![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা অবরোধ, আন্তর্জাতিক নীরবতা এক অন্তরীক্ষীয় আঘাত।
==========================================
গাজা এক শব্দে না বলা কষ্টের কোলাহল। কোথায় হারিয়ে গেলো আমাদের সামান্য মানবিক বিবেক? দুই বছরের যুদ্ধে বহু হতাহতের মাঝেই এখন সবচেয়ে নিষ্ঠুর তথ্য হলো ক্ষুধা ও রোগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে জনবসতির উপর নির্যাতন চালানো। আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশ্লেষণ বলে দিচ্ছে গাজার বড় অংশে ইতিমধ্যেই খরা-অভাবগত ক্ষুধা এবং ফামিনের ছায়া নেমে এসেছে; সাহায্য ব্লক করা হলে এই জাতিকে টুকরো টুকরো করে বাঁচিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক ঘটনা আরও উলঙ্গ করে দিয়েছে এই আমানুষিক চিত্র। গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিল্লা নামক উদ্ধার ও ত্রাণবাহী নৌকোসমষ্টি ইজরায়েলীয় বাহিনী দ্বারা থামানো হয়েছে। এতে শতাধিক বিদেশি কর্মী এবং ত্রাণ বাহক আটক হয়েছেন। যারা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মানবিক সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন, তারা জাহাজে আটক মানবতাকেই দমন করা হচ্ছে। আমরা জোরালোভাবে আহ্বান জানাই আটককৃত সমস্ত ত্রাণ কর্মী ও উদ্ধারকর্মী অবিলম্বে মুক্তি দিন।
এই অবরোধ কেবল শস্য ও খাদ্য আটকে রাখছে না স্বাস্থ্যসেবা-ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দিচ্ছে। হাসপাতালে আঘাত, মেডিকেল সাপ্লাই সংকট, এবং চিকিৎসাসেবার অবরোধের ফলে আহত ও অসুস্থ মানুষ যতটা সরাসরি বোমায় মারা যাচ্ছে, তার বাইরে আরও অসংখ্য লোক ক্ষুধা ও রোগে ধ্বংসশাত্রে পড়ছে। বিশ্বের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো সতর্কবার্তা দিয়েছে যে এক বিস্তৃত জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় চলছে।
এই অবস্থা কেবল ‘দুর্ভাগ্য’ নয় এটি কার্যত একটি পদ্ধতিগত কৌশল যার দ্বারা নির্দোষ বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে ভিক্ষুক করে ফেলা এবং তাদের অস্তিত্ব সংকুচিত করা যায়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বলছে ত্রাণকে ভয়ভীতি তৈরি করে আটকে রাখা হচ্ছে; সহায়তা পৌঁছানোর পথগুলো সুষ্ঠু রাখা হচ্ছে না; এবং মাঝে মাঝে সহায়তার লুঠপাট ও বাধা-প্রতিবন্ধকতার ঘটনা ঘটছে এই সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর।
একজন সম্পাদকীয় লেখকের কাজ শুধু বর্ণনা করা নয় এবং মানুষের বিবেককে জাগানো। তাই স্পষ্ট করে বলছি এভাবে একটি জাতিকে ধ্বংস করা যায়, তা আমরা সরাসরি কাজে দেখছি। আন্তর্জাতিক সমাজের সমস্ত ঘোষণাগুলো কাগজেই থেকে গেলে নিহত মানুষ আর ফিরে আসে না। শান্তিপূর্ণ জনগণের প্রতি লাগামহীন সহিংসতা, খাদ্য-অবরুদ্ধকরণ এবং চিকিৎসাসেবা-হরণ এই সব অপরাধ হিসেবে তদন্ত করা উচিত; অপরাধীদের সনাক্তকরণ ও দায়ভার আরোপে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়া জরুরি।
আমাদের দাবি স্পষ্ট:
১। দ্রুত, নিরাপদ ও অটক স্বাধীনভাবে মানবিক সহায়তা প্রবেশ করুক।
২।বেসামরিক জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা হোক।
৩। আটককৃত সকল ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মী অবিলম্বে মুক্তি দিন।
যে কোন নিয়মিত ও পদ্ধতিগত অবরোধ ঘটে, তার তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় আনা হোক।
পত্রিকাশ্রোতা ও পাঠকবৃন্দকে বলছি নীরবতা আর সম্মতি একই মুদ্রার দুই পিঠ। আমরা যদি আজ একত্রে উচ্চস্বরে প্রতিবাদ না করি, যদি আমাদের প্রতিনিধিদের কাছে চাপ না দিই, তাহলে ইতিহাস আমাদের মমতা-হীনতার জন্য জিজ্ঞাসা করবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া, মানবাধিকার সংগঠন, ধর্মীয় নেতারাসবা ইকে একযোগে মানবিক সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে হবে। গাজার নিহতরা সংখ্যার বাইরে তারা আমাদের মানবতার আয়নাও। তাদের সম্মান ও জীবন রক্ষাই আজ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩১
নতুন বলেছেন: আপনি দুরের নেতান ইয়াহুক কাজে কস্ট পাচ্ছেন।
আপনার কাছের শেখ হাসিনা ইয়াহুর কারনে যে কত মানুষ মারা গেলো, অন্ধ হলো, পঙ্গু হলো সেটা নিয়ে কস্ট পান না? তার বিচার চাইবেন না?
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: চোখের সামনে গাজা শেষ হয়ে গেলো।
মুসলিম বিশ্ব কিছুই করতে পারলো না।