নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন নোয়াখালী সম্পর্কে জানি

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৪২

নোয়াখালী জেলা স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর। চট্টগ্রাম প্রশাসনিক বিভাগের অধীন নোয়াখালী জেলার মোট আয়তন ৩৬০১ বর্গ কিলোমিটার। নোয়াখালী জেলার উত্তরে কুমিল্লা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা এবং পশ্চিমে লক্ষীপুর ও ভোলা জেলা অবস্থিত।এই জেলার প্রধান নদী বামনি এবং মেঘনা। প্রধান খাল নোয়াখালী খাল । নোয়াখালী সদর মাইজদি ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। শহরের মোট জনসংখ্যা ৭৬,৫৮৫; শহুরে লোকদের মধ্যে শিক্ষিতের হার প্রায় ৬০.৭০%। নোয়াখালী সদরের আদি নাম সুধারাম। চৌমুহনী নোয়াখালীর আরেকটি ব্যস্ত শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র ।চরপার্বতী গ্রামের চোধুরী হাট বাজারের বিখ্যাত হাই স্কুল 'চোধুরী হাট উচ্চ বিদ্যালয় " এই বাজারে অবস্থিত । এই ছাড়া এই গ্রামে আর ও অনেক গুলো হাই স্কুল আছে যেমন - কদমতলা হাই স্কুল , মেহেরুন্নিসা হাই স্কুল, চোধুরী হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।



নোয়াখালী জেলার প্রাচীন নাম ছিল ভুলুয়া।ইতিহাসবিদদের মতে একবার ত্রিপুরা-র পাহাড় থেকে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীর পানিতে ভুলুয়া-র উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভয়াবহভাবে প্লাবিত হয় ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসাবে ১৬৬০ সালে একটি বিশাল খাল খনন করা হয়, যা পানির প্রবাহকে ডাকাতিয়া নদী হতে রামগঞ্জ, সোনাইমুড়ী ও চৌমুহনী হয়ে মেঘনা এবং ফেনী নদীর দিকে প্রবাহিত করে।নোয়াখালীর ইতিহাসের অন্যতম ঘটনা ১৮৩০ সালে নোয়াখালীর জনগণের জিহাদ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ১৯২০ সালের খিলাফত আন্দোলন।১৯৭১ সালের ১৯ আগস্ট পাকবাহিনী বেগমগঞ্জ থানার গোপালপুরে গণহত্যা চালায়। নোয়াখালী জেলার মানুষের মাথা পিছু আয় ১৯,৯৩৮ টাকা



নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলাধীন বজরা ইউনিয়নের অন্তর্গত দিল্লির শাহী মসজিদের অনুকরণে নির্মিত বজরা শাহী মসজিদ মোগল সাম্রাজ্যের স্মৃতি বহন করছে।মসজিদ তৈরির ১৭৭ বছর পর ১৯০৯ সালে একবার মেরামত করা হয়।চলেছেন।জনশ্রুতি রয়েছে যে, এ মসজিদে কিছু মানত করলে তাতে শুভ ফল পাওয়া যায়। তাই দেখা যায় যে, দুরারোগ্য ব্যাধি হতে মুক্তি পাওয়ার আশায় অগণিত মহিলা ও পুরুষ প্রতিদিন এ মসজিদে টাকা পয়সা সিন্নি দান করেন। এছাড়া বহু দূর- দূরান্ত থেকে মানুষ এসে এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন।



নোয়াখালী শহরের প্রাণ কেন্দ্রে মাইজদী জামে মসজিদ। মাইজদী বড় মসজিদ নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। প্রতিদিন শতশত ধর্মপ্রাণ মুসল্লী নিয়মিত এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। মসজিদের সাথে ‌‌‌‍‌‌‌‌ মানব কল্যান মজলিস নামে একটি জনহিতকর সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। যা আর্তমানবতার সেবায় মসজিদ ভিত্তিক একটি সংগঠনের রুপ নিয়েছে।



