নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যানজট থেকে মুক্তি চাই

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১:১১

এখন সারা বছরই যানজট থাকে। সকাল দুপুর রাত- সব সময় যানজট।শুক্রবার- শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন গুলোতেও যানজট। রাত দু'টায় ও জ্যাম থাকে- যাত্রাবাড়ি, কুড়িল বিশ্ব রোড, গাবতলী, বাবু বাজার ব্রীজ, শ্যামলী ইত্যাদি রাস্তাঘাট। বছরের পর বছর ধরে- আমরা যানজট থেকে মুক্তি পাচ্ছি না। ২০ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগে- দুই/তিন ঘন্টা।যানজটের কারণে হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়ে।গাড়ির সঙ্গে রিকশা চলার কারণে গাড়িগুলো রিকশার গতিতে চলতে বাধ্য হয়, ফলে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যানজটের সৃষ্টি করে।ট্রাফিক জ্যামের কারণে বছরে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।ট্রাফিক জ্যাম কমাতে ছোট আকারের যানবাহন কমিয়ে দ্বিতল বাসের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি?



ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন সীমিত করা, পুরোনো গাড়ি সরিয়ে ফেলা সুপারিশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা সিটি করপোরেশনের অবৈধ রিকশা আটক করা প্রয়োজন। ঢাকা নগরীতে ৮০ হাজার বৈধ রিকশা আর ১০ লাখ অবৈধ রিকশা রয়েছে বলেও জানিয়েছে ডিএমপি।এছাড়া প্রধান প্রধান সড়ক ও ফুটপাথ ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী দোকান, অপ্রয়োজনীয় দোকানসহ যাত্রী ছাউনি ও বিল বোর্ড উঠিয়ে দেওয়ার সুপারিশও করেছে ডিএমপি।রাস্তার মাঝখানে যাত্রী ওঠানো-নামানো যানজটের অন্যতম কারণ। এটি বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো চলমান বাসগুলোর বর্তমান নকশার বিভিন্ন সিঁড়ি বদলে দেওয়া।



গত তিন বছরে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে মাত্র এক কিলোমিটার। সম্প্রতি হাতিরঝিল প্রকল্পে ১১ কি.মি. রাস্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।বর্তমানে রাস্তার মাঝখানে ডিভাইডার দিয়ে ভাগ করে এক ভাগ দিয়ে গাড়ি যায়, আর অন্য ভাগ দিয়ে গাড়ি আসে।একমুখী পদ্ধতি বাস্তবায়িত হলে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতেও কোনো সমস্যা হবে না, হয়তো সামান্য কিছুটা পথ ঘুরতে হতে হবে কিন্তু কেউ ট্রাফিক সিগন্যালে পড়বেন না, এটা নিশ্চিত।যেসব এলাকার যানজট একমুখী পদ্ধতির সাহায্যে নিরসন করা সম্ভব নয়, ওই সব এলাকায় ওভারপাস পদ্ধতির বাস্তবায়ন করে অবশিষ্ট ৫০ ভাগ এলাকার যানজট নিরসন করা সম্ভব। মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, রেলগেট ইত্যাদি ব্যস্ত সড়কে বসে ভ্রাম্যমাণ কাঁচাবাজার, যা জ্যামের জন্য অনেকাংশে দায়ী।



তীব্র যানজটের কারণে অনেক মুমূর্ষু রোগীদের নিয়েও বিপাকে পড়তে হয়েছে । অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল পর্যন্ত চলাচলের অনুযোগী হয়ে পড়েছে।গুলিস্তান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নগরীর উত্তর-দক্ষিণে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে যানজট লেগেই রয়েছে। এর মধ্যে ধারে-কাছের রাস্তায় গাড়ি ছেড়ে কেউ পায়ে হেঁটে, আবার কেউ বিভিন্ন সিগন্যাল পার হয়ে একাধিক গাড়ি পরিবর্তন করে গন্তব্যস্থলের পথ ধরেছেন।ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কোনো পরিকল্পনা না থাকায় যানজটে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরবাসী।রাজধানীর যানজট নিরসনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে উড়াল সড়ক। কিন্তু এসব উড়াল সড়ক যানজট নিরসনে কার্যত কোনো ভূমিকাই রাখছে না।



খিলগাঁও, মহাখালী উড়াল সড়ক যেখানে যানজট নিরসনে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে নতুন করে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে উড়াল সেতু ও সড়ক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। রাজধানীর সবচেয়ে বড় উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে যাত্রাবাড়ী-গুলিস্থান মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার। ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা।হাজার হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদাননির্ভর এসব উড়াল সড়ক ও সেতু কতটুকু কাজে আসবে, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।“অপরিকল্পিতভাবে গ্রহণ করা এসব প্রকল্প দেখে মনে হয়, শুধু বৈদেশিক মুদ্রা খরচের জন্যই এগুলো করা হচ্ছে।”মাত্র ১৭ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য এসব ফ্লাইওভার করা হচ্ছে। বাকি ৮৩ শতাংশ মানুষকে পোহাতে হবে দুর্বিষহ যানজট।”



দামি স্কুল গুলোতে ধনীদের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করে এবং প্রায় প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর রয়েছে আলাদা আলাদা গাড়ি। ধরা যাক রাজধানীতে ২০ টি নামি দামি স্কুল আছে এবং সেখানে মোট ২০০০০ ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করছে। এখন এই ২০ হাজার ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে প্রতি পরিবারের দুজন ধরা হলে তারা এক সাথে স্কুলে আসে ১০ হাজার জন।তাহলে ? ফুটপাত এখন দখলে চলে গেছে। ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় অনেক বাস স্টপেজে মানুষ প্রধান রাস্তায় নেমে আসে। এতে করে রাস্তার ওই স্থানে কিছুটা সময় বাস বা অন্য পরিবহন পার হতে সময় নেয়। ফুটপাত দখলমুক্ত করলে মানুষ ফুটপাত দিয়ে চলাচল করবে। এতে করে বাস স্টপেজ গুলোর যান চলাচল সুগম হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৫০

খেয়া ঘাট বলেছেন: ছবিটি কোথাকার। ভয়াবহ অবস্থা।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ছবিটি মহাখালীর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.