![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কে, আমি যেমন নিজে জানি না, বাকিরাও নিশ্চিতভাবে কিছু জানেন না। বেশিরভাগ ঐতিহাসিকের মতে আমি নিতান্তই এক কাল্পনিক চরিত্র, ইতিহাসে আমার অস্তিত্ব নাই! তাদের মতে ঔপন্যাসিক, গল্পকারেরা বিবেক চরিত্র চিত্রায়নে আমাকে সৃষ্টি করেছেন। এমনকি আমার নাম নিয়েও বিভ্রাট আছে। কেউ কেউ আমার নাম গোলাম হোসেন বলেও অভিহিত করেছেন!
পোস্ট উৎসর্গঃ ব্লগার নুরুজ্জামান মানিক এবং ব্লগার গানচিল
আশির দশকের শুরুর দিকে আমি যখন সদ্য কৈশোরে, বাংলাদেশে মূলত ৩টা বাংলা সংবাদপত্র (ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, সংবাদ), ২টা ইংরেজী সংবাদপত্র (টাইমস, অবজারভার) এবং ১টা সাপ্তাহিক পত্রিকা (বিচিত্রা) ছিল। এছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় মুখপত্র বাংলার বানী, বিনোদন ম্যাগাজিন আনন্দবিচিত্রা এবং আরো কিছু অনুল্লেখযোগ্য পত্রপত্রিকা ছিল। এগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটাই পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে, কিছু এখনো দুয়েক কপি বের হয় কিন্তু কেউ পড়ে না। এরকমই কিছু বিলুপ্ত বা বর্তমানে অপ্রচলিত কিন্তু এককালের বড় পত্রপত্রিকার স্মৃতিচারন করব আজ।
সবার আগে বলতে হবে বিচিত্রার কথা। বাংলাদেশের সাংবাদিকতাকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত চৌধুরীর এই সাপ্তাহিকটা। এটা প্রথম কবে প্রকাশিত হয় আমার জানা নাই, তবে আমি সম্ভবত প্রথম দেখি ৭৫-৭৬ সালের দিকে। ৬৪ পৃষ্ঠার এই সাপ্তাহিকের কভার স্টোরিগুলি ছিল ক্লাসিক সমতুল্য। এছাড়ার শেষের আগের পৃষ্ঠার কুরুক্ষেত্র কলাম এবং দ্বিতীয় পৃষ্ঠার রনবীর টোকাই কার্টুনের কোন তুলনা হতে পারে না। টোকাই চরিত্রটা সৃষ্টিই না শুধু, বাংলা ভাষায় "টোকাই" শব্দ আবিষ্কার কৃতিত্বও বিচিত্রা এবং রফিকুন নবীকে দিতে হবে। ৮৫-৮৬ পর্যন্ত বিচিত্রা ছিল তার জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। ৮৪ সালে শফিক রেহমান তার ৩২ পৃষ্ঠার যায়যায়দিন নিয়ে বাজারে আসলে অপেক্ষাকৃত বেশি দামী ৬৪ পৃষ্ঠার বিচিত্রা তার প্রভাব হারাতে শুরু করে। এর পরও ধুঁকে ধুঁকে পত্রিকাটা বেঁচে ছিল অনেকদিন। বছর দশেক আগে বিলুপ্ত হয়। শাহাদত চৌধুরী পরে প্রায় একই টিম নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন সাপ্তাহিক ২০০০।
যায়যায়দিনের কিছুদিন পর প্রায় একই ফর্মেটে বাজারে আসে বিচিন্তা। বিচিত্রা আর যায়যায়দিন যেখানে ছিল বহু পোড় খাওয়া অভিজ্ঞ দুই সম্পাদকের, বিচিন্তা পরিচালিত হত তরুন মিনার মাহমুদের হাতে। এর লেখক, প্রদায়ক গোষ্ঠীও ছিল একঝাঁক তরুন। ৮৭ এর তীব্র এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় এই সাপ্তাহিকটা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়। তাদের প্রতিবাদের ভাষা এতই তীব্র ছিল যে তারা এরশাদকে কুকুর সাজিয়ে প্রচ্ছদ করেছিল (বিশ্বাস করতে পারেন?)। এরশাদ কোনরকমে আন্দোলন সামাল দেয় এবং বিচিন্তা নিষিদ্ধ ঘোষনা করে। ৯১ এর মার্চে পত্রিকাটা আবার বের হলেও কোন কারনে তার জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। একই সময় যায়যায়দিনও পুনঃপ্রকাশিত হয়। ঝানু সাংবাদিক শফিক রেহমানের সামনে এটা দাঁড়াতে পারেনি। ৯৩ এর দিকে মিনার মাহমুদ পত্রিকা বিক্রি করে দিয়ে যুক্তরাস্ট্রে চলে যান। এর কিছুদিন পর এটা পুরোপুরিই বিলুপ্ত হয়।
৮৬-৮৭ সালের দিকে বের হয় ৬৪ পৃষ্ঠার সম্পূর্ন ক্রীড়া সাপ্তাহিক বর্তমান দিনকাল। তখন ছিল ঢাকা লীগ ফুটবলের স্বর্নযুগ। এছাড়া আজকের মত ইন্টারনেট, বিদেশি টিভির প্রাপ্যতা না থাকায় ক্রীড়াপিপাসুদের মধ্যে এটা ভালরকম জনপ্রিয় হয়। একই সময় ইত্তেফাক গোষ্ঠীর ৩২ পৃষ্ঠার আরেকটা ক্রীড়া সাপ্তাহিক ক্রীড়াজগতও প্রকাশিত হত। কোন কারনে বর্তমান দিনকাল মালিক গোষ্ঠী এর ফর্মেট বদলে একে বারমিশালী সাপ্তাহিক হিসেবে প্রকাশ করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এটা প্রায় সেমি-পর্নোগ্রাফিক ম্যাগাজিনে পরিনত হয়। কোন হোটেলে অবাধ দেহ-ব্যবসা চলে, কোন মহিলার কার সাথে লটরপটর, কোন দ্বিতীয় সারির নায়িকার বাড়ি মক্ষীকুঞ্জ ইত্যাদি খবর প্রকাশিত হত বর্তমান দিনকালে। এরকমই দেখেছি আমি ৯৪ সাল পর্যন্ত। তারপরের কথা আর জানি না। ক্রীড়াজগতও আস্তে আস্তে অনিয়মিত হয়ে যায়।
সামহোয়ারে আপনি বেশ কয়েকজন ব্লগারের নাম দেখবেন গেদুচাচা শব্দ ব্যবহার করে। টোকাইয়ের মত এটাও বাংলাভাষার একটা নতুন শব্দ যার প্রবর্তক সাপ্তাহিক সুগন্ধার সম্পাদক খন্দকার মোজাম্মেল হক (নামটা নিয়ে একটু কনফিউশনে ছিলাম। ব্লগার নস্টালজিক এবং ব্লগার আলিম আল রাজি ঠিক করে দিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা)। গেদুচাচা, সত্যি বলতে, তার জনক মোজাম্মেল হক এবং জন্মভুমি সুগন্ধা পত্রিকার চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে গেছেন। আপনাদের অনেকেই হয়ত আসল গেদুচাচার খোলা চিঠি কলামটা কখনোই পড়েন নাই, কিন্তু এই নামের সাথে পরিচিত। এটা শুরু হয় ৮৮ এর দিকে। মোজাম্মেল সাহেব এই ছদ্মনামে এরশাদকে চিঠি লিখতেন বিভিন্ন পরামর্শ ও সমস্যা জানিয়ে। সুগন্ধা পত্রিকাটা এমন বিশেষ কিছু ছিল না, কিন্তু এই একটামাত্র কলামের জন্যই এটা জনপ্রিয় হয়। খন্দকার মোজাম্মেল হকের সম্পাদনা জীবন স্থির ছিল না। সুগন্ধার মালিকপক্ষের সাথে মিল না হওয়ায় উনি সুর্যোদয় নামে একটা পত্রিকায় যোগ দেন, পরে আবার আজকের সুর্যোদয় বের করেন। আজকের সুর্যোদয় ছাড়া তার বাকি সব পত্রিকাই মৃত্যুবরন করেছে, শুধু বেঁচে আছেন গেদুচাচা। মনে হচ্ছে অনেক বছর এই চরিত্রটা টিকে থাকবে।
গিমিক তৈরী উদ্দেশ্যেই হোক আর যে কোন কারনেই হোক, প্রেসিডেন্ট জিয়া শিশু-কিশোরদের নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছেন। টেলিভিশনে নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগীতা এবং শিশু একাডেমী প্রতিষ্ঠা তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শিশু একাডেমী পরিচালনার ভার জিয়া দেন তার পুরোনো বন্ধু সাদেকা শফিউল্লাহকে। মিসেস সাদেকার সম্পাদনাতেই বের হয় শিশু-কিশোরদের সাহিত্য পত্রিকা শিশু। জানি না বিশ্বাস করবেন কিনা, আমি নিজে তারেক রহমানের লেখা গল্প পড়েছি শিশুতে। জিয়া মারা যাওয়ার পর তারেক তার বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারনও লিখেছিল। এটা বেশ জনপ্রিয় একটা ম্যাগাজিন ছিল। ঠিক কবে বন্ধ হয় আমার জানা নাই কারন তখন আমি নিজে আর শিশু বা কিশোর নাই। তবে আশির দশকের পরে আর দেখি নাই।
উম্মাদের জনপ্রিয়তায় অনুপ্রানিত হয়ে কিছু তরুন কার্টুনিস্ট ৮৯-৯০ সালের দিকে বের করে কার্টুন ফান ম্যাগাজিন কার্টুন। পত্রিকার চেয়ে এদের ফান স্টিকারগুলিই বেশি জনপ্রিয় ছিল। রামছাগলের লম্বা কান তুমি আমার জানের জান, বাগানে দাড়ায়ে খাসি আমি তোমায় ভালবাসি, দেখায় মুরগী খাওয়ায় ডাইল, এগুলি ছিল তাদের স্টিকারের ভাষা। ফান কার্টুন ম্যাগাজিনের বাজার এত বড় না যে দুইটা পত্রিকা ভালভাবে চলতে পারবে। উম্মাদ টিকে গেল, কার্টুন কয়েক বছর পর নাই হয়ে গেল।
খুব স্বল্পকালীন জনপ্রিয় একটা দৈনিকের কথা বলে আজকে শেষ করি। ৯৩ সালে বড়সড় বাজেট নিয়ে একটা পত্রিকা প্রকাশিত হয় মতিউর রহমান চৌধুরীর সম্পাদনায় দৈনিক বাংলাবাজার(সম্পাদকের নাম অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারছিলাম না। ব্লগার অ্যানালগ সাহায্য করলেন, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।)। প্রথম বছর খানেক বেশ কাটতি ছিল। পরে জনকন্ঠ, ভোরের কাগজ ইত্যাদি মাঠে নামলে এটা বিলুপ্ত হয়ে যায়। মতিউর সাহেব পরে ট্যাবলয়েড পত্রিকা মানবজমিন বের করেন।
ক্ষমা করবেন, আর দুইটা সাপ্তাহিকের কথা বলব। যায়যায়দিনের জনপ্রিয়তায় অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে শফিক রেহমান আরও দুইটা সাপ্তাহিক বের করেন। সিরিয়াস পাঠকদের জন্য সীমানা পেরিয়ে এবং ফান ম্যাগাজিন মৌচাকে ঢিল। এরা একই সাথে বের হয় এবং একই সাথে ছয় মাসের মধ্যে বন্ধও হয়ে যায়। সীমানা পেরিয়ের টার্গেট মার্কেট ছিল খুব ছোট। আর লোকে রসআলো বা আলপিন পত্রিকার সাথে ফ্রি পেলে পড়ে, কিন্তু ৯৪ সালে পাঁচ টাকা খরচ করে প্রতি সপ্তাহে কিনার মত লোক খুব বেশি ছিল না।
আজকে শেষ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:১৭
নষ্ট কবি বলেছেন: ভাল লাগলো ভাই- আমি নব্বই এর দশকের ছেলে-তাই আগের ব্যাপার গুলো জানতাম না
জেনে ভাল লাগলো
অনেক ইনফরমেটিভ লেখা
আর গেদু চাচা আমি কখনো পড়িনাই-আমার ছোটকাকা কে পড়তে দেখতাম
এখনো পড়েন-আমি মাঝে মাঝে উনার বাসায় গেলেই দেখি-গেদুচাচার কালেকশনস.....
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকে ইতিহাস জানিয়ে আমারও খুব ভাল লাগল। আপনার ছোটকাকাকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাবেন। উনিও দেখছি আমার মত গেদুচাচার ফ্যান। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:১৭
নীরব দর্শক বলেছেন: অনেক পুরানো স্মৃতি মনে পরে গেল।
+
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: পুরানো স্মৃতি মনে করার জন্যই তো ফিরে দেখা। ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:২৪
সাধারণমানুষ বলেছেন: আমার পেপার পড়া শুরু হয় ১৯৯৬ থেকে প্রথম পেপার ছিলো সম্ভবত "ইনকিলাব" । এর পরে ক্রমানয়ে ভোরের কাগজ, জনকন্ঠ এখন পড়ি প্রথম আলো আর সমকাল ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: শুরুটা করেছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে, ধান্দাবাজ এবং পল্টিবাজ পত্রিকাটা দিয়ে। ইনকিলাব প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল মাদ্রাসাগুলি টাকা মেরে দিয়ে। মান্নান (ডাঃ ফজলে রাব্বীর বাসার নিচতালায় ভাড়া থাকত এবং সেইই ডাক্তার সাহেবকে পাকিদের হাতে ধরিয়ে দেয়) ছিল এরশাদের ধর্ম ও ত্রান মন্ত্রী। ফলে মাদ্রাসাগুলি সাথে খুব ভাল সম্পর্ক। সে মাদ্রাসাওয়ালাদের বোঝালো যে তাদের একটা মুখপত্র থাকা দরকার যেখানে মূলত মাদ্রাসা, মসজিদ, ইসলামী মাহফিলের খবর থাকবে। এসব বলে মাদ্রাসাগুলি থেকে বিশাল অংকের টাকা সংগ্রহ করে নিজের নাম প্রকাশ করল ইনকিলাব ৮৪-৮৫ সালের দিকে। অনেক বছর এটা জামাতের আনঅফিসিয়াল মুখপত্র ছিল। এখন আবার ১৮০ ডিগ্রি ডিগবাজি খেয়ে ইনকিলাব আওয়ামী ঘেঁষা পত্রিকা হয়ে গেছে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:২৬
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: অনেক ভালো লাগ্লো ...
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:২২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল।
৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৩৬
অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার রিভিউ...
সেই সময় বেশ কিছু পত্রিকার নাম মনে পরে...যেমন দৈনিক ইত্তেশাল,দৈনিক লাল-সবুজ....
এক সময়ে যা্য়যায়দিন ম্যাগাজিনটা পড়া হলেও পরে তা দৈনিকে চলে আসে,এখন মৌচাকেঢিলটা পড়া হয় না...
আর ছোটবেলায় তো মনে হতো বাংলাবাজার বুঝি বাংলাবাজারেই পাবলিস হয়
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:২১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: দৈনিক ইত্তেশাল,দৈনিক লাল-সবুজ!! নাম শুনি নাই ভাই। এগুলি ঢাকার পত্রিকা নাকি? নিয়মিত বের হত? মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৪০
০০৮ বলেছেন: আগে জানতাম না.....জেনে ভাল লাগল..
