নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের ছবি

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

'ওরা ১১ জন' ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।১৯৭১ এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত, স্বাধীনতায়োত্তর প্রথম চলচ্চিত্র। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতার ডাক দেন, এই ছবির গল্পে সেই ঐতিহাসিক ভাষনের কিছু অংশ দেখানো হয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন বিখ্যাত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম।



জীবন থেকে নেয়া একটি বাংলা চলচ্চিত্র। জহির রায়হান এর নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি ১৯৭০ - ১৯৭১ সালে মুক্তি পায়। সামাজিক এই চলচ্চিত্রে তৎকালীন বাঙালি স্বাধীনতা আন্দোলনকে রূপকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এই ছবিতে আমার সোনার বাংলা গানটি চিত্রায়িত হয়েছিল, যা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।জীবন থেকে নেয়া ছবির সংগীত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত সংগীত পরিচালক ও সংগীত শিল্পী খান আতাউর রহমান এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর রবীন্দ্র সংগীত ও কাজী নজরুল ইসলাম এর নজরুল সংগীত থেকে কয়েকটি বিখ্যাত গান গল্পের প্রয়োজনে নেয়া হয়েছিল।



আবার তোরা মানুষ হ ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচিত্র। ১৯৭১ এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।এই চলচ্চিত্রটিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কিছুটা নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানোর কারণে অনেকের নিকট থেকেই সমালোচনার সম্মুক্ষিণ হয়।



১৯৯৪ সালে বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ছবি নির্মাণে এগিয়ে আসেন। নিজের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে তার পরিচালনায় নির্মিত প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ছবি আগুনের পরশমণি। আরেক জনপ্রিয় কথাশিল্পী সেলিনা হোসেনের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম নির্মাণ করেন মুক্তিযুদ্ধের ছবি হাঙ্গর নদী গ্রেনেড। ২০০৪ সালে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের উপন্যাস অবলম্বনে চাষী নজরুল ইসলাম নির্মাণ করেন মেঘের পরে মেঘ। একই বছর আরো দুটি ছবি নির্মিত হয়। হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেন তার নিজের উপন্যাস অবলম্বনে ছবি শ্যামল ছায়া এবং বিশিষ্ট লেখক আমজাদ হোসেনের উপন্যাস বেলা-অবেলার গল্প অবলম্বনে অভিনেতা তৌকীর আহমেদ নির্মাণ করেন জয়যাত্রা।



দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র দীর্ঘ গৌরবের পথপরিক্রমার বর্তমান অবস্থায় অশ্লীলতা ও ভাঁড়ামির অভিযোগ বহন করে চলছে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে আশির দশকের শুরু থেকে এই ধারা ক্রমশ প্রকট হয়েছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, রুচিমান দর্শক এখন প্রেক্ষাগৃহমুখী হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করছে না।



একাত্তরের যীশু ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হয়।লেখক শাহরিয়ার কবির-এর লেখা একাত্তরের যীশু (উপন্যাস) অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করেছেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ। গল্পটি এক জেলেপাড়া নিয়ে। তখনো যুদ্ধ গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েনি। জেলেপাড়ার জেলেরা মাছ ধরে, তারপর হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে। সে গ্রামে একটা চার্চও ছিল। গ্রামের বেশিরভাগ জেলেই ছিল খ্রিস্টান। প্রতি রবিবার চার্চের কেয়ারটেকার ডেসমন্ড সকালে গির্জার ঘণ্টা বাজাতেন। আর তারপর গ্রামের সব মানুষ আসতেন সেই গির্জায়। ফাদার তাদেরকে বাইবেল থেকে যীশুর গল্প শোনাতেন।



কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, তাঁর নিজের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মান করেন এবং এটিই তাঁর পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া অনুদানের ছবি ‘আগুনের পরশমণি’ আটটি শাখায় জিতে নেয় জাতীয় পুরস্কার।১৯৭১ সালের মে মাস। অবরুদ্ধ ঢাকায় ভীষণ নিস্তব্ধ রাতের বুক চিরে ছুটছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ির বহর। তীব্র হতাশা, তীব্র ভয়ে কাঁপছে বাংলাদেশের মানুষ। অবরুদ্ধ ঢাকার একটি পরিবারের কর্তা মতিন সাহেব ট্রানজিস্টার শোনার চেষ্টা করছেন মৃদু ভলিউমে। ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শোনার চেষ্টা করছেন। নব ঘোরাচ্ছেন ট্রানজিস্টারের।



১৯৭০-এর দশক

জীবন থেকে নেয়া (১৯৭১) — জহির রায়হান পরিচালিত

ওরা ১১ জন (১৯৭২) — চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত

বাঘা বাঙ্গালী (১৯৭২) — আনন্দ পরিচালিত

জয় বাংলা (১৯৭২) — ফকরুল আলম পরিচালিত

অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী (১৯৭২) — সুভাষ দত্ত পরিচালিত

ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৩) — আলমগীর কবির পরিচালিত

আমার জন্মভূমি (১৯৭৩) — আলমগীর কুমকুম পরিচালিত

সংগ্রাম (১৯৭৩) — চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত

আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩) — খান আতাউর রহমান

আলোর মিছিল (১৯৭৪) — নারয়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত

বাংলার ২৪ বছর (১৯৭৪) — মোহাম্মদ আলী পরিচালিত

কার হাসি কে হাসে (১৯৭৪) — আনন্দ পরিচালিত

মেঘের অনেক রঙ (১৯৭৬) — হারুন-উর-রশিদ পরিচালিত



১৯৮০-এর দশক

বাঁধন হারা (১৯৮১) — এ. জে. মিন্টু পরিচালিত

কলমীলতা (১৯৮১) — শহীদুল হক খান পরিচালিত

চিৎকার (১৯৮১) — মতিন রহমান পরিচালিত



১৯৯০-এর দশক

মেঘের অনেক রঙ (১৯৯৩) — হারুন-উর-রশিদ পরিচালিত

একাত্তরের যীশু (১৯৯৩) — নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত

নদীর নাম মধুমতি (১৯৯৪) — তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত

আগুনের পরশমণি (১৯৯৫) — হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত

মুক্তির গান (১৯৯৫) — তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ পরিচালিত

হাঙ্গর নদীর গ্রেনেড (১৯৯৭) — চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত

মুক্তির কথা (১৯৯৯) — তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ পরিচালিত



২০০০-এর দশক

মাটির ময়না (২০০২) — তারেক মাসুদ পরিচালিত

জয়যাত্রা (২০০৪) — তৌকির আহমেদ পরিচালিত

শ্যামল ছায়া (২০০৪) — হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত

খেলাঘর (২০০৬) — মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত



২০১০-এর দশক

আমার বন্ধু রাশেদ - মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত

গেরিলা (চলচ্চিত্র) - নাসিরুদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত

মেহেরজান - রুবাইয়াত হোসেন পরিচালিত



একটি দেশ

একটি সংসার

একটি চাবির গোছা

একটি আন্দোলন

একটি চলচ্চিত্র..

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
চমৎকার। অনেকগুলো দেখেছি।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

শূন্য পথিক বলেছেন: চমৎকার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.