| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু অন্যায় ব্যক্তিগত যা একজন মানুষের জীবন ও মর্যাদাকে ক্ষতবিক্ষত করে। কিছু অন্যায় গোষ্ঠীগত কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সংঘটিত হয়। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কিছু অন্যায় আছে যা কেবল ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না; সেগুলো সমগ্র মানবতার বিবেকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমন অপরাধের সামনে কোনো সভ্য বিশ্ব নিশ্চুপ থাকতে পারে না অন্তত থাকতে পারে না বলেই দাবি করা হয়। কিন্তু মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ও লজ্জাজনক অধ্যায় সেখানে, যেখানে এই ভয়ংকর অপরাধগুলো বিচারহীন থেকে যায়। যেখানে হত্যাকারীরা শাস্তি পায় না, আর নির্যাতিতরা ন্যায়বিচারের দরজায় দরজায় ঘুরে মরেও উত্তর পায় না। এই বিচারহীনতাই অপরাধকে আরও নির্দয় করে তোলে, ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে, সভ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও জাতিনিধন ছিল মানব ইতিহাসের হাতে গোনা জঘন্যতম আন্তর্জাতিক অপরাধগুলোর একটি। লক্ষ লক্ষ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা, অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ, গ্রাম-শহর ধ্বংস এসব ছিল পরিকল্পিত, রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট বর্বরতা। বিশ্বমানবতা তখন কেঁদেছিল, বিবেক নাড়িয়ে উঠেছিল। অথচ বাস্তবতা হলো এই অপরাধগুলোর বড় অংশ আজও বৈশ্বিকভাবে প্রায় অদৃশ্য, অবমূল্যায়িত, অবহেলিত।
এর চেয়েও ভয়ংকর সত্য হলো এই ভয়াবহ অপরাধের কারিগররা কেবল শাস্তিই পায়নি, বরং সময়ের সাথে সাথে হয়েছে পুনর্বাসিত। তারা বারবার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে মানবতা, ন্যায়বিচার ও ইতিহাসের মুখে। তাদের এ দেশীয় সহযোগীরা বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে অপরাধের পক্ষে যুক্তি দাঁড় করিয়েছে, হত্যাকারীদের মানবিক রূপ দিতে ব্যস্ত থেকেছে।
সবচেয়ে লজ্জাজনক ও বিপজ্জনক বিষয় হলো আজও এই দেশের মাটিতে কিছু কুলাঙ্গার খুন, হত্যা, ধর্ষণের দায় থেকে মুক্ত রাজাকার ও পাকিস্তানি দানবদের পক্ষে দাঁড়ায়। তারা ইতিহাস বিকৃত করে, শহীদের রক্ত অস্বীকার করে, গণহত্যার সত্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। প্রশ্ন উঠতেই হবে আর কতদিন এই রাষ্ট্র, এই সমাজ, এই বিশ্ব এমন নীরবতা সহ্য করবে?
বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এখন আর কোনো আবেগের বিষয় নয়, এটি আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। ১৯৭১ এর খুনিদের দেশীয় দোসরদের চিহ্নিত করে নির্মূল করা ইতিহাসের প্রতি, শহীদদের প্রতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি নৈতিক দায়। ন্যায়বিচার বিলম্বিত করা মানেই ন্যায়বিচার হত্যা করা।
এই মাটিতেই মানবতার শ্রেষ্ঠত্বের পতাকা আবার উঠতে হবে। মিথ্যার ওপর দাঁড়ানো ইতিহাস ভেঙে পড়বেই। আর সেই দিন আসবেই যেদিন অপরাধীর নাম অপরাধী হিসেবেই উচ্চারিত হবে, আর বাংলাদেশ বিশ্বমানবতার পক্ষে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। 
২|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: দাবার চাল উলটে গেছে।
এখন দেশ ৭১ এর পরাজিতদের হাতে।
৩|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
পুরানমানব বলেছেন: আমি আশ্চর্য হইয়া যাইতেছি, গুপ্ত লীগের পোনাগুলান রাজাকারদের সহিত তর্ক আর যুক্তিতে হারিয়া যাইতেছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৫৭
আহা রুবন বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে একটা মানসিকতা রয়েছে যত পশ্চিমের সেই মানুষ ও তাদের ধর্ম-সংস্কৃতিতে শ্রেষ্ঠতর মনে করে। এই হীমমন্যতার কারণেই পশ্চিম থেকে যারা রাজ্য দখল করতে এসেছে জনগন তাদের প্রতিরোধ করেনি। এরা সাদা চামড়া ও লম্বা মানুষের দাস।