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকে জানিয়ে আমারও ভাল লাগল।
৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৪৮
অর্ফিয়াস বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো ভাই। আমারো মাঝে মাঝে মনে পড়ে সেসব পত্রিকার কথা। দৈনিক বাংলা পত্রিকাটি তেমন আহামরি কিছু ছিলোনা তবু কেনো যেনো বুকে ব্যাথঅ অনুভব করি পত্রিকাটির অস্তিত্ব নেই দেখে।
আর আশির দশকের যায়যায়দিন এর কথা কি বলবো......। একটা সময় মংগলবার আজানের সময় উঠে আর ঘুমাতাম না। যায় যায় দিন কেনার জন্য চলে যেতাম হকার সমিতির অফিসে। এতটাই পাগল ছিলাম।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমার একই অবস্থা হয় বিচিত্রার কথা ভেবে। খুব সম্ভব শনিবার বা বৃহষ্পতিবার বের হত। সারা সপ্তাহ অপেক্ষায় থাকতাম। আহারে সেই দিনগুলি। দৈনিক বাংলা কখনো খুব ভাল লাগে নাই। সেইসময় বাসায় রাখা হত ইত্তেফাক। এই পত্রিকাটা যুগের সাথে ঠিকমত তাল মিলাতে না পারায় ছিটকে গেল। এছাড়া দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব, পত্রিকার প্রতি মনোযোগ না দিয়ে নিজেদের ব্যবসা ও রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়া ইত্যাদি কারনে এটা নষ্ট হয়ে গেল। সাধুভাষা পরিবর্তন করতে তারা কেন এতদিন সময় নিল, এটা আমার কাছে বিষ্ময়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৫২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বল ই অ এ
সরাসরি প্রিয়তে
চমৎকার ব্লগ। শুভেচ্ছা।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সাথে শুভেচ্ছাও।
১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৫৭
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: ভালো লাগলো। আরো একটা সাপ্তাহিক ছিলো, সাপ্তাহিক একতা। বামপন্থীদের সাপ্তাহিক। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে এর ব্যপক প্রভাব ছিল।
আর গেদু চাচা তো খুবই প্রিয় ছিলো। আব্বা বাসায় আনার সাথে সাথে ওটা পড়ে শেষ করতাম।
আচ্ছা, গেদু চাচা, খ ম জাহাংগীর, নাকি আলমগীর ছিলেন?
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: একতার কথা সচেতনভাবেই এড়িয়ে গেছি কারন দিনশেষে এটা একটা দলীয় পত্রিকা। দলীয় পত্রিকার ব্যাপারে আমার একটু এলার্জী আছে। আপনাদের বাংলার বানী কি এখনো বের হয়?
গেদু চাচার স্রষ্টার নামের ব্যাপারে খুব কনফিউজড। আমার যদ্দুর মনে পড়ে, তার নাম আলমগীর ছিল। কিন্তু এখানে আপনি বলেছেন খ ম আলমগীর, আমি লিখেছি খন্দকার আলমগীর হোসেন। আমার ধারনা খ ম ঠিক। দেখি, অন্য কেউ নিশ্চিত করতে পারে কিনা। ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৫৯
মহসিন৭১ বলেছেন: ৮৮ সালে এসএসসি কুষ্টিয়া থেকে। তবে পত্রিকা পড়া শুরু তারও আগে। সম্ভবত ৮৪-৮৫ সালের দিকে পত্রিকা পড়তাম। তখন আমার বাবা বেশি পড়তেন ইত্তেফাক। বাজারে এসময় কতগুলো দৈনিক ছিলো তা আমার জানা নেই। তবে ইত্তেফাক আর সংবাদ মাঝে মাঝে পড়তাম।
পরে সাপ্তাহিক যায়যায়দিন, বর্তমান দিনকাল, বিচিন্তা, আজকের সুর্যোদয়, সুগন্ধা, এগুলো পড়েছি। এরপরই বাজার কাপিয়ে এলো ইনকিলাব। ডানপন্থি ঘরানার প্রথম দৈনিক ইনকিলাব বাজারে আসার পর পত্রিকা কিনলে ইনকিলাবই কিনতাম।
মাঝে মাঝে দৈনিক সংগ্রাম ও সাপ্তাহিক সোনারবাংলা পড়েছি। তখন জানতাম না সংগ্রাম সোনারবাংলা জামায়াতের পত্রিকা। ৯০ এর দশকে আমি খেলা পাগল ছিলাম। তখন মনে হতো সংগ্রামে ভালো খেলার খবর দেয়। এরশাদের দৈনিক জনতা পত্রিকাও এক সময় ভালো চলতো। এরপর দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক ভোরের কাগজ, সম্ভবত ৯৭`র দিকে বাজারে আসে প্রথম আলো। তখন থেকে প্রথম আলো পড়তাম। পরের ঘটনা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রথম আলো র সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যুগান্তর ভালোই চলছিলো। কিন্তু গোলাম সারোয়ার যুগান্তর থেকে বের হয়ে সমকাল বের করলেন। অপরদিকে ইনকিলাবের মালিক ডিগবাজি দিয়ে বামপন্থী হওয়ার চেষ্টা করায় জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী ঝোপ বুঝে কোপ মারলেন। তিনি ইনকিলাব ও সংগ্রাম থেকে একঝাক সাংবাদিক নিয়ে বের করলেন নয়া দিগন্ত। এদিকে একই সময় বিএনপির ফালু আমার দেশ বের করে সারা ফেলে দেন। ৬ মাসের ব্যবধানে দেশে তিনটি বড় কাগজের অভ্যুদয় ঘটে।
এর পর এক এগারোর নির্যাতন থেকে শিক্ষা আর পরবর্তীকালে এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে বসুন্ধরা গ্রুপ মিডিয়ায় ইনভেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইতোমধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান করে সফলতাও দেখিয়েছেন আহমেদ আকবর সোবহান। কালেরকণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ, ডেইলি সান এখন দেশের শীর্ষ স্থানীয় দৈনিকের তালিকায়।
কিছুদিন পর বাজারে আসছে রাংস গ্রুপের দৈনিক সকালের খবর। তারাএ ২ লাখের উপরে সার্কুলেশন করতে চায়।
সবই ইতিহাস হবে একদিন। আমরা সবাই হারিয়ে যাবো। আমাদের সন্তানেরা এসব নিয়ে গল্প লিখবে। আমার লেখার মধ্যে অনেক কাগজের নাম বাদ পড়েছে। কারণ ২০০০ থেকে ২০১১ এই ১২ বছরে দেশে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা শতাধিক। এসব পত্রিকার নাম পাঠকের জানা না থাকলে ডিএফপিতে গেলে তালিকা পাওয়া যাবে।
এরমধ্যে জনকণ্ঠ, মানবজমিন, আমাদের সময়, ভোরের ডাক, আজকালের খবর, বর্তমান বাংলা, গণকণ্ঠ, দেশবাংলা, জনপদ, অপরাধকণ্ঠ, প্রথম ভোর, সময়ের আলো, একুশে সংবাদ, ভোরের সূর্য, দেশ জনতা, আজকের প্রত্যাশা, আমাদের অর্থনীতি, আজকের বিনোদন, এসব পত্রিকার মধ্যে অনেকগুলো পুরোনো কাগজও রয়েছে। তবে বিভিন্ন সময় হাত বদল হয়েছে। নতুন করে বাজারে এসেছে। আসলে সংবাদপত্রের ইতিহাস অনেক লম্বা। এর বিবরন দেওয়া কঠিন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমি আপনাকে সবিনয়ে অনুরোধ জানাতে চাই যে আপনি এই কমেন্টটাকেই একটু সাজিয়ে গুছিয়ে একটা পোস্ট দেন। এত ইনফরমেটিভ একটা লেখা অন্য কোন এক পোস্টের চিপায় পড়ে থাকুক, এটা চাই না। আপনার কমেন্ট নিয়ে আমার মন্তব্য আমি আপনার ওই পোস্টেই দিতে চাই। আপনার এই কমেন্ট অনেক ব্যপক আলোচনার দাবী রাখে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্ট দিতে ভুলবেন না কিন্তু।
১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:২৬
নস্টালজিক বলেছেন: খ ম হ- খন্দকার মোজাম্মেল হোসেন, নাম সম্ভবত এটাই।
আমি ক্রীড়াজগতের বিশাল ফ্যান ছিলাম। ৯২’ পর্যন্ত্ ,এরপর প্রচ্ছদ রঙীন হতে শুরু করলো কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার ক্রীড়াজগত তার ধার হারালো।
বর্তমান দিনকাল এর প্রথম ৩২ সংখ্যা পর্যন্ত( সম্ভবত) দারুন একটা স্পোর্টস ম্যাগাজিন ছিলো! তারপর কোথা থেকে কি যে হলো!
আকস্মিক ঘোড়েল হয়ে গেলো!
আনন্দ বিচিত্রা পড়তাম!দারুন লাগতো!
বিচিত্রা বস!
বিচিন্তা ছিলো টগবগে!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:০৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ক্রীড়াজগত ইত্তেফাক গোষ্ঠীর পত্রিকা। এছাড়াও তারা রোববার নামে একটা ফালতু বাংলা সাপ্তাহিক এবং নিউনেশন নামে একটা ইংরেজী সাপ্তাহিক বের করত। ইত্তেফাকের প্রতিও তারা ঠিকমত মনোযোগ দেয়নি আর বাকি পত্রিকাগুলি তো ছিল সৎ মায়ের ঘরের ভাইবোনের মত। কিছু বড় বড় লোক তাদের পত্রিকায় চাকরি করেছে বিভিন্ন সময়ে, যা করার ওই লোকগুলিই করেছে। কিন্তু মালিকপক্ষ সিরিয়াস না হলে একদিন না একদিন ব্যাবসা ডুবতে বাধ্য। বর্তমান দিনকালের মালিকের যে কি সমস্যা, সেটা আমি আজকে ২৫ বছর পরেও বসে ভাবি! কেন সে হঠাৎ এটাকে পর্নো ম্যাগাজিন বানিয়ে ফেলল, ওইই জানে। আমার মনে হচ্ছে আমি পোস্টে একটা ভুল লিখেছি। বর্তমান দিনকাল সাপ্তাহিক না বরং পাক্ষিক ছিল, তাই না? কারন এটা ছয় মাস না, আরও বেশি সময় ক্রীড়া পত্রিকা ছিল। বিচিত্রার কথা আর কি বলব! কৈশোরের প্রেম কখনো যায় না। বিচিত্রার মুগ্ধতাও আমার কোনদিন যাবে না। এটা বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ম্যাগাজিন পত্রিকা।
১৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪০
গানচিল বলেছেন: দৈনিক বাংলা, বিচিত্রা, আনন্দবিচিত্রা ছিল সরকারী পত্রিকা। ৯৬ সালে হাসিনা সরকার এসেই ২৮ কোটি টাকা ভূর্তুকী দিয়ে পত্রিকা ৩টি বন্ধ করে দেয়।(প্রবীন কলামিষ্ট নির্মল সেন এ নিয়ে অনশনও করেছিলেন।)শাহাদাৎ বাহিনী পরবর্তিতে ব্যক্তি মালিকানাধীনে বিচিত্রা আবার পুনঃপ্রকাশ করতে চাইলে আওয়ামিলীগ সরকার "বিচিত্রা" নাম দিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন অন্যকোন পত্রিকা প্রকাশ করতে বিধিনিষেধ আরোপ করে।কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই বিচিত্রা ঠিকই বের হয়,যার সম্পাদক হিসেবে আবির্ভুত হন শেখ রেহানা।যাইহোক, সেসময় আরও কয়েকটি পত্রিকা ছিল। দৈনিক আজাদ এবং মিজানুর রহমানের খবর এবং "বেগম"এর কথা এই মুহুর্তে মনে পড়ছে।
অ,ট, পুরাতন গান নিয়ে ব্লগে সবসময় টুকটাক ক্যাচাল করি। এর বাইরে আমার অবস্হা 'গুড ফর নাথিং'।উৎসর্গটা কি আমাকে মানায় রাইসুল? ওটা মানিক ভাইয়েরই প্রাপ্য। তাছাড়া উনি তো পত্রিকারই লোক। তারপরও অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:২৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: শেখ রেহানা বিচিত্রা বের করেছিল? এটা আমি জানতাম না। এখনও বের হয় নাকি? কতদিন বের হয়েছে? আজাদ আর খবরকে আমি কখনও প্রথম সারিতে দেখি নাই। তবে আজাদ অনেক পুরোনো পত্রিকা, পঞ্চাশের দশকের। হয়ত সেইসময় জনপ্রিয় ছিল, জানি না। খবরের কথা মনে পড়ল। মিজানুরের আরও বেশ কয়েকটা এরকম ফালতু পত্রিকা ছিল। এই লোকই একমি ওষুধ কোম্পানীর মালিক না? পুরো নাম মিজানুর রহমান সিনহা? নাকি আমি অন্য কারো সাথে মিলিয়ে ফেলছি? খবর কি এখনও বের হয়? আসলে ৯৩-৯৪ এর পর দেশের সাথে আমার যোগাযোগ প্রায় শুন্য হয়ে যায়। তখন তো পত্রিকাগুলির অনলাইন ভার্সনও ছিল না। তাই অনেক খবরই আমি মিস করে গেছি।
অফটপিক সম্বন্ধে এটুকুই বলব, আপনার পুরোনো দিনের গানের পোস্ট আমাকে পুরোনো দিনগুলিতে নিয়ে যায় তো অবশ্যই। সাথে বাকি সবাইকেও নিয়ে যেতে উৎসাহিত করে, তাই তো এই জাতীয় পোস্টগুলি লিখি। সেজন্যই উৎসর্গ।
১৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪১
অ্যানালগ বলেছেন: বাংলাবাজার পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মতিউর রহমান চৌধুরী।
বর্তমান মানবজমিন সম্পাদক ও ভয়েস অব আমেরিকা প্রতিনিধি
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৩২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: তথ্যটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মূল পোস্টে অ্যাড করে দিলাম।
১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:১৩
গানচিল বলেছেন: রাইসুল, অসামাজিক ০০৭০০৭ (৬নং মন্তব্যকারি) বোধ হয় দৈনিক ইত্তেহাদের কথা বলতে চেয়েছেন। স্বাধীনতার পরপর এই নামে একটা পত্রিকা ছিল।যদিও সত্তর দশকের মাঝামাঝিই ওটা বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরশাদ চাচার জমানায় কর্ণেল ফারুক/রশীদের ফ্রিডম পার্টির উদ্ভব হলে তাদের মুখপত্র হিসেবে সেটা পুনঃপ্রকাশ হওয়ার কিছুদিন পর আবারও বন্ধ হয়ে যায়।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৩৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হুমমম হবে হয়ত। ইত্তেহাদ আমি দেখি নাই তবে নাম জানতাম, ইত্তেশাল বা লাল-সবুজ নামে কোন পত্রিকার নামই শুনি নাই। ফ্রিডম পার্টির পত্রিকার নাম মিল্লাত ছিল না? নাকি সায়েদাবাদী হুজুরের পত্রিকা ছিল মিল্লাত?
১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:১৩
জীবরান বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৩৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:১৪
জুন বলেছেন: আপনার নষ্টালজিক পোস্ট অনেক ভালোলাগলো রাইসুল। বিচিত্রার কথা মনে হয়। আমার মা একটা পত্রিকা রাখতেন বেগম বলে আমরা ছোটো বেলায় দেখেছি।
আর আমাদের জন্য নিষিদ্ধ একটা পত্রিকা ছিল চিত্রালী। কারো বাসায় দেখলে চুপি চুপি পৃস্ঠা উল্টে দেখতাম ছায়াছবির জগতের মানুষগুলোকে।
ভালোলগেছে আপনার বিশ্লেষন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৪৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। বেগম আমি খুব একটা পড়ি নাই। দুইটা কারন, আমি বেগম না। আর সত্তরের শেষার্ধে বা আশির দশকে বেগম আর জনপ্রিয় প্রথম সারির পত্রিকা ছিল না। আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে দিতেই মনে পড়ল যে আমি ৮৩ সালের দিকে বেগমে একটা কাহিনী পড়েছিলাম যে এক মেয়ের বিয়ের দিন আলগা চুল দিয়ে খোঁপা বাধা হয়েছিল। সেই আলগা চুলে ছিল খুব বিষাক্ত একটা পোকা। পুরো বিয়ের অনুষ্ঠানেই সেই পোকা তার মাথায় কামড়াচ্ছিল। বিয়ের দিন মেয়েদের মূর্তি সেজে বসে থাকতে হয়, তাই সে কিছু বলতেও পারছিল না। শেষ পর্যন্ত মেয়েটা মারা যায়। চিত্রালী আমি ৮৫-৮৬ পর্যন্তও দেখেছি। তারপর আর জানি না। ওটারও তখন শেষ সময় চলছে।
আবারও অনেক ধন্যবাদ।
১৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:২৯
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
বিচিত্রার পাঠক ফোরামের সদস্য ছিলাম ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৫৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: তাই নাকি? দারুন একটা সাপ্তাহিক ছিল বিচিত্রা, তাই না? আমি খুব মিস করি।
১৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:২২
জুন বলেছেন: চিত্রালীর আমিও শেষ পর্যায়েই দেখেছি রাইসুল।
আর বিচিত্রা আমাদের বাসায় সব সময় নিয়মিতই রাখা হতো। যেটা পড়া নিয়ে ভাইবোনদের মধ্যে একটা কাড়াকাড়ি চলতো।
আর দৈনিক বাংলা, বিচিত্রা র সম্পাদক মরহুম হুমায়ুন আহমেদ আমাদের অত্যন্ত পরিচিত ব্যাক্তি ছিলেন। এটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পরই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আর বিচিত্রা আমাদের বাসায় সব সময় নিয়মিতই রাখা হতো। যেটা পড়া নিয়ে ভাইবোনদের মধ্যে একটা কাড়াকাড়ি চলতো।
আহা! হায়রে আমার নানা রংয়ের দিনগুলি। একই কাহিনী আমাদের ভাইবোনদের মধ্যেও। ইচ্ছা করছে লাফ দিয়ে ৩০ বছর পিছনে চলে যাই।
২০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:১৫
গানচিল বলেছেন: হুবহু কাভার পেইজ সহ শেখ রেহানার সম্পাদনায় বেশ কয়েকবছর চলছিল। চামচা টাইপের অ্যামেচার লেখকরা জড়িত থাকলে একটা ম্যাগাজিনের যে দশা হবার কথা, বিচিত্রা ঐ পর্যায়েই পৌছে গিয়েছিল। এখন বের হয় কিনা জানিনা। মানিক ভাই, এই পোস্ট পড়লে বলবেন নিশ্চয়ই।
@জুন, আমিও চিত্রালী পড়েছি প্রচুর।বয়স কম ছিল। তাই বোম্বের কোন নায়ক কি করতেন, ববিতা চিংড়ি মাছের চচ্চড়ি পছন্দ করতেন , না হালিম পছন্দ করতেন---এসব জানার বিরাট একটা কৌতুল কাজ করত।২০০০ সাল পর্য্যন্ত দেখেছি ওটা বের হয়। তবে সেই জৌলুস নাই আর ছিলনা তখন। কলেবরও ছোট হয়ে গিয়েছিল।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন:
২১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:২৫
চলমান কলম বলেছেন: আপনি সিওর ৯৩ এর পর বিচিন্তা আর বের হয়নি?
