নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
"মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না।
কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে, তোমারে দেখিতে দেয় না।"
গুল্লুর সাথে হিমির পরিচয় হয়। তারপর প্রেম এবং তারপর ভালোবাসা । এক আকাশ গভীর ভালোবাসা । তারা আয়োজন করে একে অপরকে ভালোবাসেনি । চলতে চলতে মিশতে মিশতে একে অপরকে গভীর ভাবে ভালোবেসে ফেলে । একসময় তারা দুইজনই বুঝতে পারে-একজন আরেকজনের প্রতি তীব্র ভালোবাসা আছে । মোহ নয় ভালোবাসা । গোপন ভালোবাসা । কেউ জানে না এবং কেউ টেরও পায়নি । আসলে এতদিন কাউকে জানানোর প্রয়োজন পড়েনি । হেসে-খেলে দিন পাড় হয়ে গেছে । কিন্তু কথায় বলে মানুষের সব দিন সমান যায় না । শরতের ঝলমলে আকাশে হঠাৎ মেঘ জমে ।
আজ হিমির বিয়ে । হিমি অনেক সুন্দর করে সেজেছে। হিমিকে দেবী স্বরসতীর মতন লাগছে । এক আকাশ দুঃখে কষ্টে হিমির কলিজা ছিঁড়ে যাচ্ছে কিন্তু মুখ দেখে তা বুঝার উপায় নেই । গুল্লুর সাথে হিমির শেষ কথা হয় তিন দিন আগে । আসলে কোনো কথা হয়নি । ফোন দিয়ে হিমি খুব কাঁদছিল গুল্লুও কাঁদছিল । এভাবে ফোন একা একাই কেটে যায় এক ঘন্টা পর । হিমির সাথে যে ছেলের বিয়ে হচ্ছে- সে ছেলে আমেরিকা থাকে । দেখতে সুন্দর, শিক্ষিত, রুচিবান এবং দারুন পয়সাওয়ালা । হয়তো বিয়ের সাতদিন পরে গুল্লুকে একেবারে ভুলে যাবে । আনন্দে ঘর সংসার করবে ।
গুল্লুর অবস্থা ভয়াবহ । তাকে দেখলে মনে হয় সে একজন মানিসক রোগী । হিমির কোনো দোষ নেই । হিমি অনেক পথ দেখিয়েছিল- কিন্তু গুল্লু সে পথে যায়নি । গুল্লুর যুক্তি হচ্ছে- তার পায়ের নীচের মাটি এখন শক্ত হয়নি । সময়ের প্রয়োজন আছে । আর হিমির পরিবারের কাছে সময়ের অভাব । গুল্লু পাগলের মতন রাস্তায় হাঁটছে । যে কোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে ।হিমির সাথে আনন্দময় সময় গুলোর কথা খুব বেশী মনে পড়ছে গুল্লুর । গুল্লুর ইচ্ছা করছে- এখনই ছুটে হিমির কাছে যেতে । হিমির হাত ধরে বলবে, চলো আমার সাথে । তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না । তুমি আমার পাশে নেই ভাবলেই বুকের মধ্যে ভীষন কষ্ট হয় ।
হিন্দুদের মহাদেবের বাহন ছিল ষাঁড়, কার্তিকের ময়ূর, লক্ষ্মীর পেঁচা, গনেশের ইঁদুর আর সরস্বতী'র হাঁস- গুল্লুর এই রকম একটা বাহন থাকলে ভালো হতো। সে দূরে কোথাও চলে যেতে পারতো । যেখানে হিমির কথা একটুও মনে পড়বে না । অনেক পুরুষ নারীর রুপ দেখে মুগ্ধ হয়। তারা বোকা । আজ, হিমিকে ছাড়া গুল্লু শিশুর মতো অসহায় হয়ে পড়েছে । হিমি গুল্লুর হৃদয় জয় করেছে- আদর দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে, আন্তরিকতা দিয়ে,সেবা দিয়ে । হিমির এমন একটা ব্যক্তিত্ব ছিল যে তার সামনে দাঁড়িয়ে গুল্লু মিথ্যা কথা বলতে পারতো না । স্টুডিও থেকে গুল্লুকে ফোন করে বলা হলো- একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে ছবি তুলতে যেতে । গুল্লু কঠিন গলায় মানা করে দিল। যদি গুল্লু সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে যেত- তাহলে বড় ধরনের একটা ধাক্কা খেত । সেই বিয়ের অনুষ্ঠানটি ছিল হিমির ।
হিমির বিয়ে হয়ে গেল । হিমি তার স্বামীর সাথে চলে গেল আমেরিকা । গুল্লু আগের মতই রয়ে গেল । সারা দিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো। ক্ষুধা পেলে রাস্তার পাশের দোকান চা সগারেট খাওয়া । বাস্তব জীবনে এই রকমই হয় । যদি সিনেমা হতো- তাহলে এই রকম হতো- বিয়ের আসর থেকে গুল্লু গিয়ে হিমিকে নিয়ে আসতো । গুল্লু হিমিকে বিয়ে করতো- তাপর চলে যেতো নীলগিরি পাহাড়ে । দু'বছর পর তিনটা বাচ্চা হতো । প্রথম বার দু'টা জমজ মেয়ে বাচ্চা হতো। বাচ্চার নাম রাখতো টাপুর টুপুর । আর ছেলে টার নাম রাখতো গেদু ।
"তোমায় নতুন করেই পাব বলে হারাই ক্ষণে ক্ষণ
ও মোর ভালোবাসার ধন।
দেখা দেবে বলে তুমি হও যে অদর্শন,
ও মোর ভালোবাসার ধন॥"
০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: দারূণ ...... আমার শোনা বেস্ট লাভস্টোরী......
০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২০
মাক্স বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন!++
০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৩
শিপন মোল্লা বলেছেন: হিমির বিয়ে ??
০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: জাস্ট ফান।
৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
গ্রীনলাভার বলেছেন: গুল্লু আর হিমির গল্প আর শুনব না?
০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: গল্প চলছে। চলবেই।
৬| ০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৩
ইসিয়াক বলেছেন:
ভাই???????????????ওকে
০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: ও কিছু না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
মায়াবী ছায়া বলেছেন: "তোমায় নতুন করেই পাব বলে হারাই ক্ষণে ক্ষণ
ও মোর ভালোবাসার ধন।
দেখা দেবে বলে তুমি হও যে অদর্শন,
ও মোর ভালোবাসার ধন॥"
ভাল লাগলো ভাই ।+++++