমার অনেক সহকর্মীর। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা কি এত সহজ? অফিস না হোক, রিসার্চের কাজ না করলে, কিসের শিক্ষক? কেউ ক্লাশ করানোর আগে পড়াটা একবার ঝালাই করে নেয়াটাকে রীতিমত গর্হিত কাজ ভাবা হয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাহলে ইউনিভার্সিটির জীবনে কি শিখে আসলাম, এমনই মনভাব। শিক্ষকরা জনপ্রিয়তা ধরে রাখার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে নম্বরকে। কে কত বেশি নম্বর দিতে পারে এই নিয়ে প্রতিযোগিতা। আর ছাত্র-ছাত্রীরাও এই সুযোগ নিচ্ছে।



দেশে এখন কমিউনিকেটিভ ইংরেজ়ী শিক্ষা চালু আছে। এটা শুনলেই আমার মনে পরে, মনের ভাব প্রকাশ করার নাম-ই ভাষা। তার অর্থ হচ্ছে, ব্যাকরনের বালাই নাই, কোন রকম মনের ভাব প্রকাশ করা গেলেই হল। কে কার সাথে কমিউনিকেট করছে সেটা হচ্ছে মুখ্য। শিক্ষক হবে বাবা-মায়ের মত। যারা সন্তানের মনের কথা সে মুখে না বললেও বুঝে নিতে জানে। এবং সেটা বুঝে নিয়েই খাতায় নম্বর দিতে হবে। শিক্ষকের ঠেকা। তা না হলে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে। ছাত্র-ছাত্রী কমার ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাকে জানিয়ে দেবে, স্রোতে গা ভাসাতে না পারলে চাকুরি ছেড়ে দিতে।



এই দেশের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে, তাই আপনাদের বিরক্ত করলাম। কোন শিক্ষক এই লেখা পরে ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না, কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এই লেখায় সংখুব্ধ হবে না, এই আশা করি।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০১

নিকষ বলেছেন: স্কুল কলেজ ভার্সিটি হল সনদপ্রাপ্ত লেবার বানানোর মেশিন। শিক্ষকেরা হল সেই ফ্যাক্টরীর সুপারভাইজার।

সনদপ্রাপ্ত লেবারদের মাপকাঠিতে কতিপয় গন্ডমুর্খদের কাছ থেকে যা শিখছি জীবনে, লেবার ফ্যাক্টরীর সুপারভাইজাররা কানাকড়িও শিখাইতে পারে নাই।

২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৪

রাতজাগাপাখি বলেছেন: :( ... ব্যর্থতা কার? যে শেখাতে পারেনি তার? আপনার শেখার ইচ্ছা ছিল?

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৭

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: এই দেশে মেধা দাম নেই তাই কেউ নীতিবাক্য শুনে না।মেধার দাম থাকলে আমাদের দেশটাই অনেক কিছুই করতে পারত।

২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪

রাতজাগাপাখি বলেছেন: নীতিবাক্য আমি দেই কম। আমি জানি এই জিনিস মানুষ নেয় না। বিনা মূল্যে পাওয়া জিনিসের কোন দামই নেই। অনেকেই আমাকে বলে, এরা এদের বাবা-মাকেই ভালোবাসে না, শ্রদ্ধা করে না, ওদের কষ্টার্জিত পয়সা নষ্ট করে, আর তুমি এদের কাছে পড়া-শুনা আশা কর!

