![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতির কফিনে শেষ পেরেক: ড. ইউনূসের শাসনে ধ্বংসের মুখে বাংলাদেশ
আজকের বাংলাদেশ যেন একটি লাশঘর শ্বাস নিচ্ছে, কিন্তু জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। দেশের অর্থনীতি চরম দেউলিয়াত্বের পথে, বিচার ব্যবস্থা নির্লজ্জভাবে পক্ষপাতদুষ্ট, শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, আর জাতির ভবিষ্যৎ আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আজ বিপথে, বিভ্রান্তিতে, ও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। এই ভয়াবহ অবস্থা যার হাত ধরে এসেছে, তিনি আর কেউ নন কথিত ‘নোবেল বিজয়ী’ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে জাতিকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেছেন।
রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনতাই ও গণতন্ত্রহীনতা
ড. ইউনূস কোনো গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসেননি। জনতার ভোটে নয়, বরং বিদেশি চক্রান্ত, কর্পোরেট পৃষ্ঠপোষকতা ও দেশীয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি আজ দেশের শাসক। মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার ধ্বংস হয়েছে, সংবাদমাধ্যম হয়েছে বন্দি, বিরোধী রাজনীতিকরা হয়েছে নিপীড়নের শিকার। প্রতিদিন গড়ে ১২০০ থেকে ১৫০০ জন আওয়ামী লীগসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।
অর্থনীতি ধ্বংসের পথে
দেশের অর্থনীতিকে তিনি তামাশায় পরিণত করেছেন। ব্যাংকিং খাতে চলছে নৈরাজ্য। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, অথচ তার একটি টাকাও দেশে ফেরৎ আনা যায়নি। রাষ্ট্রীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আজ ঋণখেলাপিদের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষকে দিশেহারা করেছে। অথচ ক্ষমতাসীনদের বিলাসিতা বেড়েই চলেছে। দুর্নীতির রাঘব বোয়ালরা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
কোমলমতি প্রজন্ম ধ্বংসের দিকে
তবে সবচেয়ে ভয়াবহ দিকটি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের বিপথগামিতা। এক ভয়াবহ অপকৌশলের অংশ হিসেবে আজ শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। হাজার হাজার স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। শিক্ষকেরা নিরাপত্তাহীন, পাঠ্যসূচি যুগোপযোগী নয়, পাঠ্যবইয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বিকৃত ইতিহাস ও বিভ্রান্তিকর মতবাদ। ছাত্ররা বইয়ের চেয়ে বেশি সময় দিচ্ছে ইউটিউব, গেমিং, টিকটক, এবং ভয়ংকরভাবে মাদকের জগতে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ছাত্ররা অস্র নিয়ে ডাকাতি বা আওয়ামী লীগ নেতাদের কে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলছে পেশিশক্তির রাজত্ব। ছাত্রসংগঠনের নামে চলছে চাঁদাবাজি, দলীয় দখলদারিত্ব, যৌন হয়রানি, অস্ত্রের মহড়া। আজ আর কোনো শিক্ষার্থী স্বপ্ন দেখে না বঙ্গবন্ধু হওয়ার, সত্যেন বোস, হুমায়ুন আজাদ হওয়ার। তারা স্বপ্ন দেখে দ্রুত টিকটক তারকা হয়ে ওঠার, বা রাজনীতির ছত্রছায়ায় এক রাতেই গাড়ি-বাড়ির মালিক হওয়ার।
নীরব জাতি, নিশ্চিহ্ন ভবিষ্যৎ
একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার শিক্ষিত প্রজন্মের ওপর। আর যদি সেই প্রজন্মকে অশিক্ষা, কুশিক্ষা, ও নৈতিক পতনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়, তাহলে তা কোনো সাধারণ ক্ষতি নয় তা একটি জাতির আত্মহত্যা। এক প্রজন্ম ধ্বংস মানে অন্তত তিন থেকে চারটি প্রজন্ম পিছিয়ে যাওয়া। আজ বাংলাদেশ সেই ভয়াবহ চক্রে বন্দি।
আজ প্রয়োজন জাতিগত জাগরণ
আর নয় নীরবতা। আজ প্রয়োজন প্রতিরোধ। আজ প্রয়োজন ড. ইউনূসের কৃত্রিম মুখোশ ছিঁড়ে তাকে জনগণের আদালতে দাঁড় করানো। আজ প্রয়োজন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রক্ষা, শিক্ষা ব্যবস্থার ঢালাও সংস্কার, অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
আমরা যদি আজ কথা না বলি, আগামীকাল ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। আমাদের সন্তানরা আমাদের দিকে তাকিয়ে বলবে তোমরা কোথায় ছিলে, যখন আমাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হচ্ছিল?
