![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিক নাম দেইখা ডর খাইয়েন না।আমি আসলে খুব সাধারন মানুষ।আর জানতে ভালোবাসি জানাতে ভালোবাসি তাই নিজে যা জানব অন্যকেও তা জানাবো।
চেঙ্গিস খান (১১৬২-১২২৭) FACTS:
১।
চেঙ্গিস খানের সেনাবাহিনী প্রায় ৪ কোটি মানুষকে হত্যা করে, যা তৎকালীন পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১১%।
এই গণহত্যার ফলে অনেক শহর,গ্রাম পরিণত হয় বন-জঙ্গলে,যা পরিবেশ থেকে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন টন কার্বন অপসারণ করে।
২।
ব্যাভিচার,চুরি ও মিথ্যা বলা ঠেকানোর জন্য খান একটি কঠোর আইন তৈরি করেন, যার নাম ‘ইয়াসা’।
অনেকেই ভুল ধারণা পোষণ করেন যে, চেঙ্গিস খান মুসলিম ছিলেন।প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন ‘আকাশ আত্মা’ ও পাহাড়ের পূজারি,যাকে ‘শামানিজম’ বলা হয়।তবে তিনি অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল ছিলেন।
৩।
খান তাঁর প্রথম খুন করেন মাত্র ১০ বছর বয়েসে তাঁর সৎ বড় ভাইকে। কারণ? শিকার করে আনা খাবারের সমবণ্টন না করা।
৪।
খান শত্রুর চোখে ধুলা দেয়ার জন্য যুদ্ধের ময়দান থেকে পিছু হটে দ্রুত পাল্টা আক্রমণ করতেন।এটা করা হত অশ্বারোহী সৈন্যদের দ্বারা,যারা শুধুমাত্র পা দিয়ে ঘোড়া চালাতে পারতেন এবং হাত দিয়ে তীর-ধনুক চালনা করতেন।
৫।
১২১৯ সালে খানের পাঠানো দূতকে হত্যা করার অপরাধে তিনি খোয়ারিজমি সাম্রাজ্যের রাজধানী,বর্তমান ইরানের নিশাপুর শহরে আক্রমন করেন।খান নির্দেশ দেন, সকল প্রকার জীবিত প্রাণীকে হত্যা করার জন্য।শুধুমাত্র মানুষই হত্যা করা হয় প্রায় ১৭ লক্ষ ৪০ হাজার।মৃত মানুষদের লাশ দ্বারা পিরামিড নির্মাণ করা হয় চেঙ্গিস খানের সম্মানে।
৬।
কোন এলাকা জয়ের পর সেখানের তরুণীদের খান ও তাঁর সেনাপতিদের সামনে প্যারেড করানো হত।খান তাঁর সেনাপতিদের করা রেঙ্কিং এর ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া মেয়েদের সতীত্ব হরন করতেন।বাকি মেয়েদের তাঁর সেনাপতি ও সৈন্যদের কাছে পাঠানো হত।
৭।
খানের সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল এক কোটি ২০ লক্ষ বর্গমাইল বা এক কোটি তিরানব্বই লক্ষ বর্গকিলোমিটার,যা বর্তমান রাশিয়ার চেয়েও বড়।আর এই সাম্রাজ্য খান তৈরি করেছেন মাত্র ২১ বছরে(১২০৬-১২২৭)।
৮।
বর্তমান পৃথিবীর মোট পুরুষ জনসংখ্যার ০.৫% চেঙ্গিস খানের সরাসরি বংশধর, যা সংখ্যার হিসেবে মোটামুটি এক কোটি ৬০ লক্ষ।
৯।
১২২১ সালে খান একটি রাশিয়ান আর্মিকে পরাজিত করেন যারা সংখ্যায় খানের আর্মির ৪ গুন ছিল।রাশিয়ানদের সেনাপতিদেরকে কাঠের মঞ্চের নিচে শোয়ান হয় এবং তাঁর উপরে মঙ্গোল আর্মি নেচে-গেয়ে তাঁদের হত্যা করে।
১০।
১২২৭ সালে খুব সম্ভবত ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে খান নিহত হয়।তাঁর শেষকৃত্তে ৪০ জন কুমারি ও ৪০ টা ঘোড়া উৎসর্গ করা হয়।খানের সমাধিস্থল গোপন রাখার জন্য উপস্থিত প্রায় ২ হাজার অতিথিকে হত্যা করা হয়।
১১।
১৯৯৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর CNN ও Washington Post চেঙ্গিস খানকে “Man of the millennium” তথা “সহস্রাব্দের সবচেয়ে প্রভাবশালি ব্যাক্তি” ঘোষণা করে।
তথ্য ঃ ফেসবুক পাঠশালা ফেন পেজ
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭
রাঘব বোয়াল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।ভাই একটু কষ্ট কইরা উইকিতে গিয়া খোঁজ নিলে অনেক কিছুই জাইনা জাইবেন।
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
খেলাঘর বলেছেন:
সেই সময়ে সেটা সম্ভব ছিল; আপনি ওধরণের কিছু হওয়ার চেস্টা করছেন নাতো?
