নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
( এক ছোকরার বিয়ে করার বড়ই শখ, তার মতে এতেই তার সকল সুখ নিহিত। কিন্তু কিছুতে হয়ে ঊঠছে না। ওদের পরিবার একমাত্র শ্রীহনুমানের পূজো করে- অন্যে দেবতা সেখানে কল্কে পান না - তাই ত্রিসুন্ধ্যা তারঁই পূজো করে কাকুতি-মিনতি করে, “হে ঠাকুর, আমায় একটি বউ জুটিয়ে দেও গো”। ওদিকে নিত্য এমন ঘ্যানর ঘ্যানর শুনে হনুমানের পিত্তি চটে গিয়েছে। শেষটায় একদিন স্বপ্নে দর্শন দিয়ে হুঙ্কার দিলেন, “ওরে বুদ্ধু, বউ যদি জোটাতেই পারতুম, তবে আমি নিজে বিয়ে না করে confirmed bachelor হয়ে রইলুম কেন?!!”)
আমরা প্রত্যেকেই সুখ অন্বেষণ করছি, কিন্তু প্রকৃত সুখ কি তা আমরা জানি না। সাধারণত সুখ অনুভব করা হয় আমাদের ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে। উদাহরণ-স্বরূপ, একটি পাথরের কোন ইন্দ্রিয় নেই আর পাথর সুখ-দুঃখ অনুভব করতে পারে না। উন্নত চেতনা-শক্তি অনুন্নত চেতনাশক্তির চেয়ে অনেক বেশি সুখ ও দুঃখ অনুভব করতে পারে। গাছের চেতনা-শক্তি আছে, কিন্তু সেই চেতনা উন্নতমানের নয়। গাছ হয়তো সব রকম আবহাওয়ায় দীর্ঘকাল দাঁড়িয়ে থাকতে পারে, কিন্তু তাদের দুঃখ অনুভবের কোন উপায় নেই। যদি একজন মানুষকে শুধু তিন দিন বা এমনকি তার চেয়েও কম সময় গাছের মত দাঁড়িয়ে থাকতে বলা হয়, সে এসব সহ্য করতে পারবে না। সিদ্ধান্ত হচ্ছে এই যে, প্রত্যেক জীব তার চিন্তা-শক্তির উন্নতির মাত্রা অনুযায়ী সুখ বা দুঃখ অনুভব করে।
একজন মেয়ে তার সমস্ত সাধ আহ্লাদ বিসর্জন দিয়ে সংসারের জন্য সারাটা জীবন হাসি মুখে কাটিয়ে দেয়। কেউ কেউ হয়ত শাশুড়ি ননদের গঞ্জনা শুনে আবার স্বামীর গালমন্দ শুনেই পার করে সারাটা জীবন। হয়তো বা শুধুই বিছানার সঙ্গী হয়ে কাটিয়ে দেয় অধিকাংশ নারী।বাবার বাড়িতে মেয়ে হয়ে, স্বামীর সংসারে বউ হয়ে, আর সন্তানের মা হয়ে অনেকেই নিরানন্দ জীবনের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে।আমি যা খাচ্ছি তার সঠিক স্বাদ কি আমি পাচ্ছি? উত্তর যদি হয় হ্যাঁ, তবে নিজেকে সুখী ভাবতে হবে। ভেবে দেখুন তো সেই সব মানুষের কথা, যাদের মুখের স্বাদ সৃষ্টিকর্তা তুলে নিয়েছেন। তাদের থেকে আপনি কি অনেক বেশি সুখী নন?মনই যেন সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। গাড়ির গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণে যেমন স্টিয়ারিং হুইলের গুরুত্ব, মনও তেমনি মানুষের জীবনকে নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই আমরা যদি আমাদের নিজ নিজ মনকে সঠিক পথে চালনা করতে পারি, তাহলে হয়তো বা দুঃখের বোঝাভার কমিয়ে আমরা সুখের কাছাকাছি থাকতে পারব। না পাওয়ার দুঃখ ভুলে আমরা যা পেয়েছি, যদি সেই সুখে মত্ত থাকি তাহলে সবাই আমরা বেশি বেশি সুখী হতে পারতাম।
