নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...............

শ্রাবণধারা

" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."

শ্রাবণধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্যসন্ত্রাস

১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩



জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান যেমন আমাদের দেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যাগুলো উন্মোচিত করেছে, তেমনি এটি ভারতের বাংলাদেশ সংক্রান্ত কূটকৌশল, সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এবং এর ষড়যন্ত্রগুলোকে সম্পূর্ণ প্রকাশ্যে এনেছে। শত্রু যখন তার চেহারা উন্মোচন করে, তখন তা একদিকে উপকারী - কারণ এতে তাকে চেনা এবং মোকাবিলা করার পথ স্পষ্ট হয়। এই প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূস ইতিমধ্যে তাঁর দূরদৃষ্টি ও কৌশলগত সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।

বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পরে ভারতের সরকার শুধুমাত্র পলাতক স্বৈরাচারী হাসিনাকে আশ্রয় এবং নিরাপত্তা দেওয়ার মধ্যেই থেমে থাকেনি, বরং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা ধারাবাহিকভাবে তথ্যসন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রথমে তাদের ভুয়া প্রচারণা ছিল সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার মিথ্যা খবর নির্ভর। কিন্তু যখন দেখা গেল এই বানোয়াট গল্পগুলো খুব বেশি কার্যকর এবং বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না এবং এগুলো দিয়ে সাম্পদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করা গেল না তখন তারা অন্য ধরনের বয়ান তৈরি শুরু করলো। তাদের সাম্প্রতিক প্রপাগান্ডাগুলো হলো বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটছে, শেখ হাসিনা শিগগিরই ফিরে আসছেন - এ জাতীয় দুর্বল কিছু গল্পের উপর ভিত্তি করে।

সাম্প্রতিক সময়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি খবরের শিরোনাম দিয়েছে: "শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শিগগিরই ফিরে আসবেন"। এই সংবাদে আমেরিকা প্রবাসী এক আওয়ামী সন্ত্রাসী রাব্বি আলমের উদ্ধৃতি ব্যবহার করে প্রচার করা হচ্ছে যে - "আমরা বাংলাদেশের উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে এবং যেখান থেকে এসেছেন সেখানে ফিরে যেতে বলতে চাই। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসছেন। তরুণ প্রজন্ম ভুল করেছে, কিন্তু এটা তাদের দোষ নয়; তাদের কারসাজি করা হয়েছে।"

এই একই খবর টাইম গ্রুপের অন্যান্য পত্রিকা ও ইন্ডিয়া টুডেতেও প্রকাশিত হয়েছে। এই ঘটনাগুলো থেকে স্পষ্ট যে ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত তথ্যসন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের প্রপাগান্ডা মেশিন নিরলসভাবে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করছে।

ভারতীয় গণতন্ত্র বর্তমানে গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অমর্ত্য সেনের পর্যবেক্ষণ অনুসারে, ভারতের বর্তমান সরকার কট্টর হিন্দুত্ববাদী আদর্শের আধিপত্যে পরিচালিত। তিনি উল্লেখ করেছেন, "আজকের বিজেপির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আধিপত্য আরএসএসের, যারা মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিল। সে সময়ের উগ্রপন্থী আরএসএস ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে সর্বশেষ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। তাদের বিজয়ের অন্যতম ভিত্তি ছিল হিন্দুত্ববাদের রাজনৈতিক প্রয়োগ।" তিনি বলেন "সমস্যা হলো, বহু জাতি ও ধর্মভিত্তিক ভারতকে ধারণ করার মতো মোদির দূরদৃষ্টি নেই। কারণ, ছোটবেলা থেকেই তিনি আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত, ফলে তার দৃষ্টিভঙ্গি সেই আদলেই গড়ে উঠেছে।"

অমর্ত্য সেন আরও বলেন, "ভারতের জনসংখ্যা ১০০ কোটির বেশি। এর মধ্যে ২০ কোটি মুসলমান, ২০ কোটি দলিত (অস্পৃশ্য সম্প্রদায়), এবং ১০ কোটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন, যাদের অবস্থা দলিতদের চেয়েও খারাপ। এছাড়া, হিন্দু জনগোষ্ঠীরও একটি বড় অংশ মোদিকে সমর্থন করে না। তাঁদের অনেককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ মোদিকে সমর্থন করে, এটি বলা কঠিন।"

ভারতে বর্তমানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরমভাবে সংকুচিত। তিনি ব্যাখ্যা করেন, "সরকারবিরোধী সংবাদমাধ্যম সরকারি বিজ্ঞাপন পায় না, এমনকি বেসরকারি বিজ্ঞাপনও কমিয়ে দেওয়া হয়। সরকারি বিধিনিষেধের কারণে টিভি চ্যানেল বা সংবাদপত্রের স্বাধীনভাবে কাজ করা অত্যন্ত কঠিন।"

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভারত প্রতিবেশী নিয়ে ভুল পথে এগুচ্ছে।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০৭

জিকোব্লগ বলেছেন:



এই ব্লগের হাসান কালবৈশাখীর মত দেশে অনেক
খুনি হাসিনার সন্ত্রাসীলীগের চামচা আছে, যারা
ভারতকে প্রভু ভক্ত করে। এইসব কুলাঙ্গাদের জন্যেই
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় গণমাধ্যমের এইসব
তথ্যসন্ত্রাস করতে পারে।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: গতদিন হোলির দি ইন্ডিয়াতে মুসলিম মসজিদগুলোর সামনে কী হয়েছে সেটা দেখেছেন নিশ্চয়ই। এই কাজ যদি বাংলাদেশে কোন মুসলিম উৎসবের দিন মন্দিরের সামনে হত তাহলে তাদের বাদর নাচ দেখার মত হত ! এরাই আবার আমাদের সংখ্যা লঘু নিয়ে সবক দেয় আর আমাদের দেশে জন্মানো তাদের কতিপয় মোদীর পুত সেগুলো নিয়ে আবার নাচানাচিও করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.