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: না, খুব শিওর না যে এটা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়েছিল কিনা! তবে ৯৩ তে মিনার মাহমুদ এটা বিক্রি করে দেন এবং নতুন মালিকের কাছে এটা খুঁড়িয়ে চলছিল, এটা নিশ্চিত। ঠিক কবে বন্ধ হয় তা আমি জানি না। আসলে ৯৩-৯৪ এর পর দেশের সাথে আমার যোগাযোগ প্রায় শুন্য হয়ে যায়। তখন তো পত্রিকাগুলির অনলাইন ভার্সনও ছিল না। তাই সবসময় শতভাগ আপডেট থাকা সম্ভব হয় নাই।
২২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৯
িনদাল বলেছেন: আপনি কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন ? আমার ৮০'র দশকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানার অনেক আগ্রহ। পারলে এ বিষয়ে কিছু লিখবেন
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: না, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম না। আমি এইচএসসির পরই বিদেশ চলে আসি এবং যুক্তরাস্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। দুঃখিত, এই বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করতে পারলাম না।
২৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:১৭
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকেও শুভ নববর্ষ মামা।
২৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:০১
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আমাকে উৎসর্গ করার জন্য শুধু নয় বরং এই পোষ্টের মাধ্যমে ফেলা আসা দিনে হাটতে এবং আলাপের সুযোগ করে দিতে ।
আমি প্রায় সব পত্রিকা ও ম্যাগাজিনেই নজর দিতাম । সকালে নাস্তার আগে পত্রিকা না পড়লে চলতে না আর এখন পত্রিকা পড়াই হয়না । বিচিত্রা , যাযাদিও নিয়মিত পড়তাম । গেদুচাচার চিঠিও মিস করতাম না । অন্তর্জালেই (ইফোরাম,ব্লগ, ফেসবুক ইত্যাদি) কাটে সারাদিন । আমার প্রথম লেখা ছাপা হয় দৈনিক বাংলায় ১৯৮৯ সালে তবে লেখক পরিচিতি গড়ে উঠে ইত্তেফাককে ঘিরে । প্রায় সব জাতীয় দৈনিক বিচরণ সত্ত্বেও আমি আজো ইত্তেফাকের লেখক-সাংবাদিক হিসেবেই পরিচিত ।
২। যে কোন কারনেই হোক, প্রেসিডেন্ট জিয়া শিশু-কিশোরদের নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছেন-এটা সত্য । শিশু পার্কে তালিকায় যোগ করেন ।
৩। বাংলাবাজার, ভোরের কাগজ , জনকণ্ঠ ইত্যাদির আগে ক্রেজ ছিল আজকের কাগজ । নাঈমুল ইসলামের খবর কাগজ দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হয় আজকের কাগজ নামে । বিটিভিতে তাদের এড ছিল -আমাদের হাত বাধা নেই , আমাদের চোখ খোলা আছে , আমরা লিখতে পারি ’ । মুক্তচিন্তকদের কলাম , রাজাকার বিরোধিতা দিয়ে এরা জনপ্রিয় হয় । পরে প্রকাশক কাজী শাহেদ মালিক সম্পাদকে পরিনত হন । আজকের কাগজ থেকে একটা গ্রুপ বের হয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সাবেরের প্রকাশনায় ভোরের কাগজ নামে আত্মপ্রকাশ করে । এরও পরে ভোরের কাগজের একটা গ্রুপ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম আলো বের করে । এদিকে বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন দৈনিক মুক্তকণ্ঠ , শৈলি সাহিত্য ম্যাগ , আনন্দধারা বিনোদন ম্যাগ ইত্যাদিও জনপ্রিয় হয় আবার মরেও যায় । এদিকে ইত্তেফাকের গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে যমুনা গ্রুপের মালিকানায় আসে যুগান্তর । পরে আবার ঐ গালাম সারোয়ারের নেতৃত্বেই হামিম গ্রুপের মালিকানায় প্রকাশিত হয় সমকাল । উল্লেখিত প্রায় সব পতিকায়ই আমার বিচরণ ছিল ।
৪। "উম্মাদ টিকে গেল, কার্টুন কয়েক বছর পর নাই হয়ে গেল। " আহ কার্টুন , খুব মিস করি ।
৫। সবাইকে অবাক করে দিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই বিচিত্রা ঠিকই বের হয়,যার সম্পাদক হিসেবে আবির্ভুত হন শেখ রেহানা। (গানচিল) পত্রিকা দখল করে আম্বালীগের পুরনো অভ্যাস । তাই বিচিত্রা দখলে বিস্মেয়ের কিছু নেই । কাজী শাহেদ , আতিকুল্লাহ খান মাসুদ দিয়ে যে মালিক সম্পাদকের ধারার শুরু তারই ধারাবাহিকতায় শেখ রেহানাও সম্পাদক বনে যান । আসলে সম্পাদনা করতেন বেবি মওদুদ । তার আমন্ত্রনে আমি কয়েকটি লেখা লিখেছিলাম সেখানে ।
৬। ইনকিলাবের মালিক ডিগবাজি দিয়ে বামপন্থী হওয়ার চেষ্টা করায় জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী ঝোপ বুঝে কোপ মারলেন। তিনি ইনকিলাব ও সংগ্রাম থেকে একঝাক সাংবাদিক নিয়ে বের করলেন নয়া দিগন্ত।( মহসিন৭১ )
ভুল পর্যবেক্ষণ । ল্যাঞ্জা লুকাতে জামাতি সংগ্রামের শাখা নয়া দিগন্ত এবং দিনকালের শাখা আমারদেশ । আর ইনকিলাব নয় নয়াদিগন্ত আর আমারদেশকেই বামপন্থীদের স্পেস দেয়া হয় । ইনকিলাবে সাবেক জাসদ হারুনুর রশীদই জায়গা পেয়েছিল । বামপন্থী লেখক হিসেবে পরিচিত উমর , আবুল কাশেম ফজলুল হক, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সহ আরো অনেকেই দিগন্ত ও আমারদেশে নিয়মিত । ইনকিলাব মাদ্রাসা তথা জমায়েতুল মোদ্দার্সেনের মুখপাত্র হিসেবে আবির্ভুত হয় । মোল্লাতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা আর ভারত বিরৌয়াধীতার জিগির এদের অস্ত্র । আওয়ামী লীগের সাথে এদের প্রথম প্রেম ’৯৪-৯৫ সালে । আর মান্নানের ছেলে বাহাউদ্দিনের আমলে তো এরা আম্বা মুখপাত্র । আম্বালীগ যদি মোল্লাতন্ত্রের মুখপাত্র হয়, খেলাফত মজলিসের সাথে চুক্তি করে, নিজেদের মহা ইসলামপ্রেমী হিসেবে দেখানোর কসরত করে তবে ইনকিলাবের সাথে এদের পিরিত হওয়ায় তো স্বাভাবিক ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমিও প্রায় সব ধরনের সব পত্রিকার দিকে নজর দিতাম। এই পোস্টেও চেষ্টা করেছি সব ক্যাটেগরীর এক-আধটার কথা উল্লেখ করতে। তখন তো পত্রিকাও অনেক কম ছিল। তখন সকালের নাস্তার আগে পত্রিকা পড়তাম, এখন পড়ি দুপুরের খাবার পরে কারন এই সময়টাতেই পত্রিকাগুলি অনলাইনে আসে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে একচেটিয়া রাজত্ব করেছে ইত্তেফাক পত্রিকাটা। স্বাধীনতা পূর্ব সময় থেকে আশির দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত। ৮৪ তে ইনকিলাব প্রথম কিছু অতি-ডান পাঠক (আমাদের দেশে এদের সংখ্যা খুব বেশি) নিয়ে গেল। পরে ৯০তে এসে আজকের কাগজ নিয়ে গেল প্রগতিশীল পাঠক সমাজকে। দুই ভাইয়ের বিবাদ আর তাদের অমনোযোগীতার কারনে ইত্তেফাক তার জমি হারালো। উপরে এক কমেন্টেও বলেছি, বেশ কিছু বড় মানুষ এই পত্রিকায় কাজ করতেন অতীতে। তারাই এটাকে অনেকদিন টেনে নিয়ে গেছেন। একটা বনেদী শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা সফলভাবে চালানো মঞ্জু-মইনুলের সামর্থের অনেক বাইরে। তারা শুধু পারে ধান্দাবাজি করতে।
শিশুপার্কের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। রেসকোর্সের স্মৃতি ধ্বংস করাই হোক বা যে কারনেই হোক, শিশুপার্ক অবশ্যই জিয়ার একটা ভাল কাজ।
আজকের কাগজের কথা মনে ছিল। কিন্তু এটা পুরোপুরি বন্ধ কিনা, আমি নিশ্চিত না। আমি ২০০৪ পর্যন্তও এর অনলাইন ভার্সন পড়েছি। ধুঁকে ধুঁকে চলছিল যদিও। এখনো কি বাজারে আছে? দৈনিক পত্রিকার আগে কাজী শাহেদ খবরের কাগজ নামে এক সাপ্তাহিকও বের করতেন যাতে লিখেই তসলিমা নাসরীন জগদ্বিখ্যাত হন। এটাও কি বের হয় এখন?
বেবি মওদুদ কে? জসীমউদ্দিন কন্যা আর মওদুদের স্ত্রী? যদি হয়ে থাকে, আমার সকল প্রশংসা এই পরিবারের জন্য। ধান্দাবাজিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে এরা। স্বামী বিএনপি, স্ত্রী আওয়ামী লীগ! আর কি লাগে?
যাই বলেন, ইনকিলাবের আশি বা নব্বইয়ের খবরগুলি, বিশেষ করে তাদের উপসম্পাদকীয়গুলির বিনোদন ছিল সেইরকম। আমি সেগুলি মিস করতাম। মনে হত, ভারত শুধু বাংলাদেশ না, খুব শিঘ্রি পুরো পৃথিবী দখল করে ফেলার সম্পূর্ন প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। আজকাল বিভিন্ন ব্লগে কিছু লোকের পোস্ট পড়ে সেইরকম বিনোদন পাই। তবে এটা কখনো আওয়ামী লীগের মুখপত্রে পরিনত হবে, সেটা ভাবি নাই।
আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনেক পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ল।
২৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:০৭
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: "এই লোকই একমি ওষুধ কোম্পানীর মালিক না?"
না মনে হয় ।
"ফ্রিডম পার্টির পত্রিকার নাম মিল্লাত ছিল না? "
হ ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হুমমম।
২৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৪৬
অ্যানালগ বলেছেন: ওয়েবসাইট ওয়ালা প্রথম বাংলাদেশী পত্রিকা সাপ্তাহিক যায়যায়দিন।
প্রথম দৈনিক পত্রিকা মুক্তকন্ঠ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: যায়যায়দিন প্রথম ওয়েবসাইট শুরু করে, সেটা জানতাম। প্রথম দিকে মাত্র চারটা পাতা অনলাইনে ছিল। কিন্তু মুক্তকন্ঠের কথা জানা ছিল না। আপনি নিশ্চিত এই ব্যাপারে? আমি কিন্তু মুক্তকন্ঠের নামই শুনি নাই, অনলাইনে দেখা তো দূরের কথা। কবে বের হয় এটা? আমি অনলাইনে সম্ভবত প্রথম বাংলা পত্রিকা দেখি ৯৬ এর শেষের দিকে ইত্তেফাক।
২৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৩৫
চলমান কলম বলেছেন: ৯৩ এর পরে মনে হয় ২বার বিচিন্তা আবার চালু হয়েছিল ।
তবে ২০১০ এ যে বিচিন্তা আবার চালু হয়েছিল এটা সিওর।কিন্তু আবার বন্ধ হয়ে গেছে ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:০৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: তথ্যের জন্য ধন্যবাদ। এগুলি আমার জানা ছিল না। সম্প্রতি শুনেছি মিনার মাহমুদ দেশে ফেরত গেছেন বা যাচ্ছেন। ২০১০ সালে কি উনিই আবার বের করার চেষ্টা করেছিলেন? ৯৩ এর পরে যেগুলি ছিল, সেগুলি মিনার সাহেবের তত্বাবধানে না, আমি নিশ্চিত।
২৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:৩৯
জোবায়ের বিন ইসলাম বলেছেন: আপনার বয়স কত?
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:০৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: পোস্টটা কি পড়েছেন ভাই? পোস্টটা শুরুই হয়েছে "আশির দশকের শুরুর দিকে আমি যখন সদ্য কৈশোরে"। তবু যখন জিজ্ঞেস করলেন, জীবনের চার দশক পার করে আরেকটু বেশি গেছি।
আচ্ছা, আমার 'জুহালা' নাম দেখে অনেকে মেয়ে বলে ভাবে। আপনিও ভাবছেন না তো?
২৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৬:২৭
কালীদাস বলেছেন: বিচিত্রার ইতিহাস জানলাম! ছোটবেলায় বাসায় দেখতাম ইত্তেফাক রাখত (এডের জন্য এর উপরে কোন পেপার নেই), তারপর ধরল আধুনিক আওয়ামি মুখপাত্র জনকন্ঠ (লীগের পাচাটা হয়ে যাওয়ার পর বাদ দিতে বাধ্য হলাম), এরপর থেকে প্রথম আলো
ছোটদের ম্যাগাজিনগুলো নিয়ে লিখবেন কিছু? আমি ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েও ২মাস কিশোর তারকালোক পড়েছি :!> :#> এরপর ন্যাকামির চুড়ান্ত মনে হওয়াতে ছেড়ে দিয়েছি
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:২১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: এটা বিচিত্রার ইতিহাস না, ইতিহাসের অতি খন্ডিতাংশ। বিচিত্রার পুরোনো সংখ্যাগুলি যদি কখনো সংগ্রহ করে পড়তে পারেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে সরকারী সংস্থা হয়েও, সরকারের কড়া নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থেকেও কতটা উচ্চমানসম্পন্ন হওয়া যায়। আমাদের ছোটবেলা তো পত্রিকা বলতে আমরা ইত্তেফাকই বুঝতাম। বিজ্ঞাপনের কথা বলছি না, কিন্তু পাঠকের কাছে ইত্তেফাক গ্রহনযোগ্যতা হারায় নয় দশকের শুরুতে। সময়ের সাথে এই পত্রিকাটা নিজেকে আপডেট করতে ব্যর্থ হয়। জনকন্ঠকে আমার কখনোই ভাল লাগে নাই। মানের চেয়ে ওদের গিমিকের দিকে বেশি নজর ছিল। এরা শুরুই করেছিল গিমিক দিয়ে। একদিন হঠাৎ টেলিভিশনে বিশাল বিজ্ঞাপন "আসছে ১৬ই ডিসেম্বরে দেশে পাঁচ জেলা থেকে একসাথে প্রকাশিত হবে জনকন্ঠ"। এটাও একটা গিমিক। মজার ব্যাপার হল, সেই ১৬ই ডিসেম্বর কিন্তু তারা পত্রিকাটা বের করতে পারে নাই। এটা বের আরও মাস তিনেক পরে। গিমিক বেশি দেখাতে গিয়ে ব্যপক ধরা খেয়েছিল।
ছোটদের ম্যাগাজিন নিয়ে লিখেছি তো। শিশু পত্রিকার কথা লিখেছি। কেউ এটা নিয়ে কোন কমেন্ট করে নাই। মনে হচ্ছে এর নামও কেউ কোনদিন শোনে নাই। আমি কিন্তু এটাকে বেশ জনপ্রিয় দেখেছি। কিশোর তারকালোক কখনো পড়ি নাই। দুয়েকবার সংবাদপত্র বিক্রয় কেন্দ্রে দেখেছি। এটা যখন বের হয়, আমি কৈশোর পার করে ফেলেছি। তবে আপনার এই কমেন্ট আমাকে মনে করিয়ে দিল তারকালোক পত্রিকাটার কথা।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৩০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:১২
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: "বেবি মওদুদ কে? জসীমউদ্দিন কন্যা আর মওদুদের স্ত্রী?"
