নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাইটান

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

রাত তিনটা বিশ মিনিটে ভয়াবহ এক দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙ্গল। ঘামে আমার সারা শরীর ভিজে গেছে। স্বপ্নে দেখি- আমাকে একটা ছোট্র অন্ধকার ঘরে বন্ধী করে রাখা হয়েছে । ঘর ভর্তি সাপ । সাপ গুলো আমার সারা শরীরে কিলবিল করছে । সাপ আমি অনেক ভয় পাই। আমার সারা শরীরে সাপ গুলো ঝাপটা দিয়ে প্যাচিয়ে আছে। এর মধ্যে একটা সাপ আদুরে ছোট বাচ্চাদের মতন আমার গলা প্যাচিয়ে ধরেছে এবং একটু পর পর কামড় দিচ্ছে। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে । তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে গেছে । চিৎকার করে কাউকে ডাকবে কিন্তু গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না । বুঝতে পারছি, আমার সময় শেষ । কিন্তু মরার আগে শরীরের সব শক্তি দিয়ে একটা গা ঝাড়া দিলাম। তখন ঘুম ভেঙ্গে গেল এবং ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি তিনটা বিশ বাজে।



স্বপ্নের চেয়ে ভয়াবহ জিনিস আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। পানি খাওয়ার জন্য বিছানা থেকে নামতেই দেখি- কে যেন সোফায় চুপ করে বসে আছে । আলো জ্বালিয়ে দেখলাম- সোফায় বসে আছি আমি । অথবা আমার মত দেখতে কেউ একজন । আমি বেসিনে গিয়ে চোখে মুখে পানির ছিটা দিলাম। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা এক গ্লাস পানি খেলাম। এবং ঠান্ডা মাথায় ভাবতে শুরু করলাম। আমি একজন আধুনিক মানুষ। কোনো কুসংস্কারের উপর আমার কোনো আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই, ভরসা নেই। আমি সোফায় গিয়ে ছেলেটির পাশে বসলাম, অথবা আমার পাশেই আমি বসলাম। আমি যেভাবে গালে একটা আঙ্গুল রেখে চুপ করে বসে থাকি- ছেলেটিও সেভাবে বসে আছে। ছেলেটিকে দেখে কেন জানি খুব মায়া লাগছে । ছেলেটির বসার ভঙ্গির মধ্যে এমন একটা ব্যাপার আছে- দেখেই মায়া-মায়া লাগছে ।



আমি মার ঘরে- মাকে ডাকতে গেলাম। দেখি মা আরাম করে ঘুমাচ্ছে। সারাদিন বেচারি ঘরের কাজ করে- এখন এত আরাম করে ঘুমাচ্ছে- তাই মাকে আর ডাকলাম না। আমি আমার ঘরে চলে এলাম- এবং দেখি ছেলেটির পাশে মা বসে আছে। কিন্তু মা তো মার ঘরে ঘুমাচ্ছে। কি হচ্ছে- এইসব !! আমি দুইটা মা দুইটা !! আজিব ব্যাপার!! এমন হতো- আমি সারারাত ভদকা খেয়েছি। টাল হয়ে গেছি- তাই সব কিছু দু'টা দেখছি । মদ আমি খাই না। চোখের ভুল ? নাকি হেলুসিয়েশন হচ্ছে ? নিজেকে বললাম- মাথা ঠান্ডা রাখো বালক। ভাবো, ভাবো। কার্যকারণ ছাড়া এই পৃথিবীতে কিছু ঘটে না। অনেক ভাবলাম, কোনো কুলকিনারা পেলাম না। এরা কি এলিয়েন ? অন্য গ্রহ থেকে আসছে ? আমার ঘরে কেন ? দেখতে মার মতো- আমার মতো। চুপ করে বসে আছে। কোনো কথা বলছে না !



মসজিদে আজান শেষ হলো। আকাশ ফরসা হতে শুরু করেছে। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবলাম- দিনের আলোয় আমার অস্থিরতা কেটে যাক এবং সব ঘটনা পরিস্কার হয়ে যাক। আমি আমাকে এবং মাকে ঘরে রেখে- ছাদে গেলাম। যাওয়ার আগে সোফায় বসে থাকা- আমাকে এবং মাকে বললাম, ছাদে যাচ্ছি- আশা করি- ফিরে এসে তোমাদের দেখতে পাবো না। আমি ছাদে চলে এলাম। আমাকে এবং মাকে ভুলে থাকতে চাই। সব চিন্তা বাদ দিয়ে- আমি ভোরের আকাশের দিকে মন দিলাম। অনেকদিন আগে, খুব ভোরে হিমি আমাকে ফোন করে একটা গান শুনিয়েছিল- "ডাকে পাখি, খোল আখি, দেখ সোনালি আকাশ,বহে ভোরের ও বাতাস...ফুলে ফুলে ওই দোলে প্রজাপতি দোলে,নিজে নিজে ওই বেলা বেড়ে চলে