কথা হয়ত সত্য। আমি_ই হয়ত বেশি আশা করি। এরা আমাকে বলে, পরীক্ষার আগের ২ দিন অন্য বিষয় বাদ দিয়ে আপনারটা শুধু পড়েছি, তবুও বাকিগুলো থেকে আপনার বিষয়ে নম্বর কম পেয়েছি। আমি অবাক হয়ে যাই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে টিচার্স ইভালুয়েশন হয়। সেখানে বেশি নম্বরের আশায়, সবাই পরীক্ষায় এদের বেশি নম্বর দেয়। আমাকে বলে, দিয়ে দাও, এরা ভবিষ্যতে কিছু করে খেতে পারবে না।

আমি বলি, দেখা গেল ভবিষ্যতে এরাও শিক্ষকতা করছে, আর আমার ছেলে/মেয়ে এদের ছাত্র-ছাত্রী। আমি তো মরেই যাব সেদিন। শিক্ষকতা করলে আর যাই হোক, অসৎ হতে হবে না, এটাই আশা ছিল। কিন্তু, এখানে তো দেখি সততার নামে সার্টিফিকেট বিলি হচ্ছে। কি যে হবে কে জানে?

৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দুই পক্ষেরই দূষ আছে

২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

রাতজাগাপাখি বলেছেন: দোষ নিঃসন্দেহে দুই পক্ষের। কিছু শিক্ষক এদের কে বেশি নম্বর দেয় বলে এরা নিজেদের সঠিক অবস্থা বুঝতে পারছে না। এরা নিজেদের যতই বুঝদার মনে করুক, যারা নিজের ভালো বুঝে না, তাদের আমি দোষ দেই না। এরা নিজের ভালো একদমই বুঝে না।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৯

রুদ্র মানব বলেছেন:
হতাশ :(

২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

রাতজাগাপাখি বলেছেন: :( :(

৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৩

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: দেশের প্রথম সারীর কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা আমার এক বন্ধু কানাডার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। গতকাল তার সাথে ভিসা জন্য দরকারি কথাবার্তা হচ্ছিল। পরে তাকে বললাম যে তোর ওফারলেটারটা পাঠা আগে পড়ে দেখি সেখানে কি লিখা আছে। সে যখন সেটা পাঠালো সেটা খুলে দেখি প্রথমেই লিখা


নাম..............................
সহকারী অধ্যাপক,......................বিভাগ
বিশ্ববিদ্যালয়

আমি তারে বলি বন্ধু কানাডায় এসে আর যাই করো তোমার গ্রুপের কাউরে বা তোমার সুপারভাইজারকে বলিও না যে তুমি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কিন্তু তোমার ডক্টরেট ডিগ্রী তো দূরের কথা কোন প্রকাশনাও নাই ;) ;) ;)


আমাদের রাজনীতিবিদরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্হাকে যে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আল্লাহ ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না। ভাবিতেছিলাম যে পড়া-লেখা শেষে দেশে গিয়ে ভাল কোন বেসরকারি বিশ্বীদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করব কিন্তু আপনি তো মনে ভয় ঢুকিয়ে দিলেন।

২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

রাতজাগাপাখি বলেছেন: আরে! এ কি শোনালেন? সহকারী অধ্যাপক হবার জন্য ডক্টরেট লাগে না কি! কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এই কথা শুনলে আপনাকে লাঠি পেটা করবে। কি যে সব বলেন না আপনারা। দেশটাকে ইউরোপ আমেরিকা পেয়েছেন?

আমার ডীন আমাকে প্রায়ই ডেকে বলে, তুমি কি পেয়েছ এসব? এটা তো আর লন্ডন না, এখানে এভাবে পড়ালে চলবে না। প্রতি ক্লাশে ওদের নোট দিতে হবে। পরীক্ষার আগে সাজেশন দেবে। পরীক্ষায় মোট ৫টা প্রশ্ন থাকে, সাজেশন দেবে খুব বেশি হলে ৭টা। এই হল অবস্থা।

আমার কলিগদের অবস্থা দেখলে আমার কান্না পেয়ে যায়। এরাও শিক্ষকতা করে! একজন সেদিন আমাকে এস এম এস করল, "r u went to university today? any classes held their?"... আমি ভাবলাম অসাবধানতা। পরের দিন আবার এসএমএস, "yeas madam, but i will be their till 1.30 pm"... কিছুদিন পরে তিনি ইমেইল করলেন, "u will happy to know that i have promoted to ..."। এই হচ্ছে অবস্থা। আমি এখানে এসে পাগল হয়ে যাচ্ছি!!!

৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৫

জাতিস্বর বলেছেন: কি আর বলব,এসব কথা সবাই জানলে,বুঝলেও প্রশাসন চুপ।
যেখানে বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক রাজনীতিবিদ অথবা রাজনৈতিক সুবিধাভোগী বা তার পোষ্যরা।

তাই সাধারণ জনগণ যতই চেচাক,system corrupt হয়ে গেলে যা হয়__আর কি!!

২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

রাতজাগাপাখি বলেছেন: :(( :(( :((...

রাজনীতিবিদের পুত্র এখানে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে আছেন। এটা বলার কারনেই সবাই আমার পেছনে লেগেছে।

:(( :(( :((

৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

পেন্সিল চোর বলেছেন: কিছুই বলার নাই ।
কেমন আছেন আপু? মেলা দিন পরে ব্লগ লিখলেন। ভাইকে মনে আছে তো?

২২ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

রাতজাগাপাখি বলেছেন: মনে আছে ভাই। আমি ভালো নেই খুব বেশি। মাঝে শরীরটা একটু খারাপ ছিল। তুমি কেমন আছ?

৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

পেন্সিল চোর বলেছেন: পেন্সিল চোর খারাপ থাকেনা আপু :) :) :)
সবসময়য় ভালো থাকবেন দোয়া করি।

২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০২

রাতজাগাপাখি বলেছেন: আমার ভাই সব সময় ভালো থাকে জেনে খুশি হলাম। দোয়া থাকল, এই ভালো থাকা যেন স্থায়ী হয়।

৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

সূখী মানব বলেছেন: চাকরী করতে হলে সহ্য করতে হবে । Ignore করুন। তবে লেখনীর মাধ্যমে আপনার চিন্তাধারার পক্ষে জনমত তৈরী করুন।

২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৬

রাতজাগাপাখি বলেছেন: সহ্য বা ignore করতে পারলে তো আমি বেচেই যেতাম। এটা তো আমার দ্বারা এই জীবনে হয়নি। আমি ভাই এত গা সওয়া মানুষ না। আমি ভালোর ভালো, খারাপের যম। তাই, চাকরি ছাড়ার আছে কিছু একটা তো করেই ছাড়ব। হয় মারব, নাইলে মাইর খাব। কিছু একটা হবেই।

লেখনীর জনমতের যুগ শেষ, আমার তাই মনে হয়। আর যদি মনে করি আছেও, কোথায় লিখব? এই পর্যন্ত ২ পত্রিকা ওয়ালা কে জানালাম আমার সমস্যা। এখানের দূর্নীতির কথা। ওরা আমাকে বলে এই প্রসঙ্গে ওরা কিছু টাকা নিয়ে আমাকে ভাগ দেবে। শুনে আমি আকাশ থেকে পড়লাম। কিছুই বলার ছিল না।

১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

বোকামন বলেছেন:







সম্মানিত লেখক,

কি আর বলবো ... শিক্ষা নিয়ে যদি শিক্ষিতরাই দুর্নীতি করে ...
দুর্নীতির কারণেই সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না.....
আমরা তো দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করতেই ভুলে যাচ্ছি ...

যাই হোক নিজের অবস্থান থেকে কিছু করার চেষ্টা অব্যাহত থাকুক

ভালো থাকবেন

২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৭

রাতজাগাপাখি বলেছেন: একার চেষ্টায় কি কিছু হবে?