না । মওদুদের স্ত্রীর নাম হাসনা মওদুদ ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:২৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হাঁ হাঁ। হাসনা মওদুদ। নাম ভুলে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ।
৩১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:০০
অ্যানালগ বলেছেন: উপরের তথ্যসূত্র আমি নিজেই, :#> । তখন আমি যদিও স্কুলবালক তথাপি পত্র-পত্রিকা নিয়মিত পড়া হতো। মুক্তকন্ঠ তখন প্রথম ও একমাত্র ওয়েবসাইট ওয়ালা দৈনিক বলে নিজেদের দাবী করতো সেটা মনে আছে। এটাও মনে আছে মুক্তকন্ঠ প্রকাশের আগে থেকেই সাপ্তাহিক যায়যায়দিনের ওয়েবসাইট ছিল।
যায়যায়দিনের প্রথম ওয়েব ঠিকানা ছিল http://www.jaijaidinweekly.com
পরে http://www.jaijaidin.com
প্রথম যেদিন ইন্টারনেট ব্রাউজের সুযোগ পেলাম ২০০০ সালে সেদিন যায়যায়দিনের প্রথম ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছিলাম, কারণ পত্রিকার ত্যাগ করা ঠিকানায় অন্য কেউ পর্ণ সাইট হোস্ট করেছিল
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:২৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: তথ্যটার জন্য ধন্যবাদ। উপরে ব্লগার নুরুজ্জামান মানিক জানালেন মুক্তকন্ঠ নাকি বেক্সিমকো গ্রুপের পত্রিকা। আমি এটার আজকেই প্রথম শুনলাম। বেক্সিমকোর অঢেল চুরির পয়সা দিয়ে তারা অনেকগুলি পত্রিকা বের করেছিল। এটা বোধহয় সেরকমই হবে। এখনও বের হয় এটা? পত্রিকার মান যেমনই হোক, বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন পত্রিকা তারা। তাই ইতিহাসের অংশ।
প্রথম যেদিন ইন্টারনেট ব্রাউজের সুযোগ পেলাম ২০০০ সালে সেদিন যায়যায়দিনের প্রথম ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছিলাম, কারণ পত্রিকার ত্যাগ করা ঠিকানায় অন্য কেউ পর্ণ সাইট হোস্ট করেছিল
হা হা হা।
৩২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:১৯
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: সংবাদ পত্রিকার কথা বললেন না যে?
কিছু স্মৃতি নিয়ে আসছি আবার...
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৪১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: সংবাদ পত্রিকা। হুমমম। আসলে এই পোস্টের ফোকাস বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাস না। আমি সেই পত্রিকাগুলির কথা লিখতে চেয়েছি যারা এককালে খুব জনপ্রিয় ছিল, পরে বাজার পড়ে গেছে বা বিলুপ্ত হয়েছে। পোস্টে উল্লেখ করা অনেক পত্রিকার নাম হয়ত আসিফ মুভি পাগলার মত নতুন প্রজন্মের ব্লগার শোনেই নাই, অনেকগুলির আজকের রুগ্নদশা দেখে কেউ বুঝতেই পারবে না যে এককালে তাদের কি প্রভাব আমাদের উপর ছিল। প্রসঙ্গক্রমে এবং অন্যান্য ব্লগার মন্তব্যে ইতিহাসও এসেছে। সংবাদ পত্রিকাটা সাধারন মানুষের কাছে কখনোই খুব জনপ্রিয় ছিল না। এর একটা ছোট niche (এই শব্দটার বাংলা মনে আসছে না!) পাঠক ছিল, তাদের নিয়েই সংবাদগোষ্ঠী সন্তুষ্ট ছিল। পত্রিকাটা ছিল একটু বোরিং টাইপ। সাথে আবার সমাজতন্ত্রের ছাপ লাগানো। মোটকথা হচ্ছে, চটকদারের চেয়ে তারা তাদের ক্লাস মেইনটেইন করতে বেশি সজাগ ছিল। ফলে খুব প্রভাবশালী তারা ছিল না। এখনও নাই। সেজন্য এর কথা লিখি নাই। তবে আপনাকে স্বাগতম, আপনি লিখতে পারেন। আপনার অন্যান্য স্মৃতিকথাও শোনার অপেক্ষায় থাকলাম। সংবাদ বের হয় নাকি এখনো? নাকি বজলুর রহমান সাহেব মারা যাওয়ার বন্ধ হয়ে গেছে?
৩৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:২৮
আলিম আল রাজি বলেছেন: দারুন লাগলো পোস্ট-টা।
কিছু স্মৃতি শেয়ার করি।
আমি একেবারে অজোপাড়া গায়ে বড় হয়েছি। আমাদের বাড়ি ছাড়া আর ঐ এলাকায় কেউ পত্রিকা পড়তো না। আসলে পত্রিকা যেতোই না। এখনো যায় না। আমাদের বাড়িতে বাবা প্রতিদিন শহর থেকে নিয়ে যেতেন।
সম্ভবত ১৯৯৬ সালের দিকের কথা। আমি পত্রিকা পড়া শিখেছি মাত্র। তখন বাবা নিয়ে যেতেন বাংলাবাজার পত্রিকা। বাংলাবাজারের সাথে মনে হয় প্রতি রোব-বার একটা পিচ্চিদের পাতা দিতো। আমি পাগল ছিলা ঐটার জন্য। আমার মনে আছে একবার বাবা ঐটা ভুলে ফেলে দিয়েছিলেন। এর জন্য অনেক কেদেছিলাম।
বাংলাবাজার বদলে এক সময় আসলো ইত্তেফাক। টারজান পড়তাম। দারুন লাগতো।
ইত্তেফাক পরে আসলো প্রথম আলো। ঐ কম বয়সেই বুঝলাম প্রথম আলো সাংঘাতিক পত্রিকা। পুরা পাংখা হয়ে গেলাম।
প্রথম আলোর এক বছর পরে আসলো যুগান্তর। গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে দারন চলছিলো। টানা ৫/৬ বছর যুগান্তরই পড়েছি। দারুন ভক্ত ছিলাম যুগান্তরের বিচ্ছু-র।
গোলাম সারোয়ার যুগান্তর ছাড়লেন। যুগান্তর সম্পাদকের চেয়ারে বসলেন একে একে এ বি এম মুসা, আবেদ খান। আবার ফিরে গিয়েছিলেন গোলাম সারোয়ার।
সারোয়ার সাহেব সমকালে যাওয়ার পর যুগান্তরের সম্পাদক হলে নুরুল ইসলাম বাবুকের বউ সালমা ইসলাম। শুরু হলো হাস্যকর সব কান্ড কারখানা। তিনি দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার সমস্যা নিয়ে শুরু করলেন প্রথম পাতায় মন্তব্য প্রতিবেদন লেখা। “গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল” হয়ে শুরু করলেন জ্ঞান বিতরণ। বলা বাহুল্য ঐগুলা সব ছিলো অত্যান্ত নিচু মানের। ঈদ সংখ্যার সাথে সম্পাদকের গানের ক্যাসেট ফ্রী দেয়া হয়। হা হা হা।
একে একে বের হলো সমকাল, আমার দেশ। সমকাল ভালো লাগলো।
আমার দেশও ভালো লাগলো। তখন এতোটা নগ্নভাবে বি এন পিকে সাপোর্ট করতো না। আমার দেশে তখন এন্টি বি এন পি সাংবাদিক এ বি এম মুসাও কলাম লিখতেন।
এখন বাসায় রাখা হয় তিনটা পত্রিকা। প্রথম আলো, কালের কন্ঠ, ডেইলী স্টার। কিন্তু ভালোভাবে পড়ি না একটাও।
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৫৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: খুব ভাল লাগল আপনার স্মৃতিচারন। খুব বেশি কিছু বলতে পারছি না কারন আপনি যে পত্রিকাগুলির কথা লিখেছেন সেগুলির বেশিরভাগের আমি কাগজ ভার্সন কখনও চোখে দেখি নাই। আপনার কাছ থেকে এগুলির ইতিহাসও ভাল জানা হল। আমার ইতিহাস মোটামুটি ভোরের কাগজে গিয়ে শেষ হয়ে গেছে, এর পরের খবর ভাল জানি না। আমাদের বয়সের মনে হচ্ছে বের বড় একটা ব্যবধান আছে। তবে ব্লগ এমনই হওয়া উচিত। সব প্রজন্মই তাদের সময়ের দৃষ্টিকোন থেকে ইতিহাসকে বর্ননা করবে, সবাই তখন সবার কাছ থেকে কিছু না কিছু জানতে পারবে। ওহ বলতে ভুলে গেছি। ছোটবেলা আমিও ইত্তেফাকের টারজান সিরিজ নিয়মিত পড়তাম।
ঈদ সংখ্যার সাথে সম্পাদকের গানের ক্যাসেট ফ্রী দেয়া হয়।
এটিএন এর মাহফুজুর রহমানের আত্মীয় নাকি?
অনেক ভাল লাগল আপনার মন্তব্যটা।
৩৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৭
আলিম আল রাজি বলেছেন: এখন পড়ি দৈনিক মতিকন্ঠ আর দৈনিক মগবাজার
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:৩০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। আমিও এই দুইটা নিয়মিত পড়ি। দারুন লাগে। ব্লগার আতরআলী আমাকে জানিয়েছেন মতিকন্ঠ বের করে সচলায়তনের হিমু এবং তার বন্ধুবান্ধব। মগবাজার কাদের আইডিয়া? এই বিষয়ে কিছু জানেন কি? যারাই এই সাইট দুইটার পিছনে থাকুক, আমার স্যালুট তাদের জন্য।
৩৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৪৬
জোবায়ের বিন ইসলাম বলেছেন: আপনি কি মেয়ে না? তাহলে এইরকম বড় চুল ওয়ালা একটা মহিলার ছবি লাগিয়ে রেখেছেন কেন?
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:৩৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ভাই, এইবার কিন্তু একটু বিরক্তিই হচ্ছি। এমনিতেই অন্যান্য নারী ব্লগারদের পোস্টে আপনার বাহুল্য মন্তব্য এবং আবোলতাবোল কথা আমার খুব একটা পছন্দ না। আপনি সবসময় অফটপিক কথা বলেন। এখানে প্রসঙ্গে কিছু বলার থাকলে, আপনাকে স্বাগতম। আর না বলার থাকলে.......
৩৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:৩৭
লিটল হামা বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট। প্রিয়তে। আমার পত্রিকা পড়া শুরু হয়েছিলো, বলতে লজ্জা লাগছে তৎকালীন জামাত মদদ পুষ্ট পূর্ণিমা দিয়ে। ওরা কিছুদিন পরপর ঢাকা শহরের কোথায় কোন মক্ষীরাণী কী লীলাখেলা করে সেটা নিয়ে কভার স্টোরি করত। হাহা! এরপর যায়যায়দিনের ভক্ত হৈলাম। বিচিত্রা সেভাবে পরা হয়নাই, তবে আনন্দ বিচিত্রা জোস্ লাগতো। বিচিত্রার বিশেষ সংখ্যাগুলো ছিলো অসাধারণ। আর উন্মাদের কথা কী বলব! পাঙ্খা ছিলাম পুরা। কালেভদ্রে পড়তাম বর্তমান দিনকাল। আর সুড়সুড়ি ম্যাগাজিন ছিলো গেরিলা এবং চিকিৎসা সাময়িকী। লুকায়া পড়তাম
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:০১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমার মোটামুটি সব পোস্টেই আপনাকে সঙ্গী হিসেবে পাই, গর্বিত আমি। জামাতি পত্রিকা দিয়ে শুরু করার মধ্যে লজ্জার কিছু নাই। জীবনে খারাপ জিনিসকে অন্তত দূর থেকে একনজর না দেখলে ভাল জিনিসটা বুঝবেন কিভাবে? আমি তো নিয়মিত সোনারবাংলাব্লগেও যাই। দেখি তারা কি বলে, কি ভাবে। তাদের প্রতিহত করতে হলে তাদের চিন্তাভাবনার সাথে পরিচিত হওয়াও জরুরী। পূর্নিমা অবশ্য পত্রিকা হিসেবে খুব বাজে ছিল। কালেভদ্রে দুয়েক সংখ্যা নেড়েচেড়ে দেখেছি। তেমনভাবে পড়া হয় নাই। যায়যায়দিনের মূল আকর্ষন যে মইন-মিলার কাহিনী, সেটা কিন্তু অনেক পুরোনো। জিয়ার আমলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এই কলামটার শফিক রেহমান একটা সংকলনও বের করেছিলেন। জানি না, এটা বাজারে পাবেন কিনা। তবে খুঁজে দেখতে পারেন। জিয়ার আমলের একটা সার্বিক চিত্র পাবেন। বইটার নামও যায়যায়দিন। প্রকাশনীর নাম মনে করতে পারছি না। উম্মাদ টিমকে আমি আসলেই শ্রদ্ধা করি। প্রথম যখন দেখি ৮৫-৮৬ সালের দিকে, সেই আমলে দাম ছিল পাঁচ টাকা। পাঁচ টাকা দিয়ে তখন মগবাজার থেকে নিউমার্কেট যাওয়া যেত। যায়যায়দিন, বিচিন্তার দাম ছিল আড়াই বা তিন টাকা আমি স্বপ্নেও ভাবি নাই যে এত দামী একটা পত্রিকা ফান কার্টুন বিক্রি করে ২৫ বছরেরও বেশি টিকে থাকবে! স্যালুট আহসান হাবীব আর তার গ্রুপের জন্য। গেরিলা আর চিকিৎসা সাময়িকীর নাম শুনি নাই। লুকিয়ে পড়ার কারন কি? নাম শুনে তো পর্নোগ্রাফিক ম্যাগাজিন মনে হচ্ছে না। এটা চিকিৎসা বিষয়ক (আপনি কি ডাক্তার?) পত্রিকায় লুকিয়ে পড়ার কি থাকতে পারে?
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৩৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: যায়যায়দিন বইটার প্রকাশনীর নাম মনে পড়ল। সন্ধানী প্রকাশনী।
৩৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:০৪
জোবায়ের বিন ইসলাম বলেছেন: "অন্যান্য নারী ব্লগারদের পোস্টে আপনার বাহুল্য মন্তব্য এবং আবোলতাবোল কথা "
লিংক দেন ত দেখি কোথায় বাহুল্য মন্তব্য করলাম আর আবোল তাবল কথা বললাম। একটা দিলে কিন্তু হবে না। কারন আপনি লিখেছেন ' নারী ব্লগারদের'। ব্লগারদের একটি বহুবচন শব্দ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:১৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ভাই, দয়া করে অন্য কোথাও অন্য কারো গল্পগুজব করলে হয় না? এখানে সবাই একটু সিরিয়াস আলোচনায় আছি আমরা। সামহোয়ারে কতশত আড্ডা, কপিপেস্ট পোস্ট। কোন একটা খুঁজে নেন না দয়া করে। যাহোক, আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। তবে এটাই শেষ, এরপরে আর প্রসঙ্গের বাইরে কোন আলাপ করব না। ব্লগার শাহানা এবং রুপকথার রাজকন্যার পোস্টে আপনি তাদের বিরক্ত করে এসেছেন।
ভাই আর কিন্তু না। সিরিয়াসলি বিরক্ত হচ্ছি।
৩৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:২৪
মেলমুটকিড বলেছেন: সেই ৮০এর দশকটা অনেক মিস করি।ইত্তেফাক,সংবাদ এসব কত জনপ্রিয় পত্রিকা ছিলো,আজকে কে এসব বিশ্বাস করবে।ইন্টারনেটের এ যুগে আর অনেক পত্রিকা হারিয়ে যাবে।পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৩৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আমিও সেই সময়টা মিস করি। সাতসকালে উঠে খবরের কাগজের সস্তা নিউজপ্রিন্টের স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধের যে কি মজা!
