![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আফগানিস্তান-পাকিস্তান যুদ্ধে বাংলাদেশের জঙ্গীদের মুখোশ উন্মোচন ।
-------------------------------------------------------------------------
আজ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। দুই মুসলিম রাষ্ট্র পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে অথচ বাংলাদেশে যারা নিজেদের "মুসলমানের রক্ষক", "খলিফার সৈনিক", "জিহাদের পতাকা বাহক" বলে প্রচার করে, তারা এখন নীরব। এই নীরবতাই প্রমাণ করে এরা ধর্ম নয়, বরং রাজনীতি ও টাকার দালাল।
যখন পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের মুখোমুখি হয়, তখন বাংলাদেশে কিছু ধর্মীয় মুখোশধারী দল, বিশেষত জামাত-শিবির ও তাদের উত্তরসূরী জঙ্গীগোষ্ঠীগুলো, পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে গলা ফাটায়। তারা বাংলাদেশে বসে পাকিস্তানি নীতির পক্ষে প্রচার চালায়, ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে, অথচ বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ নিয়ে একটিও শব্দ উচ্চারণ করে না। এদের চোখে পাকিস্তান মানেই ইসলাম, আর ভারত মানেই “কাফেরের দেশ” এই বিকৃত ধারণাই তাদের মগজে গেঁথে দেওয়া হয়েছে বিদেশি তহবিল আর দালাল মোল্লাতন্ত্রের মাধ্যমে।
কিন্তু এখন যখন পাকিস্তান ও আফগানিস্তান দুই মুসলিম রাষ্ট্র একে অপরের রক্ত ঝরাচ্ছে, তখন এই তথাকথিত খলিফার সৈনিকরা কাকে সমর্থন করবে, তা তারা নিজেরাও জানে না। কারণ তাদের "জিহাদ" ইসলাম রক্ষার নয়, বরং রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি রাখার হাতিয়ার। পাকিস্তান তাদের পুরোনো “আদর্শের মাতৃভূমি”, আর আফগানিস্তানের তালেবান তাদের “জিহাদের আদর্শ”। তাই এখন তারা দ্বিধায় কাকে ‘ভাই’ বলবে আর কাকে ‘শত্রু’ বলবে!
এটাই তাদের প্রকৃত মুখোশ যখন অন্যের যুদ্ধে ইসলাম নয়, স্বার্থ বড় হয়ে ওঠে, তখনই বোঝা যায় কারা ধর্মের ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশে এই ধর্মব্যবসায়ী মৌলবাদীরা ইসলামকে ব্যবহার করেছে রাজনীতি, ভোট, ক্ষমতা, আর তহবিল সংগ্রহের জন্য। স্বাধীনতার বিরোধী জামাত আজও একই মানসিকতা বহন করছে। তারা দেশের স্বাধীনতা মানে না, শহীদদের রক্তের মূল্য বোঝে না। আজকের প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে তারা ইসলাম ও জিহাদের নামে ঘৃণা ছড়ায়, তরুণদের ব্রেইনওয়াশ করে, আর পেছনে বিদেশি মদদে দেশের ভিত দুর্বল করে তোলে।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী ধর্মের নামে কেউ চিরকাল ভণ্ডামি টিকিয়ে রাখতে পারে না। বাংলাদেশের মানুষ এখন জানে কারা দেশপ্রেমিক, আর কারা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের দালাল। যারা ১৯৭১-এ পাকিস্তানের পতাকা বুকে নিয়ে নিজের ভাইকে হত্যা করেছিল, তারা আজও একই মানসিকতা পোষণ করে কেবল মুখোশটা বদলে গেছে।
এই যুদ্ধের সময়ই বাংলাদেশের জনগণকে সচেতন হতে হবে। বুঝতে হবে, মৌলবাদীরা ইসলাম রক্ষা করে না তারা ইসলামকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলের অস্ত্র হিসেবে। আফগানিস্তান-পাকিস্তান যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি আমাদের চোখ খুলে দেয় এই ধর্মব্যবসায়ী শক্তিগুলোর কোনো দেশ নেই, কোনো নীতি নেই, কোনো মানবতা নেই।
তারা কেবল অন্ধ ভক্তি ও রাজনৈতিক মালিকদের নির্দেশে চলে।
এদের পরাজিত করা মানে শুধু জঙ্গীবাদ নয়, বরং ভণ্ডামি ও মিথ্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সত্য, স্বাধীনতা ও মানবতার জয়।
©somewhere in net ltd.