যদি কেউ ভোগ করতে চায় তবে তাকে বুদ্ধিমান হতে হবে। পশুদের প্রকৃতপক্ষে উন্নত বুদ্ধি নেই আর তাই তারা একজন মানুষের মতো জীবন উপভোগ করতে পারে না। হাত, নাক, চোখ ও অন্যান্য ইন্দ্রিয় ও দেহের অন্য সব অংশ মৃতদেহে থাকা সত্তে¡ও কিন্তু সে উপভোগ করতে পারে না। যদি একজন লোককে এক সুন্দরী স্ত্রী লোকের মৃতদেহ প্রদান করা হয়, সে কি তা গ্রহণ করবে? না, কারণ চিৎকণা দেহত্যাগ করেছে। দেহের ভেতর থেকে সে শুধু উপভোগই করছিল না, দেহের প্রতিপালনও করছিল। যখন সেই চিৎকণা দেহত্যাগ করে, তখন দেহটি সহজেই ক্ষয় প্রাপ্ত হয়।কোন বস্তুকে বিন্দুর চেয়ে বড় না দেখাতে পারে আর এর দৈর্ঘ্য বা প্রস্থ নেই মনে হতে পারে, কিন্তু অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখলে, আমরা দেখি এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ উভয়ই আছে।
রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন- যাহারা রীতিমতো বাঁচিতে চাহে, মুমূর্ষুভাবে কালযাপন করিতে চাহে না, তাহারা দুঃখ দিয়াও সুখ কেনে। হ্যফ্ডিং বলেন ভালোবাসা ইহার একটি দৃষ্টান্তস্থল। ভালোবাসাকে সুখ বলিবে না দুঃখ বলিবে? গ্যেটে তাঁহার কোনো নাটকের নায়িকাকে বলাইয়াছেন যে, ভালোবাসায়
"কভু স্বর্গে তোলে, কভু হানে মৃত্যুবাণ।"
অতএব সহজেই মনে হইতে পারে এ ল্যাঠায় আবশ্যক কী? কিন্তু এখনও গানটা শেষ হয় নাই। সুখ দুঃখ সমস্ত হিসাব করিয়া শেষ কথাটা এইরূপ বলা হইয়াছে--
"সেই শুধু সুখী, ভালোবাসে যার প্রাণ।"
ইহার মর্ম কথাটা এই যে, ভালোবাসায় হৃদয় মন যে একটা গতি প্রাপ্ত হয় তাহাতেই এমন একটা গভীর এবং উদার পরিতৃপ্তি আছে যে, প্রবল বেগে সুখ-দুঃখের মধ্যে আন্দোলিত হইয়াও মোটের উপর সুখের ভাবই থাকিয়া যায়, এমন-কি, এই আন্দোলনে সুখ বল প্রাপ্ত হয়।
মন সব সময়ই চঞ্চল। এই মন এক সময় যায় এক পথে আর এক সময যায় অন্য পথে।মন সব সময় সুখের বিষয় কল্পনা করছে। আমি সব সময় ভাবছি, ‘‘এ আমাকে সুখী করবে,’’ অথবা ‘‘ও আমাকে সুখী করবে। সুখ এখানে। সুখ ওখানে।’’ এইভাবে মন আমাদের যেখানে-সেখানে ও সব জায়াগাতে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা যেন এক লাগামহীন ঘোড়ার পেছনে রথে চড়ে যাচ্ছি। আমরা কোথায় যাচ্ছি তার ওপর আমাদের কোন ক্ষমতা নেই, কিন্তু ভয়ে কেবল বসে থেকে অসহায়ভাবে তাকিয়ে থাকতে পারি।একবার এক মাইগ্রেনের রোগীকে দেখা গেলো দেয়ালে মাথা ঠুকছে, জিজ্ঞেস করতেই সহাস্য উত্তর, “অমন করলে কি আরাম যে লাগে!” কবি হাইনে নাকি বলেছিলেন, “কড়া ঠান্ডায় রাত-দুপুরে লেপের তলা থেকে পা বের করাতে দারুন শীত লাগলো, এরপরই পা টেনে ভেতরে নিয়েই আয়েস করে যে কেঊ বলে উঠবে, “আঃ কি সুখ রে!”
অতীতের দুঃখকে বড় করে না দেখা, আর ভবিষ্যতের সুখের জন্য সুন্দর বর্তমানকে পুরোপুরি জলাঞ্জলি না দেয়া। সময়কে সঙ্গে নিয়ে চলুন, মনকে সঠিক নিয়ন্ত্রণ করুন, দেখবেন জীবনটা অর্থবহ মনে হবে। নিজেকে অনেক সুখী মনে হবে।
২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
আমি পিচ্চি পোলা বলেছেন: নাস্তিক সমাজের ধর্মগুরু আসিফ মহিউদ্দীনের কুরুচীপূর্ণ মন মানসিকতা জানুন এই লিংকে ক্লিক করে
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১
রাজীব নুর বলেছেন: না, জানবো না।
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০১
শিপন মোল্লা বলেছেন: “আঃ কি সুখ রে!
১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
শূন্য পথিক বলেছেন: ++