অফটপিকঃ মেলমুটকিড অর্থ কি?
৩৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৪৩
লিটল হামা বলেছেন: শফিক রেহমানের বইটি পড়েছি। আমাদের হলের লাইব্রেরীতে ছিলো দারুণ একটা বই। যায়যায়দিনে সবার আগে পড়তাম প্রেমলীলা আর অবাক পৃথিবী। দারুণ মজার জিনিস ছিলো। শফিক রেহমান লোকটা ব্রিলিয়ান্ট। চামচামী করতে গিয়া গেলো।
গেরিলা ছিলো সেমিপর্ণ টাইপ পত্রিকা। চিকিৎসা সাময়িকী মূলত চিকিৎসাভিত্তিক পত্রিকা হলেও কাটতির জন্যে কিছু রসাত্মক গল্প ছাপাইতো। একটা সিরিজ ছিলো কোন ভাবীরে নিয়া জানি হাহা!
আমি ডাক্তার না।
উন্মাদ আসলেই একটা বিস্ময়। আহসান হাবীব বসকে স্যালুট। গর্বের সাথে জানাচ্ছি, আমি উন্মাদে দুই বছর কাজ করেছিলাম। অনিয়মিত অবশ্য। বেশ অনেকগুলো লেখা ছাপা হয়েছিলো। আজো মনে পড়ে আহসান হাবীব, শাহরিয়ার শরীফ, অনিক খান, শিখা এদের সাথে মজার আড্ডার স্মৃতি। অফিসটা ছিলো পুরাই তারছিড়া মার্কা। উদ্ভট সব ডেকোরেশন ছিলো! উন্মাদে ছাপা হওয়া দুটি লেখা ব্লগেও দিয়েছি। সময় পেলে পড়ে নিয়েন।
Click This Link
Click This Link (এটা উন্মাদে প্রকাশিত আমার সর্বশেষ লেখা)
আরো দুটো পত্রিকা পড়তাম। সাপ্তাহিক ২০০০।গোলাম মুর্তজার সাহসী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আর চলতিপত্র। দারুণ একটা পলিটিক্যাল পত্রিকা ছিলো। সেই সময়কার আনিসুল হকের তীর্যক রাজনৈতিক রম্য ছিলো অসাধারণ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:০৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: শফিক রেহমান আসলেই ব্রিলিয়ান্ট। ষাটোর্ধ এই ভদ্রলোক দেশের কিশোর-তরুন সমাজের পালস খুব ভাল ধরতে পারতেন। এত স্ট্রাগল করেছেন এরশাদের সময়! একবার মা অসুস্থ থাকায় তাকে দেখতে এসেছিলেন বাংলাদেশে, এরশাদ জানতে পেরে এয়ারপোর্ট থেকেই ফেরত পাঠিয়ে দেন। সাইফুর রহমানের ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ বন্ধু শফিক রেহমান নৈতিক স্খলন হয় ২০০১ সালে নির্বাচনের কিছুদিন আগে। বিএনপির ৯১-৯৬ শাসনামলে কিন্তু কড়া সমালোচক ছিলেন। ভ্যালেন্টাইন্স ডে হয়ত এমনিতেও কয়েক বছর পর জনপ্রিয় হয়ে যেত, কিন্তু প্রথম বাঙালিকে এই দিনটা চেনানোর কৃতিত্ব তাকে দিতে হবে।
পর্নো পত্রিকার নাম গেরিলা আর চিকিৎসা সাময়িকী! এদের মালিক-সম্পাদকের ক্রিয়েটিভিটির প্রশংসা করতেই হবে।
আপনি উম্মাদে লিখতেন! এতো দারুন ব্যাপার। অবশ্যই খুব গর্বের। আমি নিজেও গর্বিত উম্মাদের একজন লেখকের সাথে ব্লগিং করতে পেরে। সবার কমেন্টের উত্তর দিয়ে আপনার লেখাগুলি পড়ব।
সাপ্তাহিক ২০০০ আমি অনলাইনে কিছু সংখ্যা পড়েছি। বেশ ভাল ছিল। চলতিপত্রের নাম মনে করতে পারছি না! আনিসুল হক প্রথম গদ্যকার্টুন সাপ্তাহিক খবরের কাগজে লিখতেন না? চলতিপত্র নামটা মনে আসছে না কেন?
৪০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৫:০১
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ক্রীড়ালোক একটা স্পোর্টস ম্যাগাজিন ছিল।আমার প্রথম পাঠ্য।
উন্মাদের বাইরে ওটা আর ইত্তেফাকের টারজান পড়তাম।
ক্রীড়ালোক বিশেষভাবে ভাল লাগতো উৎপল শুভ্রের লেখার কারনে।
(ক্রীড়াজগতকেই ক্রীড়ালোক বলে ভুল করছি না বলেই মনে হচ্ছে তবুও ভুল হতে পারে )
মানসম্পন্ন ঐতিহাসিক লেখাটা খুবই ভাল লাগলো।ধন্যবাদ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:১৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ক্রীড়ালোক আর ক্রীড়াজগত এক না। ক্রীড়ালোক আমি খুব বেশি পড়ি নাই, তাই এর কথা পোস্টে উল্লেখ করা হয়নি। আপনি মনে করিয়ে দিলেন, সেজন্য অনেক ধন্যবাদ। এই পত্রিকাটাও অনেক বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে আমার ধারনা। আচ্ছা ৮৮ সালে আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠী আবাহনী নামে ক্লাবের একটা পত্রিকা বের করেছিল। আপনারা কেউ কি সেটা পড়েছেন? আমি এর দুটো সংখ্যা পড়েছিলাম। তারপর বোধহয় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল।
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৮:০০
কালীদাস বলেছেন: যায়যায়দিন আমিও পড়েছি অনেকদিন (ছোট ছিলাম তো, প্রেমলীলা লুকিয়ে লুকিয়ে পড়তাম)!
আরেকটা পেপারের কথা মনে পড়ল বাংলার বাণী। আব্বার অফিসের পাশের বিল্ডিং-এই মনে হয় ছাপাত, রোজ দেখতাম, ফ্রি সৌজন্য কপি নিয়ে আসত আব্বা। কোয়ালিটিও সৌজন্য টাইপেরই ছিল
তবে যাই বলেন, মতিকন্ঠের উপর কিছু নাই
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:২১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। প্রেমলীলা ছাড়াও দিনের পর দিন (মইন-মিলা) কলামের শেষে প্রায়ই একটা রসাত্বক গল্প থাকত।
বাংলার বানী তো অফিসিয়ালি আওয়ামী লীগের মুখপত্র। এর প্রতিষ্ঠাতা শেখ মনি। স্বাধীনতা পরবর্তী অরাজক পরিস্থিতি এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের আদর্শ ও চেতনাকে ধ্বংস করে ফেলার কৃতিত্ব যদি কোন একজন ব্যক্তিকে দিতে হয়, সেটা হবে এই শেখ মনি। এই লোকের পত্রিকা থেকে আর কি মান আশা করবেন?
মতিকন্ঠের উপরে কিছু নাই।
৪২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:১৭
কক বলেছেন: ভালো পোস্ট। ব্লগারদের বয়স বিচার করার জন্য খুবই উত্তম;
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:২৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। আপনি আসলেই ফানি লোক। আপনিও কিছু বলে যান। আপনার বয়সও আমরা বিবেচনা করি। আপনি কিছু বলার আগে আমি একটা অনুমান করি। আপনার বয়স ১৬-১৮ বছর।
৪৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:১৮
আলিম আল রাজি বলেছেন: আচ্ছা! "গেদুচাচা" কি "খন্দকার মোজাম্মেল হোসেন"? নাকি "খন্দকার মোজাম্মেল হক"?
আমি যতোটুকু জানি ইনি হলেন মোজাম্মেল হক। ইনি এখন সাপ্তাহিক "আজকের সূর্যদয়" সাংবাদিক। এই সাপ্তাহিকটি এখনো বের হয়। নগ্নভাবে আওয়ামিলীগকে সাপোর্ট করে। আমি গত মাসেও একটা সংখ্যা পড়েছি।
আমার জানামতে ইনিই হলেন সেই মোজাম্মেল হকঃ Click This Link
বুঝতে পারছি না এভাবে তার ফেসবুক আইডি দেয়া ঠিক হলো কি না! হলে কমেন্ট মুছে দিতে পারেন। কোন আপত্তি করবো না।
ও হ্যা! শুভ সকাল।
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৩০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: গেদুচাচার জনকের নাম নিয়ে তো বেশ মুশকিল হল। সত্যি বলতে, তার নাম খন্দকার ছিল, এইটুকুই আমি নিশ্চিত। বাকি সবকিছুতেই আমার সন্দেহ ছিল। তবে আমি পোস্টেই উল্লেখ করেছি যে উনি পরে আজকের সুর্যোদয় বের করেন। আমি শুনেছিলাম উনি বিদেশ চলে গেছেন। ভুল শুনেছি বলে মনে হচ্ছে। সুগন্ধা আমলে তার দাড়ি ছিল না। চেহারা ২০ বছর পর মনে করতে পারছি না। যাই হোক, আপনার কথাটাই নিলাম। পোস্টে আবার নামটা এডিট করে দিচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ফেসবুক তো ওপেন একটা ব্যাপার। আর একজন প্রথিতযশা সাংবাদিকের ফেসবুক আইডি ব্লগে দিলে আর কি সমস্যা হবে?
ও হ্যা! শুভ সন্ধ্যা।
৪৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:১৭
চলমান কলম বলেছেন: হু ২০১০সালে মিনার মাহমুদই বের করেছিলেন।তবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আবার চলে যান।আর বিচিন্তার সেই হারানো অতীতও উদ্ধার করা সম্ভব না এটা বুঝে গিয়েছেন উনি ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:০২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: তথ্যটার জন্য ধন্যবাদ। আমিও কোথায় যেন পড়েছিলাম মিনার মাহমুদ দেশে গেছেন। কিন্তু আসলেই বিচিন্তা পুনঃপ্রকাশ করেছিলেন এবং আবার ফিরেও এসেছেন, এতসব জানা ছিল না। কি ধরনের অসুস্থ উনি? জানেন কিছু?
৪৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৩৮
রোবোট বলেছেন: ১। খবর পত্রিকার মালিকের নাম মিজানুর রহমান মিজান। ইনি একমির মিজানুর রহমান সিনহা না। খবর বোধ হয় অনেক দিন ধরেই বন্ধ।
২। আজকের কাগজ মনে হয় বছর খানেক আগে বন্ধ হয়ে যায়।
৩। ইত্তেহাদ মনে হয় অলি আহাদের পত্রিকা ছিলো।
৪। ফ্রিডম পার্টির পত্রিকার নাম ছিলো মিল্লাত।
৫। ঝরণা পত্রিকার নাম বললেন না যে? বিরাট বিনোদন ছিলো।
৬। রোববার, সচিত্র সন্ধানী, দেশবন্ধু, পূর্বাভাস এগুলার নাম নিলেন না যে?
৭। টেকনিক্যালি বাংলার বাণী আওয়ামী লীগের মুখপত্র ছিলো না, ছিলো শেখ সেলিমের পত্রিকা। খুবই নিম্নমানের তবে জনপ্রিয় পত্রিকা।
৮। একতা ছিলো সিপিবির পত্রিকা।
৯। ৮০র দশকে সংবাদ একটা দারুণ পত্রিকা ছিলো। যারা পড়েননি তারা বুঝবেন না।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:১০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার বিস্তারিত পয়েন্ট বাই পয়েন্ট মন্তব্যের জন্য। বেশ রোবোটিক স্টাইলের মন্তব্য। সংবাদ যখন আমি পড়ি, তখন আমার বয়স ১৪-১৫ বছর। সেই বয়সটা হয়ত আরও চটকদার জিনিস খোঁজে। আজকে আমার যে বয়স, সেই বয়স যদি তখন থাকত, আমি হয়ত আরও ম্যাচিউরড দৃষ্টিকোন থেকে এই পত্রিকাগুলিকে বিবেচনা করতে পারতাম। সংবাদ আমার সেই বয়সের জন্য হয়ত একটি বেশি ম্যাচিউরড ছিল। কিন্তু আপনার কাছে দারুন লেগেছে, আপনি হয়ত বয়সে বা চিন্তাভাবনায় আমার চেয়ে একটু এগিয়ে আছেন। তবে ব্লগে তো আর ব্লগলেখকের বক্তব্যই শেষ কথা না। পাঠকদের মন্তব্যও আমলে নিতে হবে। এই ব্লগ যারা অনুসরন করবে, তারা আপনার মন্তব্য থেকে জানতে পারবে যে একসময় সংবাদ একটা উন্নতমানের পত্রিকা ছিল। রোববার, বাংলার বানী ইত্যাদি পত্রিকাগুলি কখনোই ভাল লাগে নাই। কালের ব্যবধানে বেশ কিছু পত্রিকার নাম ভুলে গেছি যেগুলি মনে রাখা উচিত ছিল, যেমন পূর্বাভাস। দেশবন্ধুও যতদুর মনে পড়ে ৮৭ এর আন্দোলনের পর নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৪৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪৪
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
বেশ ভালো লাগলো। সব গুলো পত্রিকারই নিয়মিত পাঠক ছিলাম আমি। ঐ সময়ে আমি বিচিত্রার এমনই একজন পাঠক ছিলাম যে, প্রতি বছরের বিচিত্রা আলাদা করে বাধাই করে রাখতাম।
আর একটি সাপ্তাহিক ছিল " সন্ধানী ", ওটা পরেননি আপনি ?
শুব নববর্ষ
২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:১৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঐ সময়ে আমি বিচিত্রার এমনই একজন পাঠক ছিলাম যে, প্রতি বছরের বিচিত্রা আলাদা করে বাধাই করে রাখতাম।
বাপরে! আমিও অনেক বড় ফ্যান ছিলাম, তবে এত ধৈর্য ছিল না। যাইই বলেন মামা, বিচিত্র কুরুক্ষেত্র কলামটার কিন্তু জবাব নাই। সেই বয়সের জন্য সেটা খুব দারুন একটা ব্যাপার ছিল। এখন পড়লে কেমন লাগবে কে জানে!
অনেক ধন্যবাদ মামা আপনার মন্তব্যের জন্য।
৪৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:১৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: একটা সেমি-প্রাসঙ্গিক কথা বলি। সেসময় আরেকটা বিদেশি ম্যাগাজিন আমরা খুব পড়তাম যেটা এখনও হয়ত তাদের দেশে খুব জনপ্রিয়, কিন্তু আমাদের দেশে আর চলে না। ম্যাগাজিনটার নাম দেশ। কলকাতার। 'তথাকথিত বাংলাদেশ' বলার কারনে ৯২-৯৩ সালের দিকে এটা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়। এখনও হয়ত নিষিদ্ধ আছে, না হলেও এর জনপ্রিয়তা কালের ব্যবধানে কমে গেছে নিশ্চয়ই। এটা কলকাতার একটা বেশ ভাল প্রকাশনা ছিল।
৪৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৮:৫৭
জুন বলেছেন: রাইসুল আপনার লাস্ট পোস্ট টা কই গেলো যেটা দেখে লগ ইন হোলাম।
রীমার বাবা আমার মা র সেকেন্ড কাজিন । ওনার নাম মনে হয় নিজাম উদ্দিন ডাক নাম দাদন। বিক্রমপুর বর্তমানে মুন্সীগন্জে বাড়ী।
আমি ও অবশ্য ভুল করতে পারি আপনি একটু দেখবেন।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:০৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: দুঃখিত আপা। একটু সমস্যা হয়ে গিয়েছিল। তাই ড্রাফট করে ফেলেছিলাম। আসলে পোস্ট শেষ হবার আগেই পোস্ট বাটনে চাপ পড়ে গিয়েছিল। এখন ফাইনাল ভার্সন দিয়েছি এখানে ।
ওহ রীমা আপনার আত্মীয়! তাহলে তো এই পোস্ট আপনার লেখা উচিত। আপনি আরও ভালভাবে লিখতে পারবেন। আপনি লিখতে চাইলে আমি আমার পোস্ট সরিয়ে নিতে পারি। জানাবেন, কোন সংকোচের দরকার নাই। মূল ঘটনাটা সবাই জানলেই হল। আপনার মামার নাম ঠিক করে দিলাম। আমি নিজেও একটু সন্দেহে ছিলাম। ২২ বছর আগের স্মৃতি ধরে রাখা মুশকিল। যাইহোক, আমি আপনার পরিবারের এই লসের জন্য দুঃখিত। আমি রীমার মায়ের কথা ভাবি। বেচারী কি দোষ করেছিল খোদার কাছে? এত কষ্ট তার পাওনা ছিল না।
৪৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৩৩
রেজোওয়ানা বলেছেন:
দারুন পোস্ট। মজার কিছু ইতিহাস জানলাম, স্পেশালি 'গেদুচাচা'। আমার ছোটবেলায় দেখা ইত্তেফাকের শুধু একটা ব্যপার মনে আছে, সেটা হলো সিনেমার বড় বড় ছবি ছাপা হতো দুটো পাতায়, ঐটা খুব আগ্রহ করে দেখতাম.....