১১| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৫

দি সুফি বলেছেন: কিন্তু আমি দেশের অন্তত ৭০% শিক্ষার্থীর কথা বলছি, যারা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রী নিয়ে কিছুই না জেনেও সেকেন্ড ক্লাশ পেয়ে যাচ্ছে। - একমত।

আপনার লেখা এবং কমেন্ট থেকে মনে হল, আপনি যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন, সেখানের অবস্থা আসলেই অনেক করুন :(

আমি প্রথম সারির একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছি। অন্তত বলতে পারব আমাদের এখানে শিক্ষকের মান এবং শিক্ষাদন পদ্ধতি অনেক ভাল। বিশেষ করে আমাদের গণিত এবং পদার্থ বিঙ্গান বিভাগে এক কালের (সরকারি থেকে অবসর নেয়া) দেশ সেরা সব শিক্ষক।
তবে শিক্ষার্থীর মান তুলনামূলক বাজে। তবে ইদানিং দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তীপক্ষ বেশ কঠোর হয়ে গেছে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

রাতজাগাপাখি বলেছেন: আমি যখন এখানে চাকরির ইন্টার্ভিউ দেই, তখন সেই অনুষদের ঢাকা ইউনিভার্সিটির তৎকালীন ডীন এবং চেয়ারম্যান দুই জন-ই ইন্টার্ভিউ বোর্ডে ছিলেন। তারা আমার সাথে কথা বলে আমাকে পছন্দ করেন। দুই জন-ই বলেন এই মেয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে। আমি ভাবলাম, এখানকার শিক্ষকরা বুঝি খুব হাই-ক্লাশ হবে। ঢুকে দেখি, ক্লাশের সময়টুক্য ছাড়া পুরোটা সময় তারা কাটান পরচর্চা করে। আমি সারাটা জীবন এই সব মেয়েলী আলাপ এড়িয়ে চলতে পছন্দ করি। আমার ধারনা ছিল, যেসব মানুষ বেকার, তারাই পরচর্চা করে। কিন্তু, এখানে তো দেখি এক যোগে সবাই এর অংশ। তার উপর এদের জ্ঞানের বিশালতা দেখে আমি যে এত দিনে হার্ট ফেইল করিনি, আমার চোদ্দ পুরুষের ভাগ্য। এই সব বাচ্চাগুলার জন্য আমার ভীষন কষ্ট হচ্ছে।

১২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শুধু কি তাই কোন ক্লাসও করা লাগে না এমন নজির ও আছে

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

রাতজাগাপাখি বলেছেন: :(

১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৪

দুঃখিত বলেছেন: এই দেশটাই এমন ম্যাডাম, এখানে সবাই কাল কি হবে, কি করবো এ সব নিয়েই চিন্তা করে; কিন্তু কেউই এটা ভাবে না যে পরশু অথবা তার পরেও আরও দিন আছে। এই দেশের নীতি-নির্ধারকদের দূর ভবিষ্যৎ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই, যার ফলে আজ আমাদের এই অবস্থা। আমি একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ি, প্রতিনিয়ত এসবই দেখে যাচ্ছি । :( ভালো থাকবেন :)

(এখনও পড়ালেখা পুরোপুরি শেষ হয়নি আমার তাই একজন ছাত্র হিসেবে আপনাকে ম্যাডাম বলেই সম্বোধন করলাম )

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০০

রাতজাগাপাখি বলেছেন: বাবা (আমি আমার ছাত্র-ছাত্রীদের বাবা বলে সম্বোধন করি, তাই তোমাকেও তাই করছি), তোমাদের প্রজন্ম মনে কর যে তোমরা অনেক বোঝ। এবং সেটাই স্বাভাবিক। তোমাদের অভিজ্ঞতা কম, কিন্তু, এক সময় ছিল যখন এক মায়ের অনেক সন্তান থাকার কারনে তিনি সবাইকে খাওয়ানো পরানো নিয়েই ব্যস্ত থাকতে বাধ্য ছিলেন। আর বাবারা ছিলেন দূর দেশের মানুষ। সন্তানরা তাকে ভয় পেল, শ্রদ্ধা করত। কিন্তু কাছে বসে গল্প করার সাহস ছোট বেলায় খুব একটা করত না। এখন দিন বদলেছে। সন্তানরা বাবা-মাকে খুব কাছের করে পায়। তাই, তাদের অভিজ্ঞতা জানতে পারে, যেখান থেকে শিক্ষা নেয়ার সুযোগ পায়। সেই সাথে শিক্ষার প্রসার এবং নিজ জ্ঞান মিলে তোমাদের জানার মাত্রা একটু বেশি হওয়া উচিত। সেই তোমরা যদি নিজেদের এবং এই দেশের ভবিষ্যত নিয়ে না ভাবো, যদি বর্তমান নিয়ে ব্যস্ত থাক, কাকে দোষ দেব বল! এখন পরিস্থিতি এমন, যে কেউ জ্ঞানের কথা শুনতে নারাজ। এবং সেটাকে নিজের জীবনে মেনে চলতে তো আরও ভীষন আপত্তি।

