![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিক নাম দেইখা ডর খাইয়েন না।আমি আসলে খুব সাধারন মানুষ।আর জানতে ভালোবাসি জানাতে ভালোবাসি তাই নিজে যা জানব অন্যকেও তা জানাবো।
আসুন জেনে নেই তার সম্বন্ধে কিছু তথ্য ঃ
(১) সহস্র বছরের শেষ ভাগে মানুষকে পাপ পন্কিলতা হতে মুক্ত করতে “মসীহ” এর আবির্ভাব হবে- এ মতের স্রস্টা ছিলেন জৈনপুরের সাইয়েদ মুহাম্মদ ।তিনি চালু করেন ভক্তি ও মাহদী আন্দোলন।তখন আফগানিস্তানেও অনুরূপ মাহদী পন্হন্থি ছিল যারা চালু করে রাসনি আন্দোলন।এই সমস্ত আন্দোলন বাদশাহের মনে প্রভাব বিস্তার করে।তিনি একজন পয়গম্বর ও ধর্মমত প্রবর্তক হওয়ার সংকল্প করেন।
(২) আকবর তার ধর্মের নতুন কালিমা চালু করেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আকবার খালিফাতুল্লাহ।
(৩) ইরানী আলেম বাদশাহের দরবারে উপস্থিত হয়ে আলী(রা) ব্যতিত অন্য তিন খুলাফায়ে রাশেদীনের সম্বন্ধে সমালোচনা মুখর হন।তিনি সালাত,সওম,মুজিজা,ওহী ইত্যাদিকে কুসংস্কার বলতেন। তাই হাদিস নয় যুক্তিই আকবরের নিকট একমাত্র বুনিয়াদ হিসাবে স্বীকৃত হয়।
(৪) আবুল ফজল আকবরকে এই মর্মে অবহিত করেন যে ডাক্তারের পরামর্শে মদ পান করা যায়।তার পরামর্শে আকবর সকলের মদ প্রপ্তির সুবিধার্থে প্রাসাদের নিকটে মদের দোকান চালু করেন।নববর্ষ ভোজের সময় তিনি ঊলামা,ক্বারী, মুফতিদের মদ পানে উতসাহিত করতেন।আকবরের প্রধান কাজী আবদ উজ সামি মদ্যপ ও জুয়ারী ছিলেন এবং একে বৈধ মনে করতেন।
(৫) হাজী ইব্রাহীম নামে এক ব্যক্তি জাল হাদিস প্রচার করে যে- এক সাহাবীর ছেলে দাড়ি মুন্ডিত অবস্থায় রাসুল(স) এর খেদমতে হাজির হলে রাসুল(স) তাকে দেখে বলেন বেহেস্তের লোকেরা এরূপ মুন্ডিত চেহারার হবে।এই ঘটনা শুনে বাদশাহ সবাইকে দাড়ি মুন্ডনে উতসাহিত করেন।
(৬) শাইখ তাজ উদ্দিন বলতেন -যুগের সুলতান ই পরিপূর্ণ মানুষ(ইনসানে কামেল)।কাজেই তার সামনে যমীন বুসি করা যায়।তার মতবাদ ছিল “লা মওজুদা ইল্লাল্লাহ” মানে হলো আল্লাহ ছাড়া কোন কিছুরই অস্তিত্ব নাই (সবই অল্লাহ) ।তিনি তাই আকবরকে দেখলেই সেজদা করতেন।পরে
এই প্রথা দরবারে চালু করা হয়।
(৭) পুরুষোত্তম ব্রাক্ষনের প্রভাবে আকবর জন্মান্তর বাদে আকৃস্ট হন এবং তার নতুন ধর্মমতে পুনর্জন্মবাদ যুক্ত করেন।
(৮)সূর্যের মর্যাদা বড় করতে আবুল ফজল বলতেন -যদি সূর্য উচ্চ মর্যাদার না হত তবে কোরআনে কেন এর উল্লেখ আছে ?আকবর তার হিন্দু সহধর্মীনিদের প্রভাবে সূর্য বন্দনা করতেন।এই সূর্য ভক্তি ক্রমে আগুন ভক্তিতে রূপ নেয়।তিনি দরবারে শিখা অনির্বাণ জ্বালানোর নির্দেশ দেন।
(৯) রাজা দেবচাঁদ বলতেন -গরু আল্লাহর দরবারে সম্মানিত।তাই কোরআনের প্রথম দিকেই এর উল্লেখ আছে।আকবর তার হিন্দু রানীদের প্রভাবে গরুর মাংশ খাওয়া ছেড়ে দেন।
(১০) হিন্দু সমাজের মতো তিনি মুসলিমদেরও নিকট আত্মীয় (মামাত/চাচাত.....) ভাইবোনের বিয়ে রহিত করেন।
(১১) পারসি প্রভাবে আকবর মৃতদেহকে দাফন করা অপছন্দ করতেন।
(১২) হিন্দু সমাজে সুদ খাওয়া নিষিদ্ধ নয়।একারনে আকবর সুদ ব্যবসা ও সর্ব প্রকার জুয়া বৈধ ঘোষনা করেন।
(১৩) খৃস্টান প্রভাবে আকবর রাসুল(স) এর নাম সমূহ যেমন মুহাম্মদ, আহমদ মুস্তাফা ইত্যাদি নাম রাখা দূষনীয় মনে করতেন।
(১৪) মুক্ত বুদ্ধির একদল নাস্তিক পারস্য হতে পালিয়ে আকবরের দরবারে আসেন।তারা কাউকে নামাজ পড়তে দেখলে ঠাট্টা করে বলত আল্লাহ আসমানে আছেন, তোমরা মাটিতে সেজদা কর কেন ? এই সম্প্রদায় বলে বেড়াত ইসলামের সময় শেষ এখন নতুন ধর্মমত দরকার।আকবর এতেও প্রভাবিত হন বলে কারো কারো ধারনা।
(১৫) সম্রাট আকবর যিনা কে বৈধ মনে করতেন ।বাদায়ূনী বলেন- আকবর শহরের বাইরে “শয়তান পুর” নামে পতিতালয় চালু করেন।
এই হল আমাদের মহামতি (নাকি মতি ভ্রম) আকবর !!!!!!
লিখাটির সম্পুর্ন কৃতিত্ব কাজী মাহমুদ রুম্মন এর
১৪ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২২
রাঘব বোয়াল বলেছেন: সে শৌর্য বির্জে দি গ্রেট।ধর্ম নিয়া তার ভালোই সমস্যা আছে।
২| ২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪২
রানার ব্লগ বলেছেন: অনেক তথ্য দিলেন, আশা করি ঐতিহাসিক লিঙ্ক গুলো ও দিবেন।
২০ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
রাঘব বোয়াল বলেছেন: চেস্টা থাকবে। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: বলেন কি ভাইজান!!! আকবর দি গ্রেট এর এই অবস্থা!!!