নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ঘটনা

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১০

হযরত ইবনে আক্বীল (রাহঃ) হতে বর্ণিত, আমাদের একটি বাড়ি ছিল্। তাতে যখনই কোনও লোক থাকতো, সকালে তাকে মৃত অবস্হায় পাওয়া যেত। একবার মরক্কোর এক লোক এল। ঘরটি সে পছন্দ করে ভাড়া নিল। তারপর রাত কাটাল। সকালে দেখা গেল সে পুরোপুরি বহাল তবিয়তেই রয়েছে। তার কিছুই হয়নি। তা দেখে প্রতিবেশীরা অবাক হল। লোকটি বেশ কিছুকাল ওই ঘরে থাকল। তারপর অন্য কোথাও চলে গেল। ওকে ওই ঘরে নিরাপদে থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করলে ও বলেছিল, আমি যখন ওই ঘরে প্রথমদিন রাতে থাকি, তখন ঈশার নামায পড়েছি, কুরআনে পাক হতে কিছু পড়েছি।



এমন সময় হঠাৎ দেখি, এক যুবক কুঁয়ো থেকে উপরে উঠছে। সে আমাকে সালাম দিল। আমি তাকে দেখে ভয় পেলাম। সে বলল, ভয় পাবে না। আমাকেও কিছু কুরআন পাক শিক্ষা দাও। অতএব আমি তাকে কুরআন শিখাতে শুরু করে দিই। পরে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি, এই ঘরের রহস্যটা কি? সে বলে, আমরা মুসলমান জ্বিন। আমরা কুরআন পাঠ করি এবং নামায পড়ি। কিন্তু এই ঘরে বেশির ভাগ সময়ে বদমাশ লোক থাকে, যারা মদপানের মজলিস বসায়। তাই আমরা ওদের গলা টিপে দিই। আমি তাকে বললাম, রাতের বেলায় আমি তোমাকে ভয় পাই। তুমি দিনের বেলায় আসবে। সে বলল, খুব ভাল। তারপর থেকে সে দিনের বেলায় কুঁয়ো থেকে বের হত। একবার সে কুরআন পড়ছিল। এমন সময় বাহিরে এক ওঝা এল এবং আওয়াজ দিয়ে বলল, আমি সাপে কাটা, বদ নজর লাগা ও জ্বিনে ধরার ফুঁক দিই। ও কথা শুনে জ্বিনটি বলল ও আবার কে? আমি বললাম, সে হল ঝাড় ফুঁককারী ওঝা। সে বলল, ওকে ডাকো।



আমি উঠে গিয়ে তাকে ডেকে আনলাম। এসে দেখলাম, সেই জ্বিনটি বিরাট বড় সাপ হয়ে ঘরের ভিতরের ছাদে উঠে রয়েছে। ওঝা এসে ঝাড়ফুঁক করতে সাপটি ছটফট করতে লাগল। শেষ পর্যন্ত ঘরের মেঝেয় পড়ে গেল। তখন তাকে ঝাঁপিতে ভরে নেবার জন্য ওঝা উঠল। কিন্তু আমি তাকে মানা করলাম। সে বলল, তুমি আমাকে শিকার ধরতে মানা করেছ। আমি তাকে একটি স্বর্ণমুদ্রা দিতে সে চলে গেল। তখন সেই অজগর নড়াচড়া করল এবং জ্বিনের রুপে প্রকাশ পেল। কিন্তু তখন সে দুর্বলতার দরুণ হলদে হয়ে গিয়েছিল। আমি তাকে বললাম, তোমার কি হয়েছে? সে বলল, ওই ওঝা আমাকে পবিত্র ইসমের মাধ্যমে শেষ করে ফেলেছে। আমি বাঁচব বলে আর বিশ্বাস হচ্ছে না। যদি তুমি এই কুঁয়ো হতে চিৎকারের শব্দ শুনতে পাও, তবে এখান থেকে চলে যেও। সেই রাতেই আমি কুঁয়োর ভিতর থেকে এই আওয়াজ শুনলাম, তুমি এবার দূরে চলে যাও।



বর্ণনাকারী ইবনে আক্বীল (রাহঃ) বলেন, তারপর থেকে ওই ঘরে লোক থাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩

মশামামা বলেছেন:



ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
ফিরে এসো বাছাধন - সুস্থ জীবনে
বাঙালী হয়ে প্রজন্ম চত্বরে এসে জড়ো হও -
রাজীব হত্যার ক্ষমা চেয়ে পবিত্র করো কণ্ঠ তোমার,
মুখে তোলো একটাই স্লোগান -
'জয় বাংলাদেশ; রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদ নিপাত হোক।'

ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
সবার সামনে এসে প্রকাশ্যে বলো -
আমি দ্বিধাহীন, বিবেকবোধে সমুজ্বল তোমাদের মতই,
আমি বাংলায় জন্মেছি, বাংলায় একাত্ম, বাংলায় গান গাই
আমি তোমাদেরই সন্তান ও ভাই।

ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
উচ্চস্বরে বলো - আমি লজ্জিত, আমি ভারাক্রান্ত,
আমি মুসলমান; তবে উন্মাদনা নয়, ত্যাগ ও শান্তিই আমার ধর্ম,
আমি জানি - শিবির মানেই উন্নাসিক, মানসিক রোগীদের আস্তানা
করজোড়ে প্রার্থণা করো - প্রজন্মের কাছে প্রজন্ম চত্বরে এসে -
'আমার ভুল হয়ে গেছে; আমায় ক্ষমা করো ।

ওহে শিবির, ওহে ফ্রান্কেনস্টাইন্ড!
আজ জাগ্রত জনতার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলো -
'জয় বাংলাদেশ; যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ,
আমি বাঙালি, বাঙালির জয় হোক,
পাকিস্তানী হানাদারবাদের মৃত্যু হোক।
জামাতীবাদ নিপাত যাক, সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক,
মানবতাবাদের জয় হোক, বাংলাদেশের জয় হোক।'

ওহে জনতা, জেগে ওঠো -
আর একটিবার মুক্তির স্লোগানে মাতো আর বলো -
সারাদেশ জাগ্রত হোক, গোটাজাতি এক হোক
এখনি সময়, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবার
পবিত্র মাটির রক্তের ঋণ পরিশোধ করবার।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১

চ।ন্দু বলেছেন: বুইঝ্যা নেবার মত জ্ঞানী তো আমরা না। একটু খোলসা করে কাহিনীর মোজেজাটা বর্ণনা করলে ভাল হত না?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: "দুনিয়ার সব থেকে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে সংশোধন করা এবং সব থেকে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যের সমালোচনা করা।"

- আলী (রা)

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

shfikul বলেছেন: তরজমায় লেখার ভাবটা বুঝতে পারলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.