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: দারুন পোস্ট। ++
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮
রাঘব বোয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
সুমন কর বলেছেন: এইমাত্র ফেবুতে দেখলাম।
চেঙ্গিস খান (১১৬২-১২২৭) FACTS:
১।
চেঙ্গিস খানের সেনাবাহিনী প্রায় ৪ কোটি মানুষকে হত্যা করে, যা তৎকালীন পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১১%।
এই গণহত্যার ফলে অনেক শহর,গ্রাম পরিণত হয় বন-জঙ্গলে,যা পরিবেশ থেকে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন টন কার্বন অপসারণ করে।
২।
ব্যাভিচার,চুরি ও মিথ্যা বলা ঠেকানোর জন্য খান একটি কঠোর আইন তৈরি করেন, যার নাম ‘ইয়াসা’।
অনেকেই ভুল ধারণা পোষণ করেন যে, চেঙ্গিস খান মুসলিম ছিলেন।প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন ‘আকাশ আত্মা’ ও পাহাড়ের পূজারি,যাকে ‘শামানিজম’ বলা হয়।তবে তিনি অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল ছিলেন।
৩।
খান তাঁর প্রথম খুন করেন মাত্র ১০ বছর বয়েসে তাঁর সৎ বড় ভাইকে। কারণ? শিকার করে আনা খাবারের সমবণ্টন না করা।
৪।
খান শত্রুর চোখে ধুলা দেয়ার জন্য যুদ্ধের ময়দান থেকে পিছু হটে দ্রুত পাল্টা আক্রমণ করতেন।এটা করা হত অশ্বারোহী সৈন্যদের দ্বারা,যারা শুধুমাত্র পা দিয়ে ঘোড়া চালাতে পারতেন এবং হাত দিয়ে তীর-ধনুক চালনা করতেন।
৫।
১২১৯ সালে খানের পাঠানো দূতকে হত্যা করার অপরাধে তিনি খোয়ারিজমি সাম্রাজ্যের রাজধানী,বর্তমান ইরানের নিশাপুর শহরে আক্রমন করেন।খান নির্দেশ দেন, সকল প্রকার জীবিত প্রাণীকে হত্যা করার জন্য।শুধুমাত্র মানুষই হত্যা করা হয় প্রায় ১৭ লক্ষ ৪০ হাজার।মৃত মানুষদের লাশ দ্বারা পিরামিড নির্মাণ করা হয় চেঙ্গিস খানের সম্মানে।
৬।
কোন এলাকা জয়ের পর সেখানের তরুণীদের খান ও তাঁর সেনাপতিদের সামনে প্যারেড করানো হত।খান তাঁর সেনাপতিদের করা রেঙ্কিং এর ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া মেয়েদের সতীত্ব হরন করতেন।বাকি মেয়েদের তাঁর সেনাপতি ও সৈন্যদের কাছে পাঠানো হত।
৭।
খানের সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল এক কোটি ২০ লক্ষ বর্গমাইল বা এক কোটি তিরানব্বই লক্ষ বর্গকিলোমিটার,যা বর্তমান রাশিয়ার চেয়েও বড়।আর এই সাম্রাজ্য খান তৈরি করেছেন মাত্র ২১ বছরে(১২০৬-১২২৭)।
৮।
বর্তমান পৃথিবীর মোট পুরুষ জনসংখ্যার ০.৫% চেঙ্গিস খানের সরাসরি বংশধর, যা সংখ্যার হিসেবে মোটামুটি এক কোটি ৬০ লক্ষ।
৯।
১২২১ সালে খান একটি রাশিয়ান আর্মিকে পরাজিত করেন যারা সংখ্যায় খানের আর্মির ৪ গুন ছিল।রাশিয়ানদের সেনাপতিদেরকে কাঠের মঞ্চের নিচে শোয়ান হয় এবং তাঁর উপরে মঙ্গোল আর্মি নেচে-গেয়ে তাঁদের হত্যা করে।
১০।
১২২৭ সালে খুব সম্ভবত ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে খান নিহত হয়।তাঁর শেষকৃত্তে ৪০ জন কুমারি ও ৪০ টা ঘোড়া উৎসর্গ করা হয়।খানের সমাধিস্থল গোপন রাখার জন্য উপস্থিত প্রায় ২ হাজার অতিথিকে হত্যা করা হয়।
১১।
১৯৯৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর CNN ও Washington Post চেঙ্গিস খানকে “Man of the millennium” তথা “সহস্রাব্দের সবচেয়ে প্রভাবশালি ব্যাক্তি” ঘোষণা করে।
তথ্যসুত্রঃ
New York Times, Daily Mail, Biography.com, History.com, National Geographic, United Press International
এভাবে কপি-পেস্ট করে ব্লগিং হয় না।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০২
রাঘব বোয়াল বলেছেন: ভাই আমার পোস্টের নিচে তথ্য সুত্র দেয়া আছে।কপি পেস্ট করছি সবাইরে জানায়া করছি।আর ভালো কোন তথ্য আমি জেইখান থেকেই যানি না কেন ব্লগে সবার সাথে শেয়ার করার অধিকার আমার আছে।আর যেহেতু আমি তথ্য সুত্র দিয়ে দিছি সেহেতু আমি মনে করিনা আমার কোন ভুল হইছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: দুর্ধর্ষ চেঙ্গিস খান সম্বন্ধে যা পড়লাম, তাতো কিছু কথা নয়, অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। চোখ আমার মাথার উপরে উঠে গেছে যেন। কীভাবে এটা সম্ভব? ৪ কোটি মানুষ হত্যা করেছে। আমি নাই।
মূল তথ্যের কোন লিংক দিতে পারবেন? যেটা আছে সেটাতো ফেসবুক পাঠশালা ফেন পেজ। তাও আবার লিংক ছাড়া।
জানি না সত্যি কিনা, তবুও তথ্যগুলো জানতে পাড়লাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।