![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২৪-এর আন্দোলনের পর ছাত্রসমাজের অধঃপতন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রসমাজ সবসময়ই গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি জাতীয় সংগ্রামে তারা ছিল অগ্রভাগে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন “ছাত্ররা জাতির ভবিষ্যৎ, তাদের হাতেই গড়ে উঠবে স্বাধীন সোনার বাংলা।”
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ২৪ সালের আন্দোলনের পর থেকে দেখা যাচ্ছে ছাত্রদের একটি অংশ মূল দায়িত্ব পড়াশোনা ও জ্ঞানার্জন থেকে সরে গিয়ে অবৈধ টাকার পেছনে ছুটছে। তাদের হাতে বই থাকার কথা থাকলেও আজ তা অনেক ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপিত হয়েছে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, ভাড়াটে রাজনীতি এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।
ছাত্রদের মুখের ভাষা ও আচরণে পরিবর্তন
শালীনতা, ভদ্রতা আর সংস্কৃতির জায়গা দখল করেছে অশ্লীলতা ও হিংস্রতা। স্লোগান ও আচার-আচরণে যে বিশ্রীতা চোখে পড়ে, তা ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য ভয়ংকর ইঙ্গিত বহন করে।
কেন এই অধঃপতন?
মানসম্মত শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার অভাব।
ছাত্ররাজনীতিকে ক্ষমতার খেলায় ব্যবহার।
বেকারত্ব ও হতাশা।
পরিবার ও সমাজে নৈতিক দিকনির্দেশনার ঘাটতি।
মাদক ও প্রযুক্তির অপব্যবহার।
বঙ্গবন্ধুর সতর্কবার্তা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, “অসৎ পথের টাকা দিয়ে মানুষ গড়ে না, দেশও গড়ে না।” কিন্তু আজকের ছাত্রসমাজের অনেকেই সেই ভুল পথে হাঁটছে। একসময় যারা দেশের জন্য বুকের রক্ত দিয়েছে, তাদের উত্তরসূরিরা যদি অবৈধ টাকার দাসে পরিণত হয়, তবে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার ছাড়া আর কিছু নয়।
ভবিষ্যতের জন্য হুমকি
এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে ছাত্রসমাজ জাতিকে নেতৃত্ব নয়, বরং লুটপাট, অনৈতিকতা আর হিংসার দিকে ঠেলে দেবে। যারা কলমের বদলে অস্ত্র হাতে নিচ্ছে, তারা কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে? তাদের কাছ থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কী শিখবে?
করণীয়
শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার ও নৈতিক শিক্ষা জোরদার।
ছাত্ররাজনীতির শুদ্ধি ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।
যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।
পরিবার ও সমাজের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করা।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছাত্রসমাজের সামনে তুলে ধরা।
উপসংহার
বাংলাদেশের এই পবিত্র ভূমি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন আর বঙ্গবন্ধুর মতো মহামানবদের জন্মভূমি। তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ কোনোদিনই অবক্ষয়ী ছাত্রসমাজ দিয়ে গড়ে উঠতে পারে না। এখনই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে অবৈধ টাকার নেশায় বিভ্রান্ত প্রজন্মকে সঠিক পথে ফেরানো। নইলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন কেবলই অপূর্ণ থেকে যাবে।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বিগত ১৬/১৭ বছর কি ছাত্ররা টাকার পেছনে ছুঁটে নি? শেখ মুজিব ভুল বলেছিলেন। ছাত্ররা কখনোই দেশের ভবিষ্যৎ নয়। ছাত্ররা বাপের হোটেলে খায়, বাপের টাকায় পড়ে, বলা যায় এক কথায় পরজীবী। সবাইতো আর লীগের নেতা না যে চাঁদা পাবে। তাই প্রতিটি ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞাণ অর্জন করে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে হবে। সেখানে কর্ম-দক্ষতা অর্জন করে শেষে দেশের কাজে আসার মতো যোগ্য হতে না পারলে সে ছাত্র জাতির বোঝাও হতে পারে। ধন্যবাদ।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৬
নতুন বলেছেন: কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ২৪ সালের আন্দোলনের পর থেকে দেখা যাচ্ছে ছাত্রদের একটি অংশ মূল দায়িত্ব পড়াশোনা ও জ্ঞানার্জন থেকে সরে গিয়ে অবৈধ টাকার পেছনে ছুটছে। তাদের হাতে বই থাকার কথা থাকলেও আজ তা অনেক ক্ষেত্রে প্রতিস্থাপিত হয়েছে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, ভাড়াটে রাজনীতি এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে।
ছাত্রদের মুখের ভাষা ও আচরণে পরিবর্তন
শালীনতা, ভদ্রতা আর সংস্কৃতির জায়গা দখল করেছে অশ্লীলতা ও হিংস্রতা। স্লোগান ও আচার-আচরণে যে বিশ্রীতা চোখে পড়ে, তা ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য ভয়ংকর ইঙ্গিত বহন করে।
কেন এই অধঃপতন?
মানসম্মত শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার অভাব।
ছাত্ররাজনীতিকে ক্ষমতার খেলায় ব্যবহার।
ভাই বাংলাদেশে স্বাগতম। আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারতেছি যে আপনি এতোদিন আমেরিকা অথবা মঙ্গল গ্রহে ছিলেন। তাই বাংলাদেশের ছাত্ররাজনিতির বিষয়ে আপনার কোন তথ্য নাই।
আর ২০২৪ এর আগেও বাংলাদেশে ছাত্ররাজনিতি ছিলো। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির নামের দলগুলির কি কি করেছে সেটা একটু কস্ট করলেই গুগুলেই অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন।
আর যদি না পারেন তবে ব্লগে পোস্টাইতে পারেন যে " ২০২৪ এর আগে ছাত্ররাজনিতি কেমন ছিলো? "
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনাম যথাযথ হয়েছে।
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪১
বিজন রয় বলেছেন: সুযোগ পেলে তো নেবে।
ছাত্রদের অধপতন হয়েছে অনেক আগে থেকেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ছাত্রসমাজের অধঃপন হয়েছে বেশি লিগের আমলে। সব বাবাখোর আর নারি নিয়ে বিজি ছিলো।