![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি প্রতিবাদী নিবন্ধন
বাংলার মাটিতে একসময় যে আগুন জ্বলেছিল, তা নিছক রাজনৈতিক নয় এ ছিল অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৪ বছরের অবিচার ও শোষণের জবাব ৯ মাসে পেয়েছিল, আর তার মূল্য দিয়েছিল আমাদের জাতি অকল্পনীয় ত্যাগের মাধ্যমে। ৩০ লক্ষ শহীদ তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, ২ থেকে ৪ লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়ে হয়েছেন নিগৃহীতা, আর ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ মানুষ স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব ও দুঃসহ বেদনা বরণ করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এ ধরনের বর্বরতা বিরল।
কিন্তু আজ, সে রক্তস্নাত মাটিতেই আমরা দেখতে পাচ্ছি এক ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। ১৯৭১ সালে যারা পরাজিত হয়েছিল, যারা পাকিস্তানি সেনাদের দোসর হয়ে বাঙালির রক্তে হাত রাঙিয়েছিল, তারাই নানা বিদেশি কূটকৌশল, দেশীয় ষড়যন্ত্র আর আমাদের রাজনৈতিক ভ্রান্তির সুযোগ নিয়ে আবার রাষ্ট্রক্ষমতার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে। এ এক নির্মম বিদ্রূপ যে শত্রুকে মাটিচাপা দেওয়ার শপথ নিয়েছিল গোটা জাতি, তারাই আজ রাষ্ট্র পরিচালনার নাম করে স্বাধীনতার চেতনাকে কলুষিত করছে।
আমাদের তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত ছাত্র-ছাত্রীরা, ইতিহাসের শিক্ষা ভুলে ফেলে আবারো শত্রুর ফাঁদে পা দিচ্ছে। ১৯৭১-এ ছাত্রসমাজ ছিল মুক্তির অগ্রদূত। অথচ আজকের দিনে কিছু অচেতন তরুণ নিজেদের দেশপ্রেমিক ভাবলেও অজান্তে বা ভুল বুঝে রাষ্ট্রের হন্তারকদেরই হাত শক্ত করছে। স্বাধীনতার শত্রুরা যেভাবে নিজেদের রঙ বদলে, ভণ্ড দেশপ্রেমিক সাজার ভান করে তরুণ সমাজকে প্রলুব্ধ করছে, তা আমাদের জন্য এক বড় সতর্কবার্তা।
তরুণদের জানতে হবে বাংলাদেশের শত্রু কখনোই সরাসরি অস্ত্র হাতে আসে না, বরং তারা আসে ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার, বিদেশি প্রভুত্বের এজেন্ডা নিয়ে। আজ যদি ছাত্র-ছাত্রীরা সজাগ না হয়, তবে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ধূলিসাৎ হবে, আর আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে তলিয়ে যাবে।
এই মুহূর্তে প্রয়োজন ছাত্রসমাজের জাগরণ, সঠিক ইতিহাস জানা ও তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্র মেরামত করতে গিয়ে যেন রাষ্ট্র শত্রুর হাতে তুলে না দেওয়া হয়। স্বাধীনতা কেবল একবার অর্জন করলেই শেষ নয়, তাকে রক্ষা করতে হয় প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে।
বার্তা স্পষ্ট:
বাংলাদেশ কারো দয়ার দান নয় এ দেশ এসেছে রক্তের স্রোত, অশ্রু আর ত্যাগের বিনিময়ে। তাই আজকের ছাত্র-যুবকদের শপথ নিতে হবে কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো পরাজিত শক্তি, কোনো বিদেশি প্রভুত্ব আর কখনোই যেন বাংলাদেশকে দখল করতে না পারে।
ভুল যেন আর না হয়।
শত্রুর কবল থেকে নিজেদের ও দেশকে রক্ষা করতে হবে।
স্বাধীনতার সত্য ইতিহাসকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরতে হবে।
এটাই সময়, আবারো রুখে দাঁড়ানোর।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি ছাত্রলীগের কোন জেনারেশন আমি জানি না তবে আপনার ভাবনা চিন্তা এবং লেখা লীগকে দুই পয়সার সহযোগিতা করছে না।