নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবেগ মানুষকে কত কিছুই না ভাবায়!

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২০

যখন রাতে আমার ঘুম আসে না, তখন আমি একটা সিনেমা বানাই। আমি নিজেই নায়ক, আমিই পরিচালক। আমি বেশী তৈরি করি রোমান্টিক মুভি। মাঝে মাঝে মন মেজাজ বিক্ষিপ্ত থাকলে- সিনেমার মধ্যে একটু পর পর মারামারি চলে আসে। নায়িকাকে নিয়ে বাগানে গিয়ে গান করি। হাত পা ছড়িয়ে নাচানাচি করি।নায়িকার বাবার সাথে ঝগড়া করি।ইচ্ছা হলেই নায়িকাকে নিয়ে চলে যাই- বান্দরবান, কক্সবাজার।ইদানিং নায়িকাকে নিয়ে দুবাই, আর মালোশিয়া ঘুরে বেড়াই। দিনের পর দিন, এই রকম ভাবতে ভাবতে-আর সেরা মুভি গুলো দেখতে দেখতে ইচ্ছা করে- আমি নিজে সিনেমা তৈরি করি। খুবই হাস্যকর চিন্তা। কিন্তু অসম্ভব না। একটা সিনেমা বানানো অনেক সাহস এবং ধের্য্যের ব্যাপার।



আমি মনে মনে ভাবি- গল্প তৈরী হয়ে গেলে সেটাকে ফ্রেমবন্দী করতে গেলে লাগবে ক্যামেরা। ক্যামেরার সামনে গল্পটাকে উপস্থাপন করতে হলে লাগবে অভিনেতা। আর শ্যুট করা উল্টো-পাল্টা গল্পটাকে সাজিয়ে দাড় করানোর জন্য চাই একটি কম্পিউটার।গল্প হলো একটি সিনেমার প্রান।গল্পের আগা-মাথা পুরোটা মাথায় নিয়ে এমন ভাবে সাজাতে হবে যেনো চোখ বন্ধ করলেই আপনি আপনার গল্পটাকে সিনেমাকারে দেখতে পান।শর্ট ফিলিমের জন্য বাংলাদেশে এখনো কোন স্পন্সরশিপ পাওয়া যায়না।একটা চমৎকার লোকেশন আপনার সিনেমার পুরা ডাইমেনশন ঘিয়ে দিতে পারে। সুন্দর লোকেশন মানে কক্সবাজার না। আপনার বন্ধুর ছাদ ও হতে পারে চমৎকার লোকেশন।শুটিং খুব পেইনফুল একটা জিনিস।



পরিচালনা, সিনেমাটোগ্রাফি, এডিটিং, সাউন্ড এডিটিং, ভিসুয়াল এফেক্ট আর অভিনেতা-অভিনেত্রি সহ সব শিল্পীর একক প্রচেষ্টায় একটি ছবিকে অনবদ্য করা সম্ভব ।১৯৫৬ সালে ঢাকায় প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’র উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছিল পুরান ঢাকার ‘রূপমহল’ সিনেমা হলে।একজন দক্ষ মুভি এক্সপার্ট হতে ইচ্ছা করে। মাঝে মাঝে নিজেকে বলি- দেখা থাকতে হবে প্রচুর মুভি। মুভি জাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। মুভি নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা আবশ্যক। সর্বোপরি প্রয়োজন শক্তিশালী মুভি সেন্স।ক্যামেরা কে একটু ডানে বা বায়ে বাকিয়ে এই শট টা নেয়া হয়। হরর মুভি তে এই শট টা বেশী দেখা যায়। অথবা, একশন দৃশ্যে নায়ক বা ভিলেইন এর আগমন। এই শট দর্শকের মনে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরী করে। ক্যামেরা একবার ডাইনে যায় তো একবার বায়ে। উপর থেকে নেয় তো, নীচ থেকে। কাছ থেকে নেয়তো আবার দূর থেকে। এই সব শট এর একেক টা নাম আছে।



জহির রায়হান নিঁপুন দক্ষতার সহিত চলচিত্র নির্মাণ শিল্পেও তিনি খুব অল্পসময়ে নিজেকে বিকশিত করেন। তার নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামান্য চিত্রগুলো যুদ্ধকালীন সময়ে বিশ্বমানবতার টনক নাড়িয়ে দেয়।ছবির নিজস্ব কোনো স্টাইল তৈরি করতে পারেন না অনেক পরিচালক।পিটার ট্রেভার্স একজন নামকরা চলচ্চিত্র সমালোচক। লেখেন রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনে। মাস্টার শট মানে হলো প্রথমে দূর থেকে একটা শট নেয়া যেনো দর্শক একটা আইডিয়া পেয়ে যায় আসলে কোথায় কি আছে বা কোথায় ঘটনা ঘটছে। যারা ফোটোগ্রাফী করেন- ভিডিও করা তাদের জন্য কোনো ব্যাপার না। হ্যান্ডি ক্যাম দিয়েই আপনি এক ঘন্টার নাটক বানাতে পারবেন।



মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘টেলিভিশন’ আর ‘থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার’ ছবি দুটি দেখেছি। আমার ভালোই লেগেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, তিনি অনেক মেধাবী একজন নির্মাতা। শুধু তা-ই নয়, একজন প্রাণচঞ্চল মানুষও বটে।বিজ্ঞাপন নির্মাণ মিডিয়ার সৃজনশীল মাধ্যম অন্যতম। সরকারি চ্যানেলের পাশাপাশি বেসরকারি চ্যানেলগুলোর প্রসারে বড় একটি জায়গা পেয়েছেন বিজ্ঞাপন নির্মাতারা।৭ একর জমির ওপর অবস্থিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বা বিএফডিসি। এর মধ্যে রয়েছে একটি প্রশাসনিক ভবন, একটি শব্দগ্রহণ ভবন, একটি ডিজিটাল সাউন্ড কমপ্লেক্স, দুটি সম্পাদনা ভবন, একটি ঝর্ণা স্পট, একটি সুইমিং পুল, একটি পার্ক এবং তিনটি খোলা জায়গা। যেখানে সেট নির্মাণ করে শুটিং করা যায়। এছাড়া রয়েছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট প্রায় ১০টি সংগঠনের স্টাডিরুম ও একটি ক্যান্টিন।



স্টিফেন হকিং অনেক অনেক বেশী মেধাবী , এ যুগের সবচেয়ে প্রতিভাবান । তার বইয়ে তিনি বিগ ব্যাং বিষয়ে বলেছেন সকল বস্তুই একটি বিন্দু থেকে উদ্দেশ্যহীনভাবে বিষ্ফোরিত হয়ে দুরে ছিটকে গিয়ে গ্রহ , নক্ষত্র সৃষ্টি করেছে ।আবার অপর বিজ্ঞানী ডারউইন বলেছেন :মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু নিজ থেকেই স্বতস্ফুর্তভাবে আকস্মিক ক্ষমতার কারণে উদ্দেশ্যহীনভাবে সূষ্টি হয়েছে । আমি মনে করি, সব কিছুর সাথে- সব কিছুর সামঞ্জস্য আছে। অদৃশ্য ভাবে হলেও আছে।“Cinema is a matter of what's in the frame and what's out”

― Martin Scorsese



হুমায়ূন আহমেদ বলেন- আমি দেখলাম যে আমার কিছু গল্প নিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন নাটক তৈরি করেছে। আমি নাটকগুলো দেখতাম আর মনে হতো আমি নিজে যদি একটা তৈরি করতে পারতাম। সেটা কেমন হতো ? ওদের চায়তে ভালো হতো না ওদের চায়তে মন্দ হতো? আমি নুতন কিছু কি করতে পারতাম? ওই আগ্রহ থেকেই আমি নাটক বানানো শুরু করি। আর সিনেমাটা তৈরি করার পিছনে মূল কারণটা হচ্ছে এত বড় একটা মুক্তিযুদ্ধ হয়ে গেল আমাদের দেশে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কোন ভালো ছবি হয় নাই। তাই আমার সব সময় মনে হতো যে একটা ভালো ছবি হওয়া দরকার। আমি আগুনের পরশ মনি ছবিটা বানালাম্ এটা এমন নয় যে একটা বিশাল কিছু করে ফেলেছি। চেষ্টা করেছি বলা যেতে পারে।



ডেড পয়েট সোসাইটি: এই ছবিতে রবিন উইলিয়ামসকে দেখে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছিলাম। উইটনেসের পরিচালক পিটার উইয়ারের এই ছবিটি ভিন্ন রকমের এক অনুভূতি নিয়ে আসে। এক স্কুলে শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে ছবি। এক কথায় অসাধারণ মুভি।একেই বলে শুটিং বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক এবং সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায় রচিত একটি নন-ফিকশন গ্রন্থ। বইটিতে তিনি ছবির শুটিং করতে গিয়ে যেসব মজার ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন বা মনে রাখার মত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন সেগুলোর কথা তুলে ধরেছেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৬

মু.ই.মা ইমন বলেছেন: যখন রাতে আমার ঘুম আসে না, তখন আমি একটা সিনেমা বানা
এটা আমি অনেক ছোট থেকে করি ভাই :)

আমি জানতাম না আর কেউ করে :)

আমার সিনেমা গুলো হয় অ্যাকশন ক্যাটাগরির ...

হিরোইন অবশ্য অ্যাট্র্যাকটেড হয় খুব হিরোর আনার্মড কমব্যাট আর গোলাগুলির অসামান্য নৈপূন্য দেখে :)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.