নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মহান সাহিত্যিক

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

'ক্ষীরের পুতুল' হলো হুমায়ূন আহমেদের পড়া প্রথম সাহিত্য। যদিও তার বাবার বিশাল লাইব্রেরি ছিলো।হুমায়ূন আহমেদের জন্ম পীরবংশে। হুমায়ূন আহমেদ ১৯৭৩ সালে গুলতেকিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।স্বাভাবিকভাবেই হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল গুলতেকিন এবং তার সন্তানদের এর জন্য চরম দুঃখজনক এবং অপমানজনক। গুলতেকিন তার আত্মসম্মান নিয়ে নিজেকে বিশেষ করে গণমাধ্যম থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। হুমায়ূন তার লেখনীর মাধ্যমে একটা জাতীয় রুচি তৈরি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন জাতীয়- সম্পদ। লেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার চাকরিও তিনি অবলীলায় ছেড়ে দিয়েছেন, সৎ থাকতে চেয়েছেন নিজের কাছে সমাজের কাছে।



স্যারের একটা স্বপ্ন ছিলো। তা হলো একটি ক্যান্‌সার হাসপাতাল তৈরি করা। আমি অপেক্ষায় আছি কবে সেটার কাজ শুরু হবে..কবে আমরা একটি ক্যান্‌সার হাসপাতাল দেখতে পারবো... স্যার নিজেও মনে হয় অপেক্ষায় আছেন।এক দিকে তিনি আমাদের সাহস দিয়েছেন অপর দিকে তিনি নিজেই হাহাকার বাড়িয়েছেন।যখন যে ভাবে ইচ্ছা হাসিয়েছেন, কাঁদিয়েছেন, অভিভূত করেছেন...সবাই যেন তাঁর ইচ্ছার পুতুল! আশির দশকের মাঝামাঝি তাঁর প্রথম টিভি নাটক ‘এইসব দিনরাত্রি’ তাঁকে এনে দিয়েছিল তুমুল জনপ্রিয়তা। তাঁর হাসির নাটক ‘বহুব্রীহি’ এবং ঐতিহাসিক নাটক ‘অয়োময়’ বাংলা টিভি নাটকের ইতিহাসে অনন্য সংযোজন। নাগরিক ধারাবাহিক ‘কোথাও কেউ নেই’ এর চরিত্র বাকের ভাই বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছিল টিভি দর্শকদের কাছে।







বৃষ্টিস্নাত রজনীতে ঢাকা নগরীতে হিমু ছাড়াও একজন মানুষ ঘরে বেড়ায়। সে অন্যদের চেয়ে উচ্চতায় লম্বা। অন্ধকারেও তাঁর চোখে থাকে কালো চশমা। হাটে ধভধভে শাদা গ্লাভস। এরা মানুষের খুব কাছে আসে না দূরে দাঁড়িয়ে পাখির মত শব্দ করে। হিমু এদের নাম দিয়েছে পক্ষী মানব।এক বৃষ্টিস্নাত রাতে হিমু বের হয়েছে পক্ষীমানবের সন্ধানে, তাঁর সঙ্গে আছে একজন রাশিয়ান পরী।

( হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী )



এ্যাই ছেলে এ্যাই।

আমি বিরক্ত হয়ে তাকালাম। আমার মুখভর্তি দাড়িগোঁফ । গায়ে চকচকে হলুদ পাঞ্জাবি পর পর তিনটা পান খেয়েছি বলে ঠোঁট এবং দাঁত লাল হয়ে আছে। হাতে সিগারেট। আমাকে 'এ্যাই ছেলে' বলে ডাকার কোনোই কারণ নেই। যিনি ডাকছেন তিনই মধ্যবয়স্কা একজন মহিলা। চোখে সোনালি ফ্রেমের চশমা । তাঁর সঙ্গে আমার একটা ব্যাপারে মিল আছে। তিনিও পান খাচ্ছেন। আমি বললাম, আমাকে কিছু বলছেন?

তোমার নাম কি টুটুল?

আমি জবাব না দিয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম। এই মহিলাকে আমি আগে কখনো দেখি নি। অথচ তিনই এমন আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছেন মনে হচ্ছে আমি যদি বলি 'হ্যাঁ আমার নাম টুটুল' তাহলে ছুটে এসে আমার হাঁট ধরবেন। কথা বলছ না কেন? তোমার নাম কি টুটুল?