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:০২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে সিনেমার বিজ্ঞাপন থাকত বিশাল বিশাল সাইজের। আপনি শেষ ইত্তেফাক পত্রিকাটা কবে দেখেছেন? এখনো কি এভাবে বিজ্ঞাপন ছাপা হয়? আপনাকে ইতিহাস জানাতে পেরে আমি আনন্দিত।
৫০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৫৭
আবু জাফর সাদিক বলেছেন: এরশাদকে কেন্দ্র করে তখন কয়েকটি পত্রিকা বের হয়েছিল। বিক্রম নামে একটা ছিল, মনে হয় বেশি দিন টেকে নাই। যায়যায়দিন, বিচিন্তা আর বিক্রমের স্বর্ণযুগে আমি গেদা বাচ্চা। কিন্তু ক্লাস এইটে উঠে স্টোর থেকে সব পুরাতন সাপ্তাহিক নামিয়ে একে একে পড়ে ফেলি। যায়যায়দিনে কাকের বাসা নামে একটা মজার কলাম ছিল। একটানা ১৯৮৫-১৯৯০-র পত্রিকা পড়ার ফলে ১৯৯৫ সালেও আমার কাছে ১৯৯৩ সালের চেয়ে ১৯৮৭ সাল (তখন মাত্র আমি স্কুলে ভর্তি হয়েছি) অনেক কাছের মনে হত।
বিশেষ কিছু হলে তখন দৈনিক পত্রিকাগুলি দুপুর বেলায় 'টেলিগ্রাম' নামে দুই পাতার বিশেষ জরুরি সংখ্যা বের করত।
শিশু পড়েছি কিছুদিন। মোটা একটা ম্যাগাজিন - দাম মনেহয় দুই টাকা ছিল!
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক অপেক্ষার পর একজন পাওয়া গেল যিনি শিশু পত্রিকা পড়েছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাই, আপনার অপেক্ষাতেই ছিলাম। এই চমৎকার এবং জনপ্রিয় শিশু পত্রিকাটার কথা কেউ উল্লেখ না করায় একটু হতাশ হচ্ছিলাম। টেলিগ্রাম এরশাদ আমলে প্রচুর বের হত। তখন টেলিভিশন চ্যানেল বা ইন্টারনেট ছিল না আর প্রায়ই নানান আজব ঘটনা ঘটত, তাই লোকের অনুসন্ধিৎসু মনকে শান্ত করার জন্য হাজির হত টেলিগ্রাম। আমি শেষ টেলিগ্রাম দেখেছি ৯১ এর জানুয়ারী মাসে যেদিন এরশাদকে গ্রেফতার করা হয়।
অনেক ভাল লাগল আপনার মন্তব্যটা।
৫১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:৩১
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: যায় যায় দিন আর আলপিনের রেগুলার পাঠক ছিলাম
আপনার এই সিরিজ দারুণ হচ্ছে - চালিয়ে যান - আমরাও পুরানা জিনিস নতুন করে জানি
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:০৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। চালাতে তো চাই, সমস্যা হচ্ছে অনলাইনে কোন রেফারেন্স পাই না। ২৫-৩০ বছর আগের ঘটনা তো হুবহু মনে রাখা সম্ভব না। লেখার আগে একটু যে কোথাও রিচেক করে দেখব বা নামগুলি একটু নিশ্চিত হব, তার উপায় নাই। তারপরও দেখা যাক কতদিন চলে! সাথে থাকবেন আশা করি।
৫২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৫৬
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
যথারীতি আরেকটি তথ্যবহূল পোষ্ট।
অভিনন্দন
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৩৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কবি।
৫৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:০৬
আরিফ রুবেল বলেছেন: এই পত্রিকাগুলো কোথায় পড়া যায় বলতে পারেন? পাবলিক লাইব্রেরীতে কি পাওয়া যাবে?
চমতকার পোস্ট, শোকেসে রাখার মত, তাই শোকেসে রাখলাম।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: না, জানি না। পাবলিক লাইব্রেরীতে খুঁজে দেখতে পারেন। তবে আমি খুব আশাবাদী না। বোঝেনই তো আর্কাইভ করার দিকে, ইতিহাস সংরক্ষনের দিকে আমাদের ঝোঁক কম।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য এবং শোকেসে রাখার জন্য।
৫৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৭:১৯
মশিউর মামা বলেছেন: সাপ্তাহিক বিচিত্রা জিয়ার মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে ভাঙ্গা সুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জির যে কাভার স্টোরি করে সেই স্টোরি জিয়ার সততাকে প্রায় মহামানবের পর্যায়ে নিয়ে যায় |
চিত্রবাংলা নামেও একটা সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল বেশ জনপ্রিয় |
২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:২২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: একটা মজার কথা শুনবেন। বিচিত্রার প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন কাজী জাওয়াদ যিনি ৮৮-৮৯ সালের দিকে টেলিভিশনে শিরোপা নামে একটা সাধারন জ্ঞান প্রতিযোগীতার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন। এই কাজী জাওয়াদকে আবার জিয়া হত্যার পিছনে দোষী বলে মনে করে কেউ কেউ! চিত্রবাংলা ভাল লাগত না।
৮৭ সালে এরশাদের মন্ত্রীসভা থেকে লাথি খাওয়ার পর সম্মানিত (!) বামনেতা কাজী জাহিদ একটা সাপ্তাহিক বের করেছিলেন অল্প কিছুদিনের জন্য। কেউ জানেন এই পত্রিকার নাম কি ছিল? প্রথম সংখ্যাটা খুব আলোড়ন তুলেছিল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: কাজী জাহিদের সাপ্তাহিকটার নাম খুব সম্ভব "এখনই সময়"। নাকি ভুল বললাম? ধুর, কোন কিছুই আজকাল মনে থাকে না।
৫৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৭:২৩
মশিউর মামা বলেছেন: ইত্তেফাক পড়তাম কোথায় কি বাংলা সিনেমা চলে তা জানার জন্যে | তাদের মত বড় করে সিনেমার বিজ্ঞাপন কেউ দিতনা |
দৈনিক পত্রিকার সাথে দৈনিক ম্যাগাজিন সম্ভবত চালু করে প্রথম আলো |
২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:২৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: প্রতিদিন সাপ্লিমেন্ট দেয়াটা প্রথম আলোই চালু করেছে। এর আগে পত্রিকাগুলি সপ্তাহের নির্দিষ্ট কয়েক দিন সাপ্লিমেন্ট দিত যেমন ভোরের কাগজের মেলা। আসলে মতিউর রহমানের তিন পত্রিকা আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ আর প্রথম আলো বাংলাদেশের সংবাদপত্রকে সম্পূর্ন এক নতুন ধারায় নিয়ে গেছে। বহু নতুন জিনিস এই তিন পত্রিকার হাত ধরে এসেছে যা এখন সবাই অনুসরন করছে।
৫৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৪
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: "দৈনিক পত্রিকার সাথে দৈনিক ম্যাগাজিন সম্ভবত চালু করে প্রথম আলো | "(মশিউর মামা )
"প্রতিদিন সাপ্লিমেন্ট দেয়াটা প্রথম আলোই চালু করেছে।" (লেখক)
ভুল । এটা করে মুক্তকণ্ঠ যার জন্ম আলুর আগে ।
"আসলে মতিউর রহমানের তিন পত্রিকা আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ আর প্রথম আলো"
কৃতিত্ব নাঈমের যদিও দালালিতে তিনি অবশ্যই নোবেল পেতে পারেন ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আচ্ছা মুক্তকন্ঠ কবে বের হল? কবেই বা বাজার থেকে চলে গেলে? নাকি এখনো বের হয়? আমি তো কোনদিন নামও শুনি নাই। এই পোস্টেই প্রথম আপনাদের কাছে শুনছি! অবশ্য সে আমলে ইন্টারনেট না থাকায় বা থাকলেও খুব দুর্বল অবস্থায় থাকার কারনে দেশের খবর খুব কম পেতাম এবং বেশ অনেকদিন পরে হয়ত পেতাম। এত বিখ্যাত একটা পত্রিকা আমি মিস করলাম কিভাবে? বেক্সিমকো গ্রুপের আমি একটা পত্রিকাই একবার দেশ থেকে ফেরত যাওয়া এক বন্ধুর কাছে দেখেছিলাম, ইংরেজী দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সম্ভবত ৯৬ সালের দিকে। বাজে পত্রিকা কিন্তু বিশাল সাইজ। বাংলার গৃহবধুর জন্য আদর্শ কারন তারা অনেক হাড়িপাতিল কিনতে পারবে এটা দিয়ে। মুক্তকন্ঠও কি সেসময়ই বের হয়?
৫৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:০৯
নাজনীন১ বলেছেন: চমতকার তথ্যসমৃদ্ধ একটা পোস্ট! নিজের যতটুকু কিছু কিছু মনে আছে, তার চেয়ে অনেক বেশি বেশি জেনেছি এখান থেকে.
তখনকার ম্যাগজিনগুলোতে দেশ-বিদেশের অনেক ঠিকানা ছাপা হত, পত্রমিতালির জন্য. বান্ধবীরা মিলে মজা করে সেসব ঠিকানা পড়তাম, সাথে মনে হয় কিছু লেখাও থাকতো, আজকের পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপন পড়তে যেরকম মজা লাগে.
গেদু চাচার খোলা চিঠি পড়তাম, ইত্তেফাকে সিনেমার বিজ্ঞাপন দেখা, ভোরের কাগজের নো দাই সেল্ফ ..... আর এখন প্রথম আলোর ফিচার পাতাগুলো. এছাড়া কিশোর পত্রিকা পড়া হতো নিয়মিত. তবে বেশি সেবা প্রকাশনীর বই পড়ে পত্রিকার কঠিন সংবাদ, কলাম এসব পড়তে বেশি আগ্রহ পেতাম না তখন, যেটা পড়ার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে হল জীবনে এসে. এখানেই দিনে আট-দশটা পত্রিকা পড়া হতো হল কর্তৃপক্ষের সুবাদে. মাঝখানে ইত্তেফাক পড়া ছেড়ে দিলেও এক সময়ে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখতে পড়া হতো বিরক্তি নিয়ে. চাকরি পাবার পরে আর পড়িনি. সেই ম্যালা দিন থেকে প্রথম আলোই পড়া হয়, যদিও মাঝে মাঝে কিছু বিরক্তও লাগে.
২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। পত্রমিতালীর কথা মনে করিয়ে দিলেন। ইত্তেফাকে ছোট বিজ্ঞাপন ছাপা হত এগুলির। আজকের চ্যাট, ব্লগ বা ফোরাম বন্ধুর আদি সংস্করন। মানিঅর্ডার করে টাকা পাঠালে ওরাই ডাকযোগে পাঠিয়ে দিত। আমি ভাবতাম, পয়সা খরচ করে কে এইসব বই কিনে আবার পত্রও লিখে! ইত্তেফাকের সিনেমা বিজ্ঞাপনের আসলে একটা দারুন মজা ছিল, আমার খুব মজা লাগত এদের ভাষার ব্যবহার এবং বিভিন্ন নায়ক-নায়িকাদের আলাদা টাইটেলগুলি। তবে বিজ্ঞাপনের এই অতি আধিক্যই ইত্তেফাককে ডোবালো।
৫৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:২৩
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: I can't forget muktokontho because my honoriam of tk.20 000approx was unpaid.
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:১৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: এটা যদি বেক্সিমকোর পত্রিকা হয়, তাহলে এই লোকেরাই তো আপনার আমার কত হাজার লক্ষ টাকা মেরে দিল ঋনের নামে! সেখানে ২০০০০ টাকার আফসোস করে আর কি করবেন? তবে লেখক, প্রদায়কদের টাকা মেরে দেয়ার প্রবনতা খুবই নিন্দনীয়। আমার কৈশোর, তারুন্যের এক আদর্শমানব শফিক রেহমানও শুনেছিলাম যায়যায়দিন কর্মীদের টাকা না দিয়ে বিদেশ পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। শুন্য দশকে তার নৈতিক স্খলনের খবরেও এতটা ক্রুদ্ধ হইনি, যতটা হয়েছিলাম এই খবর শুনে। ভাবতেই ঘেন্না হচ্ছিল যে এই লোকের লেখা পড়ে একসময় দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত হয়েছিলাম।
একটা অনুরোধ। সম্ভব হলে মুক্তকন্ঠ সম্বন্ধে আমাকে একটু জানান। কবে বের হল, কে সম্পাদক, কবে বন্ধ হলে, কেন বন্ধ হল, কেমন পত্রিকা, কেমন কাটতি এইসব আর কি! এই বিখ্যাত পত্রিকা আর আমি নামই জানি না, ভাবতেই লজ্জিত হচ্ছি।
৫৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:৪৯
নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: আমি শুধু আমার সম্মানীর কথা উল্লেখ করেছি । আমাদের ৫/৬ মাসের বেতন -সম্মানী মিলিয়ে অংকটা বিশ লাখও হতে পারে । আর শুধু সম্মানীই নয় আমি অনেক শ্রম ও মেধা খরচ করেছিলাম সেখানে ।
মুক্তকণ্ঠের সম্পাদক ছিলেন ভাষাসৈনিক -গীতিকার কেজি মুস্তফা । এর সাহিত্যপাতা খোলা জানালা খুবই আলোড়ন তুলেছিল , সম্পাদক ছিলেন কবি আবু হাসান শাহরিয়ার । বেক্সিমকো মিডিয়ার সাহিত্য ম্যাগাজিন শৈলিও অত্যন্ত ভাল মানের ছিল ।
মুক্তকণ্ঠের জন্ম ১৯৯৮ সালে (যতদুর মনে পড়ে) কিন্তু মৃত্যুর কথা মনে নেই দাফন কাফন ও জানাজায় অংশ নেয়া হয়নি ।
শুরুতে আক্ষেপের কথা বলেছি এখন বলি কৃতজ্ঞতার কথা । আমি যে প্রায় সব বিষয়ে লিখতে পারি এটা মুক্তকণ্ঠে লেখালেখি করতে গিয়ে টের পেয়েছি । পত্রিকা বন্ধ হয় কিন্তু লেখা বন্ধ হয়না কারণ অসংখ্য দৈনিক রয়েছে ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:২০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার বিস্তারিত তথ্যের জন্য। কেজি মুস্তফা এই বৃদ্ধবয়সে এই ঝামেলার সাথে যুক্ত হতে গিয়েছিলেন কেন, কে জানে!
৬০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:২১
লবঙ্গলতিকা বলেছেন:
ইত্তেফাকের পাত্র পাত্রী চাই, বিক্রি হবে, বাসা ভাড়া এই অংশটা দেখেতে খুব মজা লাগতো এখনও লাগে
২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। পাত্র-পাত্রী বিজ্ঞাপনগুলি আসলেই বড় বিনোদন। আমারও পড়তে মজাই লাগে।
৬১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩৭
শ।মসীর বলেছেন: সাপ্তাহিক ক্রীড়াজগতের নিয়মিত পাঠক ছিলাম একসময় ।
ভাল লাগল অতীত আয়োজন ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৬২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:০৬
রেজোওয়ানা বলেছেন:
অনেক দিন ইত্তেফাক দেখা হয় না, আজ আপনার রিপ্লাই পড়ে অফিসের ইত্তেফাক চেক করলাম। একটাও পেলাম না সিনেমা খবর, তবে টারজান সিরিজ আছে আগের মতোই
২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ইত্তেফাকে আর সিনেমার বিজ্ঞাপন দেয় না! তাহলে আজকাল সিনেমাওয়ালারা বিজ্ঞাপন দেয় কোথায়?
