নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ন্যায়ভিত্তিক সভ্য সমাজ কোথায়?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:২৬

ন্যায়ভিত্তিক সভ্য সমাজ কোথায়?
ইউনূস সাহেব বলেছেন ন্যায়ভিত্তিক এক সভ্য সমাজ গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই বাংলাদেশে কোথায় সেই ন্যায়? কোথায় সেই সভ্যতা?
আজ কথায় কথায় মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে যেখানে ছিল স্বপ্ন, যেখানে ছিল শিশুর কান্না, মায়ের আশ্রয়, বাবার সংগ্রামের ঘাম। এই অগ্নিকুণ্ডে মানুষ শুধু তাদের আশ্রয়ই হারাচ্ছে না, হারাচ্ছে ভবিষ্যতের নিরাপত্তা, হারাচ্ছে বেঁচে থাকার অধিকার।
এর চেয়েও ভয়ংকর হচ্ছে হত্যা করেও শান্তি নেই। লাশগুলো কবরে শুতে পারছে না। সেগুলো আবার কবর থেকে তুলে আগুনে পোড়ানো হচ্ছে। এমন নৃশংসতা সভ্যতার কবর রচনা করেছে এই মাটিতে। যে দেশে কবরের নিশ্চয়তা নেই, সে দেশে ন্যায়, শান্তি, মানবতা সবকিছুই নির্বাসনে গেছে।
বাংলাদেশের ইতিহাস গৌরবময় এই দেশ লড়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। অথচ আজ সেই দেশেই অন্যায়ের শিকল বাঁধা পড়েছে মানুষের গলায়। আইন নয়, ন্যায় নয় এখানে শক্তিই এখন সবকিছুর বিচারক। ভিন্নমত মানেই অপরাধী, প্রতিবাদ মানেই জেল, দুর্বল মানেই আগুনে পুড়ে ছাই।
প্রশ্ন জাগে এই সমাজে কি সত্যিই আর ভালোবাসার কোনো জায়গা আছে? শিশুদের ভবিষ্যৎ কি নিরাপদ? তরুণদের স্বপ্ন কি বিকশিত হতে পারবে?
ন্যায়ভিত্তিক সমাজ কেবল মুখের বুলি দিয়ে তৈরি হয় না। এটি গড়ে ওঠে মানুষের প্রতি সম্মান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং রাষ্ট্রের ন্যায়নিষ্ঠ অবস্থানের মাধ্যমে। বাংলাদেশে আজ যদি সত্যিই ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়তে চাই, তবে প্রথমেই বন্ধ করতে হবে হত্যা, দমন, নির্যাতন ও দুঃশাসনের এই চক্র।
আজকের বাস্তবতা শুধু প্রতিবাদ নয়, অশ্রুর স্রোত। মানুষের প্রতি অবিচার যতদিন চলবে, ততদিন এই প্রশ্ন জ্বলবে "বাংলাদেশে আসলে কী বাকি আছে?"
----- সালাউদ্দিন রাব্বী
সংখ্যালঘু বাচাও অঅন্দোলন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নতুন কিছু না।
৫ই আগষ্টের পর ১ মাসের ভেতর কয়েক হাজার মাজারে হামলা করে ধ্বংশ করা হয়েছে।
এরপরেও এইসব তান্ডোব অব্যাহত আছে। অনেকগুলো ঘটনা সেনা প্রহরায় হয়েছে, মানে রাষ্ট্রিয় মদদে।
সেনাবাহিনী একটু দূর থেকে তামাসা দেখেছে, পরে লুটপাট শেষ হওয়ার পর বাধা দেয়ার ভান করেছে।
রিসেন্ট লাশ পোড়ানোর ঘটনায়ও এমনটা দেখা গেছে।
হাটহাজারির ঘটনাও এর চেয়ে ভিন্ন এর চেয়ে ভিন্ন কিছু না
জামাত শিবির হেফাজট হিজবুত সবাই সুফি বিরোধী মাজার বিরোধী। আপনি এসব জংলি হামলা পরিকল্পিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.