| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়ামী লীগের আত্ম উপলব্ধি, আত্মসমালোচনা, আত্মশুদ্ধির এখনই সময়।
------------------------------------------------------------------------------
আওয়ামী লীগের এভাবে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া নিঃসন্দেহে অনাকাঙ্ক্ষিত, কিন্তু জাতি ও দলের বৃহত্তর স্বার্থে হয়তো এটি প্রয়োজনীয়ও ছিল। দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে একটি রাজনৈতিক দলে স্বাভাবিকভাবেই কিছু “অদৃশ্য শক্তি” জন্ম নেয় যারা দল ও নেতৃত্বের চারপাশে প্রাচীর তৈরি করে রাখে, সত্যকে আড়াল করে এবং তোষণনীতির জালে দলের মূল আদর্শকে ক্ষয় করে ফেলে। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।
২০২৫ সালের এই ধাক্কা তাই শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়; এটি একটি জাতিগত আত্মজিজ্ঞাসার মুহূর্ত। শত্রু-মিত্র, আদর্শিক ও স্বার্থান্বেষী এদের সীমারেখা এখন অনেকটাই পরিষ্কার। এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো, আত্মসমালোচনা করা এবং নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে এগিয়ে আনা।
ইতিহাস সাক্ষী ১৯৭১ সালে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জাতিসত্তা খুঁজে পেয়েছিলাম, আর ১৯৭৫-এ হারিয়েছিলাম রাষ্ট্রনায়ককে, যার পরিণতি আমরা এখনও বয়ে বেড়াচ্ছি। কিন্তু সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকেও আমরা শিক্ষা নিতে পারিনি। এবার ২০২৫-এর ধাক্কা যেন আমাদের সেই শিক্ষা নিতে বাধ্য করে।
আজকের বাংলাদেশে মানুষ ক্লান্ত দুর্নীতি, দমননীতি, রাজনৈতিক ভণ্ডামি, আর অতি-দলীয়করণের বিষাক্ত ছোঁয়ায়। আওয়ামী লীগের উচিত হবে এই সংকটকে সুযোগে রূপান্তর করা। এখন সময় এসেছে দলে গণতান্ত্রিক চর্চা ফিরিয়ে আনার, স্থানীয় পর্যায়ে নতুন নেতৃত্ব তৈরির, এবং “জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন” নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার।
দলকে বাঁচাতে হলে প্রথমে সত্যকে গ্রহণ করতে হবে। “সব ঠিক আছে” বলা বন্ধ করতে হবে। জনগণের সঙ্গে দলের যোগাযোগ পুনর্গঠন করতে হবে সেটা শুধুমাত্র নির্বাচনের সময় নয়, প্রতিদিনের জীবনে, মানুষের দুঃখে-সুখে পাশে দাঁড়িয়ে। আওয়ামী লীগ যদি সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ফিরে যেতে চায়, তবে তাকে “ক্ষমতা” নয়, “আদর্শ” কে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে প্রযুক্তিনির্ভর, স্বচ্ছ শাসনব্যবস্থা ও মানবিক মূল্যবোধের উপর দাঁড়ানো একটি দেশ। আওয়ামী লীগের সামনে তাই দুটি পথ পুরনো ভুলের পুনরাবৃত্তি, নাকি আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়ে নবজন্ম। এই মুহূর্তে দল যদি দ্বিতীয় পথটি বেছে নেয়, তবে ২০২৫ সালের ধাক্কা ইতিহাসে “পতন” নয়, “পুনর্জাগরণ”-এর সূচনা হিসেবে চিহ্নিত হবে।
উপসংহার:
আওয়ামী লীগের উচিত এখন দল পুনর্গঠন, মূল্যবোধ পুনঃস্থাপন ও জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের পথে হাঁটা। এই ধাক্কা জাতিকে যেমন চিনিয়েছে তার প্রকৃত বন্ধুকে, তেমনি দলকেও সুযোগ দিয়েছে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করার। সময় এসেছে শেখার, সময় এসেছে পুনর্জাগরণের। জ
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু।
-- সালাউদ্দিন রাব্বী
সহ-সাধারন সম্পাদক
বাংলাদেশ কৃষকলীগ, মুন্সীগন্জ জেলা।

©somewhere in net ltd.