নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ দায়িত্ব মোল্লার হাতে!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৪

আল্লাহ দায়িত্ব মোল্লার হাতে!
আজ বাংলাদেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এক নাম নুরা পাগলা। যাকে একসময় পাগল বলে অবজ্ঞা করা হতো, আজ তার মাজারকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ পরিস্থিতি। কিছু ধর্মান্ধ লোক নুরা পাগলার কবর থেকে লাশ তুলে এনে মহাসড়কে পুড়িয়ে ফেলেছে। অনেকেই বলছেন, নুরা পাগলার মাজার কাবার আদলে তৈরি হয়েছে এটিই নাকি “অপরাধ”! কিন্তু প্রশ্ন হলো কোনো মৃত মানুষের বিচার করার দায়িত্ব কার? আল্লাহ নিজেই বিচারক। মানুষের হাতে সেই বিচার তুলে দিলে সমাজ নেমে যায় বর্বরতার অন্ধকারে।
এই ঘটনাটি নিছক কোনো ধর্মীয় উন্মাদনার বহিঃপ্রকাশ নয় বরং এর পেছনে রয়েছে একটি সুপরিকল্পিত জামাতী ষড়যন্ত্র। ৫ই আগস্ট ২০২৪-এর পর থেকে দেশে "তৌহিদী জনতা"র নামে যতো ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তার সবগুলোর সুত্রপাতে জামাত-শিবিরের হাত রয়েছে। সাধারণ মানুষ আজ বুঝতে পারছে এরা ধর্মকে ঢাল বানিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করছে।
জামাতী শাসনের সম্ভাব্য ভয়াবহ চিত্র
যদি কখনো বাংলাদেশ রাষ্ট্রক্ষমতায় এদের হাতে চলে যায়, তাহলে কী ঘটতে পারে? ইতিহাস ও বিশ্ব বাস্তবতা থেকেই আমরা এর উত্তর খুঁজে পাই
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মতো পরিণতি
আফগানিস্তানে তালেবান শাসনে নারীশিক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, ভিন্নমতের মানুষের জীবন ঝুঁকিতে।
পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মিথ্যা অভিযোগে হত্যা, গ্রেফতার আর দেশত্যাগ বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জামাতীরা ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশেও একই কপাল অপেক্ষা করছে।
ভিন্নমত দমন
যারা ভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তা পোষণ করবে, তাদের জেল-জুলুম, গুম আর খুনের শিকার হতে হবে।
সাংবাদিক, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী সবাই আতঙ্কে দিন কাটাবে।
সংখ্যালঘুদের অবস্থা
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মীয় সংখ্যালঘু হবে টার্গেট।
তাদের সম্পদ লুটপাট হবে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে, জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হবে।
নারী সমাজের সর্বনাশ নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, সামাজিক মর্যাদা সব কিছু কেড়ে নেওয়া হবে।
মেয়েদের গৃহবন্দী করে রাখা হবে, যা মূলত আধুনিক দাসত্বেরই রূপ।
সন্ত্রাসের রাজত্ব
ভিন্ন ধর্মাবলম্বী তো বটেই, ভিন্ন চিন্তাশীল মুসলমানরাও নিরাপদ থাকবে না। এদেশ পরিণত হবে জঙ্গিদের পরীক্ষাগারে, যেখানে রক্ত আর আগুন ছাড়া আর কিছু থাকবে না।
প্রতিবাদী আহ্বান
আজকের নুরা পাগলার ঘটনাটি শুধু একটি লাশ উত্তোলন বা পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা নয় এটি একটি সতর্ক সংকেত। জামাতী গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশ অচিরেই অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে ধর্মের নামে যারা অপরাধ করে, তারা আসলে ধর্মের শত্রু। ইসলাম শান্তির ধর্ম, কিন্তু এরা সেই শান্তির নামেই হত্যা ও বিভাজনের রাজনীতি করে।
বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এখনই সজাগ হতে হবে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও মানবিক শক্তিকে এক হয়ে দাঁড়াতে হবে। নইলে একদিন আমরা দেখব---
মসজিদের মাইকে হত্যার ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে,
প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো গুম হয়ে যাচ্ছে,
আর এদেশ রূপ নিচ্ছে নতুন পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে।
বাংলাদেশের মানুষ এই অন্ধকার চায় না। তাই নুরা পাগলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা সবাইকে সতর্ক করছি ধর্মের নামে রাজনীতি ও জঙ্গীবাদকে রুখতে হবে আজই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৫

অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: ছবিতেতো সর্বস্তরের জনগণকেই দেখা যাচ্ছে। তারা কিছু বলছে না কেন?

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৫

জটিল ভাই বলেছেন:
যেখানে সর্বস্তরের জনগণ দেখা যাচ্ছে সেখানে আমভাবে এক দলকে দোষারোপ লিখার স্বতন্ত্রতা কতোটা বজায় রাখে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.