নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে। ততটা পানি পান করতে হবে, যে পর্যন্ত না প্রস্রাবের রং স্বাভাবিক হয়। পানি শরীরের অভ্যন্তরকে পরিশোধিত করে।শরীরে ঘাম বেশি হলে সেক্ষেত্রে পানিতে খানিকটা লবণ মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। তবে খাবার স্যালাইন পান করলে ভালো হয়।ঠাণ্ডা লেবুর শরবত কিংবা তরমুজ জাতীয় রসালো ফলও এ সময় খাওয়া যেতে পারে।প্রচণ্ড গরমে অনেকেরই চোখ জ্বালা করে। এই পরিস্থিতিতে চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিলে আরাম লাগবে। পারলে কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা পরিবেশে বিশ্রাম নিতে হবে, পান করে নিতে হবে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি।
এনার্জি ড্রিংকস আর্টিফিসিয়ালি তৈরী করা হয় যা শরীরের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।অন্য পানীয় পানে বিশেষ কোনো উপকার নেই। বিশেষ করে অ্যালকোহলযুক্ত বেভারেজ পান করলে শরীরে আরো বেশি পানি স্বল্পতার সৃষ্টি হয়। তাই পানি স্বল্পতারোধ করতে গিয়ে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান করলে শরীর আরো বেশি পানি হারাবে।রিচ্ছন্নতার জন্য গরমকালে দুবার গোসল করে নেয়া ভালো। দুর্গন্ধ দূর করার জন্য বারবার সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ত্বকের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তবে গোসলে বিশেষ ধরনের সাবান অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ ব্যবহারে উপকার আছে।
গরমের সময় সালাদ একটি উপাদেয় খাবার। দই, শসা, টমেটো, গাজর, কাঁচা পেঁপে, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, পেঁয়াজ ইত্যাদি দিয়ে সালাদ করা যায়। অনেক সময় এর সঙ্গে পাকা পেয়ারা ও আপেল দিয়েও সালাদ করা যায়। সালাদ তৈরি করে ফ্রিজে কিছুক্ষণ রেখে পরে খাওয়া যেতে পারে। এর সঙ্গে টকদই বা কাগজি লেবুও দেওয়া যেতে পারে। লেবুতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম, যা দেহকে ঠান্ডা রাখে এবং ত্বক মৃসণ রাখে।অতিরিক্ত গরমে অনেক সময় হজমে সমস্যা হয়। তাই সাধারণ খাবার, যেমন—ভাত, মাছ, ডাল, ভর্তা ইত্যাদি খাওয়াই ভালো।
গরমে শিশুর বিশেষ যত্মের প্রয়োজন। এ সময় শিশুর খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে গোসল ও পোশাক নির্বাচনের সময় মায়েদের বিশেষ যত্মবান হতে হবে। গরমে শিশুরা বড়দের তুলনায় অনেক বেশি ঘেমে যায়। এ সময় মৌসুমজনিত নানা রকম ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়, তাই শিশুর প্রতি বিশেষ যত্মবান হলে ত্বকের অনেক সমস্যা সহজেই এড়ানো সম্ভব।সব সময় শিশুকে হালকা সুতির জামা পরাবেন, এমনকি বেড়াতে যাওয়ার সময়ও। শিশু আরাম পাবে এমন পোশাক নির্বাচন করুন। আজকাল বেশির ভাগ মা বেড়াতে যাওয়ার সময় শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, শিশুর ত্বকের যে স্থানে সবচেয়ে বেশি র্যাশ বা ফুসকুড়ি হয় তা হলো ডায়াপারে আবৃত স্থান। তাই ঘন ঘন ডায়াপার বদলে দেবেন , দীর্ঘক্ষণ ধরে এক ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন না।
সূর্যের দাবদাহ থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য শরীরের উন্মুক্ত অংশে সানস্ক্রিন ক্রিম মাখা যেতে পারে। সানস্ক্রিন প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর মাখতে হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সানস্ক্রিন বা সানব্লকার ক্রিম পাওয়া যায়। আমাদের দেশের জন্য এসপিএফ-১৫ শক্তিসম্পন্ন সানব্লকারই যথেষ্ট বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
©somewhere in net ltd.