নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এক রাজা তার প্রজাদের দুঃখ-কষ্ট এবং সমস্যা গুলো সমাধানের উদ্দ্যেশে ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াতেন। নিজ চোখে প্রজাদের সমস্যা গুলো দেখে দেখে সমাধান করে দিতেন। ঠিক এই রকম করে একদিন ঈশ্বর মাটিতে নেমে এলেন মানুষের রুপ ধরে।
ঈশ্বর দাঁড়িয়ে আছেন সদর ঘাট। তিনি বুড়িগঙ্গা নদীর পানির গন্ধ পেয়ে অবাক। কোনো নদীর পানি যে এত কালো হতে পারে এবং এত বিচ্ছিরি গন্ধ ঈশ্বরের ধারনা ছিল না। এক কোনায় দাঁড়িয়ে ঈশ্বর তো বমিই করে দিলেন।
সদর ঘাট থেকে হাঁটতে হাঁটতে ঈশ্বর চলে এলেন বাবুবাজার ব্রীজের কাছে। রাস্তাঘাট এত নোংরা, মানুষের এত ভীড় ঈশ্বর নিজের অজান্তেই বলে ফেললেন ছিঃ। রাস্তার পাশের চায়ের দোকান থেকে এক কাপ চা মুখে দিয়ে ঈশ্বর আর একবার বমি করলেন।
দিনে দুপুরে মিডফোড হাসপাতালের সামনে ঈশ্বরকে ছিনতাইকারী ধরল। ঈশ্বর তো অবাক ! ছিনতাইকারীরা ঈশ্বরকে বলল- যা আছে ভদ্রভাবে দিয়ে দে। চিল্লাচিল্লি করলে টুকরো টুকরো করে দিবো। ঈশ্বর বলল, আমার কাছে কিছু নেই। কিছু নেই কেন, বলে একজন ছিনতাইকারী ঈশ্বরকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দিল।
বিকেলে ঈশ্বর মন খারাপ করে রমনা পার্কের একটা বেঞ্চে বসে ছিলেন। চারদিকে কিছু তরুন তরুনী জোড়াজড়ি করে বসে আছে। এদের মধ্যে একজন তো এক মেয়ের জামার ভেতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছে। মেয়েটি কিছু বলছে না বরং ছেলেটির হাতের স্পর্শ উপভোগ করছে। ঈশ্বর বিড়বিড় করে বললেন- আজিব !!
রাত ন'টায় রাজমনি হলের সামনে ঈশ্বর পড়লেন দুইজন নিশি কণ্যার হাতে। সস্তা লিপস্টিক ঠোঁটে চকচক করছে। নিশিকণ্যা দুইজন ঈশ্বরের সাথে রাত কাটাতে চায়। বিনিময়ে অল্প কিছু টাকা দিলেই হবে। তাদের টাকার খুব প্রয়োজন। ঈশ্বর তাদের নাম জিজ্ঞেস করতেই- মেয়ে দু'টি তাদের ছদ্মনাম বলল।
রাত দুই টায় ঈশ্বর গেলেন যাত্রাবাড়ী। যাত্রাবাড়ী গিয়ে ঈশ্বর অনেক অবাক হলেন। এত রাতেও এখানে অনেক জ্যাম। চারিদিকে ধূলোবালি উড়ছে। চারিদিকে এত বিকট সব গাড়ির হর্ন শুনে ঈশ্বর কানে হাত দিলেন। পৃথিবীর মানুষ এত কষ্টে আছেন তা ঈশ্বরের ধারনার বাইরে ছিল। আবারও ঈশ্বর রাস্তার ফুটপাতে বসে বমি করে দিলেন।
ঈশ্বর আরও কষ্ট পেলেন কাওরানবাজার এসে। এত মানুষ ফুটপাতের উপর শুয়ে আছে!! তাদের ঘর-বাড়ি নেই। আর এই কাওরানবাজার এত বড় বড় বিল্ডিং ! ফুটপাতে শুয়ে থাকা মানুষের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরের ইচ্ছা করলো- দেশের প্রধানমন্ত্রীকে কানে ধরে কাওরান বাজার নিয়ে আসতে। প্রধানমন্ত্রী নিজের চোখে দেখুক।
ফার্মগেট ব্রীজের উপর এসে ঈশ্বরের মেজাজ চরম খারাপ হলো। দশ-পনের জনানা বয়সের লোক মিলে নেশা করছে। আর ব্রীজের নীচে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। চেক পোষ্ট বসিয়ে সাধারন মানুষকে হয়রানি করছে। তাদের মানিব্যাগ তন্ন তন্ন করে কি যেন খুজছে। ম্যানিব্যাগের ভেতর কি পিস্তল বা গ্রেনেড লুকিয়ে রাখা যায়? ঈশ্বর মনে মনে বললেন- যতসব বদমাশের দল।
ভোর হতে শুরু করেছে। ঈশ্বর মিরপুর রোডে হাঁটছেন। দেশ এবং দেশের মানুষ নিয়ে ঈশ্বর অনেক বিচলিত। সাত আসমানের উপর গিয়ে হয়তো তিনি দ্রুত কিছু ব্যবস্থা নিবেন। সাধারন মানুষজন অনেক দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে পারে কিন্তু ঈশ্বর মানুষদের দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে পারেন না। অলৌকিকভাবে এদেশের জন্য অবশ্যই কিছু করা হবে- ঈশ্বর ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন।
সিদ্দান্ত নেওয়ার পর এই প্রথম ঈশ্বরের মূখে হাসির আবেশ দেখা গেল। ঠিক তখন একটা ট্রাক ফুটপাতের উপর উঠে ঈশ্বরকে চাপা দিল। সাথে সাথে ঈশ্বর মারা গেলেন। ভোরের দিকে মিরপুর রোড ফাঁকা থাকে। রাস্তা ফাঁকা পেয়ে ট্রাক ড্রাইভার স্প্রীড বাড়িয়ে দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১০:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে---
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৫১
হেদায়েত বলেছেন: হতাশ নাস্তিক্যবাদের জগাখিঁচুড়ি
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৩৫
বীরেনদ্র বলেছেন: ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর অনেক আগেই মারা গেছেন। নতুন করে আবার মরলে ,সমস্যা নেই। ঈশ্বর নাকি বেহশ্তের আগে দোযখ তৈরী করেছিলেন, সুতরাং দোষ তারই। পরে যখন বেহেশত বানাবেন ঢাকা শহরকে প্রমোশান দিয়ে তিলোত্তমা বানাবেন। হতাশ হবেন না।
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১০:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:৫১
এম এস নিলয় বলেছেন: ঈশ্বর তো বহু আগেই মইরা গেসিলেন; এইটা আবার কোন ঈশ্বর???
০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১০:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: গড।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৩
উদাস কিশোর বলেছেন: আমরা এমনি এক দেশের নাগরিক