৬৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৪৮
নষ্টছেলে বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।
০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ৯:৩৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকে জানিয়ে ভাল লাগল। ধন্যবাদ।
৬৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৫৮
সরকার মারুফ বলেছেন: ধন্যবাদ না দিলে অবিচার হবে।
০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ৯:৩৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনাকেও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ না দিলে অবিচার করা হবে।
৬৫| ০৪ ঠা মে, ২০১১ সকাল ১০:৫৬
নাবিক হ্যাডক বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা । আশি-নব্বইয়ের দিকে 'খবরের কাগজ' নামে একটি সাপ্তাহিক বেরুতো। এপার-ওপার দুই বাংলারই বাঘা বাঘা লেখকেরা তাতে নিয়মিত কলাম লিখতেন। সে বিষয়ে একটু যোগ করতে পারেন।
০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ৯:৪২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি প্রায় ১৭-১৮ বছর দেশছাড়া। তার আগে খবরের কাগজ শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাই ছিল। এখানে আমি সেসব পত্রিকার কথাই লিখেছিলাম যাদের বাজার আমি দেশে থাকাবস্থাতেই পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ১৭ বছর দীর্ঘসময়, এই সময়ে নিশ্চয়ই আরও অনেক পত্রিকা বিলুপ্ত হয়েছে বা বাজার হারিয়েছে যাদের কথা আমি তেমনভাবে জানিই না।
৬৬| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১০:৫০
রিজভী বলেছেন: দারুণ পোস্ট। অনেক ঘটনা জানলাম। আরো কিছু তথ্য এখানে যুক্ত করলাম।
* শিশু একাডেমী থেকে প্রকাশিত "শিশু" পত্রিকাটি। প্রথম দিকে পত্রিকাটির মূল্য ছিল ২ টাকা। বিশেষ সংখ্যাগুলোর (ঈদ, শিশু দিবস প্রভৃতি) দাম রাখা হতো ১০ টাকা করে। বিশেষ সংখ্যাতে একটি বা দুটি করে শিশুতোষ উপন্যাস থাকতো। পরবর্তীতে সেই উপন্যাসটিই বই আকারে শিশু একাডেমী থেকে বের হোত। যাই হোক শিশু বইটির মূল্য পরবর্তীতে ২ টাকা থেকে ৩ ও ৫ টাকা করা হয়। এক বছরের ১২টি সংখ্যা নিয়ে একটি মোটা ভলিউম বের করা হতো। বাধাই করা ভলিউম বিক্রি হতো মূলত বইমেলাগুলোতে। ... সুসংবাদ হলো, সেই শিশু ম্যাগাজিনটি এখনো নিয়মিত প্রকাশ হয়। তবে মূল্য বেড়েছে। সর্বশেষ দেখেছিলাম ১২ টাকা করে বোধহয়। বইমেলা হলে শিশু একাডেমীর স্টলে গেলেই শিশু ম্যাগাজিনটি পাবেন।
* কিশোর তারকালোক প্রথম বের হয় ১৯৯১ কি ১৯৯২ সালে। একই সময়ে ৩/৪ মাসের ব্যবধানে আরেকটি শিশুতোষ ম্যাগাজিন "কিশোর পত্রিকা" বের হয় সেবা প্রকাশনী থেকে। কিশোর তারকালোক ও কিশোর পত্রিকা - দুটোই দীর্ঘদিন ছিল দারুণ জনপ্রিয়। কিশোর তারকালোক এখনো বের হলেও কিশোর পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। সেবা প্রকাশনী থেকে রহস্য পত্রিকার প্রকাশই এখনো নিয়মিত আছে। তবে কিশোর তারকালোকের সাইজ পরিবর্তন হয়েছে।
* শফিক রেহমান সম্পাদিত মৌচাকের ঢিল ম্যাগাজিনটি গত দুই বছর যাবত পুনরায় প্রকাশ হচ্ছে। তবে পূর্বে সাপ্তাহিক থাকলেই বর্তমানে তা মাসিক ও বিশেষ সংখ্যা আকারে প্রকাশ হচ্ছে।
* আজকের কাগজ বন্ধ হয় ২০০৭ সালে। তবে যতটুকু জানি, পত্রিকাটির প্রকাশনা পুনরায় শুরুর জন্য চেষ্টা তদবীর চলছে।
* ইত্তেহাদ পত্রিকাটি পুনরায় বের হবে। পূর্বের ইত্তেফাক ভবন থেকেই পত্রিকাটি প্রকাশের জন্য কার্যক্রম অনেকটাই এগিয়েছে।
* নুরুজ্জামান মানিক আজকের কাগজের শ্লোগান লিখতে কিছুটা ভুল করেছেন। আসল শ্লোগানটি হলো- "আমাদের হাত বাঁধা নেই, আমাদের চোখ খোলা, আমরা বলতে পারি।"
* সাপ্তাহিক যায়যায়দিন প্রথম দৈনিক পত্রিকায় রূপ নেয় ১৯৯৮ সালে। তবে মাত্র ৩০-৪০টি সংখ্যা বোধহয় সেসময় বের হয়েছিল। পরে শেখ হাসিনা সরকার পত্রিকাটির দৈনিকের প্রকাশনা বন্ধ করে দেয়। ফলে শফিক রেহমান এতে ক্ষীপ্ত হয়ে মারাত্মক ভাবে আওয়ামী বিদ্বেষী হয়ে যান। পরবর্তীতে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বিএনপির প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় ২০৬৬ সালের ৬ জুন তিনি পুনরায় সাপ্তাহিক যায়যায়দিনকে দৈনিকে রূপান্তর করেন, যা অদ্যবধি আছে। কিন্তু তৎকালীন সামরিক সরকারের চাপে শফিক রেহমান ২০০৮ সালের মে মাসে যায়যায়দিনের সম্পাদক থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি মৌচাকের ঢিল পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।
১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: বাহ! বাহ! অনেক ধন্যবাদ আপনার তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্যের জন্য। আপনাদের মত অভিজ্ঞদের মন্তব্য থেকে কত কিছু যে জানতে পারছি। আপনি নিজেও সাংবাদিক, সেজন্যই হয়ত এসব ব্যাপারে অনেক বিস্তারিত জানেন।
শিশু পত্রিকা এখনও বের হয় শুনে খুব ভাল লাগল। জানি না, নতুন প্রজন্ম কম্পিউটার গেমস আর কার্টুন দেখার পর এই ধরনের পত্রিকা পড়ার আর সময় পায় কিনা। তবে পাঠকসংখ্যা যাইই হোক, শিশু নিয়মিত প্রকাশ করা উচিত। এটা পড়ে বা এতে লিখে যদি একজনও মননশীল নাগরিক পাওয়া যায়, তাতেও লাভ। কিশোর তারকালোক আর কিশোর পত্রিকা দুয়েকবার পত্রিকার স্টলে দেখেছি। তখন আর কিশোর ছিলাম না বলে তেমনভাবে পড়ে দেখা হয়নি। শফিক রেহমান দালালিটা বাদ দিয়ে আবার যদি সাংবাদিকতায় ফেরত যান, সবার জন্যই ভাল। যদিও তার ইমেজ পুনরুদ্ধার করা খুব দুরুহ হবে।
আবারও অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৬৭| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১০:৫৫
রিজভী বলেছেন: সংশোধন : শেষ পয়েন্টে সাপ্তাহিক যায়যায়দিনের পুনরায় প্রকাশের সাল ২০০৬ হবে। ভুলে ২০৬৬ হয়ে গেছে।
১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন:
৬৮| ০৯ ই মে, ২০১১ রাত ২:৪৮
রাজসোহান বলেছেন: একটা সময় ব্লগ নিয়েও কোথাও লেখা বের হবে বাংলাদেশে প্রথমদিকে এই এই ব্লগ গুলো রাজত্ব করেছে
১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৭
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হা হা হা। ভাল বলেছেন। আমি অবশ্য সে লেখা লিখতে পারব না কারন বাংলা লেখা শিখতেই আমার পাঁচ বছর সময় লেগে গেল। প্রথম পাঁচ বছর কি হল, কিছুই জানা হল না।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৬৯| ০৯ ই মে, ২০১১ রাত ২:৫০
রাজসোহান বলেছেন: স্বল্পদৈর্ঘ্য ব্লগীয় সাইন্স ফিকশনঃ আজি হতে ১৫০০ বছর পর
একটু অফটপিক হয়ে গেলো
১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:০১
রাইসুল জুহালা বলেছেন: একটু-আধটু অফটপিক খারাপ না। আমি এই পোস্টটা আগেও পড়েছি, কিন্তু তখন আমি মন্তব্য করতে পারতাম না। আলিম আল রাজি আমার অতি পছন্দের একজন ব্লগার। তার রসবোধ আমাকে মুগ্ধ করে। আমি দৃঢ়ভাবেই বিশ্বাস করি, সে অনেকদুর যাবে।
৭০| ০৯ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:১৭
কুটুশ মিয়া বলেছেন: @রিজভী,কিশোর তারকালোক কবে থেকে বের হয় জানি না তবে কিশোর পত্রিকা ৯১/৯২এরও আগে সম্ভবত ৮৯তে প্রথম বের হয়।শৈশবে অনেককেই কিশোর তারকালোক পড়তে দেখতাম তবে নিজে ছিলাম কিশোর পত্রিকার ভক্ত পাঠক।ব্যক্তিগতভাবে মনে করি শিশু বা কিশোর তারকালোক থেকে কিশোর পত্রিকা অনেক মানসম্পন্ন ছিলো।এখনও কিশোর পত্রিকা মিস করি।লেখকের সাথে আরেকটু যোগ করতে চাই দেশের শিশু,কিশোর,তরুনদের পালস শফিক রেহমানের সাথে সাথে "সেবা"ও ধরতে পারছিল,বাকি সবগুলাই ভন্ড।আজীবন ফাকা মাঠেই গোল দিয়া গেলো।আর সবচেয়ে বড় ভন্ড পরথম আলু পড়ার পর থেকে আমার ধারনা জন্মাইছে এইদেশে সবচেয়ে সুবিধাভোগি আর ভন্ড শ্রেনী হইল সাংবাদিক নামের জাতটা।আমি এ দেশের রাজনীতিবিদদের চে্যেও বেশি ঘৃনা করি এই জাতটারে।এরা সবাইর ছিদ্র খুইজা বেরায় কিন্তু এগো ছিদ্র খুজার কেউ নাই।এগো পেশাটাই হইল মাইনষের গিবত করার পেশা!পত্রিকা সংক্রান্ত আরেকটা স্মৃতি মনে পড়ছে খুব খারাপ লাগছিলো যায়যাদিন প্রতিদিন মাত্র ২মাসের(খুব সম্ভব ৫২টা সংখ্যা বের হইছিলো) মতো চলার পর বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে।নিয়মিত পত্রিকা পড়া ছাইড়া দিছি বেশ কয়েক বছর হইল।যাইহোক পত্রপত্রিকা নিয়া নিজের কিছু ফিলিংস শেয়ার করলাম।লেখককে ধন্যবাদ সুন্দর একটা লেখার জন্য।
১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:০৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: রিজভী সাহেব কিন্তু একজন সাংবাদিক, জানেন সেটা? সাংবাদিকের কাছেই সাংবাদিক সম্পর্কে এত আজেবাজে মন্তব্য করলেন?
লেখকের সাথে আরেকটু যোগ করতে চাই দেশের শিশু,কিশোর,তরুনদের পালস শফিক রেহমানের সাথে সাথে "সেবা"ও ধরতে পারছিল,বাকি সবগুলাই ভন্ড।
সেবাকে শ্রদ্ধা জানানোর ভাষা আমার নাই। কাজী আনোয়ার হোসেনের সাথে দেখা হলে তার পায়ের ধুলা নিতাম। যত পৃথিবী বিখ্যাত মহৎ সাহিত্য সেবা আমাদের পড়িয়েছে, সে ঋন কখনও শোধ হবার না। কিশোর পত্রিকা তেমন পড়া হয়নি, কিন্তু কাজীদার কাছ থেকে দুর্বলমানের কিছু বের হওয়ার কথা না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭১| ০৯ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:২৬
হাসান ইকবাল বলেছেন: আমার বাসায় এখনও কিছু পুরাতন পত্র-পত্রিকা আছে....দারুন লোভনীয় এই সংখ্যা গুলো সময় পেলে এখনও পড়া হয়...।
মাহেনও, সওগাত, কচিকাচা, নবারুন, উওর আকাশ, বেগম.......ইত্যাদি.।
১০ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:১২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমার বাসায়ও অনেক পুরোনো পত্রিকা ছিল। দেশ ছাড়ার পর সেগুলি আস্তে আস্তে উইপোকা, পুরোনো খবরের কাগজওয়ালা আর পাতিলওয়ালার দখলে গেছে। আপনি আপনার মন্তব্যে আমাকে আরেকটা ভাল শিশু-কিশোর পত্রিকার কথা মনে করিয়ে দিলেন। নবারুন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৭২| ০৯ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:২৮
অর্ফিয়াস বলেছেন: নষ্টালজিক লেখা, মন খারাপ করে দেয়অ যায়যায়দিনের জন্য মংগলবার ফজরের আজানের পরই রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতাম হকারের অপেক্ষায়। হাতে পেয়ে প্রথমে ঘ্রাণ নিতাম তারপর রাস্তায় দাড়িয়েই পছোট খাট দুয়েকটা কলাম পড়ে ফেললাম।
বিচিত্রার ব্যাক্তিগত বিজ্ঞাপনগুলো একেকটা ছিলো একেকটা গল্পের মতো। সেসব রোমান্টিক মানুষজন এখন কোথায়?
১১ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৩৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আজ থেকে ৩০ বছর আগে যারা বিচিত্রায় ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন দিত, সেসব রোমান্টিক মানুষজন বিয়েশাদী করে এখন ২-৩ বাচ্চার বাবা এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের সন্তানেরা এখন ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারে ওইসব বিজ্ঞাপনের আধুনিক ভার্সন দেয়। জীবন অনেক যান্ত্রিক হয়ে গেছে ভাই। আমরা অ্যানালগ মানুষ না পারি এই যান্ত্রিকতাকে পুরোপুরি উপভোগ করতে, না পারি অ্যানালগ জীবনে ফেরত যেতে। অস্বস্থিকর অবস্থা!
৭৩| ০৯ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৩৪
কবির চৌধুরী বলেছেন: বিচিত্রা পত্রিকাতে মাহমুদা চৌধুরী (নামটা ভুল হতে পারে) নামের একজন কলামিস্ট দেশের সে সময় হালে মুক্তি পাওয়া বাংলা ছিনেমাকে রস-ব্যজ্ঞ করে কলাম লিখতেন। পড়ে হাসতে হাসতে পেট ব্যথা।
দু টাকার 'শিশু' পত্রিকার নিয়মিত পাঠক ছিলাম আমি। হুমায়ুন আহমেদের "বোতল ভুত" ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে পত্রিকাটি। শব্দভেদটা ছিল বেশ মানসম্মত।
উন্মাদ পত্রিকার প্রথম সংখ্যাটার কথা মনে আছে। প্রচ্ছদটা ছিল বোধ হয় উন্মাদ তার নিজের মাথায় নিজে তেল দিচ্ছে।
কার্টুন পত্রিকার অনেকগুলো স্টিকার আমি আমার ফাইলে সাটিয়েছিলাম। তখন সবে মাত্র আমরা বয়ঃসন্ধি হয়েছে, তাই ব্যাগের বদলে ফাইল নিতাম কোচিং এ। কয়েকটার কথা মনে আছে, বাগানে হাটিতেছে খাঁসি আমি তোমায় বড় ভালবাসি, এখানে নোঙ্গর (হৃদয় চিহ্নের মধ্যে নোঙ্গর গাথা ), সামনে পরীক্ষা, তাই হৃদয় লেনদেন বন্ধ!
