| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জেল হত্যার ধারাবাহিকতা বঙ্গবন্ধু থেকে জেলখানার আজকের অন্ধকার পর্যন্ত
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সেই ভোরবেলায় খুনিরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে পৃথিবীর ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিকে হত্যা করেই তারা ভেবেছিল বাঙালির মুক্তির ইতিহাস থেমে যাবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মুছে যাবে।
কিন্তু হত্যার রাজনীতি সেখানে থামেনি।
মাত্র দুই মাসের মাথায়, ৩রা নভেম্বর ১৯৭৫ ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় নির্মমভাবে খুন করা হয় জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামানকে। এ চারজন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোর মেরুদণ্ড, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চার স্তম্ভ। সেই দিন জেলের ভেতরে রচিত হয়েছিল ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।
দুঃখজনক হলেও সত্য সেই রক্তাক্ত ইতিহাসের ধারাবাহিকতা আজও থামেনি।
আজও অভিযোগ উঠছে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কারাগারে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক যুক্ত করা হচ্ছে চিকিৎসা ও পুষ্টিকর খাদ্য, ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারকদের।
এ যেন সেই পুরোনো ষড়যন্ত্রেরই পুনরাবৃত্তি একটি আদর্শ, একটি দল ও একটি ইতিহাসকে নিঃশেষ করার অপচেষ্টা।
এক দল আরেক দলের সঙ্গে মতবিরোধে থাকতে পারে, কিন্তু বন্দি মানুষের প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড।
আমরা স্পষ্টভাবে দাবি জানাই।
কারাগারে বিষ প্রয়োগ ও অমানবিক আচরণের অভিযোগে স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
সঠিক বলেছেন।