নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মিসির আলি ক্লাসরুমে ঢুকেছেন। তাঁর পড়ানোর বিষয় এবনর্মাল বিহেভিয়ার। ক্লাসে ঢুকেই তিনি বললেন, আমি মিসির আলি, তোমাদের এবনর্মাল বিহেভিয়ার পড়াতে এসেছি। পড়ানোর সময় কী করলে আমার আচরণকে তোমরা এবনরমাল বলবে?
ছাত্রছাত্রীরা কোন কথা বলল না। তারা তাদের শিক্ষককে যাচাই করে নিতে চাচ্ছিল।
মিসির আলি বললেন, আচ্ছা আমি যদি এই টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে লেকচার দেই, তোমরা কি আমার আচরণকে অস্বাভাবিক বলবে?
একজন ছাত্র বলল, হ্যাঁ।
মিসির আলি বললেন, প্রাচীন গ্রিসেকিন্তু শিক্ষকেরা টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে লেকচার দিতেন। তারাঁ মনে করতেন শিক্ষক সবচেয়ে সম্মানিত, তাই তাঁদের অবস্থান হবে উঁচুতে। তাদের কাছে এটি অস্বাভাবিক মনে হত না।
কাজেই অস্বাভাবিকতার সংজ্ঞা কী?
সংজ্ঞা হল,
"যা দেখে আমরা অভ্যস্ত নই, তার বাইরে কিছু দেখা-করাই অস্বাভাবিক।"
৭১ এ এক মুজিবের এক ডাকে কোটি বাংলাদেশি এক হয়েছিলো। তার এক ডাকেই কোটি বাংলেদেশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লাঠি হাতেই যুদ্ধে নেমে গিয়েছিলো। বর্তমানে আরেকজন মুজিব দরকার যার এক ডাকে আবার কোটি বাংলাদেশি এক হবে...। তবে আফসোস... এই ৪২ বছরেও আরেকজন মুজিবের এখনো জন্ম হয়নি।
আমরা না পড়িয়া পণ্ডিত, আমরা না লড়িয়া বীর, আমরা ভান করিয়া সভ্য, আমরা ফাঁকি দিয়া পেট্রিয়ট্। আমরা ভারি ভদ্র, ভারি বুদ্ধিমান, কোন বিষয়ে পাগলামি নাই। আমরা পাশ করিব, রোজগার করিব ও তামাক খাইব। আমরা এগোইব না, অনুসরণ করিব, কাজ করিব না, পরামর্শ দিব! --রবীন্দ্রনাথ
শহরে কার্ফু জারি করা হল, সন্ধ্যা ৬ টার পর কাউকে বাইরে দেখা গেলে তাকে গুলি করা হবে।
৬ টা বাজতে ১৫ মিনিট বাকি, সবাই বাসার দিকে দৌড়াচ্ছে। এর মধ্যে এক আর্মি একজন কে গুলি করে মেরে ফেলল।
আরেক আর্মি বললঃ এখনও তো ৬ টা বাজে নাই, তাকে মারলি কেন?
সে উওর দিলঃ এই শালা রে আমি চিনি, এর বাসা অনেক দূর। ৬ টার মধ্যে শালায় বাসায়।
একসময় একটি কাহিনী দ্য ওল্ডম্যান অ্যান্ড দ্য সি (আর্নেস্ট হেমিংওয়ে) পড়ে অভিভূত হয়েছিলাম, যার মূল ধারণা সাধারণ মানুষ, সমুদ্রতীরের একজন জেলের সাথে একটি বিশাল মাছের যুদ্ধের বিচিত্র কাহিনী। সাহিত্যের জন্য এমন কোনো বিষয় নেই, যা গ্রহণ করেননি লেখক ও সাহিত্যিক সমাজ।
রবীন্দ্রনাথ ১৭ বছর বয়সে লিখেছেন উপন্যাস 'করুণা' । 'করুনা' রবীন্দ্রনাথের সামাজিক উপন্যাস । এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র গুলো হলো- করুণা, নরেন্দ্র, মহেন্দ্র, পন্ডিত রঘুনাথ, মহিনী এবং অনূপকুমার । 'করুনা' উপন্যাসে লিখেছেন- 'সঙ্গিনী-অভাবে করুণার কিছু মাত্র কষ্ট হইতো না । সে এমন কাল্পনিক ছিল, কল্পনার স্বপ্নে সে সমস্ত দিন-রাত্রি এমন সুখে কাটাইয়া দিত যে, মুহূর্তমাত্রও তাহাকে কষ্ট অনুভব করিতে হয় নাই । তাহারা একটি পাখি ছিল, সেই পাখিটি হাতে করিয়া অন্তঃপুরের পুস্করিণীর পাড়ে কল্পনার রাজ্য নির্মাণ করিত ।... সন্ধ্যাবেলা পিতার নিকট যা-কিছু গল্প শুনিত, বাগানে পাখিটিকে তাহাই শিনানো হইত ।' ছোটবেলার সঙ্গী নরেন্দ্রের সাথে করুণার বিয়ে হয় । বিয়ের পর নরেন্দ্র করুণা কে অনেক অবহেলা করে, কিন্তু করুনা তার প্রতিবাদ করেনি ।
আকাশ ফরসা হতে শুরু করেছে । আমি ব্যালকনিতে এসে দাড়িয়েছি । ভোরের আকাশ দেখা দারুন একটা ব্যাপার । এর মধ্যে একটা কাক আমার ব্যালকনির সামনে দিয়ে উটে গেল । কাক কে দেখে একটা ঈশপের গল্প মনে পড়ল। গল্পটা এই রকম- এক শিয়াল দেখল যে এক কাক মুখে মাংস নিয়ে গাছের ডালে উঠে বসলো। সে ভাবল মাংসটা তার পেতেই হবে। সে গাছের নিচে গিয়ে কাককে ডেকে বলল “শুভ সকাল কাক মাদাম। আপনাকে আজকে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনার পালকগুলো অনেক সুন্দর। আপনার গলার আওয়াজও নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর হবে। আমাকে একটা গান শুনান। আমি বাধিত হব তাহলে। আপনাকে আমি তাহলে পাখির রানী বলতে পারবো”। কাক যেই ক্যা ক্যা শুরু করলো। তার মুখ থেকে মাংস পড়ে গেলো। আর শিয়াল সেই মাংস নিয়ে দৌড় দিলো। এই গল্পের মরাল টা আপনাদের জ্ঞান দিয়ে বুঝে নিবেন ।
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫২
সানহিমেল বলেছেন: পুরাই এলোমেলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
বলাক০৪ বলেছেন: আসলেই এলোমেলো......।