তবু ভালো যে তোমাদের মত কিছু শিক্ষার্থী আছে যারা আজও জানতে চাও, শিখতে চাও। তাদের জন্যই আমাদের শিক্ষক হওয়ার সার্থকতা।

ভালো থেক।

১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রাতজাগা পাখি ...
দিনের বেলা নির্ঘুম কেন?
রাতে ঝিমুনি এলে রাতের আধার কষ্ট পাবে যে!

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

রাতজাগাপাখি বলেছেন: এই রাত-জাগা পাখি দিনে ঘুমালে যে চাকরি যাবে। তাই দিনেও তাকে নির্ঘুম কাটাতে হয়। তবে আধারকে কষ্ট আমি দেব না কখনও।

১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

এক আলোকবর্ষ​ দূরে বলেছেন:
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রাতজাগা পাখি ...
দিনের বেলা নির্ঘুম কেন?
রাতে ঝিমুনি এলে রাতের আধার কষ্ট পাবে যে!


ভাই, মাশাল্লাহ ভাল রসিকতা জানেন আপনি। শুধুমাত্র এই একটা কারণে হলেও সবাই আপনার বউকে হিংসে করবে। এটা নিশ্চিত থাকেন। :P

@রাতজাগাপাখিঃ ঘটনা-টা ২০০৮ এর। ভার্সিটিতে আমার এক সিনিয়র-কে হঠাৎ-ই কেন জানি একটু বেশিই ভাল লেগে যায়। আবার এদিকে সে আবার আমার এক বন্ধুর কাজিন হয়। সেজন্য জীবনে প্রথমবার এ ব্যাপারে বন্ধুদের সহযোগিতা চাইলাম। তারা অনেক কিছু বুঝিয়ে-শুনিয়ে শেষে একটা কথা বললো, "তোরে অনেক জ্ঞান দিলাম। কিন্তু জানি, এতে হয়তো কাজ হবে না। তারপরও আমাদের কথা না শুনে কিছু করতে গিয়ে যদি কোন ঝামেলায় জড়িয়ে যাস, তখনও আমাদের পাশে পাবি। এতটুকু বিশ্বাস রাখ।" সেদিন বন্ধুদের কথাগুলো শুনে মনে হয়েছিল​, আসলে এই কথাগুলোই শুনতে চাচ্ছিলাম। আমি যাই করি না কেন​, সুখে-দুঃখে আমার আপনজনেরা আমার সাথে থাকবে, এটাই পরম চাওয়া। সেদিন বন্ধুদের কথা রেখে আমার আর সেই পথে পা বাড়ানো হয় নি। তাকে আজও বলা হয় নি।

আপু, আপনার হয়তো মনে হচ্ছে অফটপিক বলে ফেলছি। আসলে কথাগুলো এই কারণে বললাম যে আপনিও মনে হচ্ছে কোন​ একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। কারণ, কার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে, কোন কারণে আপনি এই পোস্ট দিয়েছেন, তার কিছুটা মনে হয় আমাকে জানিয়ে ছিলেন। তখনই আমি বলেছিলাম যে আমি বিশেষ পাঁচ সম্প্রদায়কে সহ্য করতে পারি না। এক্ষেত্রে আমরা শুভাকাঙ্খী হিসেবে হয়তো অনেক পরামর্শ দিতে পারব, আবার আপনি আমাদের কথা না মেনে নিজেই কোন সিদ্ধান্ত নিলে তখন তিরস্কার করব। কিন্তু আমি সেই দলে যাব না। আপনি যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন​, আর তার ফলাফল যাই হোক না কেন​, অন্তত আপনার এই ভাইকে পাশে পাবেন।