আলোতে কেনো তবে যে ঘুমের ও বিলাস...বহে ভোরের ও বাতাস ।"



আকাশ ফরসা হয়ে গেছে। রোদ উঠে গেছে। কখন এত সকাল হয়ে গেছে বুঝতে পারিনি । অনেক ক্ষুধা লেগেছে। আমি নীচে নেমে এলাম। ঘরে ঢুকে দেখি- আমার মত দেখতে, সেই ছেলেটি এবং মা বসে আছে সোফায়। সেই রকম শান্ত ভঙ্গিতে বসা। যেন কোনো কাজ নেই। বসে থাকাটাই একমাত্র কাজ। ছাদে গিয়ে ওদের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। আমি ছেলেটি এবং মার দিকে তাকিয়ে বললাম- তোমাদের ক্ষুধা পেয়েছে ? নাস্তা খাবে ? ছেলেটি আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল- টেবিলে নাস্তা দেওয়া হয়েছে। খেয়ে নাও। গলার স্বর শুনে চমকে উঠলাম। ছেলেটি দেখতে আমার মতন-গলার স্বরও আমার মতন। আমি বললাম তোমরা খাবে না? মা মাথা নাড়ল আর ছেলেটি বলল- আমাদের ক্ষুধা হয় না। আমি অনেক দিন পর খুব আরাম করে নাস্তা খেলাম। তারপর এক কাপ চা ।



চায়ের কাপ হাতে নিয়ে আমি আমার এবং মার মুখোমুখি বসলাম । ব্যাপারটার একটা ফয়সালা করতে হবে। হবেই। আমি কোনো ভনিতা না করে সরাসরি বললাম- মুল ব্যাপারটা কি ? আমাকে বুঝিয়ে বলো। নো তেরিং বেরিং । ছেলেটি এবং মা দুইজন দুইজনের দিকে তাকিয়ে একটু হেসে নিল। যেন তারা আমার এই প্রশ্নের অপেক্ষায় ছিল। তারা দুই জন উঠে দাঁড়ালো। এবং তাদের চেহারা বদলে গেল। চারপাশে তীব্র আলোর ঝলক। আমি তাকাতে পারছি না। শুধু আমার কানে আসল স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ কয়েকটা শব্দ। আমরা তোমাকে নিতে আসছি, আমাদের গ্রহে। আমাদের গ্রহের নাম টাইটান। তোমাকে নিয়ে আমাদের অনেক রকম পরিকল্পনা আছে। পৃথিবী নামক গ্রহে- তুমি সবার থেকে আলাদা। তোমাকে আমাদের খুব প্রয়োজন । এক বছর ধরে তুমি আমাদের পর্যবেক্ষণের মধ্যে আছো। ব্যালকনিতে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখ- তোমাকে নেওয়ার জন্য বিশাল একটা রকেট অপেক্ষা করছে।



( চলবে...

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সারছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!


ফিকশন! না আত্মকথন!!!!!!!!!


যাই হোক। দারুন... অপেক্ষায় কখন স্পেসশীপে উঠেন ;)

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

িহজলতমাল বলেছেন: apnar likhata valo laglo .
Porer tuku taratari likhun .

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

রাহুল বলেছেন: রাজিব ভাই এইডা কি করলেন? একদমে পড়তে চাইলাম আর মাঝখানে গরু ডুকাই্য়া দিলেন(গরু কোরবানী দিয়ার আগে আর ব্লগাইবার পারুমনা)..এইডা কুনোকিছু ওইলো?..জলদি পরের কিস্তি মারেন। :) :D B-) ;)

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা বলেছেন: সামুতে এতো পোস্ট আসে যে ফলো করা কঠিন, ইচ্ছে থাকলেও এই গল্পের সেকেন্ড পার্ট আর কোনদিন পড়া হবে কিনা বলা যাচ্ছে না

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

ঢাকাবাসী বলেছেন: চলবে? সারছে, ততদিনে তো ভুলেই যাবো! যা পড়লাম ভাল।

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫১

সদয় খান বলেছেন: এই ধরনের একটা লিখা আমি কলেজ লাইফে লিখেছিলাম । সেখানে আমাকে প্লুটো তে নিয়ে যেতে চেয়েছিল । হার্ড কপিটা আছে । দেখি একদিন সময় করে ব্লগে দিব । আপনার লিখাটা পড়ে ভাল লাগলো ++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.