| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজীব নুর
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
অনেক ঝামেলার মধ্যে থেকেও আমি ভালো আছি।তবে ইদানিং কেউ কেউ আমাকে নির্বোধ ভাবছে।আমার কথা শুনে অনেকেই বিরক্ত হয় আবার কেউ কেউ ক্ষনিকের জন্য হলেও মুগ্ধ হয়।আমার মতো মানুষ ইচ্ছা করে ঠকে।মানে যে ঠকাচ্ছে, আমি তাকে বুঝতে দেই না যে,আমি জেনে শুনে বুঝেই ঠকছি।আমাকে দিয়ে কখনও কিচ্ছু হবে না।অথচ ভালোবাসার জন্য লোকে কত কী করে- দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বাঁধে লাল কাপড়!পাহাড় ডিঙ্গায়!কত সম্পর্ক ছিন্ন ভিন্ন করে দেয়!দূরন্তপনা আর রাগকে সাথী করে বড় হচ্ছি দিন কে দিন।আমার পথ মোটেও মসৃন নয়।কিন্তু কেউ বুঝে না এই রাগী মানুষটার ভেতরে লুকিয়ে আছে শিশুর সারল্য।"শেষমেশ যে যার সন্ধ্যার কাছে ফিরে যায়/যে যার অন্ধকারের কাছে/তবু শেষমেশ একটি নীলাভ প্রজাপতির জন্যও-/যে যার সৃস্তির ফ্রেমে কষ্টকে বাঁধিয়ে রাখে/হাত বাড়ালেই ফুটে থাকা রক্তিম গোলাপ/তবু যে যার কাঁটার কাছে ফিরে যায় একদিন/একদিন যে যার নিঃসঙ্গতার কাছে।"
কাল সারারাত আমি 'সালমা হায়েক' এর সাথে কথা বলেছি।হঠাৎ বুকের ভেতর টা জানি কেমন করে উঠলো।সালমা তাকিয়ে ছিল আমার চোখের দিকে।মনটা সাথে সাথে খুশিতে ভরে উঠে।আমি সালমাকে বললাম,ইচ্ছে করে নিজেকে কারো কাছে সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্তে কিছুক্ষন ঘুমিয়ে নিই।ইচ্ছে করে দিন দিন জমে ওঠা বুকের ভেতরের কষ্টগুলো,যন্তনাগুলো,স্বপ্নগুলো কেউ একজন দেখুক এবং ভুলিয়ে দিক পরম মমতায়।তারপর আমি সালমা হায়েক কে দু'লাইনের একটা কবিতা শুনিয়ে দিলাম,- "এ প্রান্তে তোমার ঠাঁই নেই বালিকা/তাতে কী?/সমস্ত পৃথিবী আছে তোমার অপেক্ষায়।"
যখন আমার প্যাকেটে টাকা থাকে না,তখন আমি মিছেমিছি দোকান চা-সিগারেট কিনে খাই।রাস্তার ফুটপাত ধরে হাঁটতে থাকি।গান গাই গুন গুন করে- "তুমি কি কখনো দেখেছ কভু,জীবনের পরাজয়!দুখের দহনে করুন রোদনে তিলে তিলে তার ক্ষয়।প্রতিদিন কত খবর আসে যে কাগজের পাতা ভরে,জীজন পাতার অনেক খবর রয়ে অগোচরে।" এটা আমার এক ধরনের খেলা।কোন হার নেই,কোন জিত নেই।চাঁদের দিকে তাকিয়ে ভাবি,কি করে মানুষ চাঁদে গেল?চাঁদে পানি নেই,গাছপালা নেই।তবুও চাঁদের সেই বুড়িটাকে আমার খুব দেখতে ইচ্ছা করে।আমি যেখানেই যাই চাঁদও আমার সাথে সাথে যায়।আমি থেমে গেলে চাঁদও থেমে যায়।আমি বিশ্রাম নিলে চাঁদও বিশ্রাম নেয়।
আমি পাথরের মতো চুপচাপ বসে থাকি।জয় ও পরাজয়ের মাঝখানে আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।"যার ঠিকানা নেই তার/পথ কি হারায়/ধরনী যার পেতেছে কোল/কেউ ডাকে না ডাকে তার/কি আসে যায়/এসেছিল যে শূন্য হাতে/ভয় সে কি পায় রিক্ত হতে!"আমার খুব ইচ্ছে করে লিখে লিখে পৃথিবীটা বদলে দেই।সব দুঃখ-কষ্টকে আনন্দ হাসিতে ভরে দেই।এই আনন্দময় ধারনা নিয়ে আমার দিন কাটে।রোমান সিসেরো বলেছিলেন, "এমন কোন ব্যাক্তি নেই যে তার ধন সম্পদ কোথায় লুকিয়ে রেখেছে সেটা বার্ধক্যে এসে ভুলে যায়।'' এখন আমি খুব বুঝতে পারি-যে কেউই একেবারে ধোয়া তুলসি পাতা নয়।আমি আমার নিজের অনেক কিছুই পছন্দ করি না।যেমন-হঠাত করে রেগে যাওয়া।খুব রেগে যাওয়া।রেগে গিয়ে মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার করি।যা কখনই কারো কাছে কাম্য নয়।পরে নিজেই মানসিক যন্তনায় ভুগি।
"কেন অন্ধকারে আমি যাত্রা করি/কেন ভালোবাসা পেয়েও এড়িয়ে চলি/কেন আলোকে আমি ভয় করি/কেন মৃত্যুকে আমি বিস্মরন ভুলে চলি''। আমার ডান হাতের তালুতে একটা তিল আছে।এই তিল টা নিয়ে আমার একটা থিসিস আছে।এই থিসিস টা এখনও পুরো শেষ হয়নি।মাঝে মাঝে মনে হয় এই তিল টার কারনেই আমি একটু পাগলাটে,অস্থির এবং অতিরিক্ত প্রানবন্ত।সব মিলিয়ে অদ্ভুত!যে ছেলেরা কবিতা লিখে তারাও অদ্ভুত আবার যে মেয়েরা ঘন ঘন মোবাইল ফোনে চোখ বুলায় তারাও অদ্ভুত।If we shall live, we live/If we shall die, we die/If we live, we shall meet again/But to night, goodbye.
©somewhere in net ltd.