নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

১৮১৮ সালে মেরি শেলির বিখ্যাত উপন্যাস ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন’ দিয়ে শুরু হয় সায়েন্স ফিকশনের জয়যাত্রা।মেরি শেলি উনিশ শতকের ইংরেজ সাহিত্যিক। মেরি শেলির পর আসেন জুলভার্ন ও এইচজি ওয়েলস।



সায়েন্স ফিকশনের জগতে জুলভার্নকে বলা হয়ে থাকে মুকুটহীন সম্রাট।১৮৫৮ সালে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় পর্যটন কাহিনী লিখে পয়সা রোজগার করতে থাকেন জুলভার্ন।প্রথম উপন্যাস ‘ফাইভ উইকস ইন অ্যা বেলুন’ বইটি প্রকাশ করেন। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে সাড়া ফেলে দেয় এই বই। রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান জুলভার্ন। বছরে দুটো করে মোট আশিটির মতো উপন্যাস লিখেছিলেন জুলভার্ন।১৯০৫ সালের ২৪ মার্চ ফ্রান্সের অ্যামিয়েস শহরে মারা যান জুলভার্ন।জুল ভার্নকে বলতে চাই ‘অমৃতের পুত্র’। তিনি জন্মেছেন আজ থেকে ঠিক ১৮৩ বছর আগে (৮ ফেব্রুয়ারি ১৮২৮)।



জুল ভার্নের কয়েকটি বইয়ের নাম বলা যাক- অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ (১৮৭৩), তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত ক্ল্যাসিক। আগেই বেরিয়ে গেছে অ্যা জার্নি টু দ্য সেন্টার অব দ্য আর্থ (১৮৬৪), টুয়েন্টি থাউজেন্ডস লিগস আন্ডার দ্য সি (১৮৭০)। ১৮৭৪ সালে বেরোল আরেকটি অমর গ্রন্থ, মিস্টিরিয়াস আইল্যান্ড। ভার্ন হয় কোন বিজ্ঞানী ছিলেন নয়তো বিশ্ব-পর্যটক। কারণ মানুষ চাঁদে যাওয়ার অনেক আগেই কল্পনায় তিনি মানুষকে চাঁদে পাঠিয়েছিলেন (ফ্রম দি আর্থ টু দি মুন)।



অ্যারাউন্ড দি ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ, এ বইয়ের কাহিনী, এই রকম- ফিলিয়াস ফগ একজন ধনী মানুষ। তিনি প্রতিদিন নিয়ম করে প্যারিসের এক সরাইখানায় বন্ধুদর সাথে আড্ডা দেন। এভাবে ভালোই চলছিলো সবকিছু। একদিন বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করার সময় পত্রিকার একটা রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছিলো। হঠাৎ সেই আলোচনা গড়ায় তর্কে। ফিলিয়াস চিন্তা ভাবনা না করেই বলে বসে, সে সারা পৃথিবী আশি দিনের মধ্যে ঘুরে আসতে পারবে। ঝটপট বন্ধুরা বাজি ধরলো। কারন তাদের বিশ্বাস এটা অসম্ভব। ফিলিয়াস যদি ৮০ দিনের মধ্যে পৃথিবী এক চক্কর দিয়ে আসতে পারে তাহলে বন্ধুরা মিলে তাকে দুই হাজার ডলার দেবে। ফিলিয়াসের জেদ চেপে গেলো।



আগপিছু না ভেবে চাকরকে নিয়ে পরদিনই যাত্রা শুরু করলেন তিনি। কখনো বেলুনে কখনো জাহাজে, কখনো হাতির পিঠে কখনোবা পায়ে হেঁটে তিনি একসময় ভারতে পৌছান। সেখানে এক অসহায় মেয়েকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচায় তারা। এদিকে ফিলিয়াসকে ব্যাংক ডাকাত ভেবে তাদের পিছু নেয় এক পুলিশ অফিসার। এক মুহূর্তও দেরি না করে তারা মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়েই একে একে পার হয় সাংহাই, প্রশান- মহাসাগর, নিউ ইয়র্ক শহর, শিকাগো, লিভারপুল, আটলান্টিক মহাসাগর, আয়ারল্যান্ড।



