![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুর্নীতি, খুন, ধর্ষণ আর লুটপাটে জর্জরিত দেশ
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ অর্জন। পাকিস্তানি সেনারা এবং তাদের দেশীয় দোসররা নয় মাসে ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে, প্রায় ২ লক্ষ মা-বোনকে ধর্ষণ করে, অগণিত মানুষকে পঙ্গুত্ব ও অনিশ্চিত জীবনের পথে ঠেলে দেয়। কোটি মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে শরণার্থী হয়েছিল। সেই রক্ত-অশ্রু-ঘামে অর্জিত স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল একটি গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত, শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গঠন।
কিন্তু আজ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আমরা কি সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি? না।
আজ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, সেই পাকিস্তানি দোসরদের উত্তরসূরিরা। তাদের নেতৃত্বে আছেন বিদেশি প্রভুদের মদদে বড় হওয়া মুহাম্মদ ইউনূস যিনি বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাতকে বহু বছর ধরে অচল করে রেখেছিলেন। আন্তর্জাতিক স্বার্থরক্ষাকারী এই গোষ্ঠী এখন বাংলাদেশের সম্পদ লুট করছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া করে বিদেশি কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিচ্ছে।
এক বছরে ভয়াবহ চিত্র
এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাত্র এক বছরে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহভাবে অবনতি ঘটেছে।
দুর্নীতি: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ আবারো শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় অগ্রসর হয়েছে। সরকারি প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয়, ঘুষ–বদলি, নিয়োগ বাণিজ্য সর্বত্র বিরাজমান।
অর্থনীতি: বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড হারে কমেছে। ব্যাংক খাত দেউলিয়া হওয়ার পথে। টাকার মান পড়ছে প্রতিদিন।
খুন–ধর্ষণ: সংবাদপত্রে প্রতিদিন ধর্ষণ, খুন, গুমের খবর আসছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরীহ নাগরিককে হয়রানি করছে, অপরাধীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পার পেয়ে যাচ্ছে।
কৃষি–শ্রমিক: কৃষক ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না, শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিল্পকারখানা বন্ধ, বেকারত্ব বেড়ে যাচ্ছে।
সম্পদ বিক্রি: বিদ্যুৎ, গ্যাস, বন্দরসহ কৌশলগত খাত বিদেশি কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
শহীদদের আত্মত্যাগের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
আজ প্রশ্ন জাগে
এটা কি সেই বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও ২ লক্ষ মা-বোনের অশ্রুর বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল?
যখন রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে পাকিস্তানি দোসরদের রাজনৈতিক উত্তরসূরিরা, তখন শহীদের আত্মা কাঁদে, মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পদদলিত হয়। মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা নতুন মুখোশ পরে ক্ষমতায় বসেছে, আর দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
নতুন মুক্তির সংগ্রামের ডাক
বাংলাদেশের মানুষ জানে, কোনো দমন-পীড়ন বা লুটেরা সরকার জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের সামনে টিকে থাকতে পারে না।
আজ প্রয়োজন নতুন করে রাস্তায় নামা, জনগণের প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
এবারের সংগ্রাম দুর্নীতিবাজ সরকার উৎখাতের সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণের সংগ্রাম।
বাংলাদেশ কারো ব্যক্তিগত লুটপাটের সম্পত্তি নয়
বাংলাদেশ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত রাষ্ট্র।
তাই দালাল ও বিশ্বাসঘাতক সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে।
--- সালাউদ্দিন রাব্বী
সংখ্যালঘু বাচাও আন্দোলন।
২| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭
বিজন রয় বলেছেন: ইতিহাস তার পথ নিজেই সৃষ্টি করে নিবে।
যে তাকে বাঁধা দেয় সেই নিপতিত হয়।
৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দুর্নীতি, খুন, ধর্ষণ আর লুটপাট এগুলো আম্লিগ করছে সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য।
৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এগুলো আগেও ছিলো । এখন করাপশন কমেছে একটু ।
৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ইউনুস সাহেব যোগ্য ও দক্ষ হলে, দেশে খুন ধর্ষন, দূর্নীতি কম হতো।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:২১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার এই লেখাটা গত ৫৪ বছর ধরেই প্রযোজ্য।মাত্র এক বছরেই অতিষ্ট হয়ে গেলেন?
১৭ বছর ফ্যাসিস্টকে কি করে সহ্য করলেন?