নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবি, লেখক, চিত্রকর

ব্রাত্য রাইসু

কবি, লেখক, চিত্রকর

ব্রাত্য রাইসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুতার কী পাপ হে, পৌত্তলিক?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৪৫

কিছুদিন আগে শহীদ মিনারে গেছিলাম সঞ্জীব চৌধুরীর মৃত্যুরে জাতীয়করণ করার সময়ে। তো আমি গুরুত্বপূর্ণ হইয়া হইয়া উঠতেছেন এমন মানুষজনরে দেইখা শহীদ মিনারের মূল বেদীর দিকে আগাইয়া যাইতেছিলাম। আমার পায়ে জুতা ছিল। একজন আইসা আমারে ভদ্রতা সহকারে ওইখান থিকা নামাইয়া দিতে চাইলেন। আমার তাতে আপত্তি নাই। যেইখানে জুতা না নিয়াই যাওয়া ভালো, সেইখানে জুতা নিব কেন? আমার দার্শনিক মন প্রশ্ন করল, কিন্তু জুতা না কেন? তো আমি ওনারে জিজ্ঞেস করলাম, কিন্তু জুতা থাকলে সমস্যা কী? তখন আমার পরিচিত লোকজন, যারা আমার জুতার শহীদ মিনার ভ্রমণে লজ্জায় লুকাইয়া ছিলেন, আগাইয়া আইসা বললেন, তুমি তো শিক্ষিত লোক, তোমারেও বইলা দিতে হবে!



এখন উপসনালয়ে জুতা পইরা যাইতে দেয় না। শহীদ মিনারেও দেয় না। কিন্তু আপনি যদি জুতা হাতে নিয়া ঘোরেন, নিজের পাশে জুতারে বসাইয়া রাখেন অসুবিধা নাই। এমনকি আপনে মসজিদে হারাইয়া যাওয়ার ভয়ে জায়নামাজের পাশেই জুতা রাইখা দিছেন, পিছনের কাতারের নামাজির মাথা হয়তো আপনের জুতারেই প্রায় স্পর্শ করতেছে। তাইলে পবিত্রতার ধারণাটা কী?



উপসনালয়ে, তথা সেক্যুলার উপাসনালয়ে (যথা শহীদ মিনার) জুতা হাতে ঘুরতে হবে। সেক্যুলাররা এই ধর্মীয় কেতা রপ্ত করলেন কেন? জুতা অপরিষ্কার থাকে তো ধোওনের ব্যবস্থা করেন। পবিত্রতা তো মনে থাকে। জুতা পায়ে থাকলে অপবিত্রতা হয় হাতে থাকলে হয় না এই পৌত্তলিকতা থিকা বাইরাইয়া আসন দরকার।



ধর্মনিরপেক্ষ ও ধর্মসমন্বয়বাদীদের উপসনালয়ে জুতা পাঠের ব্যবস্থা করার জন্য পৌত্তলিক ঘরানার সেক্যুলারদের প্রতি বিনম্র আহবান।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১৬/-১০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৪৯

কৌশিক বলেছেন: জুতা চুরি বন্ধেরও একটা বিহিত হইতো মসজিদের!

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৫১

শমালম বলেছেন: এক্মত। এইটা হইতে পারে আম্গো ধর্মান্দ সংস্কতির কুপ্রভাব। সেক্যুলার মুখে হইলেও সবাই মনে হইতে পারেন্নাই। যাউগ্গা শুন্ছি আপ্নে নাকি আবার যাযাদি যাইতাছেন গঠনা সইত্য নাকি?

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:৫১

গণ্ডার বলেছেন:
চার্চেতো জুতা খুলনের ঝামেলা নাই

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:১৬

মুজিব মেহদী বলেছেন: এটাতে একটু দেখানোপনা আছে বলে মনে হয়। অন্যেদের এইটা বুঝানো যে, দেখ, আমি শ্রদ্ধা করছি।

আমার পোড়াচোখ রাত জেগে শহর চষে বেড়ানোর বয়সে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মিনার-পাদদেশে যৌনকর্ম হতেও দেখেছে। একটু কেমন কেমন লেগেছে, কিন্তু কিছু বলিও নি। কেন বলি নি তার জবাবও কখনো খুঁজে দেখি নি।

আমি যখন সবান্ধবে ওদের আশপাশে ঘুরঘুর করেছি, তখন জুতা আমাদের পায়েই ছিল, হাতে নেই নি। রাত্রিবেলা বলে কথা। তবে দিনের বেলা আমি ওখানে যতবার গেছি, ওপরে উঠলে জুতা খুলেই উঠেছি। তো দিনে খুলি, রাতে খুলি না-- এইটার ব্যাখ্যা কী? পবিত্রতার ধারণা কি দিনে রাতে দু'রকমভাবে কাজ করে?


