নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প থেকে শিক্ষা

২১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

।এক।

একদিন এক মুসলমান লোক চুল কাটতে গেছে এক নাপিতের দোকানে। কিন্তু নাপিত হল নাস্তিক। তাঁর চুল কাটার সময় তাকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বুঝাতে চাচ্ছে যে সৃষ্টিকর্তা নেই। নাস্তিক নাপিত বলতে লাগলঃ যদি ঈশ্বর থাকত তাহলে এত লোক অনাহারে মরত না। সে বাইরে একটা বস্ত্রহীন মানুষ দেখিয়ে বললঃ যদি ঈশ্বর থাকত তাহলে ওই লোক অনাহারে কেন? মুসলমান লোকটা কিছু বলল না। চুপচাপ শুনে যেতে লাগল।



এরপর যখন তার চুল কাটা শেষ হল সে বাইরে গেল এবং নাপিতকে বাইরে ডেকে বললঃ এই এলাকায় কোন নাপিত নেই। নাপিত তার কথায় অবাক হয়ে গেল এবং বললঃ নাপিত না থাকলে আপনার চুল কাটল কে?

তারপর মুসলমান লোকটা কত গুলো লম্বা চুল ওয়ালা মানুষকে দেখিয়ে বললঃ নাপিত থাকলে ওই লোক গুলোর চুল লম্বা কেন?

নাপিত বললঃ ওই লোক গুলোকে তো আমার কাছে আসতে হবে। আমার কাছে না আসলে অথবা আমাকে না বললে আমি কি কিছু করতে পারব? মুসলমান লোকটা তখন বললঃ তেমনি, সৃষ্টিকর্তার কাছে না গেলে, সৃষ্টিকর্তাকে না ডাকলে সৃষ্টিকর্তা তোমার জন্য কি করতে পারবে?



।দুই।

১৯৮১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনা, তখন আনুমানিক দুপুর ৩:৩০ বাজে। ব্রাজিলের Sobralsantos "নামের নামের একটি স্টিমার ২০০ টন মালামাল ও ৫৩০ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। স্টিমারটি হঠাৎ O 'bidos para বন্দরের কাছে প্রায়ই_ ২৬০ ফুট গভীর পানিতে উল্টে যায়। বন্দরের খুব কাছেই ছিল আমাজন নদীর একটি অংশ যা পিরানহা মাছে ভরা ছিল। আগেই বলে রাখি পিরানহারা সাধারণত কাউকে আক্রমণ করে না কিন্তু রক্তের গন্ধ পেলে এরা পাগলের মতো হয়ে যায়। পিরানহারা অনেক দূর থেকেই রক্তের ঘ্রান নিতে পারে। স্টিমার উল্টে যাওয়ায় যাত্রীরা অনেক আঘাত পায়। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে যায় ফলে প্রচুর রক্তপাত ঘটে! স্থান আর সময়ের যথার্থ সমন্বয়ে পিরানহারা খুব দ্রুত ডুবন্ত স্টিমার কাছে চলে আসে ও তাদের পেট ভর্তি খাবার পেয়ে যায়। মাত্র ১৮২ জন জীবন্ত ফিরে আস্তে পেরে ছিল তাও তাদের

শরীরের বিভিন্ন অংশ কাটা ছেরা ছিল ! বাকি ৩৪৮ জন জীবন্ত খাবার হয়ে গিয়েছিল ! মাত্র ৪ টা লাশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল !

আমাজনের রেকর্ড করা সবচে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ছিল এটি !



।তিন।

এক শিকারি একবার একটা পাখি ধরেছিল। সে পাখি সাধারণ পাখি না। ৭০টা ভাষায় কথা বলতে পারে এবং অসামান্য জ্ঞানী। তাই শিকারির হাতে ধরা পড়ে সে মিনতি করল -- "আমায় ছেড়ে দাও। আমি তোমায় মূল্যবান ৩টে উপদেশ দেব। যা তোমার জীবনে চলার পথ সহজ করে দেবে।" শিকারি একটু ভেবেচিন্তে রাজি হল। ৩টে মূল্যবান উপদেশের বদলে জ্ঞানী পাখির স্বাধীনতা।



১। যে সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে, তার জন্যে শোক কোরো না।

২। অন্যের মুখে শুনে অসম্ভব কিছু বিশ্বাস কোরো না।

৩। যা তোমার নাগালের বাইরে, তা পেতে চেষ্টা কোরো না।



পাখির এই ৩টে উপদেশ শুনে শিকারি তাকে মুক্তি দিল। ছাড়া পেয়ে পাখিটি উড়ে গিয়ে বসল একটা উঁচু গাছের ডালে। সেখান থেকে সে চেঁচিয়ে বলল -- "বোকা লোক। তুমি আমার মুখের কথায় ভুলে আমায় ছেড়ে দিলে। কিন্তু আমায় ছেড়ে না দিলে জানতে পারতে আমার শরীরের মধ্যে বহুমূল্য একটা মণি আছে, যা আমার জ্ঞানের উৎস।"

পাখির কথা শুনে শিকারি মাথা চাপড়াতে লাগল। বুদ্ধি করে পাখিটা বন্দি করে রাখলে ৩টে উপদেশের বদলে একটা দামী রত্ন পেতে পারত। নিজের বোকামিতে সে পাখিটার ওপর রেগে গিয়ে দাঁত কিড়মিড় করে বলে উঠল -- "ধূর্ত পাখি! তোকে ধরে ঐ মণি আমি নেবই নেব।"

উঁচু গাছটার যে ডালে পাখিটা বসে ছিল শিকারি সেখানে চড়তে গেল। কিন্তু সে গাছের সে ডাল ছিল পলকা। পাখির ভার সহ্য করতে পারে, মানুষের নয়। তাই শিকারি ডাল ভেঙে উঁচু গাছ থেকে পড়ে পা ভাঙল। আর জ্ঞানী পাখি উড়ে গেল নিজের আস্তানার দিকে।



গল্পটি এখানেই শেষ-- "যে সুযোগ চলে গেছে তার জন্যে শিকারি রাগে পাগল হয়ে গিয়েছিল। তার থেকেও বড় কথা সে বিশ্বাস করে বসল পাখিটার শরীরে একটা আশ্চর্য মণি আছে। অন্যের মুখে শুনে অসম্ভব জিনিসে বিশ্বাস করল শিকারি। আর শেষে উঁচু গাছের ডাল বসা একটা পাখি তার নাগালের বাইরে জেনেও তাকে খালি হাতে ধরতে গিয়েছিল সে। পাখির ৩টে উপদেশ মন দিয়ে শুনলে শিকারির ঐ হাল হত না।"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.