নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
পিরামিড পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি। প্রাচীন মিশর শাসন করতেন ফারাও রাজারা। তাদের কবরের উপর নির্মিত সমাধি মন্দিরগুলোই পিরামিড হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মিসরে ছোটবড় ৭৫টি পিরামিড আছে। পিরামিডটি তৈরি করা হয়েছিল বিশাল বিশাল পাথর খন্ড দিয়ে। পাথরের সাথে পাথর জোড়া দিয়ে এমনভাবে পিরামিড তৈরি করা হত যে, একটি পাথর থেকে আরেকটি পাথরের মাঝের অংশে একচুলও ফাঁক থাকত না।মিশরীয় পিরামিডগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত পিরামিডগুলি দেখা যায় কায়রো শহরের উপকণ্ঠে গিজায়।গিজায় অবস্থিত খুফুর পিরামিড মিশরীয় পিরামিডগুলির মধ্যে বৃহত্তম।মিশরীয়রা মনে করত যতদিন রাজাদের দেহ রক্ষা করা যাবে ততদিন তারা স্বর্গে বাস করবে। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী এখনো তাদের অনেক রাজা স্বর্গে আছেন।
খ্রীস্টের জন্মের প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মিশরের নীল নদের তীরে গড়ে উঠেছিল এই সমৃদ্ধ সভ্যতাটি। বিশাল সব পাথর কেমন করে শত শত ফুট ওপরে তোলা হয়েছিল জানে না কেউ। জানে জানে কেমন করে কাঁটা হয়েছিল পাথরগুলো। কারণ পাথরগুলোর ধার এতই মসৃণ যে অতি উন্নত যন্ত্র ছাড়া যেটা সম্ভব নয়। পিরামিড তৈরির সব থিওরীই এখন পর্যন্ত অনুমান ও যুক্তি নির্ভর। ঠিক কোন পদ্ধতিতে কিভাবে আসলেই এগুলো তৈরী করা হয়েছিলো তা নিশ্চিতভাবে কেউই এখন পর্যন্ত প্রমান করতে পারেনি। জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতির চরম শিখরে আরোহনের পর গত কয়েক শতাব্দীতে মানুষ পিরামিডের উচ্চতার এই রেকর্ডকে ভাঙ্গতে সক্ষম হয়।পিরামিডটির অবস্থান ৩১.১৩১০১৩ দ্রাঘিমাংশ এবং ২৯.৯৭৬৯৭৭ অক্ষাংশে।
পিরামিড মজার ব্যাপার হচ্ছে যে,চার হাজার চারশত বছর ধরে এটিই ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু স্থাপত্য কর্ম, ১৮৮৯ এ আইফেল টাওয়ার নির্মাণের পর এটি তার গৌরব হারায়।ইতিহাসের জনক হেরোডেটাসের মতে, এই পিরামিড তৈরিতে ১ লাখ লোকের ২০ বছর লেগেছিলো।তবে হেরোডেটাস যে মতবাদ দিয়ে গেছেন তা পরবর্তীকালে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে যে, প্রতিটি পিরামিড ই নির্মিত হয়েছে কোন না কোন তারার অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। বৈদিক যুগে সমগ্র পৃথিবী বৈদিক শাস্ত্র মতে পরিচালিত হত । তৎকালীন সময়ে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ ভারতবর্ষে এসে তপস্যা, সংযম এবং শাস্ত্রগ্রন্থাদি অধ্যয়ন করতেন । গত ৩০০০ হাজার বছরে অন্তত ১৬ টি মারাত্মক ভূমিকম্প কে হেলায় অবজ্ঞা করে টিকে আছে পিরামিড।
সকালে যখন সূর্যের আলো ফোটে তখন প্রথম আলো পড়ে পিরামিডের চূরায়। এরপর ধিরে ধিরে তা আলো বাড়ার সাথে সাথে পিরামিডে ছরিয়ে পরে। কড়া রোদের মাঝে দূর থেকে দেখলে মনে হয় পিরামিড পানির মাঝখানে দাড়িঁয়ে রয়েছে । দিনের শেষ আলোটুকুও শেষ হয় পিরামিডের চূরা থেকে । এই আলোর খেলা আজও রহস্যময় হয়ে আছে । বিস্ময়কর পিরামিডের জন্য সারাবিশ্বেই মিসরের সুখ্যাতি আছে, যা দেখার জন্য প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক আসে। মিসরের আরও বিখ্যাত যে ক’টি জিনিস আছে তা হলো—বিশ্বে সবচেয়ে বড় নদী ‘নীল নদ’ ।মিশরের ফারাও রাজবংশই হচ্ছে পিরামিডের মূল নির্মাতা। ধারণা করা হয়, পিরামিডের প্রথম নির্মাণ কাজ শুরু হয় জোসার শাসনামলে। পিরামিড নির্মাণের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল বিপুল সংখ্যক দাস।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: পড়তে ভাল লাগছিলো। কেমন আছো?
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
বিল্লা বাবা বলেছেন: পিরামিড তো মানুষের তৈরি না। এটা কারা তৈরি করসে আজ পর্যন্ত কেউ জানে না। সবাই ভিন্ন ভিন্ন মত দেয়।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
বল্টু মিয়া বলেছেন: পিরামিড দেখলেই আমার এভিল আই এর কথা মনে হয়।
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: হ্যাঁ, যা বলতে চাচ্ছি, এতো তাড়াতাড়ি শেষ হলো কেন। আর একেবারে হঠাৎ করেই। আরো বিস্তারিত আসবে নিশ্চয়ই পরবর্তীতে। সেই প্রত্যাশায় রইলাম।
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৩
খায়ালামু বলেছেন: ++++++++++++
৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৩
ডাইস বলেছেন:
৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
দৃঢ় মানুষ বলেছেন: +++++++++
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২০
গিটার বলেছেন: +
১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৭
শিশেন সাগর বলেছেন: দারুণ সুন্দর এক লেখা।
২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
বাবা নুড়া বলেছেন: ভাই দারুন লেখছেন - আমার পড়ে খুবই ভাল লাগছে - অনেক তথ্য পেলাম! ই রকম ধরনের আরও কিছু ভাল পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করুন ... +++++++++