হাসলাম এই আশায় যেন তিনি ধরেত পারেন আমি টুটুল না। হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায়। সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে, কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে। আমার হাসি নিশ্চয়ই ঐ টুটুলের মতো না ।

( ময়ূরাক্ষী )







ইয়াছিন সাহেব বারান্দায় অজু করতে এসে দেখেন শশা- মাচার নিচে লাল শাড়ি পরা বউ মত কে যেন ঘুরঘুর করছে। শশা-মাচা তো বেড়ানোর জায়গা না। কে ওখানে? শশা তুলছে নাকি? তাই তো, শশাই তো তুলছে। কোঁচড়ভর্তি শশা । সূর্য ডোবার পর ফলবতী গাছের ফল ছেঁড়া যায় না- এই সত্যটা কি লাল শাড়ি পরা মেয়েটা জানে না। ইয়াছিন সাহেব অত্যন্ত বিরক্ত হলেন। একবার ভাবলেন অজু বন্ধ রেখে এগিয়ে গিয়ে দ্যাখে আসেন ব্যাপারটা কী? কিন্তু এটা ঠিক না। গুরুতর কোন ঘটনা না ঘটলে নামাজ ছেড়ে যেমন ওঠা যায় না, তেমনি অজু ছেড়েও ওঠা যায় না। লাল শাড়ি পরা মেয়ের শশা তোলা কোন গুরুতর ঘটনা না।

( ওমেগা পয়েন্ট )



হিমু কখনো জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে না । ছোটখাটো ঝামেলায় সে পড়ে । সেই সব ঝামেলা তাকে স্পর্শও করেনা । সে অনেকটা হাসের মত । ঝাড়া দিল গা থেকে ঝামেলা পানির মত ঝরে পড়ল ।

আমার খুব দেখার শখ বড় রকমের ঝামেলায় পড়লে সে কি করে । কাজেই হিমুর জন্য বড় ধরণের একটা সমস্যা আমি তৈরী করেছি । এবং খুব আগ্রহ নিয়ে তার কান্ড-কারখানা দেখছি ।

( একজন হিমু কয়েকটি ঝি ঝি পোকা )



আপনিই মিসির আলি?

হ্যাঁ।

মেয়েটা এমন ভাবে তাকাল যেন সে নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছে না, আবার অবিশ্বাসও কররে পারছে না। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলা থেকে নিজেকে সামাল দিয়ে নরম গলায় বলল, আমি ভীষণ জরুরি একটা চিঠি নিয়ে এসেছি। চিঠিটা এই মুহূর্তে আপনাকে না দিয়ে একটু পরে দেই? নিজেকে সামলে নেই? আমি মনে মনে আপনার চেহারা যেমন হবে ভেবেছিলাম, অবিকল সেই রকম হয়েছে।

মিসির আলি মেয়েটির দিকে তাকালেন। সরল ধরনের মুখ। যে মুখ অল্পতেই বিস্মিত হয়। বারান্দায় চড়ুই বসলে অবাক হয়ে বলে, ও মাগো কী অদ্ভুত চড়ুই!

( আমিই মিসির আলি )







আদর্শ মানুষকে কেউ পছন্দ করে না আদর্শ মানুষ ডিসটিল্ড ওয়াটারের মত -স্বাদহীন। সমাজ পছন্দ করে অনাদর্শ মানুষকে। যারা ডিসটিল্ড ওয়াটার নয় - কোকা কোলা ও পেপসীর মত মিষ্টি কিন্তু ঝাঁঝালো।

( নবনী )



কেরামত বিয়ের জন্য অপেক্ষা করে। সে জানে না তার বয়স পাঁচপঞ্চাশ পার হয়েছে। এখন তার মাথায় চুল সবই সাদা। বাঁ চোখে ভাল দেখতেও পায় না। গায়ে সেই আগের জোড়ও নেই। কাজ কর্ম তেমন করতে পারে না। তবু পুরানা অভ্যাসে সারাদিন ক্ষেতে পড়ে থাকে । সন্ধাবেলায় নিজের বাড়িতে এসে অনাগত স্ত্রী এবং পুত্র-কন্যাদের কথা ভাবতে তার বড় ভাল লাগে ।

( আয়োময়)



"মারিয়ার গলা ধরে এসেছে।সে আবার মাথা নিচু করে ফেলেছে।কয়েক মুহুর্তের জন্য আমার ভেতর এক ধরণের বিভ্রম তৈরি হল।মনে হল আমার আর হাটার প্রয়োজন নেই।মহাপুরুষ না, সাধারণ মানুষ হয়ে মমতাময়ী এই তরুণীটির পাশে এসে বসি।যে নীলপদ্ম হাতে নিয়ে জীবন শুরু করেছিলাম,সেই পদ্মগুলি তার হাতে তুলে দেই।তারপরেই মনে হল-এ আমি কি করতে যাচ্ছি!আমি হিমু- হিমালয়।"

( হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম )



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: যদিও আমার প্রিয় ব্যক্তি এই ধরণী ছেড়ে চলে গেছেন ১ বছর হয়ে গেলো তবুও তাকে কখনোই ভুলি নি, যার লেখা আমাকে লিখতে শিখিয়েছে তাকে কি ভুলা আদৌ সম্ভব

পোস্টে +++

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৫

আফসিন তৃষা বলেছেন: পড়তে পড়তে গলা ধরে আসলো। হিমু সমগ্র পড়ছি এখন। হিমুর কোন নতুন রূপ দেখতে পাবোনা ভাবতেই কেমন যে লাগে!!

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪২

ডাইস বলেছেন: :|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.