নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এযুগের প্রেমের কাহিনী বলল আজ। একটি মেয়ের প্রেমিক আছে । সে তার প্রেমিক কে অনেক ভালোবাসে। সব সময় ফোনে সব রকম খোঁজ খবর রাখে। প্রেমিকের আনন্দে আনন্দ পায়। প্রেমিকের কষ্টে কষ্ট পায়।প্রেমিককে সুন্দর পথ দেখায়। প্রেমিক হতাশায় পড়লে আশ্বাসের বানী দেয়। প্রেমিক ভালো কাজ করলে এক আকাশ আনন্দ নিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে। একটু একটু করে প্রেমিক প্রেমিকা দু'জনে মিলে তাদের ভবিষ্যৎ সাজায়। তারা বিয়ে করবে, তাদের বাচ্চা হবে, সংসারে আনন্দ আর আনন্দ থাকবে। দু'জনের প্রতি দু'জনের এক আকাশ ভালোবাসা।হয়তো এই ভালোবাসা আছে বলেই- প্রেমিকটির চোখে মুখে ভবিষ্যতের আনন্দ ঝলমল করে ওঠে।
আমার আজকের কাহিনীর- প্রেমিক প্রেমিকা ঢাকা শহরের থাকে । কিন্তু তাদের রোজ দেখা হয় না । মাসে দুই একবার দেখা হয়। প্রেমিক থাকে ঢাকা শহরের এক প্রান্তে, প্রেমিকা থাকে আর এক প্রান্তে। কিন্তু দূরত্ব যতই হোক তাদের আছে মোবাইল ফোন ।সারাক্ষন তারা টুকটাক কথা বলতেই থাকে । তাদের প্রেম কিভাবে শুরু হলো- সেটা আগে বলে নিই। অন্য দশটা প্রেম যেভাবে শুরু হয়- তাদেরটা সেভাবে শুরু। প্রেম ভালোবাসা মানুষের সমস্ত দূরত্ব মুছে দেয়। তাই দেখা হলে শুধু হাত ধরলে পোষায় না, জড়িয়ে ধরতে হয় চুমু দিতে হয়। প্রেমিকা বিদায় নেওয়ার সময় বুকের মধ্যে এক ধরনের ব্যাথাও হয়। ছোট ছোট দুঃখ কষ্ট এবং টুকরো টুকরো আনন্দ নিয়ে দুই তিন বছর কেটে যায়।
মোবাইল বিজি থাকলেই প্রেমিকা ঘেউ ঘেউ করে ওঠে। তার মানে কি? তাদের মধ্যে এক আকাশ ভালোবাসা আছে কিন্তু বিশ্বাস নেই? এযুগের প্রেমিক প্রেমাকিদের মধ্যে ভালোবাসা আছে কিন্তু বিশ্বাস নেই। যদি বিশ্বাস থাকে তাহলে প্রেমিক অথবা প্রেমিকা মোবাইল বিজি থাকার কারণে ঘেউ ঘেউ করে উঠতো না। সাধারনত প্রেমিক প্রেমিকা'রাই মোবাইলে বেশী কথা বলে থাকে। তাছাড়া মোবাইলে কথা বলতে মেয়েরা খুব বেশী পছন্দ করে। অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতে গেলে মেয়েদের গলা দিয়ে দারুন সুন্দর মিষ্টি কথা বের হয়। অতীত ইতিহাস ঘাটলে বুঝা যায়- ছল-চাতুরী'তে মেয়েরা খুব পাকা। যে কোনো মেয়ে ইচ্ছা করলে একটা ছেলেকে দশ বার কিনে বিশ বার বিক্রি করতে পারে।
অনেক সময় মেয়েদের ওড়না অথবা শাড়ির আঁচল সরে যায়। এটা কিন্তু অজান্তে নয় তারা চায় বলেই সরে যায়।( বয়স্ক দাদী, নানী, চাচী, ফুপু ছাড়া ) এটা কি তারা পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ওড়না অথবা শাড়ির আঁচল সরিয়ে রাখে ? এই ব্যাপার টা অবশ্যই নোংরামির মধ্যে পড়ে। বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ? এই প্রশ্ননের জবাবটা কে আমায় দিবে ? আমার পরিচিত এমন একজন মানুষ থাকতো- যে সব প্রশ্নের উত্তর জানে । ছুটে যেতাম তার কাছে । বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক মানে কি, এটা দেখানো যে তোমার প্রতি আমার বিশ্বাস আছে ভালোবাসা আছে । সত্যিকার অর্থে প্রেম ভালোবাসা কাঁচের মত। যে কোনো সময় ভেঙ্গে যেতে পারে।
আমি মনে করি, যে সমস্ত ছেলে মেয়ে বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করে তারা বোকা । একটা কথা সবার মনে রাখা দরকার শারীরিক সম্পর্ক দিয়ে কাউকে ধরে রাখা যায় না । বিশ্বাস এবং ভালোবাসা দিয়ে ধরে রাখা যায়। ইদানিং অনেক ছেলে মেয়ে বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কটাকে আধুনিকতা মনে করে। তবে এটা সত্য যে দু'জন মানুষ অনেকদিন পাশাপাশি থাকলে- তীব্র একটা আকর্ষণ তৈরী হয়ে যায় মনের অজান্তে। এযুগের নারী পুরুষ মানেই এক আকাশ রহস্য। আমার সব রকম রহস্য জানতে ইচ্ছা করে। রহস্য গুলোকে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছা করে। সারা জীবন একটাই আফসোস থেকে যাবে- রহস্য গুলো উন্মোচন করতে পারলাম না।
ঘুম আসছিল না। তাই এলোমেলো নিজের সাথে নিজে কথা বললাম ।এই লেখা কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়। রাস্তা ঘাটে চলার পথে অনেক কিছু চোখে পড়ে। সেসব বিষয় নিয়ে ভাবি। আসলে কথায় বলে না, কাজ নেই তো খই ভাঁজ। গ্রহ, নক্ষত্র তারার চেয়ে- মানুষ নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে । কিন্তু সমস্যা একটাই, মানুষ নিয়ে ভাবতে গেলে আগেই তার নোংরামি গুলো চোখের সামনে ভেসে আসে। যাই হোক, ঘুমাতে যাই। কাল অনেক কাজ আছে। সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হবে।পৃথিবীর সবাই ভালো থাকুক। মানুষের জীবন থেকে সকল নোংরামী মুছে যাক । সকল মানূষ শান্তিতে থাক । সকল নারী পুরুষের মধ্যে এক আকাশ বিশ্বাস আর ভালোবাসা জেগে উঠুক-এই মধ্যে রাত্রে ঈশ্বরের কাছে এটাই চাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৬
গ্রীনলাভার বলেছেন: সত্যিকার অর্থে প্রেম ভালোবাসা কাঁচের মত। যে কোনো সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। -