এর মাঝে আমেরিকায় ডাকাতরা তাদের ওপর ট্রেনে হামলা চালায়, হাঁপাতে হাঁপাতে তারা অবশেষে নিজের শহরে ফিরে আসে। কিন্তু ততেক্ষনে পাঁচ মিনিট লেট হয়ে গেছে। হতাশ ফিলিয়াস বন্ধুদের সঙ্গে দেখা না করে বাড়িতে ফিরে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্তু ফিলিয়াসই জিতেছিলো পুরো দুই হাজার ডলার। জানতে চাও কিভাবে? সেটা না হয় বইটি পড়েই জেনে নিও। এই বইটি বাংলায় অনুবাদ হয়েছে অনেক আগে। বাংলা বইটির নাম রাখা হয়েছে ‘আশি দিনে বিশ্ব ভ্রমণ’। এই মজার বইটি পড়ে দেখতে পারো।



বাংলা ভাষায় প্রথম কল্পবিজ্ঞানের সূচনা হয় জগদীশচন্দ্র বসুর ‘পলাতক তুফান’ গল্পটির মাধ্যমে।বাংলায় প্রথম সার্থক কল্পবিজ্ঞানের গল্প লেখেন প্রেমেন্দ মিত্র। ১৯৩১ সালে তার রচিত ‘পিঁপড়ে পুরান’ উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। ইউরোপ ও আমেরিকায় প্রতিবছর গুণী কল্পবিজ্ঞান লেখকদের নেবুলা ও হিউগো অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করা হয়।১৯৭৩ হুমায়ূন আহমেদ (তোমাদের জন্য ভালোবাসা) [ বাংলা সাহিত্যের প্রথম পূর্ণাঙ্গ এবং সার্থক সায়েন্স ফিকশান।]১৯৭৬ মুহম্মদ জাফর ইকবাল (কপোট্রনিক সুখ দুঃখ) [নকলের অভিযোগ উঠেছিল প্রথম গল্পটি প্রকাশ হবার পর। এর পর একই ধারায় আরো কিছু নতুন গল্প লিখে প্রকাশ করেন। ] ষাটের দশকে সত্যজিত লিখেছিলেন মি. এলিয়েন ।শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর পাতাল ঘরের রহস্য নিয়ে নির্মিত পাতালঘর মুভিটি ২০০৩ সালে নির্মিত হয় । (সম্ভবত বাংলা কল্পবিজ্ঞান অবলম্বনে নির্মিত প্রথম মুভি )

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ফ্যাংকেসটাইন , এবং জুলভারনের অনেক কাহিনী আমার পড়া
অসাধারণ সায়েন্স ফিকশন , অবশ্য জাফর ইকবাল এর কাহিনীও
যুগের হাওয়ায় কম নয়
আমি দুচারটি কল্পকাহিনী লিখেছি তবে ভিন্ন রকম
পোষ্টে ধন্যবাদ

১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

জগ বলেছেন: ১৯৭৬ মুহম্মদ জাফর ইকবাল (কপোট্রনিক সুখ দুঃখ) [নকলের অভিযোগ উঠেছিল প্রথম গল্পটি প্রকাশ হবার পর। এর পর একই ধারায় আরো কিছু নতুন গল্প লিখে প্রকাশ করেন এই বইটি । ]

১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: জগ@ হে ছাগু , জাফর ইকবাল প্রমাণ করে দিয়েছিলেন যে তার লেখাটি মৌলিক ছিল । আরও পড়াশুনা করো । কাজে লাগবে ।
পুরান ছাগুতে ভাত পায় না , আর উনি আসছে !

পোষ্টে +++++++

১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০০

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আপোনি তো আধুনিক সায়েন্স ফিকশনের দুই দিকপালের নামই নিলেননা। এইচ জি ওয়েলস আর আইজাক আসিমভ।

১৬ ই মে, ২০২১ রাত ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়। ভুলে গেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.