নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ কথা- ২০

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

মেঘনা নদীতে লঞ্চ চলছে । লঞ্চের নামটি মনে করতে পারছি না ।আমরা বাড়ির সবাই মিলে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে কুমিল্লা যাচ্ছিলাম । আমি লঞ্চের ছাদে বল খেলছিলাম । হঠাৎ আমার বলটি মেঘনা নদীতে পড়ে যায় । আমি লাফ দিয়ে বলটি ধরতে গিয়ে মেঘনা নদীতে পড়ে যাই। জানি না সাঁতার । তখন আমার বয়স ১৩ । মুহূর্তের মধ্যে ডুবে গিয়ে মেঘনা নদীর পানি খেয়ে নিলাম পেট ভরে । তারপর কে বা কারা আমাকে বাঁচায় কিছু মনে নেই ।



পাবনা যাচ্ছিলাম, বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করতে । তখন বড় ভাই পাবনা ক্যাডেট করলেজে লেখা পড়া করতো ।আরিচা ফেরী ঘাটে। ফেরীর দোতলায় রেলিং এ বসতে গিয়ে ধাম করে নদীতে পড়ে যাই । ভাগ্য ভালো ছিল, তখনও ফেরী ছাড়েনি । তখন আমার বয়স ১৬ বছর । অল্প পানির মধ্যেই ডুবে গেলাম। কে বা কারা আমাকে যথা সময়ে বাচিয়েছিল মনে নেই, একটুও মনে নেই । বাংলাদেশের প্রতিটা নদী আমার খুব ভালো লাগে । পৃথিবীর কোথাও আর এতো সুন্দর সুন্দর নদী নেই। আমাদের দেশের নদীর নাম গুলোও অনেক সুন্দর।



আমাদের গ্রামের বাড়ির কাছেই পদ্মা নদী । পদ্মা নদী আমার অনেক প্রিয় একটি নদী হঠাত ইচ্ছা করলো মনের স্বাদ মিটিয়ে পদ্মা নদীতে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে গোছল করবো । একদিন সব বন্ধু-বান্ধব নিয়ে চলে গেলাম গ্রামের বাড়িতে । আমার গ্রামের বাড়ি বিক্রমপুর। মধ্যদুপুর বেলা সব বন্ধু নিয়ে নামলাম নদীতে । আমি হাফ প্যান্ট নিতে ভুলে গিয়েছিলাম । তাই চাচার কাছ থেকে একটা গামছা নিয়ে কোমরে প্যাচিয়ে নদীতে নামলাম । মনের স্বাদ মিটিয়ে বিকেল পর্যন্ত নদীতে লাফালাফি করলাম । কিন্তু আমি নদী থেকে লজ্জার কারণে উঠতে পারছি না । কোথায় কখন যেন আমার গামছাটি খুলে গেছে । বন্ধুদের ও গামছা হারিয়ে যাবার কথা বলতে পারছি না । যদি বলি ওরা হাসাহাসি করবে । উফফ...ভয়াবহ লজ্জায় পড়েছিলাম ।



ঢাকার বাসাবো তে একটি বড় পুকুর আছে । পুকুরের পাশেই কালী মন্দির । সেই পুকুরে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম ৩৪ নং ওয়ার্ডের কমিশনারের সাথে । মাছ বড়শি ফেলতে গিয়ে আমিই ঘাট থেকে পুকুরে পড়ে গেলাম, আর কি আশ্চর্য সাথে সাথে ডুবেও গেলাম । পুকুরের মাটি অসম্ভব নরম- আমি কিছুতেই দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না । সেদিন অনেক পুকুরের পানি খেয়েছিলাম। পেট ফূলে গিয়েছিল । এখনও মনে আছে- অনেক গুলো স্যালাইন খেতে হয়েছিল।



২০০০ সা্লে জাহাজে করে বঙ্গোপসাগর ঘুরতে গিয়েছিলাম । বঙ্গোপসাগর বিশাল । চার দিন বঙ্গোপসাগরেই ছিলাম । সাগর পাড়ের বাতাস কি ঠান্ডা ! মধ্যরাতে জাহাজের ছাদে উঠলাম আমি একলা । জোছনা রাত ছিল । মনে হলো- বঙ্গোপসাগর যেন জ্বলছিল । পানি চিক চিক করছিল । জাহাজ যাচ্ছিলো সুন্দরবনের দিকে । হঠাত আমার খুব তীব্র ইচ্ছা হলো- বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ি । এত সুন্দর সহ্য হচ্ছিল না । সেই প্রথম আমার মাথায় স্বেচ্চায় মৃত্যু চিন্তা এলো। স্থির সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না- ঝাপ দিবো কিনা । আমার কপাল ঘামে ভিজে উঠলো! অতঃপর সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম ঝাঁপ দিবো- কিন্তু তার আগে একটা সিগারেট শেষ করবো । মজার ব্যাপার হলো- সিগারেট শেষ হওয়ার আগেই দেখি আব্বা পেছনে এসে দাঁড়িয়ে আছে ।



নদী আমার অনেক ভালো লাগে । দিনে রাতে নদীর সৌন্দর্য একেবারেই ভিন্ন ভিন্ন । একসময় আমি নদীর কাছেই ফিরে যাবো । নদী আমাকে ভালোবাসে। ভালোবেসে যে আমাকে ডাকে আমি তার কাছে চলে যাই ।



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

চ।ন্দু বলেছেন: সাঁতার শিখে ফেলেন, নইলে শেষরক্ষা নাও হতে পারে। মিছে হয়ে যেতে পারে জীবনখানা ষোল আনাই।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

ইমাম উশ শহীদ বলেছেন: ভাইরে..
সামনে বিপদ আপনার.....
শুধু সাঁতার না আপনি সব সময় লাইফ জ্যাকেট পড়ে ঘুরবেন...

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

ইমাম উশ শহীদ বলেছেন: ("পড়ে" && "ঘুরবেন" বানানে ভুল থাকলে মাফ চাই... :) )

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: ভাই আপনে দেখি পানির সাথে একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে নিয়েছেন #:-S

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

shfikul বলেছেন: রাজীব ভাই এ লেখাটা পড়ে যা বলার ফেবুতে বলেছি।পাগলামিতে পরিপূর্ন হোক আপনার জীবন।তবে পানি কিংবা সাগরে নয়।অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।সময় সুযোগ পেলে আমার ব্লগ পাতায় একটু ঘুরে যাবার অনুরোধ রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.