আমার মনে হয়, মনের শ্রদ্ধাই একমাত্র খাঁটি, আর সব মেকি। তা যেকোনো ব্যাপারে বা প্রশ্নেই হোক।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:১৮

এম.এ.হামিদ বলেছেন: ব্রাত্য একটা ভন্ড। যা গিয়া রাজাকার কামরুজ্জামানের পোলা ড়াজাকার ওয়ামীর সাথে নাচ গিয়া

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:২১

হুদাই বলেছেন: জুতা না পরলে কি হয়?

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:২৩

এস্কিমো বলেছেন: আমার দার্শনিক মন ..............

সক্রেটিসের মৃত্যে পর এই প্রথম কেউ নিজেরে দার্শনিক দাবী করলো। অভিনন্দন।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৮

উন্মনা রহমান বলেছেন:
শহীদ মিনার একটা প্রতীক, শ্রদ্ধা জানানোর সুবিধার জন্য। জুতা খুলে যাওটাও শ্রদ্ধা জানানোরই অংশ। এতে অসুবিধা তো দেখি না। সারা জীবন তো জুতা পড়েই ঘুরলাম, একদিন না হয় মাটিতে পা রাখি। জুতা রাখতে সমস্যা হলে মেয়েরা ভ্যানিটি ব্যাগে, ছেলেরা পান্জাবির পকেট রাখতে পারেন। মসজিদে জুতা খুলে মাথার সামনে রাখাটাও অদ্ভুত। নামাজ পড়বেন না জুতা নিয়া টেনশনে থাকবেন? ভারতের অনেক মন্দিরে জুতা জমা রেখে টোকেন দেয়। মসজিদে জুতা চুরি এড়ানোর জন্য পুরানা বা দুই রং এর জুতা ব্যবহার করা যায়। জুতা একটু ছিদ্র করেও রাখা যায়। ওয়ান টাইম জুতা হলেও সেটা নিয়ে চিন্তা থাকে না। আর যারা বেশী ব্যবসা বুদ্ধি রাখেন তারা মসজিদের অনতিদুরে সেকেন্ড হ্যান্ড জুতার দোকান দিতে পারেন।

৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:০৬

কৌশিক বলেছেন: উন-মনা!

১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:০৯

উন্মনা রহমান বলেছেন:
বুঝলাম না! @কৌশিক

১১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:১৭

হলদে ডানা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ

১২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:১৯

কৌশিক বলেছেন: শ্রদ্ধা জানানোর তরীকাটা বদলালে হয় না! আপনি সমস্যাগুলো আরো প্রকটভাবে দেখলেন, আর অঙ্কিত সমাধানের চিত্র ততটাই অবাস্তব।

১৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:১২

হাসিবুল বলেছেন: সহমত

১৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:০২

সুতরাং বলেছেন: জুতার সঙ্গে ইবাদত ও শ্রদ্ধা জাননোর সম্পর্ক আছে কী নেই- সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু জাতীয় শহীদ মিনারে, যেখানে হাজার হাজার মানুষ কাউকে শ্রদ্ধা জানাতে কিংবা শেষবারের মতো দেখতে আসছে, তাদেরকে (তাদের অধিকাংশজনকে) জুতা দ্বারা সেন্টিমেন্টে আঘাত করার অধিকার কোনও ব্যক্তির আছে কি-না সেই প্রশ্নও জাগতে পারে। সামাজিক রুচির বিরুদ্ধে কিংবা প্রচলরীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে সবকিছু নিয়েই দাঁড়ানো উচিত। যেমন- রাস্তায় সবাই দেয়ালের দিকে মুখ করে মোতে। হেগে পানি খরচ করে। এটাও মানুষের তৈরি একটা প্রচলরীতি। আপনি যদি এসব মানেন, তবে জুতা খুলে ওঠাটা মানবেন না কেন?

