নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওদের মুখে লাথি মার

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

দলে দলে শাহবাগমুখী তরুণ-তরুণীরা। চোখে-মুখে দীপ্ত বিশ্বাস, কাঁধে ঝোলা, পায়ে ধুলো মাখিয়ে হাতে পানির বোতল, মাথায় ব্যান্ড সঙ্গে জাতীয় পতাকা আঁকা নানারকম জিনিস। মুখে স্লোগান-মুষ্ঠিবদ্ধ চেতনা।



জামাত-শিবির পাগল হয়া গেছে। এখন মরণ কামড় বসাতে চায় ওরা। বোমা ফাটিয়ে, হামলা চালিয়ে , আতঙ্ক ছড়িয়ে প্রজন্মের সংগ্রামকে থিথু করে দিতে চায়। কিন্তু যে জাগরণ আর প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে দেশ থেকে দেশান্তরে তা রুধিবে কে? যে যেখানে আছেন ওদের ( জামাত-শিবির) জানিয়ে দিন, আমরা জেগে আছি, থাকব।

মাত্র ৩ মিনিটে থমকে গেল বাংলাদেশ, থমকে গেল সময়। তার সাথে থমকে দাঁড়ালো গোটা বিশ্ব। তিন মিনিটেই চোখের অশ্রুরা গড়িয়ে পড়ল উত্তপ্ত লাভা হয়ে।



আমরা কারও নেতৃত্বে অথবা কারও অনুরোধে আন্দোলন করিনি।থাকতে পারাটা হচ্ছে আসল, চলে যাওয়া কোনো ক্ষেত্রে সফলতা বয়ে আনে কি?একটা ক্ষোভ ছিলো... আশা ছিলো হয়তো এবার কিছু হবে... কথা নাই বার্তা নাই, নেতারা তাদের মনমতো ঘোষনা দেন। মানুষ কি নেতাদের দাস নাকি। আমাদের আর কোন নেতার দরকার নাই। এই নেতাদের কারণেই আমরা আজকে এই অবস্থায়।ইমরান তুই আন্দোলন বন্ধ করার জন্য কত টাকা পাইছস ?



অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় আন্দোলন শেষ করলে পরিনতি ভালো হবে না। বাচতে হলে জামাত শিবিরকে মারতে হবে।জনগণ একবার মুখ ফিরিয়ে নিলে আরও ৪২ বছর আপেক্ষা করতে হবে।আন্দোলনের নতুন সময় তিনটা থেকে রাত ১০টা!!! ঐক্যবদ্ধ জাতী, প্র্রত্যাশা একটাই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসী।মিরপুরে একজন ব্লগার খুন হয়েছেন। তাকে জবাই হত্যা করা হয়েছে। ৪ ঘন্টা আগেও তিনি ফেবুতে ছিলেন।নিজের দেশ, হতে পারে এই গরিবের দেশ, হতে পারে অবহলিতের দেশ তবু যে আমার বাংলাদেশ।



আমরা ঘাটের পয়সা খরচ করে নিজ ইচ্ছায় ব্লগ লেখি। আমাদের মধ্যে অনেক সময় বিভিন্ন বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে কমেন্ট যুদ্ধ হয়। এই আমাদের বেঁচে থাকা। এই আমাদের আলিংঙ্গন। তারপরও আমরা একটি পরিবারের মত। আমরা সবাই ভাই বোন। আমরা যুক্তি তর্ক নিজ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ভালোটা বুঝতে শিখি।ব্লগার রাজীব হত্যার নিন্দা জানাবার ভাষা আমার জানা নাই।



আল্লাহতায়ালার সবচেয়ে বড় শত্রু তারাই যারা ইসলাম গ্রহণ করে, অথচ অবশ্বিাসীর কাজ করে ও অযথা মানুষরে রক্তপাত কর--হযরত মুহম্মদ (সা)

ধর্ম যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। এই ইস্যু রাজনীতির মাঠে আনার কোন যৌক্তকতা আমি আদৌ খুঁজে পাই না।আমি ভাই খুবই নিরীহ অতি সাধারন একজন মানুষ। দেশের বর্তমান ও সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে খুব উদ্বেগের মধ্যে আছি।



