নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.....

সহজ পৃথিবী

দেশ ভাবনাঃ চলুন দেশটা'র পরিবর্তন করে ফেলি।

সহজ পৃথিবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতিয় চার নেতার জেল হত্যাকান্ডে জড়িতদের তালিকা দেখুন

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫১



জেল হত্যা ঘটনাটি বাংলাদেশের রক্তাক্ত রাজনৈতিক ইতিহাসে ছিল একটি ফাইনেস্ট (খারাপ অর্থে) কিলিং। এখানে এসে একটু পজ না নেয়ার সুযোগ নেই। এই জঘন্যতম (হিনাস) হত্যাকান্ড সম্পর্কে না না অস্পস্টতা থাকলেও ঐ সময়ে এ্যাক্টিভ ইলিমেন্টসগুলোর তালিকা থেকে ডিডাক্টিভ মেথোডে সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে। আমি তালিকাটি দিচ্ছিঃ



১. খন্দকার মোশ্তাক চক্র ও আওয়ামী লীগের ভেতরের মোশ্তাক গ্রুপ।

২. জেনারেল জিয়াউর রহমান।

৩. খালেদ মোশারফ গ্রুপ।

৪. কর্নেল তাহের গ্রুপ।

৬. বেসামরীক সিএসপি আমলা গ্রুপ।

৭. বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে যুদ্ধের সময় ও পরবর্তীতে রিপেট্রিয়েটেড সেনা অফিসারদের মধ্য স্বাভাবিক ভাবেই আইএসআই এর ইিনফিল্ট্রেইট করা পরীক্ষিত পাকিস্তানি দেশ প্রমিক বাঙ্গালী সেনা অফিসার স্ট্রিম।



জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও সৈয়দ কামারুজ্জামানকেকে কারাগারে। ৩রা নভেম্বর সকালে ৪টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগারে মোসলেম এর নেতৃতে সেনা বাহিনীর একটি ঘাতক দল প্রবেশ করে। সেখানে এই চার নেতাকে ব্রাশফায়ার করা হয়। এই টানা ব্রাশফায়ারে একমাত্র তাজুদ্দিন মরে নাই সে ''পানি পানি'' করে চিতকার করতে ছিল এটা শুনে ধাতক রা আবার ফিরে আসে এবং এই পানির বদলে তাকে বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে মৃত্য নিশ্চিত করে।



দেখুন উপরের তালিকা থেকে যদি যে যে গুলি করেছে তাকে তাকে ছাড়াও পুরো ঘটনাটির পেছনে একটি চক্র একটি মোটিভেশন কাজ করে থাকে তাহলে "৩. খালেদ মোশারফ গ্রুপ" এই গ্রুপ ছাড়া বাকি সবাইকেই পাওয়া যায়।



সুতরং জেল হত্যার পেছনে নিচের এই তালিকাটি কাজ করেছে। এই সবগুলো দল ও ব্যক্তি কিছু কিছু অংশগ্রহন করে এই হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে।



১. খন্দকার মোশ্তাক চক্র ও আওয়ামী লীগের ভেতরের মোশ্তাক গ্রুপ।

২. জেনারেল জিয়াউর রহমান।



৪. কর্নেল তাহের গ্রুপ।

৫. বাংলাদেশ সেনা বাহিনী (অফিসার অর্থে)

৬. বেসামরীক সিএসপি আমলা গ্রুপ।

৭. বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে যুদ্ধের সময় ও পরবর্তীতে রিপেট্রিয়েটেড সেনা অফিসারদের মধ্য স্বাভাবিক ভাবেই আইএসআই এর ইিনফিল্ট্রেইট করা পরীক্ষিত পাকিস্তানি দেশ প্রমিক বাঙ্গালী সেনা অফিসার স্ট্রিম।



এখানে গুলি করেছে ৭, ৪ ও ৫ এই তিন গ্রুপের প্রতিনিধিরা। ষড়যন্ত্র, পরামর্শ, মন্ত্রনা দিয়েছে ৬, ১ ও ২ নং এর প্রতিনিধিরা।এবং এদের অনেকে এখনও বেঁচে আছে ও না না ভাবে ক্ষমতা ভোগ করছে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-১২

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৭

সাইক চৌধুরী বলেছেন: বন্দী জিয়াউর রহমান কে কোন যুক্তিতে আপনি সন্দেহ তালিকায় তালিকাভুক্ত করলেন, জানতে পারি কি?

