নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের গোলাপ বনে যেদিন গোখরা ডুকেছিল।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৮

আমাদের গোলাপ বনে যেদিন গোখরা ডুকেছিল।

আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ কখনোই সহজ পথে চলেনি। অগণতান্ত্রিক শক্তি, সাম্প্রদায়িকতা ও বিদেশি ষড়যন্ত্র বারবার এই দেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চেয়েছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী প্রতিবারই বাঙালি জাতি মুষ্টিবদ্ধ হয়েছে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে।
কিন্তু আমাদের গোলাপ বনে যেদিন গোখরা ডুকল, সেদিন দেশি–বিদেশি সবাই আতঙ্কিত হয়ে বলেছিল: “বাংলাদেশ আবার এক অন্ধকার যুগে প্রবেশ করলো।” দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সেই আশঙ্কা সত্য হতে বেশি সময় লাগেনি।
ধ্বংসযজ্ঞ ও সহিংসতা
স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর ধানমণ্ডির ঐতিহাসিক বাড়িটি পর্যন্ত ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে রেহাই পায়নি। আক্রমণকারীরা আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা–কর্মীর বাড়ি, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দিয়েছে। অসংখ্য ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে, যেগুলো কেবলই শিল্পকর্ম নয় ছিলো আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতীক।
এমনকি সাধারণ সমর্থক থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বহু জায়গায় তাদের পরিবারকে হত্যা, লুটপাট ও জিম্মি করার খবর পাওয়া গেছে।
অর্থনীতি ও বিনিয়োগে বিপর্যয়
বাংলাদেশ এক দশকের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির পথে ছিল। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেলসহ একের পর এক মেগা প্রজেক্ট ছিল আমাদের গর্ব। কিন্তু বর্তমান সহিংসতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে এসব প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়েছে।
বিদেশি নতুন বিনিয়োগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা তাদের প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন করে ভাবছে।
গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্স নির্ভর অর্থনীতি ধাক্কা খাচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্রেতারা শঙ্কিত হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যেমন ঝুঁকির মুখে, তেমনি লক্ষ লক্ষ তরুণ–তরুণীর কর্মসংস্থানও হুমকির মুখে পড়েছে।
অভ্যন্তরীণ অশান্তি শুধু দেশীয় অর্থনীতি নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো বিনিয়োগ ও নিরাপত্তার কারণে সতর্কবার্তা জারি করেছে। আঞ্চলিকভাবে ভারত, চীন ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
জাতির এই দুর্দিনে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সহিংসতা বন্ধ করে রাজনৈতিক সমাধানের পথে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাংবিধানিক শাসন ও গণতন্ত্রের ধারাকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে বাংলাদেশ আবারও পশ্চাৎপদতার অন্ধকারে তলিয়ে যাবে।
আমাদের গোলাপ বনে যে গোখরা ঢুকেছে, তা শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, গোটা জাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ সময় এসেছে আমরা সকলে মিলে সেই বিষধর সাপকে প্রতিহত করি। অন্যথায়, বাংলাদেশ যে আলোর পথ ধরে চলতে শুরু করেছিল, তা অচিরেই নিভে যাবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫

নতুন বলেছেন: ইচ্ছাধারী নাগীন 17 May 1981 এ বাংলাদেশে ঢুকেছিলো। ;)

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

নতুন বলেছেন:

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৩

বিজন রয় বলেছেন: গোলাপ বন থাকলে গোখরা ঢুকবেই।

ঠেকানোর দায় বাগানের মালিকের।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: নতুন বলেছেন: ইচ্ছাধারী নাগীন 17 May 1981 এ বাংলাদেশে ঢুকেছিলো।

নতুন ভাই, বিষয়টি বুঝিনাই, ক্লিয়ার করুন।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০১

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



@নতুন,

"১৯৮১ সালে ১৭ই মে" শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন রাজাকারদের থামাতে। আপনি তো ছুপা মানুষ, উপরে ১ কথা বলেন, ভেতরে অ্ন্য কাজ করেন।

আপনার ভাগিনাকে পুলিশের গুলি থেকে সরায়ে নিয়েছেন; কিন্তু চেয়েছেন যে, অন্যেরা গুলিতে নিহত হোক!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.