আমরা ব্লগাররা অস্ত্র হাতে নিতে জানি না, রগ কাটতে পারি না, গলা কাটার কথা ভাবি না, টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি করিনা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে কফিন আনা হয় শাহবাগে।‘শহীদ’ সহযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সমবেত সবাই তখন দাঁড়িয়ে যান। কফিন ছুঁয়ে শপথ নেন এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার। কোন অপরাধে আজ রাজীব’কে প্রাণ দিতে হল? একটাই তো চাওয়ার ছিল যুদ্ধপরাধীদের ন্যায্য বিচার।এই চাওয়া তো বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষেরই চাওয়া।রাজীব হায়দার ( থাবা বাবা ) সে আস্তিক না নাস্তিক এত কিছু জানি না বুঝিও না ... শুধু বুঝি তাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে ... খুনিরা আবার খালি করেছে এক মায়ের বুক।একজন মানুষ যিনি কখনো সহিংস আন্দোলনে ছিলেন না, যিনি কোনদিন গাড়ি ভাংচুর করেন নি, যিনি কোন পথচারীকে আঘাত করেন নি - তিনি খুন হলেন - নৃশংস ভাবে।ইসলাম শান্তি আর সত্যের র্ধম।মানুষ হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ স্বাধীনতা বিরোধী এবং স্বাধীনতা ব্যবসায়ী কারো স্থান বাংলার মাটিতে হবেনা, হতে পারেনা, হতে দেওয়া হবেনা।আমরা এই প্রজন্ম যখন মরতে শিখেছে তখন মৃত্যুও আমাদের দামাতে পারবে না!



জামাত শিবিরের তান্ডব আর কতকাল এই জাতি বসে বসে সহ্য করে যাবে? একের পর এক হত্যাকান্ড চলতে থাকবে আর সরকারগুলো তাদের সাথে আতাত করে তাদের ছেড়ে দিবে, তাদের দায়ভার অন্যদের উপর চাপিয়ে দিবে, এ আর মেনে নেয়া যায়না।‘বাংলা কখনও হয় না ভাগ, বাংলা ভাষায় আমরা এক’- এ স্লোগানে ঢাকা শাহবাগ চত্বরের আন্দোলনে যোগ দিতে কলকাতা থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতীয় ছয় যুবক ও এক বাংলাদেশি।



আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি। তাকে রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

আস্তিকতা নাস্তিকতার দোহাই দিয়ে নৃশংসভাবে মানুষ খুন করা হচ্ছে।আমিও একজন ব্লগার।সুতরাং একজন ব্লগার এর অকাল মৃত্যু মোটেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। শোক থেকে নিন শপথ , শপথ থেকে ঘৃণা । তারপর প্রতিশোধ।জামায়াত-শিবিরকে আর ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



জামাত শিবির এর বিরোধিতা আর ইসলামের বিরোধিতা এক নয়।জামাত-শিবিরের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড দেখে আমার চোখের সামনে সব পরিস্কার হচ্ছে আস্তে আস্তে। একাত্তরে কিভাবে তারা এই সুশৃঙ্কখল জাতিতে বিভক্ত করে রেখেছিল। অন্যায়ভাবে নিরপরাধ মানুষের উপর, তাদের জান-মালের উপর হামলা করা বা ক্ষতি করা ইসলাম কোনো শর্তেই, কোন অবস্থাতেই সমর্থন করে না। তাছাড়া কুরআন শরীফেও বলা হয়েছে, “ফিৎনা-ফাসাদ কতলের চেয়েও খারাপ।”কাপুষেরাই কেবল পিছন থেকে আঘাত করে ---৭১ এও মানুষ দেখেছে এই কপুরুষতা, কাপুরুষেরা কখনই বিজয় আটকাতে পারে নাই , পারবেও না।



ওদের মুখে মার লাথি মার

বলছে যারা, 'যুবক সমাজ

প্রজন্মের ওই চত্বরেতে

নষ্ট পথে বসেছে আজ।'..



সকালে ঘুম থেকে উঠে পত্রিকা হাতে নিয়ে দেখি- বড় বড় করে লেখা "জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষনা" খুশিতে চিৎকার দেওয়ার পর ঘুমটা ভেঙ্গে গেল ।







মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

তাসজিদ বলেছেন: যুদ্ধপরাধিদের বিচার আমারা করতে পারব কিনা জানি না। তবে উপরে একজন আছেন। তার হাত থেকে যুদ্ধপরাধিদের নিস্তার নেই।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

তাসজিদ বলেছেন: এখনি সময়, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবার
পবিত্র মাটির রক্তের ঋণ পরিশোধ করবার

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

shfikul বলেছেন: এভাবে হত্যা আর হুমকি দিয়ে গণজাগরণকে দমানো যায়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.