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, নব্বই এর গোড়ার দিকের অনেক স্মৃতি মনে পরে গেল।
১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:০৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: কার্টুন আর উন্মাদ একই সাথে স্টিকার বের করতে শুরু করে। কে কাকে নকল করেছিল, জানি না। তবে তাদের স্টিকারগুলি ক্লাসিক ছিল। মাহমুদা চৌধুরীর লেখার আমিও বড় ভক্ত ছিলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। বেশ কয়েক মাস লেগে গেল উত্তর দিতে।
৭৪| ১১ ই মে, ২০১১ সকাল ৭:০৫
কুটুশ মিয়া বলেছেন: দুঃখিত।আমি অবশ্যই রিজভী সাহেবকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলি নাই,উনি যে সাংবাদিক সেটাও জানতাম না।আশা করি উনি ভূল বুঝবেন না।প্রথম আলোর মতো চরম অপছন্দের পত্রিকা যেমন একসময় বাধ্য হয়ে পড়তে হয়েছে আবার যাযাদি প্রতিদিনের মতো পত্রিকাও ঐ সময়টায় পড়তে চেয়েও পড়তে পারি নাই বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে।কাজেই সবাইকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলা বলি নাই।
১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:০৩
রাইসুল জুহালা বলেছেন: কোন সমস্যা নাই। আমি একটু মজা করছিলাম।
৭৫| ১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মূল পোস্ট, কমেন্ট ও কমেন্টোত্তর- সব মিলিয়ে অসাধারণ এক স্মৃতিচারণ (নিজের)। উল্লেখিত সবগুলো বাংলা পত্রিকাই পড়া/দেখা হয়েছে। সর্বপ্রথম পত্রিকা কোন্টা তা মনে রাখি নি, তবে নিশ্চিত ভাবেই দৈনিক ইত্তেফাক। বিচিত্রার করুক্ষেত্র ও রনবীর কার্টুনের সাথে আরো প্রিয় বিষয়টি ছিল 'ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন' যা আমাকে সবচেয়ে বেশি বিনোদন দিত তবে সিনেমা নিয়ে প্রায় অর্ধ পৃষ্ঠার একটা আলোচনা ছিল আরেকটা আকর্ষণীয় বিষয়।
আর সমসাময়িক ঘটনার উপর সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে যে ফিচারটি থাকতো তার তুলনা হয় না। মোট কথা, এতো অল্প সংখ্যক পত্রিকার ভিড়ে বিচিত্রার সবকিছুই ভালো লাগতো। কিন্তু টাকার অভাবে বিচিত্রা কিনে পড়েছি এমনটা মনে পড়ে না
আমার চোখ হয়তো খেয়াল করতে পারে নি, সাপ্তাহিক রোব্বার নামক আরেকটা পত্রিকা ছিল, সেটার ব্যাপারে লিখেছেন কিছু? সম্পাদক খুব সম্ভবত কবি শামসুর রাহমান ছিলেন।
লেখাটা খুব ভালো লাগলো।
১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:০২
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। রোববার পত্রিকাটা আমার কখনোই খুব ভাল লাগে নাই। বোরিং মনে হত। তাই সেটার কথা আর কিছু লিখি নাই। এখনও বের হয় নাকি?
৭৬| ২৬ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:৩৭
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: গেদু চাচারে ভুলি নাই; ঐটা পড়তাম নিয়মিত, যদিও বুঝতাম কম।
১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:০০
রাইসুল জুহালা বলেছেন: গেদু চাচা বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসের এক কিংবদন্তির চরিত্র।
৭৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৫৭
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: পোস্ট টা অনেক পরে চোখে পড়ল
বিচিত্রার ব্যাপারে আপনার সাথে একমত, খুব সম্ভব এযাবতকালে দেশের সেরা ম্যাগাজিন পত্রিকা। লেখার গুণগত মান, সাংবাদিকতা, টোকাই, তার উপর ছিল "প্রবাসী কন্ঠ" বা এরকম নামে একটা অংশ, যেখানে প্রবাসীরা চিঠি লিখতেন তাদের জীবন নিয়ে, সেটাও খুব সমৃদ্ধ একটা অংশ ছিল। আর শেষে আলাউদ্দিন মিষ্টির বিজ্ঞাপন। বিচিত্রার সাথে সাথে যেন সেটাও একেবারে কুলীন হয়ে উঠল
আর আরেকটা জিনিস ছিল, মূলধারার মিডিয়াগুলোর মধ্যে এটা ছবি ছাপানোর ব্যাপারে বেশ সাহসী ছিল---মনে আছে, বেশ কয়েকবার বিচিত্রার "বিদেশ বিচিত্র" সেকশনে টপলেস ছবি দেখেছি, (যদিও সাদাকালোয় আর ছোট করে) কিন্তু এটা এখন কোন মূলধারার পত্রিকায় কল্পনাই করা যায় না। (ছোট মানুষ ছিলাম, এইগুলা মনকে খুবই "আন্দোলিত" করত, তাই মনে আছে আর কি )
যায়যায়দিন ২০০১ সালের দিক থেকেই কোয়ালিটি পড়তে শুরু করে। তার উপর তার ভালবাসা সংখ্যা, ছাতা সংখ্যা, বিছানা সংখ্যা ইত্যাদি প্রকাশ করে প্রবল যৌন সুড়সুড়ি সর্বস্ব লেখার দিকে ঝুঁকে পড়ে। একটা ঘটনা বেশ মনে পড়ে।
আমরা শাবিতে পড়ার সময় ট্রেনে করে আসা যাওয়া করতাম, এবং প্রায় সময়ই ট্রেনে ৪/৫ টা ম্যাগাজিন কিনে পড়তাম। বাসায় ফিরলেই কাজিন এক বড় বোন হামলে পড়ে ম্যাগাজিনগুলো নিয়ে পড়তেন। তো যায়যায়দিনের একটা এইরকম "স্পেশাল" সংখ্যা নিয়ে পড়ার পর তনি আবার এগুলো ফেরত দিতে এসে বিরস মুখে বললেন, যায়যায়দিনটা যেন আমি একটু লুকিয়ে রাখি, কারণ তিনি জানেন, তার ছোট ভাই (১২ বছর বয়সের), বোনের মতই পড়ুয়া , সেও একটু পরে ম্যাগাজিনগুলো খুঁজবে, তার হাতে এটা যেন না পড়ে। অথচ তারা যে খুব কনজার্ভেটিভ তাও না। এই ছিল অবস্থা।
আর বিচিন্তা আবার বের হয়েছিল, মিনার মাহমুদের হাতেই, কিন্তু সেটার বেশ দুর্নাম হয় সচলায়তনের লেখা পাইকারী দরে মেরে দেওয়ার জন্য । যেটার জন্য পরে তারা ক্ষমাপ্রার্থনাও করে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৫৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: এই পোস্টে অনেকদিন ধরেই উত্তর দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এই পোস্টের পর আমি আরো গোটা দশেক পোস্ট দিয়ে ফেলেছি, তাই এটা নিয়ে আগ্রহ আর ছিল না। আপনি মন্তব্য করতে বাধ্য করলেন বিচিন্তা প্রসঙ্গে একটা ভয়াবহ তথ্য দিয়ে। আপনার লিঙ্ক ধরে সচলায়তনে গিয়ে থতমত খেয়ে গেলাম। এটা কি হল! নিউইয়র্কের ট্যাক্সির জীবন মিনার মাহমুদকে এতখানি নিচে নামিয়ে দিয়েছে সেটা কল্পনাই করতে পারিনি। মনটাই খারাপ হয়ে গেল কৈশোর, তারুন্যের নায়কের এই অধঃপতনের কথা শুনে। এর চেয়ে তার মরে যাওয়ার খবর পেলেও কম খারাপ লাগত।
যায়যায়দিন নিয়ে আপনার গল্পটা পড়ে মজা পেলাম। আসলেই তার ওই পাঠকসংখ্যাগুলি বাজে ছিল। প্রথম দিকে তো একসংখ্যাই বের করত। পরে দেখি একটা বিষয় নিয়ে এমনকি তিনটা সংখ্যাও বের করেছে। প্রথম দু'চারটা ভালবাসা সংখ্যা আর একদম প্রথম দিকের গৃহিনীদের বেতন আর টিউশনি সংখ্যাটা ভাল লেগেছিল। রবারের মত না টানলে এই আইডিয়াটা খারাপ ছিল না। মাহবুব কামাল নামে এক ভদ্রলোক শুরুর দিকে লিখতেন সমাজতন্ত্রের পঞ্চাশ প্রবচন, আমলাতন্ত্রের পঞ্চাশ প্রবচন ইত্যাদি। দারুন লাগত।
বিচিত্রার তুলনা বিচিত্রাই। এই পত্রিকাটা আমি কখনো ভুলব না।
অনেক ধন্যবাদ আপনার তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য। অতিরিক্ত একটা ধন্যবাদ মিনার মাহমুদের খবরের জন্য, যদিও খবরটা না জানলেই ভাল হত!
৭৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৪৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: জবাব উইকেন্ডের পরে। আপাতত একটু ঝামেলায় আছি। দুঃখিত।
১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৪৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: হুম।
৭৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৩৯
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: @কবির চৌধুরী: আহা আপনার কমেন্ট পড়ে মাহমুদা চৌধুরীর সেই "সিনে-সমালোচনা" গুলার কথা মনে পড়ল, সেইগুলা আসলেই মজার ছিল।
আর আরেকজন বিচিত্রা-লেখকের কথা মনে পড়ল, বেশীরভাগ সময় স্পোর্টস নিয়া লিখতেন--রণজিৎ বিশ্বাস। তার সেই উপমা-ভরপুর, সুস্বাদু লেখাগুলা পড়ে অনেকদিন গড়াগড়ি দিসি।
পরে অবশ্য অন্য পত্রিকাতেও লিখেছেন, কিন্তু সেই ধার কমে গিয়েছিল অনেকটাই।
১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৪৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমিও মাহমুদা চৌধুরীর লেখার ভক্ত ছিলাম। কে জানে, উনি এখনও বেঁচে আছেন কিনা!
৮০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৩৯
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পড়ে, বিশেষ করে গেদু চাচার ইতিহাস জেনে।
আমি দুটা পুরানো পত্রিকার কথা কিছু মনে আছে "দৈনিক বাংলার বানী" ও "দৈনিক মিল্লাত"। এই মিল্লাত পত্রিকায় সেই সময়ের বিখ্যাত কেস "মনির ও খুকু"র একটা ছবি এসেছিল। ছবিটি তাদের ব্যক্তিগত অ্যালবাম থেকে নেয়া হয়েছিল। বেশ বড় করে ছাপা হয়েছিল ছবিটা। ছবিতে খুকু মনিরকে বেশ অন্তরঙ্গভাবে জড়িয়ে ধরেছিল। সেই সময় সব পত্রিকার একটা শিরোনাম এখনো মনে আছে, "মনির ও খুকুর ফাঁসির আদেশ"। বেশ আলোড়ন তুলেছিল এই হেডলাইন, আম্মু আর খালারা এই হেডলাইন নিয়ে বেশ কয়েকদিন আলোচনায় ব্যাস্ত ছিলেন।
আচ্ছা, বিচিত্রা তে কি সে সময় নায়িকা মা মডেলদের খোলামেলা ছবি ছাপা হতো? আবছা আবছা মনে আছে বিচিত্রায় একটা ছবি দেখার সময় আমার এক বড় আপু আমাকে কড়া ধমক দিয়ে পিঠে চড় মারেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:০৪
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
বিচিত্রা তার সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। সেটা মানের দিক থেকে, আধুনিকতার দিক থেকেও।
ভাল থাকবেন। আজকাল মনে হয় আপনাকে কম দেখি।
৮১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৩
নিমচাঁদ বলেছেন:
সেই যুগে ফিরে গেলাম ।
বিচিত্রা খুলেই প্রথমে পড়তাম কুরুক্ষেত্র, পাত্র চাই(কেলাস ফাইভ থেকে দেখা শুরু) আর ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন গুলা ।চিত্রালীর দাদু ভাই র প্রশ্ন আর উত্তর খুব প্রিয় ছিলো(আমরা মনে হয়, শেষের দিকের পাঠক ছিলাম অথবা বাসায় রাখা পুরানা সঙ্খা গুলা পড়তাম ) ।
কি পড়তাম না ?? মাসুদ রানার সাথে সবি মিল ঝুল করে পড়তাম ।মিজানুর রহমান মিজানের চিত্রবাংলা কোন সঙ্খা বাদ দেই নাই । কেন অই নিম্ন মানের পত্রিকা পড়তাম জানি না ।খবর , ইত্তেফাক , তারকালোক, কিশোর তারকালোক, শিশু কোন টা বাদ যায় নাই ।এতোদিনে স্ম্রৃতিরা ঝাপসা হয়ে গেছে ।এরশাদের শাসন আর আমাদের 'কেলাস ফাইভের বৃত্তি' একি সাথে শুরু।জেনারেল জিয়ার মৃতুতে টেলিগ্রাম বের হইল ,এক পাতার , উভয় পিঠে লিখা, সেই প্রথম দেখলাম ।সাপ্তাহিক দেশ এর প্রিন্ট আর কাভার খুব ভাল লাগত,খুব কিনতাম , টাকা অনেক করুণ ভাবে ম্যানেজ করতাম ।একতা ছাড়া সবি পড়তাম।রাস্তায় দাড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পড়তে থাকতাম।
হায় সে দিন !
এর ও পরের ঘটনা। উন্মাদ এর ষ্টীকার ' জনাব কিছু ফেলে গেলেন কি ?' বাথরুমে লাগালাম, আব্বা দেখে , একটা গণ ধোলাই দিলো,তখন অনেক বড়, মার খেতে খেতে পাশের বিল্ডিং এর জানালার দিকে তাকালাম, 'পিপাসা' দেখিল কিনা !!
বিচিন্তা সব গুলো সংখা এক সময় নিজের কাছে ছিলো, বিচিত্রার ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনের নিয়মিত লেখিকা তসলিমা র অনেক কাটিং ও আমার কাছে ছিলো,কোথায় যে সব হারিয়ে গেল।
লেখাটা এলেবেলে হয়ে গেলো, আগের আর পরের মনে হয় অনেক গড়মিল হবে ।যায় যায় দিন কেনার জন্য সকালে দাঁড়িয়ে থাকতাম , হকারের অপেক্ষায় (এর আগে একজন বলেছেন, আমার ও একি অভিজ্ঞতা), মাহবুব কামাল নামে একজন খুব ভাল লেখক ছিলেন , এখন কোথায় জানি না ।
আশির দশক আমার স্বর্ণযুগ, কি গানে (দেশী বান্ড আর বিদেশী বান্ড),কি কবিতায় (শক্তি, সুনীল, অসীম সাহা, রফিক আযাদ, শামসুর রাহমান সহ আরো ও কত জন ), কি পত্রিকায় ( উপরে বর্নিত)...ফিল কলিন্স এর গান শুনতে শুনতে বিচিন্তা পড়তাম , মনে আছে ।
If i could turn back the clock ,
feel the wheel time to a stop,
back to the days ,when
life was so much better .
অনেক আগে ফেরানর জন্য +
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:০৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আশির দশক আমারও স্বর্নযুগ। আমার বেড়ে ওঠা, হঠাৎ নিজেকে পূর্নবয়স্ক আবিষ্কার করা। চমৎকার মন্তব্যটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৮২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৩৬
বৃত্তবন্দী বলেছেন: শিশু'র নিয়মিত গ্রাহক ছিলাম মনেহয় ৮৯/৯০ পর্যন্ত।
নবারুণ বলে ছোটদের একটা পত্রিকা ছিলো। অল্প কিছু সংখ্যা পড়ার সুযোগ হয়েছিলো। মান শিশু'র থেকে অনেক নিচে।
কিশোর পত্রিকা আসলে রহস্য পত্রিকার কিশোর ভার্সন। দারুণ উপভোগ করতাম। কয়েকটা সংখ্যা মনেহয় বেঁচে আছে উঁইয়ের দাঁত থেকে। কাজীদা রক্স...
১২ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:২৮
রাইসুল জুহালা বলেছেন: বাপরে! এত পুরোনো পোস্টের আপনি খোঁজ পেলেন কিভাবে। আমি নিজেই তো এই পোস্টের কথা প্রায় ভুলে গেছি।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য এবং প্রায় হিমাঘরে চলে যাওয়া এই পোস্টটাকে পূনর্জীবন দানের জন্য।
৮৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫২
কান্টি টুটুল বলেছেন: আপনার আগের এই পোষ্ট পড়ার সময় আমার এক সুন্দর স্মৃতি মনে হল।
সাপ্তাহিক বিচিত্রার ২২ সেপ্টম্বর'৯৫সংখ্যাটি আমার খুব মনে পরে,কেন জানেন?
পুলিশের ধর্ষন ও খুনের ঘটনা নিয়ে লেখা আমার এই চিঠিটি পাঠকের পাতায় বক্স আকারে ছাপা হয়েছিল,
এরপরের কিছুদিন আমার মুডটাই চেঞ্জ হয়ে গিয়েছিল,ভাবটা এমন যেন সাংবাদিক হয়ে গিয়েছি
৮৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১২ রাত ২:১৬
megher_kannaa বলেছেন: খুব মনে পড়ে বিচিত্রার কথা।আমার মা নিয়মিত রাখতেন।সেখান থেকেই আমার শুরু।এখন ও পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন পত্রিকা বিচিত্রাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।অবশ্য আমি বলছি যতদিন শাহাদত চৌধুরীর ছিলেন তখনকার কথা।এখনও মনে পড়ে বিচিত্রার অবসর সংখ্যাটার কথা।সযত্নে আজও তুলে রেখেছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:১৬
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে।