![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম ও মানবতার প্রকৃত প্রশ্ন।
ধর্মের নামে যারা মুখে ফেনা তোলেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমার সরল প্রশ্ন
আমি যদি ধর্ম পালন না করি, কিংবা ধর্মে বিশ্বাস না করি, তবে শাস্তি ভোগ করবেন আমি, নাকি আপনি?
যদি উত্তর হয় হ্যাঁ, আমি শাস্তি ভোগ করব, তবে পবিত্র বেদ, গীতা, বাইবেল কিংবা কোরআনের কোথায় লেখা আছে যে আপনার শাস্তি আমার অবিশ্বাসের কারণে নির্ধারিত হবে?
আর যদি উত্তর হয় না, আমার কারণে আপনি শাস্তি ভোগ করবেন না, তবে কেন বারবার ধর্মের নামে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে?
অন্যকে খুন করার আগে কি একবারও ভেবে দেখেছেন আপনি নিজে আপনার ধর্মকে কতটা বিশ্বাস করেন? আপনার বিশ্বাস কি এতই ঠুনকো যে, কেউ বলে দিল “আপনার ধর্ম মিথ্যা”, আর সঙ্গে সঙ্গে আপনার ধর্মই মিথ্যা হয়ে গেল? বিশ্বাস কি এতই দুর্বল যে তা অন্যের কথায় ভেঙে পড়ে?
ধর্ম মানে দৃশ্যমান কিছু নয়। ধর্ম চোখে দেখা যায় না, হাতে ছোঁয়া যায় না। দাড়ি, টুপি, পৈতা বা ধুতি কোনো ধর্মবিশ্বাসের নিশ্চয়তা দেয় না। ধর্ম মূলত অন্তরের বিষয় অদৃশ্য এক বিশ্বাস, যা মানুষকে নৈতিক করে তোলে, সহনশীল করে তোলে, মানবিক করে তোলে।
ধর্ম পালনের যেমন আপনার অধিকার আছে, তেমনি ধর্ম না পালনের অধিকারও একজন মানুষের আছে। কেউ যদি গাছকে পূজা করে তাতেই প্রশান্তি পায়, তবে তাকে তার মতো করে বিশ্বাস করতে দেওয়া উচিত। কেউ যদি মসজিদ, মন্দির বা গির্জায় গিয়ে শান্তি খুঁজে পায়, তবে তারও স্বাধীনভাবে তা করার অধিকার থাকা উচিত। আবার কেউ যদি কোনো ধর্মে বিশ্বাস না করে, তবুও তার সেই অবিশ্বাসের অধিকারকে সম্মান জানাতে হবে।
তবে মনে রাখতে হবে ধর্মীয় স্বাধীনতার নামে অন্য ধর্মকে হেয় করা, অকারণে বিদ্বেষ ছড়ানো বা বিশ্বাসীদের আঘাত করা কখনো কাম্য নয়।
ধর্ম যদি সত্যিই মহান হয়, তবে তা অবশ্যই সহনশীল হবে। আর সহনশীলতা ছাড়া কোনো বিশ্বাস টেকসই হয় না।
আমরা কবে এমন সমাজ গড়ে তুলতে পারব
যেদিন হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আর কোনো জাতি-গোত্রভেদ থাকবে না,
যেদিন সবাই কেবল মানুষ হিসেবেই গর্ব করবে।
-- সালাউদ্দিন রাব্বী
সংখ্যালঘু বাচাও আন্দোলন।
বাংলাদেশ
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০০
বিজন রয় বলেছেন: যার ধর্ম সে পালন করুন। কিন্তু অন্যের যেন কোনো ক্ষতি না হয়।
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬
রাসেল বলেছেন: ধর্ম নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করার নির্দেশ দেয় নাই, যা ধর্মের অপব্যাখ্যা।
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম থেকে দূরে থাকাই মঙ্গল ।
৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২০
রাবব১৯৭১ বলেছেন: ৯ : ৫ فَاِذَا انۡسَلَخَ الۡاَشۡهُرُ الۡحُرُمُ فَاقۡتُلُوا الۡمُشۡرِكِیۡنَ حَیۡثُ وَجَدۡتُّمُوۡهُمۡ وَ خُذُوۡهُمۡ وَ احۡصُرُوۡهُمۡ وَ اقۡعُدُوۡا لَهُمۡ كُلَّ مَرۡصَدٍ ۚ فَاِنۡ تَابُوۡا وَ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَوُا الزَّكٰوۃَ فَخَلُّوۡا سَبِیۡلَهُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۵﴾فاذا انسلخ الاشهر الحرم فاقتلوا المشركین حیث وجدتموهم و خذوهم و احصروهم و اقعدوا لهم كل مرصد فان تابوا و اقاموا الصلوۃ و اتوا الزكوۃ فخلوا سبیلهم ان الله غفور رحیم ﴿۵﴾
অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক। তবে যদি তারা তাওবা করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩০
ধুলো মেঘ বলেছেন: আপনি যদি ধর্ম পালন না করেন, বা বিশ্বাস না করেন, তাহলে আমিও শাস্তি ভোগ করব। কেননা আপনার জন্য যে শাস্তি অপেক্ষা করছে - সে সম্পর্কে আপনাকে আমি সতর্ক করিনি।
উত্তর হ্যাঁ, রেফারেন্স নিচে দেয়া হল
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যদি কওমের কোনো ব্যক্তি পাপ কাজে লিপ্ত হয় এবং কওমের লোকেরা তাকে বারণ করতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও বারণ না করে তবে মৃত্যুর পূর্বেই আল্লাহ তাদেরকে আজাবে নিপতিত করবেন। (মেশকাত: ৪৯১৬)
অপর একটি হাদিসে জাবির (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা জিবরাঈল (আ.)-কে বললেন, অমুক শহরকে তার বাসিন্দাসহ উল্টিয়ে দাও। তখন জিবরাঈল (আ.) বললেন, হে প্রভু! তাদের মধ্যে আপনার অমুক বান্দাটি আছে যে জীবনে একটি পলকের জন্যও আপনার নাফরমানি করেনি। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, অত:পর আল্লাহ ইরশাদ করলেন যে, শহরটিকে ওই ব্যক্তিসহ ওই লোকদের উপর উল্টিয়ে দাও। কেননা মুহূর্তের জন্য ওই ব্যক্তির চেহারা এসব দুর্ষ্কমের কারণে পরিবর্তিত হয়নি। (মেশকাত: ৪৯২৫)
ধর্মের নামে কোন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছেনা - হচ্ছে ক্ষমতা, লোভ অথবা সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণে হচ্ছে।
যারা খুন করে - তারা কোন ধর্মের বাণীর তোয়াক্কা করেনা - বিশ্বাস তো আর পরের ব্যাপার।