নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনে সাফল্য পেতে চান ?

২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

একজন ওয়েস্টার্ন লেখকের নাম লুই লামুর। তিনি একজন বিশ্ববিখ্যাত লেখক। জীবনে তিনি উপন্যাস লিখেছিলেন ৩৫০টি। পুরস্কার পেয়েছেন অসংখ্য। তার লেখা অনুকরণ করে বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছে ওয়েস্টার্ন সিরিজ। নানা ভাষায় তার লেখা অনূদিত হয়েছে। শুনবেন তার প্রথম জীবনের কাহিনী? তার প্রথম উপন্যাস তিনশো প্রকাশক ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা হলে লেখালেখি অনেক আগেই ছেড়ে দিতাম। কিন্তু তিনি তা করেননি। নিজ লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি। তাই তিনি সফল হয়েছিলেন।



লক্ষ্য মানুষের জীবনের গতি নির্ধারক। লক্ষ্য মানুষকে দেয় সফল হওয়ার প্রেরণা।হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। শুধু ধৈর্য ধরতে হবে। ব্যর্থতার গ্লানি একদিন মুছবেই। তারপর আসবে সাফল্যের স্বর্ণসিঁড়ি। আপনি সেই সিঁড়ি ভেঙ্গে শুধু ওপরেই উঠবেন।সাফল্য কেউ আপনাকে দিয়ে যাবে না। আপনাকেই ছিনিয়ে আনতে হবে সফলতার সোনার হরিণকে। কল্পনাশক্তি মানুষকে তার জীবনের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেয়। যখন এই কল্পনাশক্তি অনুসারীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তারা অনুপ্রেরণা লাভ করে।ছোটবেলা থেকে কোনো কিছুকে জীবনের লক্ষ্য হিসেবে মনেপ্রাণে ধারণ করলে তা একদিন বাস্তব হবেই।



লিউন ইফরিস একজন বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজ লেখক। তার শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের নাম এক্সোডাস। মজার কথা হচ্ছে, এই লেখক হাই স্কুলে পড়াকালীন ইংরেজিতে মোট তিনবার ফেল করেছিলেন। আর যাই হোক, তার তো ইংরেজি ভাষার লেখক হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল লেখক হওয়ার, তাই শত বাধার মুখে তিনি হার মানেননি। কপাল গুণে নয়, চেষ্টার গুণেই তিনি তার সাফল্যের সোনার হরিণ ধরতে পেরেছিলেন। তারপর শুধুই সাফল্য।



সফল হলিউড চিত্র পরিচালক ক্লিন্ট ইস্টউড অভিনয়ে সুযোগ পাওয়ার জন্য ১৯৬৯ সালে যান ইউনিভার্সাল পিকচারের স্বত্বাধিকারীর কাছে। প্রতিষ্ঠানের মালিক তাকে জানিয়েছিলেন, ‘তোমার চেহারা ভালো নয়। তা ছাড়া তুমি কথা বল ধীরে ধীরে। তুমি অন্য পেশার চেষ্টা করো। এই ক্লিন্ট ইস্টউড পরবর্তীতে পরিশ্রম আর নিজ লক্ষ্যে স্থির থেকে হয়েছেন হলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা। এখন তিনি একজন সফল পরিচালক।



