| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের গভীর মোহভঙ্গ হয়েছে।
----------------------------------
আমাদের গভীর মোহভঙ্গ হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম ড. ইউনূস একজন শিক্ষিত, সভ্য ও মানবতাবাদী মানুষ। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, অন্তত তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শ্রদ্ধা করবেন, বিভ্রান্ত জাতিকে একটি সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনবেন। আমরা আশা করেছিলাম, তাঁর নেতৃত্বে দেশে স্থিতি, শৃঙ্খলা ও ন্যায়বোধ ফিরে আসবে। কিন্তু আজ বাস্তবতা নির্মম আমাদের সেই বিশ্বাস ভেঙে গেছে।
ক্ষমতায় এসেই ড. ইউনূস দেশের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে আরও গভীর অরাজকতায় ঠেলে দিয়েছেন। তিনি যেন অন্ধকারের এক নতুন দূত। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াত-শিবিরের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতা আজ আর গোপন নয়। এক সময় যিনি “দরিদ্রের বন্ধু” নামে পরিচিত ছিলেন, আজ তিনি রাজাকারদের সর্দার হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন। তাঁর পাশে এখন সেইসব মুখ, যারা একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদারদের পক্ষ নিয়েছিল।
আজ তিনি জামাত-শিবিরের হাত ধরে বিরোধী মতকে দমন করছেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছেন, মুক্তচিন্তাকে শত্রু বানাচ্ছেন। দেশের নারী সমাজ আজ ভয়ে দিন কাটাচ্ছে স্বাধীনভাবে ঘর থেকে বের হওয়ার স্বাধীনতাও হারিয়ে ফেলেছে।
অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী, কর্মসংস্থান স্থবির, বিনিয়োগকারীরা পালিয়ে যাচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হু হু করে কমছে। সাধারণ মানুষ আজ অনাহারে, অথচ ড. ইউনূস মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে চলেছেন দেশ নাকি উন্নতির পথে! এই অত্যাচার, মিথ্যাচার ও স্বার্থপরতা জাতির সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে।
আমরা প্রশ্ন করি এই কি সেই নোবেল বিজয়ী, যিনি একসময় দরিদ্র মানুষের মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন? এই কি সেই ব্যক্তি, যিনি আজ জামাত-শিবিরের দোসর হয়ে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন?
বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটি লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীন রাষ্ট্র। এখানে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদা সমান। অথচ আজ মানুষ মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে, সংবাদকর্মীরা সেন্সরশিপের ভয়ে কলম ধরতে পারছে না, ভিন্নমতই যেন অপরাধে পরিণত হয়েছে।
আজ সময় এসেছে এই অন্যায়, এই মিথ্যাচার, এই প্রতারণার বিরুদ্ধে জাতিকে একজোট হওয়ার। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে কখনোই পরাজিত হয়নি, হবেও না।
আমরা চাই মুক্তি মিথ্যা, দুর্নীতি ও দেশদ্রোহীদের হাত থেকে।
বাংলাদেশ বাঁচবে, বাঁচবে সত্য, বাঁচবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
২|
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:১২
খাঁজা বাবা বলেছেন: আবার পুরানো ডায়লগ
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কোনটা? যেটা হাসিনা বলে?
৩|
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: এখন আর দেশের মানুষ ইউনুসকে বিশ্বাস করে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমরা ভেবেছিলাম শেখ হাসিনা জংগিবাদ দমন করেছেন । কিনতু আমরা বুঝতে পারছি এখন আসলে তিনি জংগিবাদের চাষ করে গেছেন। বাঙালি এভাবে আর কখনো প্রতারণার শিকার হয়নি ।