আর আপু, আপনার সার্ভে কেমন চলছে? এখন কি আপনার মনে হচ্ছে না যে আমার মত করেই অনেকে ভাবছে? আপডেট জানিয়েন আপু আর সার্ভে শেষে একটা পি.ডি.এফ. কপি দিয়েন। :)

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

রাতজাগাপাখি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। তোমরা আছ বলেই আমি গতানুগতিক সমাজের সাথে না চলে নিজের মনের কথা শুনি।

আমার সার্ভের রিপোর্ট প্রথমে তোমাকেই দেব। মাঝে একটা পরীক্ষা ছিল, তার উপর আমি অসুস্থ হয়ে পরেছিলাম। আপাতত কাজ-কর্মগুলো একটু গুছিয়ে তারপর সার্ভেটা নিয়ে কাজ করব। ভালো থেক।

১৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩১

সাককাম জিতু বলেছেন: :|

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭

রাতজাগাপাখি বলেছেন: এমন মুখভঙ্গির অর্থ কি? আমি ভাই সব ক'টা ইমো বুঝি না :(

১৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: এতো অল্প বয়সেই ছাত্রদের বাপ মা বানায় ফেলছেন?
শিক্ষক হচ্ছেন কারীগর, এমন নয় সব কটা ছাত্রকেই সেরা বানাতে হবে, যারা পারবেনা তারা পড়ে যাবে (এ অর্থে যে এরা নরমাল কাজে যোগ দেবে) , আর বাকি দু'চারটা মানুষ হলেই হবে (উচ্চতর গবেষণা আর উৎভাবনে থাকবে)।

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫

রাতজাগাপাখি বলেছেন: আমি আইনের শিক্ষক। আমার যারা গবেষনার কাজে যোগ দেবে, তারা ভবিষ্যতে শিক্ষকতাকে পেশা হিসাবে নিতে চাইবে বলে গবেষনা করবে। আর যে ক'টা আপনার ভাষ্য মতে নরমাল কাজে যোগ দেবে, সেক'টা উকালতিকে পেশা হিসাবে নেবে। সেটাতেই আমার আপত্তি। এদের কারনেই "যার নাই কোন গতি..." কথাটি প্রচলিত থাকবে। এটাই আমি চাইনা। ওকালতি এবং ডাক্তারি হচ্ছে এমন পেশা, সেখানে জীবনভর পড়তে হয়। আমি এদের ভবিষ্যত তৈরির কারিগর। আমি কেমন কারিগর হলাম যদি সব ক'টাই মানুষ না হল? আমি যদি আপনার মত শুধু ভালোগুলোর কথা চিন্তা করেই ভালো থাকতে পারতাম!!! এখানে আরও একটা সমস্যা হচ্ছে, ভালোগুলো যখন দেখে যে ওরা অন্যদের ১০ ভাগের ১ ভাগ পড়েই তাদের চেয়ে ভালো নম্বর পাচ্ছে, তখন তারা আর বেশি পড়ার আগ্রহ পাচ্ছে না। ভার্সিটির পলিসির কারনে যারা একটু ভালো করছে, তাদের শতকরা ৮০ ভাগ নম্বর দিতে হচ্ছে। আমার আপত্তি সেখানেই। প্রত্যেক ব্যাচ থেকে কেউ ৮০% নম্বর পাবে, এমন হওয়া উচিত নয়।

আর, শিক্ষার্থীদের সন্তান বানালে আপনার আপত্তির কারন বুঝলাম না।

১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শুভনববর্ষ

১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:২৪

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: মাত্র কয়েকদিনেই এই অবস্থা? থাকেন কিছু দিন, বুঝবেন ঠেলা কাহাকে বলে, কত প্রকার এবং কি কি!

৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৭

রাতজাগাপাখি বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.