--- সালাউদ্দিন রাব্বী
সংগঠন: সংখ্যালঘু বাচাও আন্দোলন
ঠিকানা: পশ্চিম কাজি কসবা, মিরকাদিম ১৫০২, মুন্সীগঞ্জ সদর, বাংলাদেশ
ই-মেইল: [email protected]
২| ১৩ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:২৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি কেমন যেন মেশিনের মত ব্লগিং করেন।
৩| ১৩ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: @জ্যাক স্মিথ, তিনি Human Ai
৪| ১৩ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের যেটুকু সীমিত গণতন্ত্র ছিলো সেটা ধ্বংস করেছে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেখিয়ে গেছেন কিভাবে বিদেশি শক্তিকে এটা ওটা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে রাখা যায়। দীর্ঘদিন থেকে যদি সত্যিকার ভাবে যদি দেশের মঙ্গল চাইতেন তবে গুম-খুন-লুটপাট এসব কিছুই করতেন না। তিনি যেহেতু দেখিয়ে গেছেন অনির্বাচিত ভাবে ক্ষমতা ধরে রাখা যায় এখন বাদ বাকি সরকার গুলো একই পথ অনুসরণ করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া ও কিছু বুদ্ধিজীবী ভাড়া করে মানুষের মধ্যে কনসেপ্ট ম্যানুফাকচারিং ও মিডিয়ার মাধ্যমে উন্নয়ন,সংস্কার অথবা ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের দোহাই তুলে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার সুযোগ খুলে গেছে।
৫| ১৩ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১৮
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সত্যি কথা লিখেছেন ।
৬| ১৩ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একদম হাসিনা আম্মার মনের কথা হয়েছে। আপনারা দ্রূত ডক্টর সাহেবকে সরিয়ে আবার ভারতের হাতে তুলে দিন।একশো পার্সেন্ট নিশ্চয়তা দিচ্ছি আপনাদের জল স্থল আকাশ আমরা দেখভাল করবো একদম নিজেদের মনে করে।
৭| ১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ও সরি আরেকটি কথা এই পোস্টটিকে স্টিকি করার দাবি জানাচ্ছি। সত্যিই জাতির আবার জাগরণ দরকার।আপনি কিন্তু ঘরে নিজেকে বন্দি রাখবেন না। পোস্টার প্লাকার্ড হাতে রাস্তায় নামতেই হবে। ডক্টর সাহেবের নৈরাজ্য থেকে দেশকে মুক্ত করে আবার আম্মা হাসিনার শাসন ফিরিয়ে আনতেই হবে। ভারতে মোদিজী যোগি আদিত্যনাথ সংখ্যালঘুদের জবাই করলেও হাসিনা আম্মা সংখ্যালঘুদের যেভাবে রাজকার্যে মাথায় তুলে মোদিজীর আজ্ঞাবহ পালন করেছেন সেই সুদিন ফিরিয়ে আনতে রাস্তায় নেমে জোরদার আন্দোলন ছাড়া গতি নাই। দাদা আমরা আপনার সঙ্গে আছি। সবশেষে আরও একবার দাবি করছি দেশের সর্বত্র বার্তা পৌঁছে দিতে এই পোস্ট স্টিকি করা হোক
৮| ১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:১১
ইশতিয়াক ফাহাদ বলেছেন: কি জঘন্য মিথ্যাচার করে বেরাচ্ছেন
৯| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪৩
নাহল তরকারি বলেছেন: শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পেছনের এক সপ্তাহ এর ঘটনা বিশ্রেষণ করবেন, আশা করি।
১০| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: দর্শক হয়ে চুপচাপ শুধু দেখে যাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:২২
নতুন বলেছেন: সংগঠন: সংখ্যালঘু বাচাও আন্দোলন
এই সংঘটনই তো ধান্দাবাজ।
আমরা যদি আজ কথা না বলি, আগামীকাল ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। আমাদের সন্তানরা আমাদের দিকে তাকিয়ে বলবে তোমরা কোথায় ছিলে, যখন আমাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হচ্ছিল?
গত ১৭ বছর তিনি চুপ ছিলেন। তাকে অন্তত ১৭ মাস একটু কস্ট করতে বলুন।