![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই অর্থনৈতিক দুঃসময়ে এত কোটিপতি কোথা থেকে আসলো?
-------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশের আজকের প্রেক্ষাপট নিঃসন্দেহে এক দুঃসময়ের প্রতিচ্ছবি। চারদিকে রাজনীতির দুঃসময়, অর্থনীতির দুঃসময়, আইন-শৃঙ্খলার দুঃসময়, এবং সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দ্রব্যমূল্যের দুঃসময়। জনজীবন এখন অনিশ্চয়তা, হতাশা ও বঞ্চনার শৃঙ্খলে আবদ্ধ। বাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষ হাঁসফাঁস করছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম তাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। অথচ এই অন্ধকার সময়ে একটি নির্লজ্জ বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে, আর দুর্নীতির ছত্রছায়ায় তারা আরও ফুলে-ফেঁপে উঠছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা কেবল অর্থনৈতিক নয়, নৈতিক সংকটেরও নির্মম প্রতিফলন। ২০২৫ সালের মার্চ শেষে যেখানে কোটি টাকার বেশি জমা থাকা হিসাব ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি, মাত্র তিন মাসে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টিতে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটিপতি হিসাব। প্রশ্ন জাগে এই কোটিপতিরা কারা? তারা কি দেশের কৃষক, মজুর, চাকরিজীবী বা রিকশাচালক? নাকি তারা সেই অল্পসংখ্যক প্রভাবশালী শ্রেণি, যারা দুর্নীতি, কমিশন, ঘুষ, লুটপাট আর ক্ষমতার অপব্যবহারকে ব্যবসা বানিয়েছে?
রাজনীতির নামে যারা শিশু-কিশোর বয়সেই কোটি কোটি টাকা বিদেশি ব্যাংকে পাচার করছে, তারা রাষ্ট্রকে তামাশায় পরিণত করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নীরব দর্শক, নীতিনির্ধারকরা নির্বিকার। যেন এই লুটেরা অর্থনীতিই আজকের বাংলাদেশকে সংজ্ঞায়িত করছে। জনগণ যখন বাজারে এক কেজি চাল বা ডাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন কিছু মুখোশধারী রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলছে। এটি শুধু বৈষম্য নয়, এটি এক ধরনের রাষ্ট্রীয় ডাকাতি।
অর্থনীতির এই চরম বৈষম্য সমাজে অশান্তি ও ক্ষোভ জন্ম দিচ্ছে। রাষ্ট্র যখন দুর্নীতিবাজদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়, তখন সাধারণ মানুষ হারায় আস্থা, হারায় ভবিষ্যতের স্বপ্ন। ব্যাংকের কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা বৃদ্ধিই প্রমাণ করে দেশের অর্থনীতি কেবল গুটিকয়েক মানুষের হাতে বন্দি হয়ে পড়েছে। আর জনগণের ঘামে ভেজা শ্রমে অর্জিত অর্থ কেবল মুষ্টিমেয় দুর্নীতিবাজদের বিলাসবহুল প্রাসাদে ঢাল হয়ে জমা হচ্ছে।
আজ প্রয়োজন কঠিন প্রতিরোধ। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, এই দুঃসময়ের বিরুদ্ধে জনতার ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর তুলতে হবে। নইলে বাংলাদেশ কেবল পরিসংখ্যানের দেশে পরিণত হবে যেখানে কোটি টাকার হিসাব বাড়তে থাকবে, কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাতের থালা আরও শূন্য হতে থাকবে।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এত ধনী আইলো কই থেকে?
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এই কোটিপতিরা কোন না কোন ভাবে আম্লিগের সুবিধাভোগী।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনা চলে যাবার পর কারা দূর্নীতি করেছে, সেসবন মানুষ জানে। এদের গ্রেফতার করা হবে। নতুন দল গুলোই দূর্নীতি করেছে।