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১২

প্র।ইভেট বলেছেন: ১. খন্দকার মোশ্তাক চক্র ও আওয়ামী লীগের ভেতরের মোশ্তাক গ্রুপ।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১২

জাগরূ৪৯ বলেছেন:


সাইক চৌধুরী বলেছেন: বন্দী জিয়াউর রহমান কে কোন যুক্তিতে আপনি সন্দেহ তালিকায় তালিকাভুক্ত করলেন, জানতে পারি কি?

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৬

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: জিয়াউর রহমানকে যুক্ত করবার পেছনে যুক্তি দেখান!!!!!!!

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩০

রবিন-৭৭ বলেছেন: কুলাঙ্গার জিয়া যেখানে স্বাঘোষিত রাজাকারকে দেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে পারে সেখানে তার পক্ষে এই কাজ করা অসম্ভব কিছু না।

সে তার ডাকাতির পাটনার কর্ণেল তাহেরকে ডাকাতির মালামাল ভাগাভাগির সময় মলমালিন্য হওয়ায় ফাসিতে ঝুলিয়েছে। একজন আপন বন্ধুকে যে এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করতে পারে। সেই কুলাঙ্গারের পক্ষে সব সম্ভব।

জিয়া বাংলার ইতিহাসের প্রমাণিত কুলাঙ্গার, এটা দিন দিন প্রমাণিত হচ্ছে। তার সমর্থকরা সব যুক্তি কর্তের উদ্ধে রাখতে চায় জিয়াকে এখন। আরণ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেই আদালত জিয়াকে বাংলার অবৈধ সন্তান ঘোষণা করে দেয়।

৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৭

সাইক চৌধুরী বলেছেন: রবিন, আপনার অনুমান নির্ভর অভিযোগ টা নিয়ে তো আপনি আরো গবেষনা করতে পারেন। কিন্তু আপাদমস্তক না জেনে আপনি কাউকে নিয়ে কিন্তু বিষেদ্গার করতে পারেন না। জিয়া কে কোন আদালত অবৈধ সন্তান ঘোষনা করেনি। বরং ৫ম সংশোধনীর বেশিরভাগ অংশ বাতিল করে দিয়েছে। লক্ষ্যনীয় যে যদি তার ক্ষমতা গ্রহন অবৈধ হয়েই থাকে তবে এই কিছু অংশ কি করে বাতিল হল না, তা আমার মত অতি সাধারনের পক্ষে বোঝা খুব কষ্টসাধ্য। তারপরও যিনি এ রায় দিয়েছেন, সেই বিচারপতি (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) খায়রুল হকের ব্যক্তি জীবন ও রাজনৈতিক জীবন দেখলে আমরা যে কেউ অনুমান করতে পারি।

৩ নভেম্বর জিয়াউর রহমান গৃহবন্দী ছিলেন, সেই মুহুর্তে কি ভাবে জেল খানায় এই হত্যাকান্ড তিনি ঘটালেন তা আমাকে আসলেই বেশ ভাবাচ্ছে। যাই হোক আব্দুল কাহার আকন্দ এর তদন্ত করেছিলেন এবং সে খানে এ ঘটনার মূল প্লট থেকে শুরু করে সব কিছুর একটা বিস্তারিত প্রতিবেদন ও তিনি দিয়েছিলেন। সেখানেও আমরা জিয়াউর রহমানের নাম দেখি না। আদালতের পর্যবেক্ষনেও এমন কিছু আসেনি। সুতরাং আশা করব আপনি আরো বিস্তারিত যেনে মন্তব্য করবেন। ধন্যবাদ

৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫১

সোহেল আরমান বলেছেন: জিয়া প্রতিনিয়ত ইতিহাসের খলনায়কে পরিণত হচ্ছে। বিএনপি সমর্থকরাও তা বোঝে। তার তারা জিয়াকে নিয়ে বেশি যুক্তি তর্কে যায়না। বিএনপি অফিসিয়াল ভাবেও বিষয়গুলা ক্লিয়ার করে না। শুধু বলে সব ষ ড়যন্ত্র। সত্য কখনো চাপা থাকে না। নতুন প্রজন্ম জিয়াকে একজন খলনায়ক হিসেবেই চিনবে।

আর ব্লগে ছাগুরা এখন আসল বিএনপি সমর্থকের চাইতেও বেশি বিএনপি সেজে থাকে। তারা বিএনপিকে ভুল পথে পরিচালিত করতে চায়।

৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫১

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: জিয়ারে ফাসাইতে পারলে আম্বারা খুব মজা পায়...।কারণে কারণে জিয়ার নামটা ঢুকায়া দেয়া একটা অভ্যাসে পরিণত হইছে। তাই না?

৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩১

মুক্ত মানব বলেছেন: ক্ষেক, ক্ষেক....................................।
জিয়ার নাম ক্যামনে আইল? আপ্নেরা মনে হয় আইজকার পত্রিকা দেখেন নাই। দেইখ্যা নেন।

আশরাফ ভাইরে ভারা পাইতাম। :(( :(( :(( :(( হের মাখাটা্ও মনে হয় গেল।

১০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৯

সহজ পৃথিবী বলেছেন: আমার মতে ৬. বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে যুদ্ধের সময় ও পরবর্তীতে রিপেট্রিয়েটেড সেনা অফিসারদের মধ্য স্বাভাবিক ভাবেই আইএসআই এর ইিনফিল্ট্রেইট করা পরীক্ষিত পাকিস্তানি দেশ প্রমিক বাঙ্গালী সেনা অফিসার স্ট্রিম।

এখন দেখেন এই গ্রুপে সেনা বাহিনীর কে কে পরে। গোপনে ও অতিগোপনে।

১১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৫

বাংলার কথা বলেছেন: কিছু ছাগল ই শুধু জিয়ার নাম বলতে পারে। ৭৫ এর ঘটনার জন্য শেখ মুজিব এর কৃতকর্ম ও বাল (বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ) দায়ী।

১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৬

সহজ পৃথিবী বলেছেন: খালেদকে ঠেকাতে জেলহত্যা!

