নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
একটু পন্ডিতি দিয়ে লেখাটা শুরু করি - ''' এক তরুন সক্রেটিসকে জিজ্ঞাসা করেছিলো,
সাফল্য লাভের রহস্য কি? সক্রেটিস তাকে পরের দিন নদীর ধারে দেখা করতে বললেন। দেখা হবার পর দুজনে পানির দিকে এগোতে লাগলেন
এবং একগলা পানিতে যেয়ে দাঁড়ালেন। হঠাৎ কিছু না বলে সক্রেটিস ছেলেটির ঘাড়
ধরে পানির মধ্যে ডুবিয়ে দিলেন । ছেলেটি পানির উপর মাথা তুলবার যতই
চেস্টা করে সক্রেটিস ততই তাকে শক্ত হাতে পানির নিচে ডুবিয়ে রাখলেন।
বাতাসের অভাবে নীল হয়ে গেলো ছেলেটির মুখ। সক্রেটিস তখন তার মাথাটি পানির উপর তুললেন । ছেলেটি হাঁসফাঁস করে বুকভরে নিঃশ্বাস নিলো।
এবার সক্রেটিস তাকে জিজ্ঞেস করলেন- ''যতক্ষণ পানির নীচে ছিলে ততক্ষণ
তুমি সবচেয়ে আকুলভাবে কি চাইছিলে?? ছেলেটি জবাব দিলো- 'বাতাস'। সক্রেটিস বললেন, এটিই সাফল্যের রহস্য। তুমি যেভাবে বাতাস চাইছিলে সেইভাবে যখন
সাফল্য চাইবে তখন তুমি সাফল্য পাবে। সাফল্যের কোনো গূঢ় রহস্য নেই।'' '' সাফল্যের চালিকাশক্তি আসে সিদ্ধিলাভের জলন্ত আকাঙ্খা থেকে । নেপোলিয়ান বলেছিলেন, '' মানুষের মন যা কল্পনা করে এবং বিশ্বাস করে, মানুষ তা অর্জন করতেও পারে।'
মহাখালি ব্রিজের উপর থেকে একটা বাইক খুব দ্রুত গতিতে বনানীর দিকে নামছে । বাইকে চালাচ্ছে গুল্লু । গুল্লুকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে হিমি । হিমির চুল, শাড়ির আঁচল বাতাসে উড়ছে । বাইক চলছে ৮০ কিঃমিঃ স্প্রীডে। গুল্লুর বাম পাশে একটা প্রাইভেট কার । ঠিক এই সময়, লাল জামা পড়া একটা মেয়ে গুল্লুর বাইকের কাছে চলে আসে । মুহূর্তের মধ্যে সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেল । হাঁটতে হাঁটতে লাল জামা পড়া মেয়েটি একটি ছেলের সাথে কথা বলছিল, মেয়েটি হঠাৎ ফুটপাতা ছেড়ে গুল্লুর বাইকের কাছে চলে আসে । মেয়েটি কথার মধ্যে ডুবে ছিল- তাই সে গুল্লুর বাইকটি খেয়াল করেনি । গুল্লু বাম পাশে চাপতে পারেনি প্রাইভেট কারের জন্য । লাল জামা পড়া মেয়েটিকে বাঁচাতে গিয়ে গুল্লু ছিটকে পড়ে ২৫ গজ দূরে । হিমি প্রাইভেট কারের সাথে ধাক্কা খেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকে । লাল জামা পড়া মেয়েটি হাঁটুতে সামান্য ব্যাথা পায় । গুল্লুর অনেক পেছনে একটা ভেসপাতে থাকা দুই ভদ্রলোক পুরো ঘটনা টা দেখেন ।
বাইকটা বাতাসের সাথে উড়ে এসে পড়ে গুল্লুর পায়ের লাছে । সময় তখন বিকেল ৫ টা। হিমির একটা হাত ভেঙ্গে গেছে । মাথা ফেটে বৃষ্টির মত রক্ত পড়ছে । রক্তে ভিজে যাচ্ছে রাস্তা । তবুও হিমির চোখ গুল্লুকে খুঁজছে ।সে চিকৎ্কার করে বলতে চাচ্ছে- আমার বাবুই কই, আমার বাবুই । কিন্তু তার গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না । আর ২৫ গজ দূরে গুল্লুর হাত পা ছিলে ভয়ানক অবস্থা । তার সারা শরীর অবশ লাগছে । কথায় বলে, যার কেউ নাই- তার আল্লাহ আছে । এমন সময় এক লোক তার গাড়িতে করে গুল্লু এবং হিমিকে হাসপাতালে নিয়ে জান । চিকিৎসার জন্য হিমিকে ইন্ডিয়া যেতে হয়েছিল । দুই মাস গুল্লু হিমির কাছে হাসপাতালে ছিল । হিমিকে ছেড়ে কোথাও যায়নি । হিমি ঘুম ভেঙ্গেই দেখতে গুল্লু তার হাত ধরে বসে আছে । এক আকাশ আনন্দে হিমির চোখ ভিজে যেত।
এবার একটা কৌতুক হবে -হাবলু কমোডে বসে তার নতুন আইফোন-৫ দিয়ে কথা বলছিল। হটাৎ তার ফোন নিচে কমোডে পড়ে গেলো। সে দুঃখে কষ্টে অনেক কান্নাকাটি করতে লাগলো। তখন হঠাৎ এক দেবতা আসলো পানি থেকে উঠে আর তাকে একটা সোনার আইফোন দিল। হাবলুর তখন কাঠুরের গল্প মনে পড়লো আর সে বলল “না এটা আমার না” । দেবতা তখন বলল, “আরে গাধা... এটা ধুয়ে তো দ্যাখ” ।
প্রায় পাঁচ মাস পর আজ "শেষ কথা" ধারাবাহিকটি লিখছি । আজ হরতাল । বিরোধীদল তেলের দাম বৃদ্ধির কারনে হরতাল দিয়েছে । তারা আগেই বলে দিয়েছিল- যেদিন তেলের দাম বাড়বে তারপর দিন হরতাল হবে।দেশের রাজনৈ্তিক অবস্থা ভালো নয় । দেশের সমাজ ব্যবস্থা ভালো নয় । দরিদ্র মানুষ আরো দরিদ্র হচ্ছে, ধনী মানুষ আরো ধনী হচ্ছে । সন্ধ্যায় যাবো হাতির ঝিলে ছবি তুলতে । অনেকেই ছবি তুলে ফেসবুক ভরিয়ে ফেলেছেন। সব সময়ই সব কিছুতেই আমার দেরী হয়ে যায় । অবশ্য এজন্য আমি মোটেও দুঃখিত নই ।
©somewhere in net ltd.