নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
চার বছর আগে আমি একটি ডায়েরী রাস্তায় কুড়িয়ে পাই। কার ডায়েরী আমি জানি না, কোনো নাম-ঠিকানা লেখা নেই। অদ্ভুত একটা ডায়েরী। নানান ধরনের কথা লেখা । ডায়েরীটা আমি পাঁচ বার পড়েছি। কিন্তু কোনো তথ্য বের করতে পারিনি। একবার মনে হয়- কোনো বদমাশ ছেলে নিজের মনের আবোল তাবোল কথা লিখেছে এবং ছেলেটি মানসিক রোগী। আবার কখনও মনে হয় কোনো বুদ্ধিমান মেয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করে ডায়েরী টা লিখেছে।মিসির আলী বেঁচে থাকলে হয়তো হাতের লেখা দেখেই সব বলে দিতে পারতেন।যাই হোক, যখন আমি নিশ্চিত হলাম ডায়েরীর মালিককে খুঁজে পাবো না- তখন ভাবলাম ডায়েরীটা পুড়িয়ে না ফেলে- ডায়েরীর লেখা গুলো বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি।এর আগে এই ডায়েরীর ২৬ টা লেখা পোষ্ট করেছি।
আজ নতুন বছরের প্রথম দিন। বিকালে সংসদ ভবনে গিয়েছিলাম। বাচ্চা একটা মেয়ে এক গ্লাস পানি খাওয়ালো। কিন্তু বাচ্চাটিকে আমি কোনো টাকা দিতে পারিনি। বাচ্চাটিকে বললাম তোমার নাম কি ? মেয়েটি হাসি দিয়ে বলল- আমার নাম জান্নাতি। জান্নাতিকে বললাম- তোমার জন্য এক আকাশ ভালোবাসা, ভালোবাসা এবং ভালোবাসা। বাসা থেকে রাগ করে বের হয়েছি- ম্যানিব্যাগ সাথে নেই। মন খারাপ নিয়ে বাসায় ফিরলাম। রাতে কিছু খেলাম না। রাত দুইটায় ছাদে গেলাম। কিন্তু কিছুটা চিন্তিত- সিগারেট আছে মাত্র তিনটা- সারা রাত পার করবো কিভাবে ? প্যাকেট ভরতি সিগারেট থাকলে- নানান এলোমেলো বিষয় নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে। আগামীকাল সুকন্যার সাথে দেখা হবে। এখন আমার একমাত্র আনন্দ সুকন্যা।
বাবা-মার সুত্রে আমি মুসলমান।কিন্তু ধর্ম ব্যাপারটা আমার কাছে খুব হাস্যকর লাগে। আমি যদি দিনে পাঁচ বার উঠা বসা করি- তাহলে নাকি ঈশ্বর আমাকে মৃত্যুর পর পুরস্কৃত করবেন । হা হা হা...খুবই হাস্যকর একটা ব্যাপার । যুক্তি খুঁজে পাই না। যারা ধর্মের বানী প্রচার করে- তাদেরকে আমার ভন্ড বলে মনে হয়। আমি তো জানি- ধর্মের কারনে পৃথিবীতে এত হানাহানি। মাঝে মাঝে ভাবি- ধর্ম না থাকলে, এই পৃথিবীর মানুষ গুলো কি খুব বেশী সৎ বা অসৎ হয়ে পড়ত। অথবা খুব সুখে জীবন যাপন করতে পারত ? পৃথিবীতে এখন সব মানুষের ধর্ম আছে- ঈশ্বর আছে- কিন্তু পৃথিবীর মানুষ গুলোতো ভালো নেই। পৃথিবীর জন্মের পর থেকে ঈশ্বর তো কোনো অলৌকিক কিছু দেখাতে পারেনি।
মুসলমানদের কিছু কিছু ব্যাপার খুবই হাস্যকর । প্রায়ই শোনা যায়- কোরবানীর মাংসে আল্লার নাম, মাছের গায়ে আল্লাহর নাম, আলুর মধ্যে- টোমেটোর মধ্যে আল্লাহর নাম । এই সবের মানে কি ? ফোটোশপ দিয়ে যে কোনো জাগায় আল্লাহর নাম বসিয়ে দেওয়া কোনো ব্যাপার না, দুই মিনিটের মামলা।আচ্ছা, ধরে নিলাম- ফোটোশপ দিয়ে আল্লাহর নাম বসানো হয়নি, এটা মহান আল্লাহর অলৌকিক খেলা। কিন্তু এই খেলা খেলে লাভ কি ? দেশের দরিদ্র মানুষ গুলো তিনবেলা পেট ভরে খেতে পারবে ? দুর্নীতিবাজরা ক্ষমা চেয়ে তাদের কালো টাকা দেশের কাজের জন্য দিয়ে দিবে? সেদিন একটা চায়ের দোকানে বসে ছিলাম- হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি নামল। দেখলে দেখতে রাস্তায় পানি জমে গেল। এমন সময় একজন বললেন- বৃষ্টির পানি হচ্ছে আল্লাহর রহমত। আমি দেখলাম, রহমতের পানি রাস্তায় জমে জনজীবন বিধ্বস্ত ।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এর 'চিলেকোঠার সিপাই' বইটি পড়ে শেষ করলাম আজ ।ঊনসত্তরের গণঅভ্যুথ্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত ।বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ'র পরেই আখতারুজ্জামান সর্বাধিক প্রশংসিত বাংলাদেশী লেখক।সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী বলেছেন, "কি পশ্চিম বাংলা কি বাংলাদেশ সবটা মেলালে তিনি শ্রেষ্ঠ লেখক''।দু’টি মাত্র উপন্যাস - চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭) ও খোয়াবনামা (১৯৯৬) বাংলা সাহিত্যে তাঁর অক্ষয় আসনটি নির্মাণ করে দিয়েছে। রাজনীতির সঙ্গে লেখকরা সবসময়ই নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখেছেন। ইলিয়াসই প্রথম এতটা সার্থক শিল্পসম্মতভাবে প্রধান দুটি আন্দোলনকে তার দুই উপন্যাসে ধারন করলেন। ইলিয়াস যখন মারা যান তখন তাকে নিয়ে ফরহাদ মযহার একটি কবিতা লিখেছিলেন। পত্রিকাতে দেখেছিলাম। খুবই সুন্দর একটি কবিতা। সংগ্রহে নাই।
সুমির কারনে ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছা করে না। সুমির মাকে দেখলাম, উনি ইলিশ মাছ কেটে আমার জন্য ভাজতে শুরু করলেন । মাছ ধুয়ে নিলেন না। আমি বললাম, আন্টি আপনি মাছ কাঁটার পর- ধোয়ার কথা কি ভুলে গেলেন ? আন্টি অবাক হয়ে বললেন- বোকা ছেলে ইলিশ মাছের গন্ধটাই আসল,ধুতে গেলে গন্ধটা চলে যাবে। আমি দেখলাম রক্ত মাখা মাছ আন্টি হলুদ মিশিয়ে ভেজে আমাকে খেতে দিলেন।ভাজা মাছ দেখে আমার বমি বমি পাচ্ছে। এরপর আর কোনো দিন সুমিদের বাসায় যাইনি। কিন্তু সমস্যা হলো- যখন ইলিশ মাছ খাই- তখন আন্টির কথা মনে পড়ে, ইলিশ মাছ খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায় । আমার মা কত সুন্দর করে ইলিশ মাছ রান্না করে। কিন্তু সুমির মা আমার প্রিয় মাছ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন।
এতক্ষন ডায়েরীর কথা লিখলাম। এখন আমি বলি- কোনো লেখাতেই তারিখ দেওয়া নেই। সময় দেওয়া নেই।তারিখ সময় দেওয়া থাকলে ভালো হতো। তবে হাতের লেখা সুন্দর ।পড়তে বিরক্ত লাগে না। তবে এই ডায়েরী যে লিখেছে- সে অবশ্যই নাস্তিক। তা না হলে কেউ এত সহজে ধর্ম এবং ঈশ্বর নিয়ে রসিকতা করতে পারে না। সে ধর্ম নিয়ে আরও বিকট সব কথা বার্তা লিখেছে। আমি সেসব এখানে দেইনি। খুবই অশালীন কথা, এবং আমার কাছে যুক্তিহীন মনে হয়েছে। আচ্ছা, যে এই ডায়েরীটা লিখেছে- সে কি বেঁচে আছে ? আর বেঁচে থাকলে তার বয়স কত ? সে কি বিয়ে করেছে? বাচ্চা কাচ্চা আছে ? যাই হোক, সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন এবং প্রিয় মানুষদের ভালো রাখুন।
বোধিবৃক্ষের নিচে গভীর ঘ্যানে মগ্ন ছিলেন গৃহত্যাগী রাজকুমার সিদ্ধার্থ ওরফে গৌতম বুদ্ধ। হঠাৎই ঘোড়া ছুটিয়ে সেখানে এলেন এক নৃপতি নন্দন। বুদ্ধের ধ্যান ভাঙিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভদ্রে, ঈশ্বর কি আছেন’? বুদ্ধ বললেন, ‘আমি কি বলেছি তিনি আছেন?’ নৃপতি নন্দন বললেন, ‘ও আচ্ছা, ঈশ্বর তাহলে নেই?’
বুদ্ধ পাল্টা প্রশ্ন করলেন, ‘আমি কি বলেছি তিনি নেই?’
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
বটের ফল বলেছেন: যার ডায়েরী, সে ভালো থাকুক। এই কামনা করি।
কেমন আছেন রাজীব নুর ভাই। আপনার লেখাগুলো পড়তে বেশ ভালো লাগে।
ভালো থাকবেন।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ দায়িত্ব বোধ
ডায়রির কথা গুলু অদ্ভুদ
যদি মিলে যায় তার দেখা
আরও অদ্ভুদ লাগবে এ কাহিনী লেখা
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
নিজাম বলেছেন: হুমায়ূন ধাঁচের লেখা। নাস্তিকতার গন্ধ আছে। লেখাগুলি আপনার নিজের না তো !!
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আমি একজন কঠোর আস্তিক , তাই সঙ্গত কারনেই নাস্তিকতার অংশগুলো আমার ভলো লাগে নি, মহান আল্লাহ্ আমাদের সৃষ্টি করেছেন , পালনকর্তাও তিনি , তাই কৃতঘ্নতা আমি অপছন্দ করি।
তবে বাকি লেখাটা সুন্দর হয়েছে, আপনার লেখার ভাষা ভঙ্গিও খুব সুন্দর।ভবিষ্যতে আরও সুন্দর লেখার প্রতাশা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
আহলান বলেছেন: এতো ডিজিটাল আরজ আলী মাতুব্বর!