জাতীয় চার নেতাকে কেন জেলখানায় হত্যা করা হলো, এর একটা জবাব দিয়েছেন ডেভিস ইউজিন বোস্টার। কথিত দুর্নীতির অভিযোগে ২৩ আগস্ট চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বোস্টারের কথায়, ‘অনেকের মতে, এই চার নেতা বেঁচে থাকলে খালেদ মোশাররফকে সমর্থন দিতেন। সম্ভাবনাময় ভারতীয় আজ্ঞাবহ নেতা বলেই তাঁদের ধ্বংস করা হলো।’
অথচ বোস্টার নিজেই নিশ্চিত ছিলেন না মোশাররফ ভারতপন্থী। ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম স্যাক্সবি অবশ্য তা-ই মনে করতেন। আর পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হেনরি বাইরোড এক তারবার্তায় লিখেছিলেন, খালেদ মোশাররফকে নিয়ে পাকিস্তান সন্দিগ্ধ। তাঁকে তারা রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী ভাবে। আর মার্কিন সাংবাদিক অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস লিখেছেন, মোশাররফ বোকা ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে পারতেন। তিনি তা করেননি। তিনি আসলে কিছুই করেননি। জনগণকে আস্থায় নিতে পারতেন, তা-ও করেননি। আসলে কোনো ভূমিকা না রাখার কারণে তাঁকে প্রাণ দিতে হয়।
এখানে লক্ষণীয় যে ঢাকা থেকে বোস্টারের পাঠানো তারবার্তাগুলোতে খালেদ মোশাররফকে ভারতপন্থী হিসেবে শনাক্ত করা হয়নি। বরং বোস্টার একটি বার্তায় বলেন, ‘যদিও মোশাররফ যে ভারতপন্থী ছিলেন, সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো প্রমাণ নেই এবং কারও মতে তিনি তা ছিলেনও না। কিন্তু তাঁকে ব্যাপকভাবে সেভাবেই দেখা হয়েছিল। এবং তাঁকে উৎখাতের ঘটনায় যে বন্য-উল্লাস এখানে হয়েছে, তাতে ভারতবিরোধী মনমানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’ বোস্টার অন্যত্র লিখেছেন, তিনি ভারতবিরোধী ছিলেন কি ছিলেন না, সেটা প্রশ্ন নয়। তাঁকে সেভাবেই চিত্রিত করা হয়েছিল। জনমনে তেমন একটা ধারণাই গেঁথে গিয়েছিল।
স্যাক্সবির মন্তব্য: লক্ষণীয় যে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পরপরই দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরও তাঁরা বৈঠক করেন। দুই পর্বেই মার্কিন কর্মকর্তারা ছুটে যান ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। ৭ নভেম্বর যান দিল্লির মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর। তিনি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ডেস্কের যুগ্ম সচিব আজমানির সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাক্সবি এ আলোচনার বিষয়ে ওই দিনই ওয়াশিংটনে এক তারবার্তা পাঠান। স্যাক্সবি লিখেছেন, ‘আজমানি বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ এবং অন্যরা মেজরদের দ্বারা হত্যার শিকার হয়েছেন।’ এখানে ‘মেজরদের দ্বারা’ কথাটি যে তাঁর (স্যাক্সবি) নয়, কথাটি আজমানি জোর দিয়ে উল্লেখ করেছিলেন, সে বিষয়টি তিনি তাঁর তারবার্তায় উল্লেখ করেন। আজমানি এ সময় মার্কিন পলিটিক্যাল কাউন্সিলরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে ব্যাংককে অবস্থানরত মেজরদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় দেবে কি না। জবাবে কাউন্সিলর বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে উল্লেখ করেন। তবে এই তারবার্তার লক্ষণীয় দিক হলো খালেদ মোশাররফ সম্পর্কে আজমানির মন্তব্য। স্যাক্সবি লিখেছেন, আজমানি বর্ণনা করেন, তাজউদ্দীন আহমদ ও অন্য যাঁরা নিহত হয়েছেন, ‘তাঁরা ভবিষ্যতের বাংলাদেশে জনগণের চোখে শহীদের মুকুট পরিধান করবেন। হয়তো সামরিক নেতারা এবং মোশতাক নিতান্ত সামরিক শক্তির জোরে এখন ক্ষমতায় টিকে যাবেন। কিন্তু তাঁর কথায় তাঁরা কোনো দিনই জনগণের হূদয়ে ঠাঁই পাবেন না। সেই সম্ভাবনা একেবারেই শূন্য।’ স্যাক্সবি এরপর লিখেছেন, আজমানি জেনারেল মোশাররফ সম্পর্কে বলেন, তিনি নিহত মুজিবের স্মৃতির প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন, উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁকে উৎখাত করার ঘটনা খোন্দকার মোশতাকসহ মুজিবের খুনিদের তরফে আরেকটি আঘাত। স্যাক্সবি বলেন, আজমানি এ সময় খালেদ মোশাররফের ভাগ্যে আজ সকালে কী ঘটেছে, তা তিনি অবহিত নন বলে জানান। মার্কিন পলিটিক্যাল কাউন্সিলর এ সময় আজমানিকে জিজ্ঞেস করেন, সামরিক বাহিনীর কাছে বাংলাদেশে বিকল্প নেতৃত্ব তাহলে কী দাঁড়াল। আজমানি জবাবে বলেন, চূড়ান্ত বিশ্লেষণে এটাই বলা যায় যে বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভাগ্য গণনা করছে। তাদের ভেতর থেকেই একদিন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে। এই তারবার্তায় স্যাক্সবি মন্তব্য করেন, ‘আমরা আগেও লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি বিমুখ। বাংলাদেশের ঘটনাবলি সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে ভারত সরকারের যথার্থ মনোভাবের পরিচয় ঘটেছে বলে আমরা মনে করি। আমাদের মতে, ভারতীয়রা জেনারেল জিয়াউর রহমানের চেয়ে জেনারেল মোশাররফকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। আর সে কারণেই তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। ভারত