আবিষ্কারক ছিলেন টমাস আলভা এডিসন। শৈশবে মিশিগানের পোর্ট হিউরনের স্কুলে তাকে ভর্তি করানো হলে শিক্ষকরা এডিসনের মাকে ডেকে এনে জানালেন, আপনার ছেলে খুব অলস। তাছাড়া সে সহজে কিছুই বুঝতে পারে না। এডিসনের মা তাকে স্কুল থেকে বাড়িতে এনে নিজেই পড়াতে লাগলেন। তরুণ এডিসন প্রথমেই বিজ্ঞানের প্রেমে পড়ে যান। তার বয়স যখন দশ, তখন তিনি নিজেই তৈরি করেছিলেন তার গবেষণাগার। সারা জীবনে তিনি তেরোশোটি আবিষ্কার করেছিলেন। তার এই অসাধারণ সাফল্যের কারণ জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন- ‘এক শতাংশ মেধা আর ৯৯ শতাংশ পরিশ্রম।’ দুই হাজার বার চেষ্টা করে তিনি আবিষ্কার করেছিলেন ইলেকট্রিক বাল্ব। এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, দুই হাজার বার ব্যর্থ হওয়ার অনুভূতি কেমন? এডিসনের ভাষায়, ‘আমি একবারও ব্যর্থ হইনি। বাল্বটা আবিষ্কারের দুই হাজারটা প্রক্রিয়া ছিল। আমি শুধু সেসব অনুসরণ করেছি।’



জন মিল্টনের নাম আমরা অনেকেই জানি। তিনি ৪৪ বছর বয়সে সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যান। এর ষোল বছর পর তিনি লিখেছিলেন বিশ্বসাহিত্যের অমর সৃষ্টি ‘প্যারাডাইস লস্ট’সহ আরো অনেক ক্ল্যাসিক। কারণ সাফল্যের শেষ নেই।



আল্লাহ কেন কাউকে গরীব কাউকে ধনী, কাউকে সাদা কাউকে কালো, কাউকে সুখী কাউকে দু:খী বানালেন? তাদের এ প্রশ্ন একেবারেই অবান্তর। কারণ, আল্লাহ যদি সবাইকে সমশ্রেণীর, সমমানের বানাতেন তাহলে তো কেউ কাউকে মানতোনা পরোওয়াও করতোনা। আর এতে দেশ ও সমাজের শৃঙ্খলা চরমভাবে ব্যহত হতো।



মানুষের এক অদ্ভুত আবেগ রয়েছে যার নাম আশা, সে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে আগামীকালের অপেক্ষায়। মানুষ তার ভবিষ্যতের জন্য আশা করে, স্বপ্ন দেখে বলেই নিজের মাঝে সাহস আর শক্তি খুঁজে পায় বেঁচে থাকার জন্য। কিন্তু আবার এই আশার উল্টো পিঠে বাস করে হতাশা যে মুহূর্তের মধ্যে ঠেলে দিতে পারে অতল অন্ধকারে। হতাশ হওয়া বা নিরাশায় আক্রান্ত হওয়ার পিছনে রয়েছে হাজার কারণ।আমি সব সময়ই আমার সেরা সময় আর দুঃসময়ের কথা চিন্তা করি।আমি সব সময় অন্যদের কথা চিন্তা করে শিহরিত হই।অবশ্যই নীতির সঙ্গে কাজে মনোযোগ দিতে হবে। শক্তিশালী মন তৈরি করতে হবে প্রেরণা গ্রহণের জন্য। এই শক্তিশালী মনই আপনার মাঝে অনেক কিছু নিয়ে আসে, আপনি নিজেই নিজেকে নতুন করে চিনবেন।



পৃথিবীতে সবাই জিনিয়াস, কিন্তু আপনি যদি ১টি মাছকে তার গাছ বেয়ে উঠার সামর্থ্যের উপর বিচার করেন তাহলে সে সারা জীবন নিজেকে শুধু অপদার্থই ভেবে যাবে।

- আলবার্ট আইনস্টাইন

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

খাটাস বলেছেন: খুব ভাল পোস্ট।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৮

টুম্পা মনি বলেছেন: দারুণ লেখা। আশা করি এমন লেখা আশাহীনের মনে আশা জাগাবে। বাঁচার পাথেয় হবে। শুভকামনা লেখক।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালোলাগা ভালোলাগা ও ভালোলাগা।৬ষ্ঠতম++++++++

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: Really an excellent post. I followed you.

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৫

েসাহাগ২৫কগগ বলেছেন: অনেক ভালো লাগা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.