১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:১৭

সৈয়দ দেলগীর বলেছেন: শ্রদ্ধা ভালোবাসা বিষয়টা একেবারেই অন্তর্গত। অন্তরের শ্রদ্ধা কমায় জুতার সেই অধিকার কই? কিন্তু আবার অন্তর বিষয়টা একান্তই ব্যক্তিক। কারো অন্তরে কিছুর প্রতি ভালোবাসা আছে কি নাই সেটা নির্ণয় করার তরিকা কি? এটা যেহেতু কষ্টসাধ্য তখন সামাজিক বা রাষ্ট্রিক শ্রদ্ধা বা ভালোবাসা প্রকাশের জন্য ফরমেটেড কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করতে হয়। রাষ্ট্র বা সমাজ তখন শ্রদ্ধা বা ভালোবাসা প্রদর্শনের কিছু রুল তৈরি করে। যা সবাইকেই মানতে বলা হয়। যার অন্তরে শ্রদ্ধা ভালোবাসা আছে তার তো আছেই, জুতা খুলে গেলে তো সেটা কমে যাওয়ার কোনও মামলা নাই। আর যার অন্তরে শ্রদ্ধা ভালোবাসা নাই সেও প্রকাশ্য অশ্রদ্ধাটা করতে পারলো না।
এখন কথা হইতে পারে যে জুতা কতখানি অশ্রদ্ধাস্পদ? জুতা খুলেও তো অনেকভাবেই অশ্রদ্ধা করা যায়। কিন্তু সেটা তো রুল করে ঠেকানো যাবে না। অন্তরের সাহায্যই নিতে হবে। অন্তর মন বিকশিত কর অন্তর তর হে বলে চেঁচানো যায় রবীঠাকুরের ভাষায়।
তবে একেবারে শুধু অন্তরের উপর শ্রদ্ধা প্রকাশের ভারটা ছেড়ে দিলে কিছু বিপদের হুমকি থেকে যায়। সে থেকে এই নিয়ম অনেকটা দূর করতে পারে বলে ভাবি।

১৬| ০৫ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

কানা বাবা বলেছেন:
জু্তা পরে মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা নেই;
বরং সিদ্ধ...
চ্যাপেলের কথা তো বলাই বাহুল্য...
তাই "এখন উপসনালয়ে জুতা পইরা যাইতে দেয় না..." কথাটা মনে হয় পুরোপুরি ঠিক বলেননি...
@ব্রাত্য রাইসু

১৭| ০৫ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৪৫

সবুজ আরেফিন বলেছেন: জুতা পইরা উঠলেন না কি জুতা খুইলা উঠলেন, এটা আসলে মানুষের সমসাময়িক প্রবণতার উপর নির্ভর করে। এটাও হয়তো একদিন এসেছিলো রীতিনীতি ভাঙার একটা প্রত্যয় থেকে। কিন্তু মূল কথা হলো শ্রদ্ধাটা মানুষ তার প্রকাশিত আর অপ্রকাশিত সত্য দিয়ে কতটা মুল্যায়ন করতে পারতেছে।

১৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:২৯

অবকাশ বলেছেন: একমত

১৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১০

মজনু পাটোয়ারী বলেছেন: অসাধারণ

২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৮

আবূসামীহা বলেছেন: জুতা পইরা মসজিদে যাওনের কোন ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা নাইক্যা। জুতা পরিষ্কার থাকলে ওইটা পইরা নামাজ পড়নেও কোন সমস্যা নাই। জুতা খুইলা রাখতে হয় মসজিদের মেঝে পরিষ্কার রাখনের লাইগা, ধর্মের লাইগা না।

২১| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:১২

নির্ণয় বলেছেন: শ্রদ্ধা ভালবাসা মনেই থাকে, ঠিক। কিন্তু তার তো একটা প্রকাশ লাগে, তাইনা! এরশাদের গালে তালে তালে জুতা মারা, গোলাম আযমকে জুতা মারা, বুশের দিকে জুতা ছুঁড়ে মারা, ব্লগে জুতা রেটিং দেয়া এসব কিছুই ঘৃণা, অশ্রদ্ধা, তীব্র দ্বিমত প্রকাশক হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। জুতার কোন দোষ নেই - পৌত্তলিক দোষ ও নেই, একেশ্বরবাদী দোষ ও নেই, দার্শনিক দোষ ও নেই - বিষয়টা ব্যবহারিক ক্ষেত্রে প্রয়োগের – আমাদের নিত্যদিনের ভাবপ্রকাশ পদ্ধতির।

“সেক্যুলাররা এই ধর্মীয় কেতা রপ্ত করলেন কেন?” এটা ধর্ম সংক্রান্ত বিধান না। ঠিক যেরকম চুমু দিয়ে ভালবাসা প্রকাশ করাটাও ধর্মীয় বিধান না।

আপনার লেখাটা পড়ে মনে হল শেষ বাক্যটি প্রকাশের ইচ্ছা পূরণের জন্যই শহীদ মিনারে আপনার এই জুতা এডভেঞ্চার। অবশ্য একইভাবে মসজিদে জুতা এডভেঞ্চার করার ইচ্ছা আপনার দার্শনিক মন লালন করে কিনা জানা হলোনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.