সরকার সম্পূর্ণ সচেতন রয়েছে যে, বাংলাদেশে সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের মূল্য তাদের খুব বেশি দিতে হবে। সংক্ষেপে বলা যায়, এই সময়ে তাদের ভূমিকা হবে দখলকারীর। কোনো সন্দেহ নেই যে তারা এমন কোনো পরিস্থিতি সহ্য করবে না, যা কিনা কোনো বেসামরিক গোলযোগ ডেকে আনবে। আর তা ভারতে ব্যাপক উদ্বাস্তু স্রোত সৃষ্টি করবে। আমরা অনুমান করতে পারি না যে কতটা সময় ধরে তারা তাদের বিকল্পগুলো নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করবে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, তাদের পর্যবেক্ষণ শুরু হয়ে গেছে এবং এ সময়ের মধ্যে কখনো তারা পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে।’
মোশাররফের নিয়ন্ত্রণে: বোস্টার লিখেছেন, ৪ নভেম্বর রাত ১১টায় বাংলাদেশ রেডিও ঘোষণা দিয়েছে, খালেদ মোশাররফ সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল জিয়াউর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন এবং তাঁকে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়েছে। তাঁর নিয়োগ ও পদোন্নতির তারিখ ৩ নভেম্বর বিকেল থেকে কার্যকর হবে। জিয়াউর রহমানের পদত্যাগ একই তারিখে কার্যকর বলে গণ্য করা হবে। বোস্টার পরে লিখেছেন, মৃত্যুর পরে তাঁর এই পদবি কেড়ে নেওয়া হয়।
বোস্টার ৪ নভেম্বর আরও লিখেছেন, মোশাররফের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে আসীন হওয়া এবং জিয়াউর রহমানের অপসারণ মেজরদের নির্বাসিত হওয়ার ঘটনাকে ম্লান করে দিয়েছে। আর এতে বাংলাদেশ সরকারের ওপর মোশাররফের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এই যে বড় পরিবর্তন হলো, তা মোশাররফ ও জিয়াউর রহমানের অনুগত সেনাদের মধ্যে কোনো সম্ভাব্য সংঘাত ডেকে আনে কি না, তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। এই তারবার্তা থেকে বোঝা যায়, পঁচাত্তরের এই সময়ে খালেদ মোশাররফ ও জিয়ার অনুগত বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কার ধারণা মার্কিন দূতাবাসের কাছে ছিল। কারণ, বোস্টার ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসমর্থিত প্রতিবেদনের বরাতে ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিলেন, আজ (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জানা গেল, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও যশোর থেকে জিয়াউর রহমানের সমর্থক সেনারা ঢাকা অভিমুখে এগিয়ে আসছে।
দুর্নীতির অভিযোগ: আগস্টে ডেভিস ইউজিন বোস্টার ঢাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন পররাষ্ট্র দপ্তরে। এই বার্তায় বলা হয়, ২৩ আগস্ট সামরিক আইনে মোশতাকের নতুন সরকার দুর্নীতির নানাবিধ অভিযোগে ২৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। মুজিব সরকারের সাবেক নেতাদের মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী, তাজউদ্দীন আহমদ এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান। অন্যদের মধ্যে শ্রমিকনেতা, সরকারি কর্মকর্তা ও দ্বিতীয় সারির রাজনৈতিক নেতা। গ্রেপ্তারের আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে এবং আরও কিছু আশা করা হচ্ছে। নতুন সরকার (মোশতাকের) পরিচ্ছন্ন সরকার গঠনের একটি সংকল্পের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। বর্তমান মন্ত্রিসভা সদস্যদের কারও কারও বিষয়ে হয়তো একটা সন্দেহ-সংশয় রয়েছে। সে কারণে নতুন সরকার হয়তো কিছুটা তাড়াহুড়া করে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
ডেভিস বোস্টার ওই তারবার্তায় এ প্রসঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদের নাম উল্লেখ করেছিলেন। বোস্টারের কথায় অন্তত তাজউদ্দীনের বিরুদ্ধে দুর্বল অভিযোগ আনা হয়েছে। হয়তো তাঁর কোনো একজন কথিত সহযোগীর জবানবন্দির ভিত্তিতে সে অভিযোগ খারিজ করা হতে পারে। যা হোক, ভবিষ্যতে আরও মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনে একজন প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যদের একটি দুর্নীতিবিরোধী সেল গঠন করা হয়েছে। ওই সেলে সেনাপ্রধান, প্রতিরক্ষা ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সাবেক পরিচালক সদস্য হিসেবে রয়েছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মোশতাক আহমেদ।
বুলেটে ঝাঁঝরা: ৬ নভেম্বর ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাক্সবি ভারতের পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশের ঘটনাবলি সম্পর্কে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে ওয়াশিংটনে একটি তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেই তারবার্তা থেকে দেখা যায়, ঢাকা থেকে ইউএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও মনসুর আলীর শরীর বুলেটে ঝাঁঝরা হয়েছিল। তাজউদ্দীনের মরদেহ থেকে বোঝা যায়, তাঁর নাক থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ ঘটেছিল এবং মনসুর আলীর বুক ও পেটে অনেক বুলেট বিদ্ধ হয়েছিল।’

১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৮

নষ্ট ছেলে বলেছেন: ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলার সাথেও জিয়া জড়িত।
২১শে আগষ্টে যারা গ্রেনেড হামলা করেছিল তাদের উপর জিয়ার আত্মা ভর করেছিল, সো গ্রেনেড হামলার মূল হোতা জিয়াই।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩৬

সহজ পৃথিবী বলেছেন: ১. খন্দকার মোশ্তাক চক্র ও আওয়ামী লীগের ভেতরের মোশ্তাক গ্রুপ।
২. জেনারেল জিয়াউর রহমান।
৩. খালেদ মোশারফ গ্রুপ।
৪. কর্নেল তাহের গ্রুপ।
৫. বাংলাদেশ সেনা বাহিনী (অফিসার অর্থে)
৬. বেসামরীক সিএসপি আমলা গ্রুপ।
৭. বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে যুদ্ধের সময় ও পরবর্তীতে রিপেট্রিয়েটেড সেনা অফিসারদের মধ্য স্বাভাবিক ভাবেই আইএসআই এর ইিনফিল্ট্রেইট করা পরীক্ষিত পাকিস্তানি দেশ প্রমিক বাঙ্গালী সেনা অফিসার স্ট্রিম।

দেখুন উপরের তালিকা থেকে যদি যে যে গুলি করেছে তাকে তাকে ছাড়াও পুরো ঘটনাটির পেছনে একটি চক্র একটি মোটিভেশন কাজ করেছে তাহলে "৩. খালেদ মোশারফ গ্রুপ" এই গ্রুপ ছাড়া বাকি সবাইকেই পাওয়া যায়।

সুতরং জেল হত্যার পেছনে নিচের এই তালিকাটি কাজ করেছে। এই সবগুলো দল ও ব্যক্তি মিলে মিশে একাকার হয়ে জেলে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে।

১. খন্দকার মোশ্তাক চক্র ও আওয়ামী লীগের ভেতরের মোশ্তাক গ্রুপ।
২. জেনারেল জিয়াউর রহমান।

৪. কর্নেল তাহের গ্রুপ।
৫. বাংলাদেশ সেনা বাহিনী (অফিসার অর্থে)
৬. বেসামরীক সিএসপি আমলা গ্রুপ।
৭. বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে যুদ্ধের সময় ও পরবর্তীতে রিপেট্রিয়েটেড সেনা অফিসারদের মধ্য স্বাভাবিক ভাবেই আইএসআই এর ইিনফিল্ট্রেইট করা পরীক্ষিত পাকিস্তানি দেশ প্রমিক বাঙ্গালী সেনা অফিসার স্ট্রিম।

১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২০

মাহমুদ মান্না বলেছেন: ১৩ নং

১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৮

সাইক চৌধুরী বলেছেন: ভালোই বলেছেন,নষ্ট ছেলে ।

১৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৫

সাজিদ বলেছেন: জেল হত্যা মামলার বাদি আমার নানা ছিলেন। উনি একমাত্র সেদিন খুনিদের বাধা দিতে যেয়ে নিজের জীবন খোয়াতে বসেছিলেন। তার মুখে খন্দকার মোস্তাক এবং সেদিন কিলিং মিশনে আসা কয়েকজনের কথা শুনলেও জিয়ার কথা একবারও শুনি নাই। আপনি গৃহবন্দি জিয়াকে কোন ওহি বলে এখানে দোষি দেখলেন?

১৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:২৩

বাংলার পোলা বলেছেন: জিয়া সরাসরি বংগবন্ধু বা চার নেতা হত্যা কোনোটার সাথেই সরাসরি জড়িত ছিলনা। তবে চার নেতা হত্যা বংগবন্ধু হত্যার ধারাবহিকতায় ঘটেছে, জাতে বাংলাদেশ আর কোনোভাবেই স্বাধীনতার মুলনীতি তে ফেরত জেতে না পারে বরং ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে পাকিস্তানি দের পথ অনুসরন করে।

এবং জিয়া মুজিব হত্যার কথা আগে থেকে জানতো কিন্তু নিজের হাত
গন্ধ করেনি.......তাই এটা ধরে নেয়া জায় চার নেতা হত্যায় ও তার সমথন ছিলো জেটা সে পরবতিতে প্রমান করে বংগবন্ধু ও চার নেতা হত্যা কারীদের দেশে ফিরায়ে বিচারের মুখোমুখি না করে বরং তাদের রাষ্ট্রদূত করে পুরস্ক্রিত করে

সেই অথ্রে জিয়া সরাসরি জড়িত না হলেও নৈতিক ভাবে চার নেতা হত্যার সাথে জড়িত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.