নোয়াখালীর উপকূলে প্রতি বছর সাগর থেকে জেগে উঠছে বিপুল পরিমান ভূমি। এর ফলে বেড়ে যাচ্ছে নোয়াখালীর আয়তন।বর্তমানে নোয়াখালীর উপজেলার সংখ্যা নয়টি।পঞ্চাশের দশকে মূল নোয়াখালী মেঘনা আর সাগরে বিলিন হয়ে গেলে বৃটিশদের পরিকলপনায় নতুন করে এ শহরের পত্তন হয়। নোয়াখালী শহর যখন ভেঙ্গে যাচ্ছিলো তখন মাইজদী মৌজায় ধান ক্ষেত আর খোলা প্রান্তরে পুরাতন শহরের ভাঙ্গা অফিস আদালত গুলো এখানে এনে স্থাপন করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ষোলো একর জুড়ে কাটা হয় এক বিশাল দীঘি। লোক মুখে প্রচলিত হয় বড় দীঘি নামে।



এ জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ সারা পৃথিবীতে ছড়িযে ছিটিয়ে আছে। তাদের টাকা রেমিটেন্স বেশীর ভাগ জমি কেনার কাজে ব্যাবহার করা হয়। এসব কারনেই দিন দিন এখানের যায়গা জমির দাম বেড়ে যাচ্ছে।। প্রবাসীদের পাঠানো টাকা সঠিক কাজে ব্যাবহার করে এ জেলাকে আরো সমৃদ্ধ করা যেতে পারে। একটি পর্যটন জেলা হিসাবে গড়ে উঠার সব রকম সুযোগ সুবিধাই এ জেলায় বিদ্যমান। নিঝুম দ্বীপ - এটি নোয়াখালী জেলার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।



বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার কৃতি সন্তানঃ বেগম খালেদা জিয়া, বীর শ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ওবায়দুল কাদের, মওদুদ আহমেদ, শহীদুল্লাহ কায়সার, ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। দেশে-বিদেশে বৃহত্তর নোয়াখালীর মান মর্যাদাকে তুলে ধরার যে প্রচেষ্টা আসুন আমরা হিংসা ভেদাভেদ ভুলে দলমত নির্বিশেষে সকলে মিলে সে প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করি এবং সফলকাম হওয়ার চেষ্টা করি।বাংলাদেশের বেশীরভাগ ভালো ব্যবসায়ী কিন্তু নোয়াখালীর।



আংগো বাড়ি ভাই নোয়াখালী

রয়েল ডিস্টিক কয় বেকগুনে;

দেশ-বিদেশ আকাশ-পাতাল

নোয়াখাইল্যা আছে সবখানে।

সবার উপর নোয়াখালী।



শ্বাশড়ি বউকে: ‘এরে হইন্নির ঝি, ইয়ানে তোর তালুকদারী আছে নি।’

অর্থাৎ- শাশুড়ি বউকে এখানে ভিখারিনীর কন্যা বলে অভিহিত করে।

শিক্ষক ছাত্রকে: ‘কীয়ারে অড়া, হড়া লেয়া কি তোর টঙ্গো উটছেনি।’

অথবা ‘কীরে অডা, হড়ালেয়া কি তোর গাছের আগাত উঠছেনি।’

অথবা ‘কীরে অডা, হড়ালেয়া কি তোর কাঁড়ে উঠছেনি!’

অর্থাৎ- কী ছেলে তোমার পড়ালেখার কি গাছের মাচায় উঠলো? এখানে দুর্বল ছাত্রটির পড়ালেখার সমাপ্তির বিষয়টি প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়েছে।



আল্লাহ আংগো ব্যাকের মনের আশা পুরন করুক, আমিন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৪৫

নীল জানালা বলেছেন: নোয়াখালির কোন এক লোক নাকি চাঁদে চায়ের দোকান করে? নীল আর্মস্ট্রং নাকি তার দোকান থিকা আদার চা কিনা খাইসিল। আর একজন নাকি সাগর তলে পাথর টুকায়? কোথায় নাই রয়াল ডিস্ট্রিক্টের লোক?

২| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৪৯

নীল জানালা বলেছেন: অডা মানে পোলা? মাইয়ারে কি কয় তাইলে?

ভাই হোনেন, নোয়াখালি, বরিশাল, চিটাগাং, সিলেট, এইসব ভাগাভাগিতে না গিয়া আসেন আমরা সবাই শুধু বাংলাদেশী হিসাবে পরিচিত হই।

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৪৩

ভিটামিন সি বলেছেন: আমি হুনছি ১৪ আত (হাত) মাডির নিচেও নাকি নুয়াখাইল্লা টুকাইয়া পাউন যায়। ভাই বিএনসিসি যেন কারে বলে একটু বোঝায়া বলেন। আর বাংলাদেশের কোম্পানীতে নোয়াখালীর লোক নিয়োগ দিতে চায় না তা ব্যাখ্যা করুন।
ঘটনাঃ ২০০৮ সালের শুরুর দিক। এসিস্ট্যান্ট যন্ত্রকর্মী হিসেবে মাত্র নারায়ণগঞ্জের সিনহা টেক্সটাইলে জয়েন করেছি। একদিন এইচআর এর মফিজ (ষাঁঢ়) বলল, আজকে আমার সহকারী ছুটিতে আছেন, আপনি একটু আমাকে এসিস্ট করেন। আজকে কিছু নতুন ওয়ার্কার টেক্সটাইল সেকশনে নিয়োগ হবে আপনি শুধু তাদের কাগজপত্র গুলি চেক করেন যে সব ঠিকমতো আছে কিনা। আর হ্যাঁ বিশেষ করে চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী আর নারায়নগঞ্জের কোন আবেদন রাখবেন না।" আমি বললাম কেন স্যার? উনি বলেন, আপনি তো নতুন; কিছুদিন কাজ করেন বোঝে যাবেন।

৪| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১২

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
নোয়াখালীর ইতিহাসের অন্যতম ঘটনা
১৮৩০ সালে নোয়াখালীর জনগণের জিহাদ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ১৯২০ সালের খিলাফত আন্দোলন ....

দেশ বিভগের প্রাক্কালে রায়টের নামে নারকিয় গনহত্যা এর পর গান্ধির আগমন, এইসব আপনি সচেতন ভাবে এড়িয়ে গেলেন!

৫| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

এস দেওয়ান বলেছেন: কয় দিন আগেই তো নোয়াখালীর এক নারী এমপি সংসদের ভেতরে চুদুর বুদুর করে মানুষকে নোয়াখালীর সাথে পরিচয় করে দিলো । তিনি বুঝিয়ে দিলেন জাতীয় সংসদের ভেতরেও চুদুর বুদুর করা যায় । এই চুদুর বুদুর শব্দ কোন পর্যায়ে পড়ে তা দয়া করে বলবেন কি ?

৬| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২২

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: হাতিয়া যাব। বজরা শাহী মসজীদ দেখতে যাব। ধন্যবাদ

৭| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

আরজু পনি বলেছেন:

আঞ্চলিক ঐতিহ্য গুলি ভালোই লাগে । শুধু স্বজনপ্রীতির বাড়াবাড়িটা ছাড়া ।

শেয়ার নিলাম পোস্টটা।

৮| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:১২

গ্রীনলাভার বলেছেন: :D :D :D :D (অন্যদের কমেন্ট পড়ে হাসলাম)
ভাগ্য অন্বেষনে নিজ জেলা থেকে বের হওয়ার সাহস অন্যান্যদের মধ্যে খুবই কম দেখা যায়। তাই সব জায়গায় নোয়াখালীর লোকজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এবং মাথা উচুঁ করে ভালভাবেই আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.